
গত ৫ আগস্টের পরে আওয়ামী স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসরদের সঙ্গে আরও কিছু নতুন দোসর তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারের এ নতুন দোসররা ক্ষমতার মোহে পরে গেছে। ক্ষমতার লোভ সামলাতে না পেরে তারা বিভিন্ন জায়গায় দেশের রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনারসহ তার দোসরদের বিচারের পরে নির্বাচনের কথা বলছেন।
বুধবার (২৬ মার্চ) দিনব্যাপী রাজধানীর পল্লবী রুপনগর থানার ৬টি স্থানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার ও ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় আমিনুল হক বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নাই। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংস্কারের সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নাই।
এ সময় তিনি অন্তবর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা সংস্কার চাচ্ছেন গত ৫ আগস্টের পরে। আর বিএনপি সংস্কার চেয়েছে ১৩ জুলাই ২০২৩ সালে। প্রায় দুই বছর আগেই আমাদের দলের মাননীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের কথা বলেছেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া।যা যুগের পর যুগ চলবে।সমস্যা থাকবে তার সমাধান হবে। সমস্যা তৈরি হবে সমাধান হবে কিন্তু সংস্কার বা স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিচারের সাথে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই বা থাকতে পারে না।
এসময় বিএনপি এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, বিএনপি সবসময় বিশ্বাস করে জনগণই হচ্ছে সকল ক্ষমতার উৎস। সেই ক্ষমতার উৎসকে ধারণ করে, জনগণের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা রেখে বিএনপির প্রত্যকটি কর্মকাণ্ড দলের প্রত্যকটি কর্মপরিকল্পনা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে নিয়ে। সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়েই বিএনপি এগিয়ে যেতে চায়।
তিনি আরও বলেন, মানুষ ভোট দিতে চায়। নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে এবং সেই জনগণের সরকারই পরিপূর্ণভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার করবে। পরিপূর্ণভাবে রাষ্ট্র কাঠামো পুনর্গঠন করবে এবং স্বৈরাচার শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের আওতায় আনবে।
মাহফুজ/