ঢাকা ১৭ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

এনসিপি নেতারা বিশৃঙ্খলা করে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে: ছাত্রদল

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪৭ পিএম
এনসিপি নেতারা বিশৃঙ্খলা করে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে: ছাত্রদল
মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে প্রতিবাদ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে এনসিপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ছাত্রদলের নেতারা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর রূপনগরে প্রেম সংঘটিত ঘটনাকে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ফায়দা হাসিলের জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা বিএনপির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার করছে বলে অভিযোগ করেছে ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদল। তাদের অভিযোগ, রূপনগরের ছোট্ট একটি ইস্যুকে রাজনৈতিকভাবে নিয়ে এনসিপি রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। তাদের এ অপচেষ্টা জনগণ কখনও সফল হতে দেবে না। 

বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে একটি প্রতিবাদ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে এই অভিযোগ করেন ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদল।  

প্রতিবাদ মানববন্ধনে মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের নেতারা অভিযোগ করে বলেন, এনসিপিতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের পুনর্বাসন করা হচ্ছে। পাশাপাশি গত সোমবার রাত ৮টার দিকে রাজধানীর রূপনগরে প্রেম সংক্রান্ত ঝামেলা নিয়ে এনসিপি নেতারা বিশৃঙ্খলা ও হামলা করে তারা বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার করছে। বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছে। 

এনসিপি নেতাদের উদ্দেশে ছাত্রদল নেতারা বলেন, আপনারা যেটা সঠিক সেটা বলুন। বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো অপপ্রচার করে লাভ হবে না। বিএনপি গণমানুষের জনপ্রিয় একটি রাজনৈতিক দল। 

এসময় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রদল নেতাদের হাতে ‘ছাত্রলীগের পুনর্বাসন করছে এনসিপি’ এমন একাধিক ব্যানার-ফেস্টুন দেখা গেছে। এছাড়াও এনসিপি নেতারা যে ছাত্রলীগের পদধারী ছিল তার সব তথ্য উপাত্ত ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের হাতে ছিল বলে দাবি করা হয়।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সভাপতি মো. রবিন খান, সাধারণ সম্পাদক আকরাম আহমেদ, সহ-সভাপতি মো. কাওসার খান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, যুগ্ম সম্পাদক শাহরিয়ার মাহমুদ রাফি, জাকারিয়া খান সিজার, সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন সোহেল, দপ্তর সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. কাওসার খান প্রমুখ। 

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ

চাঁদপুরে বৃটিশ নাগরিককে কলেজ সভাপতি করায় সভা বয়কট

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪২ পিএম
চাঁদপুরে বৃটিশ নাগরিককে কলেজ সভাপতি করায় সভা বয়কট
বৃটিশ নাগরিক নবাগত সভাপতি ও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার মেহের ডিগ্রি কলেজের নবাগত সভাপতির নেতৃত্বে প্রথম সভা বয়কট করেছে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কলেজ মিলনায়তনে বৃটিশ নাগরিক নবাগত সভাপতি ও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন অপেক্ষা করেন। কিন্তু কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষক প্রতিনিধি ছাড়া পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্যরা উপস্থিত হয়নি।

বিষয়টি জানতে চাইলে মেহের ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, নবাগত কমিটির প্রথম সভা ছিল। কিন্তু সভাটি আর হয়নি। পরিচালনা পর্ষদের ১৩ জনের মধ্যে ৮ জনই অনুপস্থিত ছিলেন। শুধুমাত্র সভাপতিসহ শিক্ষক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, প্রথম সভার আগে সম্প্রতি বৃটিশ নাগরিককে আনোয়ার হোসেন খোকনকে মনোনীত করায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর কাছে তার মনোনয়ন প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন কলেজটির গভর্নিং বডির ৮ সদস্য।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর কাছে কলেজের গভর্নিং বডির সদস্যের দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে আনোয়ার হোসেন খোকনকে মনোনীত করেছেন, যা অধ্যক্ষের মাধ্যমে জানাতে পারি। আমাদের জানা মতে, তিনি একজন বৃটিশ নাগরিক এবং বর্তমানেও তিনি দেশ ও লন্ডন মিলিয়ে অবস্থান করছেন। গত ২০ বছরে তিনি বাংলাদেশে মাত্র হাতেগোনা কয়েকবার এসেছেন। তাও আবার বৃটিশ পাসপোর্টে। এরকম একজন ব্যক্তিকে সভাপতি মনোনীত করায় আমরা চরমভাবে হতাশ এবং কলেজ পরিচালনা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছি। প্রাচীনতম এই বিদ্যাপিঠটির সুনাম ও কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনার স্বার্থে মেহের ডিগ্রি কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতির মনোনয়ন প্রত্যাহার করে, কলেজ কর্তৃক দাখিলকৃত প্রস্তাবনা অনুসারে সভাপতি মনোনয়ন প্রদান করার আহ্বান জানানো হয় চিঠিতে।’

