
সিলেট মহানগরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আয়োজিত ইফতার মাহফিলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন (বৈছাআ) সিলেট জেলা শাখার আহ্বায়ক মো. আক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার (২৩ মার্চ) ভোরে জালালাবাদ থানা পুলিশ তাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব মহিদ হাসান শান্তের করা মামলায় আক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত শুক্রবার সিলেট মহানগরের আরামবাগ এলাকার একটি কনভেনশন হলে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে এনসিপির নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মহিদ হাসান শান্ত আহত হন।
এ ঘটনায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলার আসামি হিসেবে আক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইফতারের কিছু সময় আগে মঞ্চে বক্তব্য রাখছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা। ঠিক ওই সময় মঞ্চের সামনের আসন ইস্যু এবং বক্তৃতা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েনে। এ সময় ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণে সময় ডিবিসি নিউজ, সিলেট ভিউ, খবরের কাগজ, ঢাকা পোস্টের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। সাংবাদিকরা তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ জানান।
এ ঘটনায় সাংবাদিকদের বড় একটি অংশ অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করে বেরিয়ে আসেন এবং কনভেনশন সেন্টারের পাশের একটি ছোট রেঁস্তোরায় ইফতার করেন। এ ছাড়া ছাত্রদের একটি পক্ষ ইফতার না করেই বেরিয়ে বাইরে গিয়ে বিক্ষোভ করে দলের নেতা-কর্মীদের আশ্রাব্য গালিগালাজ করেন। ইফতার পরে আবারও দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল ও মারামারিতে শান্ত নামে লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আহত হন।
এ বিষয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক এহতেশামুল হক বলেছেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, তাদের কোনো স্থান এনসিপিতে হবে না।’
তাওফিক/