ঢাকা ১০ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

পলাতক স্বৈরাচারদের পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়া যাবে না: তারেক রহমান

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫৭ পিএম
পলাতক স্বৈরাচারদের পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়া যাবে না: তারেক রহমান
রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে ইফতার মাহফিলে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। অন্তর্বর্তী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, সরকারের এমন কোনো পক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না, যাতে রাষ্ট্র এবং রাজনীতিতে পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ পায়। এমন পরিস্থিতে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়ার অর্থ সারাদেশে ঘাপটি মেরে থাকা পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া। সুতরাং সবার আগে প্রয়োজন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান। কারণ নাগরিকরা রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাশালী না হলে কোনো সংস্কারই কিন্তু টেকসই হবে না।

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে ইফতার মাহফিলে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। দেশের বিশিষ্ট নাগরিক ও পেশাজীবীদের সম্মানে এই ইফতারের আয়োজন করে বিএনপি।

সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি করা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক বলে মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, একটি মহল বর্তমান সংস্কার এবং নির্বাচনকে যেভাবে মুখোমুখি করে ফেলা হয়েছে, এটি নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক। যারা সংস্কার শেষ করার পর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করার কথা বলছেন, তাদেরকে বলতে চাই- যেটি শেষ হয়ে যায়, সেটি সংস্কার নয়। কারণ সংস্কার কখনো শেষ হয় না। সংস্কার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।

তিনি বলেন, বর্তমান সংবিধানকে ইচ্ছামতো কাঁটাছেড়া করে পতিত পলাতক স্বৈরাচার তাদের দলীয় সংবিধানে পরিণত করে ফেলেছিল। বিএনপি মনে করে, গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে খেতাবি কিংবা পুঁথিগত সংস্কারের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকার এবং আচরণের ব্যবহারিক প্রয়োগ। জনগণের গণতান্ত্রির চর্চার মধ্যে দিয়েই কেবল সংস্কার প্রক্রিয়া টেকসই, সফল এবং কার্যকর হয়ে উঠতে পারে। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গণইস্যুকে মুখ্য ইস্যু বানাতে গিয়ে নিজেদের অজান্তেই ফ্যাসিবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্যের সংশয় ও সন্দেহের জন্ম দেওয়া হচ্ছে।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ৫ আগস্ট মাফিয়া সরকারের পতনের পর আমাদের সামনে দীর্ঘ দেড় দশকে অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এসে পুনরায় গণতান্ত্রিক, মানবিক বাংলাদেশ গড়ায় এক অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজনীতিবিদ এবং রাজনৈতিক কর্মীর পাশাপাশি বিশিষ্ট নাগরিক সমাজ এবং পেশাজীবীদের দেশ ও জনগণের স্বার্থ রক্ষায় আরও কার্যকর ভূমিকা পালনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। রাষ্ট্র এবং রাজনীতির স্বার্থেই পেশাজীবীদের সর্বোচ্চ দক্ষতা অর্জনে আরও বেশি মনোযোগী হওয়া অত্যন্ত জরুরি।

তিনি আরও বলেন, পেশাজীবী মেধা ও অভিজ্ঞতা রাষ্ট্র উন্নয়ন পরিকল্পনায় কাজে লাগানোর সুযোগ অবশ্যই রয়েছে। বর্তমান রাজনৈতিক সাংগঠনিক কাঠামোতে পেশাজীবীদের অনেকের পক্ষেই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে অবদান রাখার সুযোগ হয়তো সীমিত। সেজন্য রাষ্ট্র, সরকার ও রাজনীতির গুনগত পরিবর্তনের লক্ষ্যে বিশিষ্টজন এবং পেশাজীবীদের মেধা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর জন্য বিএনপি সংবিধানে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করেছে। 

তারেক রহমান বলেন, একটি রাষ্ট্রে রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ এবং পেশাজীবীরা একে-অপরের পরিপূরক। রাষ্ট্রে সুশীল সমাজ এবং পেশাজীবীদের ভূমিকা দূর্বল থাকলে সুস্থ ও সবল রাজনীতি আশা করা যায় না, একইভাবে দেশের রাজনীতি রুগ্ন হলে সুশীল সমাজ ও পেশীজীবীরা যথাযথ দায়িত্ব কর্তব্য এবং ভূমিকা পালনে সক্ষম হন না। দীর্ঘ দেড় দশকে ফ্যাসিবাদী শাসনকাল এরই সবচেয়ে বড় প্রমাণ। আমরা দেখেছি, পলাতক স্বৈরাচারের শাসনকালে একটি উল্লেখযোগ্য সুশীল ও পেশীজীবীদের অংশ, সেই ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের সক্রিয় সহযোগি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। 

