
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় আবু জাফর (৫৫) নামে বিএনপির এক কর্মীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাত ১০টার দিকে কাজীরবেড় ইউনিয়নের জীবননগর পাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। আবু জাফর ওই গ্রামের মৃত খেলাফত হাজির ছেলে।
এ ঘটনায় আবু জাফরের ছেলে আলমগীর হোসেন মহেশপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। এতে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৪-৫ অজ্ঞাত জনকে আসামি করা হয়।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, একটি গাছ কাটা ও জমি-জমার বিরোধকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সালিশের কথা বলে আবু জাফরকে বাড়ি থেকে ডেকে পাঠান স্থানীয় জামায়াত নেতা খেলাফত হাজির ছেলে আব্দুল। পরে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে আবু জাফরকে হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। এ মারামারিতে অংশ নেন একই এলাকার জামায়াতের নেতা আমির মাতুব্বর ও তার ছেলে সজিব, তরিকুল, সামন্তা গ্রামের জীবননগর পাড়ার আব্বাস মাস্টার, জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়া ডাক্তার, জহুরুল ইসলাম, আব্দুল মজিদ, ডালভাঙা গ্রামের শাহিন গাইন, সামন্তা গ্রামের ফারুক হোসেন, জীবননগর পাড়ার দ্বীন মোহাম্মদ, ইসমাইল হোসেন, বাগদিয়া আইট গ্রামের সেলিম শহিদ। এ সময় আবু জাফরের অণ্ডকোষে লাথি মারেন জহুরুল ইসলাম। এ সময় অন্যরা একযোগে লাথি ও কিল-ঘুষি মারতে থাকে। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলেই আবু জাফরের মৃত্যু হয়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইয়ানবী বলেন, ‘আবু জাফর সহজ সরল মানুষ। তিনি ঢাকাতে থাকতেন। তিনি বাড়িতে খুব কম আসেন। ১৫ বছর আগে নিজের লাগানো একটি গাছ তিনি কেটে নেন। পরবর্তীতে জমি মাপা হলে গাছটি কাটার জায়গাটি আব্দুল আলীর ভাগে পড়ে। সেই গাছ কাটাকে কেন্দ্র করেই মূলত এই হত্যাকাণ্ড।’
এদিকে জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ বিএনপির কর্মী আবু জাফরকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় নিন্দা জানান। তিনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দেন।
মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়েজ উদ্দীন মৃধা জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।