ঢাকা ১৬ বৈশাখ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

প্রধান উপদেষ্টাকে বিএনপির চিঠি আগে সংস্কার পরে গণতন্ত্রকে ‘ভ্রান্ত ও কূটতর্ক’ বললেন মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩৭ পিএম
আগে সংস্কার পরে গণতন্ত্রকে ‘ভ্রান্ত ও কূটতর্ক’ বললেন মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

বিগত সরকার পতনের পর এখনো কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর ‘আগে সংস্কার পরে গণতন্ত্র’ বক্তব্যকে ‌‘ভ্রান্ত এবং কূটতর্ক’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দলের পক্ষ থেকে দেওয়া এক চিঠিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট পতিত সরকারের মতো ‘আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্র’ যেমন জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের অপকৌশল ছিল, এখনো কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর ‘আগে সংস্কার পরে গণতন্ত্র’ তেমনি ‘ভ্রান্ত ও কূটতর্ক’। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী ও কার্যকর করার মাধ্যমেই সবার জন্য উন্নয়ন সম্ভব এবং এ উদ্দেশ্য পূরণের জন্য রাষ্ট্রব্যবস্থা, আইন, নীতি, বিধানের সংস্কার অপরিহার্য। এর সব কটি পরস্পরের পরিপূরক, কোনোটাই কোনোটার বিকল্প নয়, পরস্পর সাংঘর্ষিকও নয়।

চিঠিতে ফখরুল বলেন, ‘যেকোনো রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী ও তার সরকারের বক্তব্য ও মতামতের সমন্বয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি এর কিছু ব্যতিক্রম আমাদের উদ্বিগ্ন করেছে। আমরা আপনাকে (ইউনূস) সমর্থন জানিয়েছি এবং আপনার ওপরই আস্থা রাখতে চাই। কিন্তু আপনার সরকারের কিছু ব্যক্তি এবং আপনাকে সমর্থনকারী বলে দাবিদার কিছু ব্যক্তি ও সংগঠনের প্রকাশ্য বক্তব্য ও অবস্থান জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। আশা করি আপনি এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’

তিনি বলেন, “যারা সংস্কারের কথা বেশি বেশি বলছে এবং বিএনপিকে সংস্কারের বিপক্ষের শক্তি বলে চিহ্নিত করার অপচেষ্টা করছে তাদের বিএনপির ‌‘ভিশন-২০৩০’ এবং রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচিতে যেসব সংস্কারের প্রস্তাব ও পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করা হয়েছে তার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”

নির্বাচনের গুরুত্ব দিয়ে চিঠিতে ফখরুল আরও বলেন, ‘দেশের জনগণকে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার যে মহান দায়িত্ব আপনার ওপর অর্পিত হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব আপনি তা পালন করবেন। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য যেসব আইন, বিধিবিধান সংস্কারে এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেসব পরিবর্তন জরুরি তা সম্পন্ন করার মাধ্যমে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্ভব বলে আমরা মনে করি। এ ব্যাপারে ইতোপূর্বে আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রদত্ত আপনারই আশ্বাস অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে অবিলম্বে সুনির্দিষ্ট নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য আমরা আপনার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা এনআইডি প্রকল্প নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার এবং নির্বাচনি এলাকা পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে আইনি জটিলতা দ্রত নিরসনেরও প্রস্তাব করছি।’

৩১ দফার কথা উল্লেখ করে চিঠিতে ফখরুল বলেন, বিএনপি বলেছে এসব প্রস্তাবের চেয়ে ভালো কোনো প্রস্তাব কেউ দিলে জনস্বার্থে তা সাদরে গ্রহণ করা হবে। অর্থাৎ সংস্কারের চলমান প্রক্রিয়া বিএনপির ঘোষণারই অংশ। বিএনপি মনে করে, সব পরিবর্তনই সংস্কার নয়। সংস্কারের উদ্দেশ্য ইতিবাচক ও গঠনমূলক পরিবর্তন। এ ব্যাপারে বিএনপি সব প্রস্তাব নিয়েই যুক্তিসংগত আলোচনাকে স্বাগত জানায়। কিন্তু দল কিংবা গোষ্ঠীস্বার্থে এবং রাজনীতি কিংবা রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানকে হেয় ও অপ্রাসঙ্গিক করার অপচেষ্টায় অযথা সময়ক্ষেপণ করে জনগণকে তাদের ভোটাধিকার তথা রাষ্ট্রের মালিকানা প্রতিষ্ঠার অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখার কৌশলকে বিএনপি সমর্থন করে না। দেশ ও জনগণের স্বার্থে জনগণের সম্মতি নিয়ে ৩১ দফায় বর্ণিত সব সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বিএনপি সবার সহায়তা প্রত্যাশা করে।