তারেক রহমান বলেন, বিশ্বের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক বিধি ব্যবস্থায় শেষ পর্যন্ত রাজনীতিবিদদের হাতেই রাষ্ট্র পরিচালনায় ভার বর্তায়। তবে রাজনীতিবিদদের সফলভাবে রাষ্ট্র পরিচালনায় ক্ষেত্রে দেশের বিশিষ্ট নাগরিক, সুশীল সমাজ এবং পেশাজীবীদের ভূমিকা ও অবদান অনস্বীকার্য। রাষ্ট্র এবং রাজনীতির ভালো-মন্দের অনেক কিছু নির্ভর করে রাজনীতিবিদদের দেশপ্রেম এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় নীতির উপর। এক্ষেত্রে রাষ্ট্র এবং সমাজে বিশিষ্ট নাগরিক ও পেশাজীবীদের ভূমিকা যতবেশি কার্যকর থাকে, রাজনৈতিক সরকারও ততবেশি দায়িত্বশীল এবং শক্তিশালী হয়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে আরও বক্তব্য দেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য  ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজ, অর্থনীতিবিদ ও ঢাবি শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, যুগান্তর সম্পাদক আবদুল হাই সিকদার, যায়যায়দিন সম্পাদক শফিক রেহমান, লাবিব গ্রুপের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আলমগীর, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. সুকোমল বড়ুয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, কালেরকন্ঠ সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বিএফইউজে’র সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন প্রমুখ।

এছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এই ইফতার মাহফিলে বিশিষ্ট নাগরিক, বিভিন্ন পেশাজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধির এবং বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা অংশ নেন।

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ

স্বৈরাচারের নির্যাতনের প্রতিশোধ হবে ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে: তারেক রহমান

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১০ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২২ পিএম
স্বৈরাচারের নির্যাতনের প্রতিশোধ হবে ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে: তারেক রহমান
রংপুর শিল্পকলা একাডেমিতে রংপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির কর্মশালায় ভার্চুয়্যালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, আমরা স্বৈরাচারের অত্যাচারের প্রতিশোধ নিতে চাই ৩১ দফা বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে। আমার ওপর যে জুলুম হয়েছে, অত্যাচার হয়েছে আমার মায়ের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে, যে জেল জুলুম হয়েছে, আমার ভাইকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তার প্রতিশোধ নিতে চাই ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) রংপুর শিল্পকলা একাডেমিতে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা’ ও জনসম্পৃক্তি রংপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির কর্মশালায় ভার্চুয়্যালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তারেক রহমান বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যখন দায়িত্ব পালন করেছেন তখন গুরুত্ব দিয়েছেন কীভাবে মানুষের স্বাস্থ্যের সমস্যা, নিরাপত্তার সমস্যা, যাতায়াতের সমস্যা, খাদ্যের সমস্যা, কীভাবে কৃষি উৎপাদন বাড়ানো যায় এসব ব্যাপারে তারা জোর দিয়েছেন। বিএনপির সময় নারীদের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। আইন ব্যবস্থাকে স্বাধীন করা হয়েছে। যে ব্যবস্থাগুলো প্রতিদিন মানুষের জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত সেগুলোকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশ এবং দেশের মানুষ। আমরা প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য নিয়েও আলোচনা করেছি। নিশ্চয়ই এগুলোই  দেশের মানুষের চাওয়া।

এ সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনি এখানে অনেক আলোচনা করেছেন গ্রামে ফিরে গেলে সাধারণ মানুষ জিজ্ঞেস করবে কী বাহে কী আলোচনা করলেন। তোমাদেরকে যদি ভোট দিয়ে সরকার গঠন করতে দেই তোমরা আমাদের জন্য কী করবে এমন কথা বলবে। আপনাদের বিএনপির এই মিটিংয়ে কী আলোচনা হল এগুলো জিজ্ঞাসা করবে। তাই যে বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে দলমত নির্বিশেষে প্রত্যেক মানুষের দরবারে নিয়ে যাই।

