ঢাকা ১৬ বৈশাখ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

মৌলিক সংস্কার ছাড়া এনসিপি নির্বাচনে যাবে কি না, তা বিবেচনার বিষয়: নাহিদ ইসলাম

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫০ পিএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৯ পিএম
মৌলিক সংস্কার ছাড়া এনসিপি নির্বাচনে যাবে কি না, তা বিবেচনার বিষয়: নাহিদ ইসলাম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

মৌলিক রাষ্ট্রীয় সংস্কার ছাড়া আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে না জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল চুলিকের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম।

নাহিদ বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে জানিয়েছি, ন্যূনতম সংস্কার নয়, বরং আমরা চাই রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার। এই পরিবর্তনগুলো ছাড়া অনুষ্ঠিত কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। সেই নির্বাচনে এনসিপি অংশ নেবে কি না, তা এখনো বিবেচনার বিষয়।’

তিনি জানান, ‘সংস্কার কমিশনে জমা দেওয়া দলটির প্রস্তাবনাগুলোর বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আমাদের তিনটি প্রধান দাবি সংস্কার, বিচার ও গণপরিষদ নির্বাচন। এগুলো বাস্তবায়ন ছাড়া একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’

এ সময় বর্তমান প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এনসিপির আহ্বায়ক। নাহিদ অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান প্রশাসন বিএনপির পক্ষে কাজ করছে। মাঠ প্রশাসন নিরপেক্ষ আচরণ করছে না। তিনি বলেন, বিভিন্ন স্থানে এনসিপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করা হলেও তারা নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছেন। অনেক জায়গায় প্রশাসন বিএনপির পক্ষ অবলম্বন করছে এবং চাঁদাবাজির ঘটনায়ও তারা নীরব দর্শক। এ ধরনের প্রশাসনের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। তিনি বলেন, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হলে নিরপেক্ষ প্রশাসন, আমলাতন্ত্র ও পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এসব বিষয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরেছি।’

নির্বাচনের তারিখ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকারের দেওয়া টাইমলাইন ডিসেম্বর থেকে জুনের বিষয়টিতে আমাদের সমর্থন রয়েছে বলে তাদের অবহিত করেছি। তবে সংস্কার ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ছাড়া নির্বাচন নিয়ে আমরা কথা বলতে চাই না।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের বিষয়ে কোনো কথা হয়নি। তবে দলটির বিচারের আগে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়ার বিষয়ে আগের অবস্থানেই আছে জাতীয় নাগরিক পার্টি।

তিনি বলেন, ‘মার্কিন প্রতিনিধিদল সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। আমরা আমাদের বিষয়গুলো তুলে ধরেছি।’

মার্কিন ডেপুটি হেড অব মিশনের বাসভবনে এ সাক্ষাতে নাহিদসহ জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চার সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে। অন্যরা হলেন দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ও সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা।

নাহিদকে আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৪ এএম
নাহিদকে আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত
নাহিদ ইসলাম ও হাসনাত আবদুল্লাহ

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে দেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বলে প্রত্যাশা করেছেন দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। 

সোমবার (২৮ এপ্রিল) নিজের ফেসবুকে দেওয়া পোস্টের মাধ্যমে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন। 

নাহিদের সঙ্গে নিজের একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে ক্যাপশনে হাসনাত লেখেন, ‘শুভ জন্মদিন। বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী নাহিদ ইসলাম।’

চাঁদপুর মেহের কলেজের সভাপতি পদে বৃটিশ নাগরিক, প্রত্যাহার চান সদস্যরা

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৩ পিএম
চাঁদপুর মেহের কলেজের সভাপতি পদে বৃটিশ নাগরিক, প্রত্যাহার চান সদস্যরা
ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরের মেহের ডিগ্রি কলেজের সভাপতি হিসেবে বৃটিশ নাগরিক ও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকনকে মনোনীত করায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের কাছে তার মনোনয়ন প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেছেন কলেজটির গভর্নিং বডির ৮ সদস্য। সম্প্রতি এ বিষয়ে তারা চিঠি দিয়েছেন।