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২৪ মার্চ মেহের ডিগ্রি কলেজ গভর্নিং বডির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। ওই হিসেবে গভর্নিং বডির সদস্যরা গত বছরের ৫ নভেম্বর গভর্নিং বডির সবাই এক সভায় মিলিত হন। ওই সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক গঠিত নির্বাচন কমিশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নতুন গভর্নিং বডি গঠনকল্পে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রতিনিধি নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী সম্পন্ন করতঃ গভর্নিং বডির সভাপতি ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য মনোনয়ন প্রদানের নিমিত্তে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে চলতি বছরের ১৫ মার্চ সাবেক সভাপতি মাঈনুদ্দীন আহমেদ ও কলেজ অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান প্রতিস্বাক্ষর করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট কলেজ পরিদর্শক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর প্রেরণ করেন। ওই সময় প্রেরিত কাগজে সভাপতি পদে ৩ জনের নাম প্রস্তাবনা করা হয়। তারা হলেন- যথাক্রমে মো. আবু ইউসুফ, মোহাম্মদ কামরুল আহসান মজুমদার এবং মো. আবদুল সাত্তার।

চিঠিতে আবেদনকারী সদস্যরা হলেন, মো. আয়েত আলী ভূঁইয়া, যদু চন্দ্র শীল, মো. আবু ইউসুফ, গাজী মো. কবির হোসেন, মো. আবুল কাশেম, মো. ইকবাল হোসেন, সুফিয়া আক্তার ও মো. জাকির হোসেন।

জানতে চাইলে কলেজ পরিচালনা পরিষদের দাতা সদস্য মো. আয়াত আলী ভূঁইয়া বলেন, কলেজের স্বার্থে স্থানীয় নাগরিককে সভাপতি হিসেবে দেখতে চাই। যাকে দেওয়া হয়েছে, তিনি বৃটেন থাকেন। কলেজ কমিটির জন্য আমরা সব প্রস্তুতি নিয়ে তিন জনের নাম পাঠিয়েছি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু হঠাৎ করে গোপন কারসাজিতে ওই তিনজনের বাহিরে আনোয়ার হোসেন খোকনের নাম যুক্ত হয়। তা আমরা মেনে নিতে পারি না।

জানতে চাইলে আনোয়ার হোসেন খোকনের হোয়াটস্যাপ নাম্বারে কল ও ম্যাসেজ করেও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

সবচেয়ে নির্ভরশীল নিরাপদ দল বিএনপি: ফখরুল

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪২ পিএম
সবচেয়ে নির্ভরশীল নিরাপদ দল বিএনপি: ফখরুল
ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের কাছে সবচেয়ে নির্ভরশীল, নিরাপদ দল হচ্ছে বিএনপি। বিএনপিকে নিয়েই তারা সরকার গঠন করতে চায়। সুতরাং দলটা আপনাদের, ধানের শীষ আপনাদের, একে রক্ষা করার দায়িত্বও আপনাদের।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে ঠাকুরগাঁও মলানী উচ্চ বিদ্যালয়ে গণসংযোগ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

এরপর তিনি মহাদেবপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং চিলারং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, আপনাদের সকলের দোয়ায়, চেষ্টায় আবার আমরা যদি সরকার গঠন করতে পারি, ধানের শীষ কে যদি আনতে পারি, তাহলে আবার আমরা আপনাদের জন্য যেটা কল্যাণ হয়, ভালো হয় সেই কাজগুলোই আমরা করব, ইনশাআল্লাহ।   

নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কেউ যেন আওয়ামী লীগের মতো অন্যায় না করেন। অন্যায় করতে গেলে মানুষ ক্ষমা করবে না। মানুষ ভালোবাসবে না। আওয়ামী লীগকে যেভাবে মানুষ ছুঁড়ে দিয়েছে আপনাদেরকেও ছুঁড়ে দিবে। সুতরাং অন্যায় যেন কেউ না করেন সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

নবীন/সিফাত/

ধর্ম যার যার বাংলাদেশটা হোক সবার: জামায়াত আমির

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম
ধর্ম যার যার বাংলাদেশটা হোক সবার: জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ধর্ম যার যার বাংলাদেশটা হোক সবার। এদেশে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান সব ধর্মের মানুষের বসবাস নিশ্চিত করতে চাই। সব ধর্মের মানুষ তাদের নিজস্ব আত্মমর্যাদা নিয়ে বাঁচতে চায়। এখানে সংখ্যালঘু বলে কোনও জিনিস নেই।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভা মিলনায়তনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গত ৫ আগস্টের পর হিন্দুদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজায় নাশকতার আশঙ্কায় আমাদের দলের কর্মীরা মন্দির পাহারা দিয়েছেন। সেটা কোনও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব ছিল না, নৈতিক দায়িত্ব হিসেবে পাহারা দেওয়া হয়েছে। হিন্দু ভাইয়েরা যতদিন প্রয়োজন মনে করেছেন, আমাদের কর্মীরা ততদিন তাদের পাশে ছিলেন। কেন মসজিদ মন্দির পাহারা দিতে হবে? আগামীতে কোনোরূপ পাহারা ছাড়াই আপনারা পূজা উদযাপন করবেন।