তারেক বলেন, আমাদের সেই অদৃশ্য প্রতিপক্ষ আস্তে আস্তে দৃশ্যমান হচ্ছে সেই সঙ্গে আরও বিভিন্ন প্রতিপক্ষ তাদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে। কাজেই দেশের স্বার্থে আমরা যত বেশিসংখ্যক এই ৩১ দফা মানুষের কাছে নিয়ে যেতে পারবো এবং আমরা যত বেশি ঐক্যবদ্ধ হবো, যত বেশি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদের আদর্শে বিশ্বাস করব আমাদের প্রতিপক্ষকে জোরালোভাবে মোকাবেলা করতে পারব। তত রাজনৈতিকভাবে আমরা শক্তিশালী হব।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও  বলেন, আপনার এখানে যতজন আছেন প্রতিজনে একটি করে মিথ্যা মামলা ও জুলুমের শিকার হয়েছে। তাই আমরা জুলুম করে টিকে থাকতে চাই না। ফ্যাসিস্ট সরকার যা করেছে আমরা তা করতে চাই না। এই দলকে অর্থাৎ বিএনপিতে মানুষ আস্থা রাখে। তারা মনে করে দেশের জন্য যদি কিছু করা সম্ভব হয় পারলে বিএনপি পারবে। এই জনগণের আস্থা ধরে রাখার দায়িত্ব আমাদের সবার। জনগণের আস্থা ধরে রাখার দায়িত্ব একা নিলে হবে না। শহিদ জিয়া, খালেদা জিয়ার আদর্শকে যারা বিশ্বাস করে প্রত্যেকটি নেতাকর্মীকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

তিনি বলেন, আপনি ভালো কাজ করতে চাইলে ভালো কাজ করার আগ্রহ থাকলে জনগণ আপনার পক্ষে রায় দেবে। আজকের এই আলোচনা আপনার এলাকার প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন রাজপথে থেকেছেন, মিছিল মিটিং করেছেন জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। এবার আমরা জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করি দেশ গঠনের জন্য, ৩১ দফার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ করি।

এর আগে নেতা কর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে তিস্তা মহাপরিকল্পনার বিষয়ে তারেক রহমান বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। তিস্তা এই এলাকার ৩ কোটি মানুষ জড়িত। তিস্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এটি নিয়ে রাজনীতি হয়েছে কিন্তু ভাগ্যের পরিবর্তন করেনি। দেশের স্বার্থ চিন্তা করে বিএনপি এগিয়ে এসেছে। যেভাবে করলে মানুষ উপকৃত হবে সেভাবে করবো।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল নাটর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফারজানা শারমিন পুতুল, রংপুর মহানগর বিএনপির আহবায়ক শামসুজ্জামান সামু, সদস্য সচিব মাহফুজ উন নবী ডন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু প্রমুখ।

সেলিম সরকার/এমএ/

বিএনপি নেতা হাজী জহিরের পিতার জানাজা সম্পন্ন, আমিনুল হকের শোক

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০৮ পিএম
বিএনপি নেতা হাজী জহিরের পিতার জানাজা সম্পন্ন, আমিনুল হকের শোক
জানাজায় আমিনুল হক। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির তুরাগ থানার যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী জহিরুল ইসলাম জহিরের বাবা আক্কাস আলী মেম্বার বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
 
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বাদ জোহর ঢাকা মহানগর উত্তরের তুরাগ থানার কামাড়পাড়া স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে তার নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।

জানাজায় বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক উপস্থিত ছিলেন। মরহুমের নামাজে জানাজা শেষে তুরাগ থানার ৫৪নং ওয়ার্ডে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল ৯৫ বছর। তিনি ৩ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

এছাড়াও জানাজায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব হাজী মো. মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, এবিএমএ রাজ্জাক, আকতার হোসেন, আফাজ উদ্দিন আফাজ, মাহবুব আলম মন্টু, মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য ইব্রাহিম খলিল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেব দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মো. জামির হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য মো. রাশেদ পাঠানসহ প্রমুখ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

জানাজার পূর্বে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়। এতে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। আমিনুল হক বক্তব্যে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।

মাহফুজ/

মে দিবস উপলক্ষে গণসমাবেশ করবে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৪ পিএম
মে দিবস উপলক্ষে গণসমাবেশ করবে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল

শ্রমিক শ্রেণীর আন্তর্জাতিক সংগ্রাম ও ঐক্যের দিন ‘মে দিবস’ উপলক্ষে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল। ওই দিন ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ১০ টায় শ্রমিক গণসমাবেশ করবে দলটি।

জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় ওয়ার্কিং টিমের সভায় বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সম্পাদক ফয়জুল হাকিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন শফী রহমান, ফয়সাল মাহমুদ, হেমন্ত দাষ, মিতু সরকার, সুমন মল্লিক, মোহাম্মদ বুরহান, মোহাম্মদ টিপু ও অনন্ত সরকার।

