ঢাকা ১১ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

আওয়ামী লীগের বিচার দাবিতে টানা কর্মসূচি এনসিপির

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৮:৩৯ পিএম
আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৯:২১ পিএম
আওয়ামী লীগের বিচার দাবিতে টানা কর্মসূচি এনসিপির
বাংলামোটরে দলের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: খবরের কাগজ

জুলাই গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আওয়ামী লীগের বিচার এবং দলের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে টানা কর্মসূচি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিচার ও নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। এসময় লিখিত বক্তব্য রাখেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পরিকল্পনা নেই প্রধান উপদেষ্টার এমন বক্তেব্যর নিন্দা জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের সাত মাস অতিবাহিত হলেও গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের খুনিদের বিচারে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। আওয়ামী লীগ কর্তৃক সংঘটিত পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা হত্যাকাণ্ড, আগ্রাসনবিরোধী আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড, গুম-ক্রসফায়ার, ভোট ডাকাতিসহ জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রশ্নে কার্যকর অগ্রগতি দৃশ্যমান হওয়ার আগে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল পদ থেকে এ ধরনের বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত। আত্মপ্রকাশের পর থেকে আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেছি- কৃত অপরাধের বিচার, দায় স্বীকার, অনুশোচনা, পাপমোচন ব্যতীত আওয়ামী লীগের দল হিসেবে ক্রিয়াশীল থাকার পক্ষে যেকোনো ধরনের তৎপরতা ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের শামিল।

আওয়ামী লীগ এ মুহূর্তে গণতান্ত্রিক ফ্রেমওয়ার্কের বাইরে অবস্থান করছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এনসিপি জুলাই গণহত্যাসহ বিগত ফ্যাসিবাদী রেজিমে সংঘটিত অপরাপর গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের নিশ্চয়তা চায়। বিচার চলাকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে এবং এই মাফিয়াগোষ্ঠীর রাজনীতিতে ফেরার যেকোনো প্রচেষ্টাকে এনসিপি প্রতিহত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে।

নাহিদ বলেন, দল হিসাবে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণহত্যা চালিয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী রেজিম বাংলাদেশ থেকে উৎখাত হয়েছে। আওয়ামী মতাদর্শ, দল এবং মার্কার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণ ৩৬শে জুলাইয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। ফলে দল ও মতাদর্শ হিসাবে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে রাজনীতি করার সকল অধিকার হারিয়েছে। গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার চলাকালীন সময়ে আওয়ামী লীগ এবং ফ্যাসিবাদের সকল সহযোগী ব্যক্তি ও সংগঠনের রাজনৈতিক কার্যক্রমকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের কনসার্নের জায়গাটা আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের বিচার, নিবন্ধন, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। রাজনৈতিক মহলই সেই সিদ্ধান্ত নেবে।

এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবুদল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগ যে একটা গণহত্যা চালিয়েছে সেটা তারা স্বীকার করেনি। দল হিসেবে তার বিচার হতে হবে। তারপরে কোনো আলোচনা হইলে হতে পারে। ৫ আগস্টের পরে আওয়ামী লীগের নাম, দল, মার্কা অপ্রাসঙ্গিক। আমরা সাধারণ মানুষের কাছে কমিটেড। অন্য কারো কাছে না।

কবির/এমএ/

জামায়াতকে নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা বেড়েছে: সেলিম

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩২ পিএম
জামায়াতকে নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা বেড়েছে: সেলিম
ছবি: খবরের কাগজ

জামায়াতকে নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, জামায়াতের নেতৃত্বেই দেশকে একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার স্বপ্ন দেখছেন আত্মসচেতন জনতা। জনগণ মনে করছে এ সংগঠনের মাধ্যমেই তাদের অধিকার বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। তাই আমাদের উচিত সাধারণ মানুষের আবেগ, অনুভূতি ও প্রত্যাশাকে সম্মান প্রদর্শন করে তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে দেশে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছানোর সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো। 