জনগণের প্রত্যাশা তুলে ধরে চিঠিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যত দ্রুত সম্ভব ফ্যাসিস্ট দল, তাদের দলীয় সরকার ও তাদের দোসরদের আইনের আওতায় এনে তাদের গণবিরোধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করা এবং দুর্নীতি-অনাচারের মাধ্যমে দেশের সম্পদ লুণ্ঠনকারীদের বিচার ও পাচার করা অর্থ পুনরুদ্ধার করতে হবে। এ ছাড়া ফ্যাসিস্ট সরকারের হাতে নিহতদের পরিবার ও আহতদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ, সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন এবং দ্রব্যমূল্য ও আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পতিত সরকারের সব অপচক্র ও সিন্ডিকেট ধ্বংস করতে হবে। পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের হাতে রাষ্ট্র ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, যাতে তারা সম্মিলিতভাবে দেশে সুষ্ঠু রাজনীতি, উন্নত অর্থনীতি এবং জনগণের মানবিক অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে পারে।

একই সঙ্গে পতিত ফ্যাসিস্ট দল ও সেই দলীয় সরকারের সঙ্গে যারাই যুক্ত ছিল তাদের বিচার দ্রুত করে রাজনীতির ময়দানকে জঞ্জালমুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে আহতদের ক্ষতিপূরণ ও সুচিকিৎসায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার এবং দ্রব্যমূল্য ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনার অধিকতর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আমরা আহ্বান জানাই।’ তিনি বলেন, ‘একই সঙ্গে এক-এগারোর অবৈধ সরকার এবং পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে দায়ের করা সব মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি পুনর্ব্যক্ত করছি।’

ফখরুল বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের দ্বারা বৈষম্যের শিকার ও পদোন্নতিবঞ্চিত প্রশাসন ক্যাডারের ৭৬৪ জন কর্মকর্তাকে সচিবসহ বিভিন্ন পদে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেওয়া হলেও তাদের একজনকেও এখন পর্যন্ত পদায়ন না করে পতিত সরকারের অপশাসনের দোসর ও সুবিধাভোগীদের দিয়েই রাষ্ট্র পরিচালনা করার ফলে সরকারের কার্যক্রম ও উন্নয়ন প্রয়াস ব্যাহত হচ্ছে। অন্যান্য ক্যাডারে বৈষম্যের শিকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি ও পদায়ন নিশ্চিত করা যৌক্তিক বিধায় তা দ্রুত সম্পন্ন করা জরুরি। 

করিডোর নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান গণসংহতি আন্দোলনের

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৮ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩১ পিএম
করিডোর নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান গণসংহতি আন্দোলনের

রোহিঙ্গা সমস্যা, মায়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি ও মানবিক সহায়তা করিডোর বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এবং নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল এক যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।

তারা বলেন, ‘বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি জটিল আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে। এই সংকটের সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে। রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এ বিষয়ে বিশদ আলাপ-আলোচনা ও ঐকমত্য প্রয়োজন। কারণ এর সঙ্গে জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার গুরুতর বিষয় জড়িত। এ রকম জাতীয় বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য অত্যন্ত জরুরি। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে রোহিঙ্গা সমস্যা মায়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত পরিস্থিতি ও মানবিক করিডোর বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার এবং সেই আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানাই।’