সভায় শ্রমিক শ্রেণীর নেতৃত্বে জনগণের হাতে ক্ষমতা আনার সংগ্রাম এগিয়ে নেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলা হয়, পুঁজিবাদী সাম্রাজ্যবাদী শোষণ, বৈষম্য, লুণ্ঠন, নির্যাতন অবসানের লক্ষ্যে সংগ্রাম জোরদার করতে হবে।

 

গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২৮ পিএম
গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসংগঠন। দেশের সব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ড্যাবকে আরও শক্তিশালী, সুশৃঙ্খল ও জনকল্যাণকর করে গড়ে তুলতে হবে।’

এ সময় দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু কামনা করেন মির্জা ফখরুল।

মতবিনিময় সভায় রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের সাবেক ও বর্তমান ছাত্রদলপন্থি চিকিৎসকদের ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। চিকিৎসক নেতারা তাদের বক্তব্যে বিএনপির চলমান রাজনৈতিক কর্মসূচির প্রতি তাদের দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেন।

ডা. তোজাম্মেল হক বকুল, অধ্যাপক ডা. খন্দকার জিয়াউল ইসলাম জিয়া, অধ্যাপক ডা. মাহামুদুল হক সরকার, অধ্যাপক ডা. সরিফুল ইসলাম মণ্ডল, ডা. জিয়াউল হক, ডা. আবু মো. আহসান ফিরোজ, ডা. আশরাফুল ইসলাম ও ডা. মিজানুর রহমান শামীম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ

তারেক রহমান ৫ বছর আগেই সংস্কারের রূপরেখা দেন: এ্যানী

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩০ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩৯ পিএম
তারেক রহমান ৫ বছর আগেই সংস্কারের রূপরেখা দেন: এ্যানী
নীলফামারী শিল্পকলা একাডেমিতে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা’ ও জনসম্পৃক্তি কর্মশালায় শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা। ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, যে সংস্কারের চিন্তা সরকার করছে, পাঁচ বছর আগেই তরুণ নেতা তারেক রহমান সেই সংস্কারের রূপরেখা দিয়েছেন। তারেক রহমানের সেই সংস্কারগুলো সমাজে সমাদৃত হয়েছে এবং সরকার গ্রহণ করছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) নীলফামারী শিল্পকলা একাডেমিতে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা’ ও জনসম্পৃক্তি কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, কোনো কোনো রাজনৈতিক দল হয়তো বলার জন্য কিছু বলে। কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে তারেক রহমান এই প্রস্তাবনাটা এমনভাবে দিয়েছেন যেন ভবিষ্যত রাজনৈতি এক ব্যক্তির হাতে না থাকে, এক দলের হাতে না থাকে এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী আমরা যারা আন্দোলন করেছি সবাই মিলে যদি জাতীয় ঐক্যমতের সরকার গঠন করি তাহলেই আমাদের দেশে একটি সঠিক রাজনৈতিক পরিবেশ আসবে, স্বাভাবিক সমাজ ব্যবস্থা আমাদের মধ্যে তৈরী হবে।

বিএনপি চেয়ারপারস খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ বলেছেন, সংস্কার ও নির্বাচন বিপরীতমূখি ঘটনা নয়। এদেরকে ইচ্ছে করেই মুখোমুখি করা হচ্ছে।

নীলফামারী শিল্পকলা একাডেমিতে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা’ ও জনসম্পৃক্তি কর্মশালা। ছবি: খবরের কাগজ

সৈয়দপুরে তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদি আমিন বলেন, ৩১ দফা একটি পরিকল্পিত রুপকল্প যার মাধ্যমে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের সবগুলো উপাদান রয়েছে। রাষ্ট্রকাঠামোকে আমরা আরও কীভাবে স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসব, তার পাশাপাশি রয়েছে আমরা কীভাবে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, শিল্পায়নসহ প্রতিটি সেক্টরকে সাজাতে চাই। কীভাবে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারব, কীভাবে দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে আনব, কৃষক-শ্রমিকসহ প্রতিটি পেশার মানুষের জন্য ন্যায্য মজুরী যেন নিশ্চিত করতে পারি এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। 

কর্মশালায় বিএনপি নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি আ.খ.ম আলমগীর সরকারের সভাপতিত্বে এসময় দলের কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাশেদা বেগম হিরা, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক মিসেস নেওয়াজ হালিমা আরলী, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আক্তার, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, বিএনপি নীলফামারী শাখার সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম বক্তব্য রাখেন।

একইভাবে সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকারের সভাপতিত্বে কর্মশালার আয়োজন করা হয়। সেখানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা বেবী নাজনিন, তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদি আমিন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারফ হোসেনসহ সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 মমিনুর আজাদ/মাহফুজ