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর উত্তরায় পলওয়েল কমিউনিটি সেন্টারে এক দায়িত্বশীল সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনেক ত্যাগ ও কোরবানীর পর দেশে সুন্দর একটি পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে সুযোগ কাজে লাগিয়ে শোষণ মুক্ত কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে সকলকে ময়দানে আপোষহীন ভূমিকা পালনের আহবান জানান মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, দেশে ইসলামী আন্দোলনের জন্য ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি হলেও তা এখনো পুরোপুরি স্বস্তিদায়ক হয়নি। দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ততা লক্ষ্য করা গেলেও ষড়যন্ত্রকারী ও আধিপত্যবাদী শক্তির ষড়যন্ত্র থেমে নেই বরং তাদের ঘুম ইতোমধ্যেই হারাম হয়ে গেছে। তারা ইসলামের অগ্রযাত্রা থামানোর জন্য নানাবিধ চক্রান্ত ও অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। 

সেলিম উদ্দিন বলেন, আমাদেরকে আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোন সুযোগ নেই বা প্রতিপক্ষকে কোনভাবেই দুর্বল মনে করা যাবে না। তাই দেশ, জাতি ও ইসলাম বিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। অন্যথায় ফ্যাসীবাদ নতুন করে মাথাচাড়া দেবে।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, ইয়াছিন আরাফাত ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য হেমায়েত হোসেন, জিয়াউল হাসান প্রমূখ।

শফিকুল/সিফাত/

অন্তর্বর্তী সরকারকে অকার্যকর প্রমাণে চক্রান্ত চলছে: রিজভী

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২৩ পিএম
অন্তর্বর্তী সরকারকে অকার্যকর প্রমাণে চক্রান্ত চলছে: রিজভী
ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ রক্ত ঝরা আন্দোলনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে অকার্যকর প্রমাণ করতে একটি চক্র গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, শেখ হাসিনার দোসররা আদালতে দাঁড়িয়ে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। প্রকাশ্যে ফ্যাসিস্ট হয়ে ফিরে আসার হুমকি দিচ্ছে। এই সাহস পায় কীভাবে?

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসররা পাচার করা টাকা দিয়ে বিভিন্ন খুনি বাহিনী তৈরি করে ক্রিমিনাল কাজ করছে। দেশে এক ধরনের মাফিয়া অর্থনীতি গড়ে উঠেছে, যা শেখ হাসিনার পাচার করা টাকাকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হচ্ছে। টাকার জোরে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ফায়দা লুটতে চায় তারা।

ভয়াবহ অপরাধী আওয়ামী নেতাদের জামাই আদরে আদালতে হাজির করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শাজাহান খান গংরা আদালতে এসে সরকারকে দেখে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে্। আদালতকে ভেংচি কাটছে, পুলিশকে থোড়াই কেয়ার করছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ প্রশাসনের নীরবতায় তারা এমন আচরণ করছে। পুলিশ প্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হাসিনার অলিগার্করা ‘সর্ষের ভেতর ভূত’ হয়ে থাকায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

রিজভী বলেন, গণতন্ত্র রক্ষার যে প্রত্যাশা নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছিল, বাস্তবে তার প্রতিফলন আমরা পাচ্ছি না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অগ্রগতি থাকলেও গণতান্ত্রিক কাঠামোকে শক্তিশালী করতে কোনো সুদূরপ্রসারী প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে না।

২৮ লাখ কোটি টাকা পাচারের সঙ্গে যারা জড়িত, তারা এখনো বহাল তবিয়তে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বরং মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে প্রশাসনের কিছু ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে এখনো তারা স্বপদে বহাল আছেন।

রিজভী অভিযোগ করেন, বাজারে চাল-ডাল, তেল-ডিমে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পেছনে আছে আওয়ামী সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটই দেশে মুদ্রাস্ফীতি ও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়ে তুলছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম প্রমুখ।

সিফাত/

প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা ছিল বলেই ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল: আলী রীয়াজ

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২২ পিএম
প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা ছিল বলেই ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল: আলী রীয়াজ
ছবি: খবরের কাগজ

গত ৫৩ বছরের বাংলাদেশের শাসন কাঠামোতে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে ঘাটতি এবং প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা ছিল বলেই একটি ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকায় সংসদ ভবনস্থ এল. ডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আমজনতার দলের আলোচনার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে সবার সঙ্গে আলোচনা করে একটি সর্বজন গ্রহণযোগ্য জাতীয় সনদ তৈরি করা, যা ভবিষ্যত বাংলাদেশের পথরেখা তৈরি করবে। 