চিঠিতে বলা হয়, গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে আনোয়ার হোসেন খোকনকে মনোনীত করেছেন, যা অধ্যক্ষের মাধ্যমে জানাতে পারি। আমাদের জানামতে, তিনি একজন বৃটিশ নাগরিক এবং বর্তমানেও তিনি দেশ ও লন্ডন মিলিয়ে অবস্থান করছেন। গত ২০ বছরে তিনি বাংলাদেশে হাতেগোনা কয়েকবার এসেছেন। তাও আবার বৃটিশ পাসপোর্টে। এরকম একজন ব্যক্তিকে সভাপতি মনোনীত করায় আমরা চরমভাবে হতাশ এবং কলেজ পরিচালনা সংক্রান্ত সব কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছি। এমতাবস্থায় এই বিদ্যাপিঠটির সুনাম ও কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনার স্বার্থে মেহের ডিগ্রি কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতির মনোনয়ন প্রত্যাহার করে, কলেজ কর্তৃক দাখিলকৃত প্রস্তাব অনুসারে সভাপতি মনোনয়ন পদে নিয়োগ দেওয়ার পুনঃর্বিবেচনার দাবি জানানো হচ্ছে।

অভিযোগ উঠেছে, মূলত বিএনপির নাম ভাঙিয়ে আনোয়ার হোসেন খোকন এই কলেজের সভাপতি পদ বাগিয়ে নিয়েছেন। 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির নীতিমালা ৯নং অনুসারে অধিভুক্ত কলেজে গভর্নিং বডির সভাপতি ও সদস্যরা বাংলাদেশের নাগরিক হবেন এবং তাহারা সাধারণভাবে বাংলাদেশের বাসিন্দা হবেন। ওই হিসেবে এ নিয়োগ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নীতি বহির্ভূত ও সাংঘর্ষিক।

জানা গেছে, চলতি বছরের ১৫ই মার্চ সাবেক সভাপতি মাঈনুদ্দীন আহমেদ ও কলেজ অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান প্রতিস্বাক্ষর করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট কলেজ পরিদর্শক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর প্রেরণ করেন। প্রস্তাবে কলেজের সভাপতি পদে ৩ জনের নাম প্রস্তাব করা হয়। তারা হলেন- যথাক্রমে মো. আবু ইউসুফ, মোহাম্মদ কামরুল আহসান মজুমদার এবং মো. আবদুল সাত্তার। 

গভনিং বডির সদস্য ও দাতা প্রতিনিধি মো. আয়েত আলী ভূঁইয়া বলেন, আমাদের প্রস্তাবকৃত ৩ জনের নামের তালিকায় তার নাম নেই। তারপরও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি একজন বৃটিশ নাগরিককে কিভাবে নিয়োগ দিল? 

সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র আবেদনকারী সদস্যরা হলেন, মো. আবু ইউসুফ, সুফিয়া আক্তার, যদু চন্দ্র শীল, মো. জাকির হোসেন, গাজী মো. কবির হোসেন, মো. আবুল কাশেম, মো. আয়েত আলী ভূঁইয়া এবং মো. ইকবাল হোসেন। 

এই বিষয়ে বিএনপির আন্তজার্তিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। 

শফিকুল/সিফাত/

জনগণ অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের অপেক্ষায়: আমিনুল হক

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৬ পিএম
জনগণ অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের অপেক্ষায়: আমিনুল হক
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের জনগণ একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। 

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর মিরপুর বাংলা কলেজ মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে জিয়া আন্তঃ থানা ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫ এর উত্তরা পশ্চিম থানা বনাম তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার মধ্যকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

এসময় আমিনুল হক বলেন, জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী দ্রুত সময়ের ভিতরে দেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। কারণ বাংলাদেশের জনগণ ভোটের আশায়, সুষ্ঠু নির্বাচনের আশায় ফ্যাসিষ্ট হাসিনাকে বিদায় করেছে।

একটি মহল তারা ক্ষমতার মোহে পরে নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ধরে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সময়ে কেউ ভোট দিতে পারে নাই। মানুষ এখন ভোট দিতে চায়। মানুষের ভোটের অধিকার নষ্ট করার জন্য পিছিয়ে দেওয়ার জন্য একটি গোষ্ঠী নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। 

পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে আবারও রাজপথে নেমে আন্দোলন করব উল্লেখ করে বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, গত ১৭ বছর ধরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা মানুষের ভোটাধিকার ও দেশের গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য রাজপথে আন্দোলন করেছে সংগ্রাম করেছে। প্রয়োজনে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আবারও রাজপথে নেমে দেশে পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত করব। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব মো. মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এবিএমএ রাজ্জাক, আকতার হোসেন, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, হাজী মো. ইউসুফ, আফাজ উদ্দিন আফাজ, মাহাবুব আলম মন্টু, মহানগর সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, শামীম পারভেজ, জিয়াউর রহমান জিয়া, হাফিজুর রহমান শুভ্র, নূরুল হুদা ভূইয়া নূরু, হান্নানুর রহমান ভূঁইয়া, তাসলিমা রিতা, উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপি নেতা মো. আবদুস ছালাম, মিরপুর থানা বিএনপি আহ্বায়ক হাজী আব্দুল মতিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী দেলোয়ার হোসেন দুলু, বিমানবন্দর থানা বিএনপি যুগ্মআহ্বায়ক মহিউদ্দিন তারেক, খিলক্ষেত থানা বিএনপি যুগ্মআহ্বায়ক মোবারক হোসেন দেওয়ান প্রমুখ।

উত্তরা পশ্চিম থানা বনাম তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার মধ্যকার ম্যাচে উত্তরা পশ্চিম থানা ১-০ গোলে জয়ী হয়।

 

গাজার মতো আরেকটি পরিস্থিতি চাই না: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০৫ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১৪ এএম
গাজার মতো আরেকটি পরিস্থিতি চাই না: মির্জা ফখরুল
ঠাকুরগাঁওংয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: খবরের কাগজ

রাখাইনে মানবিক করিডোর দেওয়ার ব্যাপারে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও এ অঞ্চলের ভবিষ্যৎ শান্তি ও স্থিতিশীলতার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত রাখাইনে মানবিক প্যাসেজের সিদ্ধান্ত। 

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের শেখ বাজার এলাকায় গণসংযোগকালে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খবরে জানতে পারলাম, বাংলাদেশ আরাকান আর্মির জন্য মানবিক প্যাসেজ দিয়েছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের আগে সরকারের উচিত ছিল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করা। মানুষের পাশে দাঁড়াতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই, তবে বিষয়টি অবশ্যই জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে হওয়া উচিত। আমরা আরেকটি গাজার মতো পরিস্থিতি চাই না।’

রোহিঙ্গা সংকটের কারণে বাংলাদেশের ওপর ইতোমধ্যেই চাপ তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নতুন কোনো সংকটে আমরা জড়াতে চাই না।’

নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান সরকারের প্রধান দায়িত্ব একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা, যেখানে জনগণ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবে। বিগত ১৫ বছরে আমরা সুষ্ঠুভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারিনি। আওয়ামী লীগ দেশটাকে জাহান্নামে পরিণত করেছিল। এখন আল্লাহর রহমতে একটি পরিবর্তনের সুযোগ এসেছে। আসুন, সবাই মিলে একটি সুন্দর দেশ গড়ার চেষ্টা করি।’

পরে তিনি বড় খোঁচাবাড়ি এলাকায় আরেকটি গণসংযোগ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

নবীন হাসান/মাহফুজ 

 

ঐক্য সৃষ্টির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে গণসংহতি আন্দোলন

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩১ পিএম
আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩৩ পিএম
ঐক্য সৃষ্টির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে গণসংহতি আন্দোলন
গণসংহতি আন্দোলন

বাংলাদেশে একটি নতুন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরে অধিকতর সমঝোতা ও ঐক্য তৈরি করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় ঐক্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর এ বিষয়ে তৎপরতা জোরদার করতে গণসংহতি আন্দোলন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ বিষয়ে দলের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘জনগণের অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে তাকে বাস্তবায়ন করা সব রাজনৈতিক দলের কর্তব্য, এ বিষয়ে সবাই একমত। কিন্তু সেটা কীভাবে বাস্তবায়িত হবে, কোন কোন ক্ষেত্রে পার্থক্য কমিয়ে অধিকতর ঐক্যমত্য সৃষ্টি করা যায়, সেসব বিষয়ে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলব।’

দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, ‘সংস্কার এবং নির্বাচন উভয়ই দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য আবশ্যক। ফলে গণতান্ত্রিক উত্তরণের যে আকাঙ্ক্ষা জনগণের ভেতরে আছে তাকে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে আমরা শিগগিরই অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে বসতে শুরু করব।’

এ সময় দলটির নেতারা আশা প্রকাশ করেন যে, বর্তমান জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির মাধ্যমে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের ভেতর দিয়েই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ও মানবিক রূপান্তর সম্ভব।

সুমন/