জামায়াত আমির বলেন, আগামীতে কোনও জালিম যদি জুলুম করে তাহলে আপনারা প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করবেন। আপনাদের সাথে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করব। আল্লাহর ফায়সালা যদি হয় আর সরকারের দায়িত্ব পাই, তবে আপনাদের পাশে থাকব। এক জাতের ফুলে বাগান হয় না। বহুজাতের ফুল দিয়েই আমরা বাগান গড়ব।

শফিকুর রহমান আরও বলেন, আমরা প্রতিহিংসার কিংবা প্রতিশোধের রাজনীতি করি না। কারণ প্রতিহিংসার কিংবা প্রতিশোধ কখনও শান্তি বয়ে আনতে পারে না। কোনও মানুষ যদি সহিংসতার শিকার হন, তাহলে প্রচলিত আইনের দ্বারস্থ হবেন। প্রচলিত আইনেই তার বিচার হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ গদি হারালে দেশে ৫-৬ লাখ আওয়ামী লীগ কর্মীর মৃত্যু হবে। কিন্তু কোথায়, কেউ তো মারা গেল না।

কুলাউড়া উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মো. আব্দুল মুন্তাজিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন কুলাউড়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ডা. অরুনাভ দে, হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের আহবায়ক রজত কান্তি ভট্রাচার্য্য, কুলাউড়া সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সৌম্য প্রদীপ ভট্রাচার্য্য সজল, পূজা উদযাপন কমিটির সেক্রেটারি অজয় দাস, মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ইয়ামির আলী, বিচিত্র দে, মেম্বার সত্য নারায়ন নাইডু, অশোক ধর, মৌলভীবাজার পৌর জাময়াতের সেক্রেটারি তাজুল ইসলাস ও রাজানুর রহিম ইফতেখার প্রমুখ।

সিফাত/

মাওলানা রইস উদ্দিনের খুনের দায় রাষ্ট্র এড়াতে পারে না: বাংলাদেশ ন্যাপ

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২৯ পিএম
মাওলানা রইস উদ্দিনের খুনের দায় রাষ্ট্র এড়াতে পারে না: বাংলাদেশ ন্যাপ
ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরে মব সৃষ্টি করে তরুণ আলেমে দ্বীন মাওলানা রইস উদ্দিনকে নির্যাতন ও বিনা চিকিৎসায় কারা হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়ে এবং গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অপরাধিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ দাবী জানিয়ে বলেন, ফ্যাসীবাদী শাসকের পতনের পর ভিন্ন মতের কারণে গাজীপুরে কারা হেফাজতে একজন তরুণ আলেমে দ্বীন মাওলানা রইস উদ্দিন খোকন মৃত্যু খুবই মর্মান্তিক ও দুঃখজনক ঘটনা। এ ধরনের ঘটনার দায় রাষ্ট্র এড়াতে পারে না।

তারা বলেন, এই ধরনের মব সৃষ্টি করে নৃশংস, অমানবিক নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যার ঘটনা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চরম উদাসিনার নগ্ন বহিঃপ্রকাশ।

মব সৃষ্টির মাধ্যমে প্রকাশ্য দিবালোকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মাওলানা রইস উদ্দিন খোকনকে শারীরিকভাবে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতসহ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার জন্য যারা দায়ী তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়ে মাওলানা রইস উদ্দিন খোকনের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সকল সদস্য আত্মীয়-স্বজন ও গুনগ্রাহীদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন ন্যাপের নেতারা। 

তারা বলেন, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থেই যারা মব সৃষ্টি করে এবং অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছে, নির্যাতন, নির্যাতন পরবর্তী চিকিৎসাহীন অবস্থায় থানায় আটকে রাখা এবং কারাগারে প্রেরণের সঙ্গে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনতে হবে। মনে রাখতে হবে, স্বৈরাচার পতনের পর অন্তর্বতীকালীন সরকারের ৮ মাস পার হওয়ার পরও এমন ভয়াবহ মব তৈরি এবং অমানবিক পুলিশী ব্যবস্থায় নাগরিকের মৃত্যু কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। এটা স্পষ্টতই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যর্থতা। এই ব্যর্থতার দায় সরকার এড়াতে পারে না।

করিডোর নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান গণসংহতি আন্দোলনের

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৮ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩১ পিএম
করিডোর নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান গণসংহতি আন্দোলনের

রোহিঙ্গা সমস্যা, মায়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি ও মানবিক সহায়তা করিডোর বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এবং নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল এক যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।

তারা বলেন, ‘বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি জটিল আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে। এই সংকটের সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে। রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এ বিষয়ে বিশদ আলাপ-আলোচনা ও ঐকমত্য প্রয়োজন। কারণ এর সঙ্গে জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার গুরুতর বিষয় জড়িত। এ রকম জাতীয় বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য অত্যন্ত জরুরি। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে রোহিঙ্গা সমস্যা মায়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত পরিস্থিতি ও মানবিক করিডোর বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার এবং সেই আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানাই।’

পপি/