তিনি আরও বলেন, ‘গত ১৬ বছর ধরে দেশের সর্বস্তরের মানুষ যে ফ্যাসিবাদের নিপীড়ন সহ্য করেছে, তা যেন আর ফিরে না আসে। এখন নতুন বাংলাদেশ গড়ার সময় এসেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের অব্যাহত আলোচনা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে। 

আমজনতার দলের সভাপতি মিয়া মশিউজ্জামানের নেতৃত্বে আলোচনায় আরও অংশগ্রহণ করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক মো. তারেক রহমান, সাংগঠনিক  সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, কার্যকরী সদস্য সাধনা মহল এবং তামান্না শিখাসহ ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল৷ 

প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। 

ইতোমধ্যে সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩৫টি দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে। আমজনতার দলসহ এ পর্যন্ত ১৬টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রথম পর্যায়ের আলোচনা শেষ করেছে। সূত্র: ইউএনবি

মেহেদী/

আমতলীতে যুবলীগ সভাপতিসহ আটক ৩

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৯ পিএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১২ পিএম
আমতলীতে যুবলীগ সভাপতিসহ আটক ৩
আমতলী পৌর যুবলীগের সভাপতি ও বরগুনা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আরিফ-উল হাসান আরিফ

বরগুনার আমতলীতে মিছিলের প্রস্তুতি সভা চলাকালে পৌর যুবলীগ সভাপতি ও দুই ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। 

বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাতে আমতলী পৌর শহরের ওয়াপদা সড়কের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন- আমতলী পৌর যুবলীগের সভাপতি ও বরগুনা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আরিফ-উল হাসান আরিফ, আঠারগাছিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হাসিবুর রহমান হাসিব এবং ওই ইউনিটের সদস্য মিরাজ হোসেন।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম বলেন, মিছিলের প্রস্তুতির খবরে ওয়াপদা সড়কের একটি বাসায় অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের এই তিন নেতা আটকের ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে চরম উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। অনেকেই গা-ঢাকা দিয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

অপু/মেহেদী/

নারীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল, বিএনপি নেতা বহিষ্কার

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৬ এএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১৩ পিএম
নারীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল, বিএনপি নেতা বহিষ্কার
সূবর্ণচর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি কাজী আলমগীর

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নারীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ভাইরালের পর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি কাজী আলমগীরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও সুবর্ণচর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়া বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেন। 

তিনি বলেন, চারিত্রিক স্খলনের সুস্পষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে কাজী আলমগীরকে সুবর্ণচর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতির পদসহ সব সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এর আগে বুধবার (২৩ এপ্রিল) সুবর্ণচর উপজেলার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্যাহ বাবুলের সই করা চিঠিতে উপজেলা বিএনপির নেতা কাজী আলমগীরকে বহিষ্কার করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়, 'আপনার বিভিন্ন অপকর্ম ও অনৈতিক এবং চারিত্রিক স্খলনজনিত কারণে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়া কর্তৃক নির্দেশিত হয়ে আপনাকে দলের প্রাথমিক সদস্য ও সব পদ-পদবি থেকে বহিষ্কার করা হলো।'

জানা গেছে, অজ্ঞাত এক নারীর সঙ্গে আপত্তিকর একটি ভিডিও বিএনপি নেতা কাজী আলমগীরের ফেসবুকের স্টোরিতে প্রকাশ পায়। পরে সেটি ভাইরাল হয়ে বিভিন্ন মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে পড়ে। যা উপজেলা বিএনপি নেতাদের দৃষ্টিগোচর হয়।

অভিযুক্ত বিএনপি নেতা কাজী আলমগীর এটিকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করে বলেন, আমি ফেসবুক চালাতে জানি না। ভুলে কোথা থেকে কী হয়েছে তাও বলতে পারব না। দলের একটি গ্রুপ আমার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন থেকে ষড়যন্ত্র করে আসছে। তারাই এ ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছে।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্যাহ বাবুল বলেন, ভিডিও ভাইরালের পর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়ার নির্দেশে কাজী আলমগীরকে বহিষ্কারের চিঠি দেওয়া হয়েছে। 


মজনু/মেহেদী/