পপি/

রাখাইনের সঙ্গে করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৮ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩২ পিএম
রাখাইনের সঙ্গে করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান

বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে মায়ানমারের রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠাতে জাতিসংঘের প্রস্তাবে শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশ রাজি হয়েছে। তবে শর্তাবলির বিষয়টি পরিষ্কার করেনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ অবস্থায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান রাখাইনের মানবিক করিডর দেওয়ার বিষয়টি পরিষ্কার করার আহ্বান জানিয়েছেন।

গতকাল সোমবার এক ফেসবুক পোস্টে জামায়াত আমির এ আহ্বান জানান।
 
পোস্টে তিনি লিখেছেন, রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট নয়। এ বিষয়টি জাতির সামনে স্পষ্ট করা দরকার। কারণ এর সঙ্গে অনেক নিরাপত্তা বিষয় জড়িত থাকতে পারে।
 
এদিকে জাতীয় স্বার্থে দল-মতনির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে বিজয় আসবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। দেশ গঠনে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একটা মানবিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে জাতির স্বার্থে জাতীয় ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ হলে এ জাতি বিজয়ী হবে। এতে ব্যক্তিপর্যায়ে কেউ পরাজিত হলেও জাতির বিজয় হবে।’

গতকাল সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘মাওলানা আব্দুস সুবহান: তৃণমূল থেকে শীর্ষে’ এক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন। বইটির লেখক আলী আহমাদ মাবরুর।

মাওলানা আব্দুস সুবহানের ব্যক্তিত্ব দল-মতনির্বিশেষে সবাইকে মুগ্ধ করত বলে মন্তব্য করে জামায়াতের আমির বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুমের শিকার হয়ে কনডেমড সেলে মৃত্যুর অপেক্ষায় থেকেও মাওলানা আব্দুস সুবহান কখনো ভয় পাননি। জেলে থাকা অবস্থায়ও তিনি কারাগারে থাকা সবার খোঁজখবর রাখতেন। নেতৃত্ব দিতে হলে মানুষকে বুঝতে হয়, এটার আজ বড় অভাব। মাওলানা আব্দুস সুবহান জেলে গিয়েও মানুষের সমস্যা সমাধান করতেন। তিনি ফাঁসির রায় শুনেও প্রশান্ত ছিলেন। দেশকে, মানুষকে ভালোবাসলে কেউ পালিয়ে যায় না। জামায়াত নেতারা তা প্রমাণ করেছেন।

শফিকুর রহমান বলেন, কেউ যদি দেশকে ভালোবাসে, দেশের জনগণকে ভালোবাসে, তাহলে সে দেশ ছেড়ে পালাতে পারে না। 

অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, জুলাই বিপ্লবের বিতাড়িত সরকার আব্দুস সুবহানকে অপমানিত করতেই মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আসামি করেছিল। তবে আজ সেই আওয়ামী লীগই অপমানিত হয়ে দেশ থেকে পালিয়েছে।

সাঈদী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শামীম সাঈদী বলেন, ‘জামায়াত নেতাদের ফাঁসি দিয়ে তারা চেষ্টা করেছিল বাংলাদেশ থেকে ইসলামী আন্দোলনকে নিষিদ্ধ করে দেওয়ার। গত বছরের আগস্টে সেই চেষ্টাও তারা করেছিল। কিন্তু তারা সে চেষ্টায় সফল হয়নি। বরং আওয়ামী লীগ এখন বাংলাদেশের মানুষের অন্তর থেকে নিষিদ্ধ হয়ে গেছে।’

জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার আমির সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘তৎকালীন রাষ্ট্র পরিচালনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। বাংলাদেশে এখনো যারা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত, ফ্যাসিবাদকে যারা উসকে দিচ্ছে এবং ফ্যাসিবাদী ভাষায় যারা তৎপরতা চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে এ দেশের ১৮ কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে।’

দিল্লি-আওয়ামী দোসরদের দৌরাত্ম্য চলবে না: রাশেদ প্রধান

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৪ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০৩ পিএম
দিল্লি-আওয়ামী দোসরদের দৌরাত্ম্য চলবে না: রাশেদ প্রধান
পল্টনের শফিউল আলম প্রধান মিলনায়তনে যুব জাগপা আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন রাশেদ প্রধান। ছবি: খবরের কাগজ

