
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দেওয়া নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ন্যূনতম বয়স ২১ বছরের বদলে ২৩ বছর আর ভোটারের বয়স ১৬ বছর করার প্রস্তাব আজ রবিবার (২৩ মার্চ) দিতে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ঈদের পরে হতে পারে এনসিপির সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা।
শনিবার (২২ মার্চ) বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার এসব কথা জানান।
সারোয়ার তুষার বলেন, ভোট দেওয়ার বয়স ১৬ বছর হতে পারে। কারণ হচ্ছে জুলাই আন্দোলনে প্রায় সারা বিশ্বে একে জেন-জির অভ্যুত্থান বলা হচ্ছে। অভ্যুত্থান-পরবর্তী যে বাংলাদেশ এবং আসন্ন যে নির্বাচন, এই নির্বাচনে তারা মতামত দিতে পারবে না শুধু বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ার কারণে। একে এনসিপি যৌক্তিক মনে করে না। সংবিধান সংস্কার কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ন্যূনতম বয়স ২১ বছর প্রস্তাব করেছে। এনসিপি মনে করে, এই বয়সটা প্রার্থী হওয়ার জন্য খুবই কম হয়ে যায়। এটা ২৩ বছর হতে পারে (বর্তমানে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ন্যূনতম বয়স ২৫ বছর)।
তিনি জানান, রবিবার (আজ) দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে তারা তাদের প্রস্তাব ও মতামত জমা দেবে। এ ছাড়া ঐকমত্য কমিশন জানিয়েছে, ১৬৬টি সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে ১১১টি আলোচনা ছাড়াই বাস্তবায়ন করা সম্ভব। তবে এনসিপির দাবি, এই ১১১টি সুপারিশ নিয়ে আরও আলোচনা দরকার।
এখন ১৯৭২ সালের সংবিধান গ্রহণযোগ্য নয় উল্লেখ করে সরোয়ার তুষার বলেন, দেশে নতুন সংবিধানের প্রয়োজন। আগামী নির্বাচনে গণপরিষদ নির্বাচন দেওয়া দরকার। সংবিধান সংস্কারের কাজ শেষ করে একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরে এই গণপরিষদই আইন সভায় রূপান্তরিত হবে।
এ সময়ে আওয়ামী লীগ আন্দোলনে নামলে কী হবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সারোয়ার তুষার বলেন, তারা যদি আন্দোলনে নামে, সেটাকে আমরা আন্দোলন বলব না। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য নামবে। সে ক্ষেত্রে পুলিশের বল প্রয়োগের যে অধিকার আছে, সেটা থাকবে।
প্রসঙ্গত, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপ ও বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার জন্য পাঁচ সদস্যের সংস্কারবিষয়ক সমন্বয় কমিটি গঠন করেছে এনসিপি। কমিটিতে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সারোয়ার তুষারকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন মনিরা শারমিন, জাবেদ রাসিন, সালেহ উদ্দিন ও আরমান হোসাইন।