দেশে দিল্লি ও আওয়ামী দোসরদের দৌরাত্ম্য চলবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান। 

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে পল্টনের শফিউল আলম প্রধান মিলনায়তনে যুব জাগপা আয়োজিত ‘আমার দেশ পত্রিকার মজলুম সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ দোসরদের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে’ যুব সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

জাগপা মুখপাত্র বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি না সেটার সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগ নেবে। আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে স্পষ্ট ভাষায় স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের হাজারও শহিদ পরিবার এবং বাংলার জনগণ তাদের রায় জানিয়ে দিয়েছেন। তাই দ্রুততম সময়ে গণহত্যাকারী সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।’

রাশেদ প্রধান বলেন, ‘আপনি হাজারও শহিদের রক্তের বিনিময়ে প্রধান উপদেষ্টা হয়েছেন। শহিদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করবেন না। শহিদ পরিবার, জুলাই যোদ্ধা ও দেশের মানুষের রায় আপনাকে মানতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট আখ্যাদানকারী মাহমুদুর রহমান এবং আমাদের নেতা শফিউল আলম প্রধান একসঙ্গে ভারতীয় আধিপত্যবাদ এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল। মাহমুদুর রহমান এবং আমার দেশ পত্রিকার সাংবাদিকদের নামে আওয়ামী দোসর এবং দেশের অর্থ পাচারকারী মেঘনা গ্রুপের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা আমরা মেনে নেব না। দ্রুততম সময়ের মধ্যে মামলা প্রত্যাহার করতে হবে নতুবা আন্দোলন গড়ে তোলা হবে এবং মেঘনা গ্রুপের পণ্য বয়কটের ডাক আসবে।’ 

যুব জাগপা সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শফিকুল ইসলাম শফিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন ফিরোজ, যুব জাগপার সহসভাপতি সাহাবুউদ্দিন সাবু, ক্রীড়া সম্পাদক জনি নন্দী, সহদপ্তর সম্পাদক আসাদুজ্জামান নুর, মো. শাহ আলম, আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

শফিকুল/পপি/

ঝটিকা মিছিলবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৭

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৯ পিএম
ঝটিকা মিছিলবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৭
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

রাজধানীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ঝটিকা মিছিলবিরোধী অভিযানে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপিসহ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের সাত নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। 

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, গত রবিবার থেকে গতকাল সোমবার সকাল পর্যন্ত রাজধানীর ধানমন্ডি, বংশাল, গোপীবাগ, কামারপাড়া, শনির আখড়া, উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
 
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাফর আলম (৬৯), তুরাগ থানার ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম বাবু (৪৯), বংশাল থানার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. ওয়ারেজ সিকদার (৪৮), তুরাগ থানার যুবলীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহেদ আলম (৪০), যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য শহীদুল হক চৌধুরী রানা (৫৪), স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও সম্প্রতি যাত্রাবাড়ী এলাকায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল সমন্বয়কারী জাহিদুল ইসলাম তুষার (৩০) ও তুরাগ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি মো. রেজাউল করিম (৪৭)। 

মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, গ্রেপ্তার হওয়া সবার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। তারা দলবদ্ধ হয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নষ্ট ও দেশকে অস্থিতিশীল করতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির পাঁয়তারা করছিলেন। 
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। 

নাহিদকে আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৪ এএম
নাহিদকে আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত
নাহিদ ইসলাম ও হাসনাত আবদুল্লাহ

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে দেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বলে প্রত্যাশা করেছেন দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। 

সোমবার (২৮ এপ্রিল) নিজের ফেসবুকে দেওয়া পোস্টের মাধ্যমে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন। 

নাহিদের সঙ্গে নিজের একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে ক্যাপশনে হাসনাত লেখেন, ‘শুভ জন্মদিন। বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী নাহিদ ইসলাম।’