ঢাকা ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫
English

চাঁদপুর মেহের কলেজের সভাপতি পদে বৃটিশ নাগরিক, প্রত্যাহার চান সদস্যরা

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৩ পিএম
চাঁদপুর মেহের কলেজের সভাপতি পদে বৃটিশ নাগরিক, প্রত্যাহার চান সদস্যরা
ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরের মেহের ডিগ্রি কলেজের সভাপতি হিসেবে বৃটিশ নাগরিক ও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকনকে মনোনীত করায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের কাছে তার মনোনয়ন প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেছেন কলেজটির গভর্নিং বডির ৮ সদস্য। সম্প্রতি এ বিষয়ে তারা চিঠি দিয়েছেন।

চিঠিতে বলা হয়, গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে আনোয়ার হোসেন খোকনকে মনোনীত করেছেন, যা অধ্যক্ষের মাধ্যমে জানাতে পারি। আমাদের জানামতে, তিনি একজন বৃটিশ নাগরিক এবং বর্তমানেও তিনি দেশ ও লন্ডন মিলিয়ে অবস্থান করছেন। গত ২০ বছরে তিনি বাংলাদেশে হাতেগোনা কয়েকবার এসেছেন। তাও আবার বৃটিশ পাসপোর্টে। এরকম একজন ব্যক্তিকে সভাপতি মনোনীত করায় আমরা চরমভাবে হতাশ এবং কলেজ পরিচালনা সংক্রান্ত সব কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছি। এমতাবস্থায় এই বিদ্যাপিঠটির সুনাম ও কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনার স্বার্থে মেহের ডিগ্রি কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতির মনোনয়ন প্রত্যাহার করে, কলেজ কর্তৃক দাখিলকৃত প্রস্তাব অনুসারে সভাপতি মনোনয়ন পদে নিয়োগ দেওয়ার পুনঃর্বিবেচনার দাবি জানানো হচ্ছে।

অভিযোগ উঠেছে, মূলত বিএনপির নাম ভাঙিয়ে আনোয়ার হোসেন খোকন এই কলেজের সভাপতি পদ বাগিয়ে নিয়েছেন। 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির নীতিমালা ৯নং অনুসারে অধিভুক্ত কলেজে গভর্নিং বডির সভাপতি ও সদস্যরা বাংলাদেশের নাগরিক হবেন এবং তাহারা সাধারণভাবে বাংলাদেশের বাসিন্দা হবেন। ওই হিসেবে এ নিয়োগ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নীতি বহির্ভূত ও সাংঘর্ষিক।

জানা গেছে, চলতি বছরের ১৫ই মার্চ সাবেক সভাপতি মাঈনুদ্দীন আহমেদ ও কলেজ অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান প্রতিস্বাক্ষর করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট কলেজ পরিদর্শক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর প্রেরণ করেন। প্রস্তাবে কলেজের সভাপতি পদে ৩ জনের নাম প্রস্তাব করা হয়। তারা হলেন- যথাক্রমে মো. আবু ইউসুফ, মোহাম্মদ কামরুল আহসান মজুমদার এবং মো. আবদুল সাত্তার। 

গভনিং বডির সদস্য ও দাতা প্রতিনিধি মো. আয়েত আলী ভূঁইয়া বলেন, আমাদের প্রস্তাবকৃত ৩ জনের নামের তালিকায় তার নাম নেই। তারপরও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি একজন বৃটিশ নাগরিককে কিভাবে নিয়োগ দিল? 

সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র আবেদনকারী সদস্যরা হলেন, মো. আবু ইউসুফ, সুফিয়া আক্তার, যদু চন্দ্র শীল, মো. জাকির হোসেন, গাজী মো. কবির হোসেন, মো. আবুল কাশেম, মো. আয়েত আলী ভূঁইয়া এবং মো. ইকবাল হোসেন। 

এই বিষয়ে বিএনপির আন্তজার্তিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। 

শফিকুল/সিফাত/

এনসিপির আর্থিক নীতিমালা চূড়ান্ত, ‘ক্রাউড ফান্ডিং’ শুরু

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৯:৫১ পিএম
এনসিপির আর্থিক নীতিমালা চূড়ান্ত, ‘ক্রাউড ফান্ডিং’ শুরু
বাংলামোটরে দলের কার্যালয়ে ‘এনসিপির আর্থিক নীতিমালা ঘোষণা ও ক্রাউড ফান্ডিং কার্যক্রম’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত দলের নেতারা। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আর্থিক ও তহবিল পরিচালনার নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে। একই সঙ্গে দলের তহবিল সংগ্রহে অনলাইন গণচাঁদার (ক্রাউড ফান্ডিং) কার্যক্রম শুরু করেছে। বুধবার (৪ জুন) রাজধানীর বাংলামোটরে ‘এনসিপির আর্থিক নীতিমালা ঘোষণা ও ক্রাউড ফান্ডিং কার্যক্রম’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘জুলাই বিপ্লবের পর থেকে দেশের আপামর জনতা এনসিপিকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করতে চেয়েছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই অনুদান গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা অনলাইন ও অফলাইনে একটা ক্রাউড ফান্ডিংয়ের দিকে যাচ্ছি যে ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে আমরা দলের কার্যালয় স্থাপনসহ নির্বাচনি তহবিল সংগ্রহ করব।’

চলতি মাসে নিবন্ধনের জন্য কমিশনে যাবেন উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ‘স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক আর্থিক পলিসি করতে চায় এনসিপি। এর মধ্য দিয়ে সংগঠনের আয়, ব্যয়, বরাদ্দ, আয়ের উৎস, ব্যয়ের খাত প্রতিটি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পলিসি গ্রহণ করা হয়েছে। এ মাসে নির্বাচন কমিশনে আমরা নিবন্ধনের জন্য যাব। তখন আমরা দলের সব হিসাব জমা দেব। কারণ আমাদের মূল উদ্দেশ্য জনগণের সমর্থন নিয়ে এগিয়ে যাওয়া।’ এনসিপির নামে চাঁদাবাজির চেষ্টা হলে প্রতিহত করার আহ্বান জানান তিনি।

দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন জানান, donate.ncpbd.org এই ওয়েবসাইটটির মধ্য দিয়ে ব্যাংকিং এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মধ্য দিয়ে নাগরিক পার্টির সদস্য এবং সমর্থকরা আর্থিক অনুদান দিতে পারবেন।

নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে না হয়, সেজন্য ষড়যন্ত্র চলছে: জামায়াতের আমির

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৮:৫৪ পিএম
নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে না হয়, সেজন্য ষড়যন্ত্র চলছে: জামায়াতের আমির
জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

দেশে যাতে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হতে পারে, সে জন্য নানাভাবে বিতর্ক এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে পতিত ফ্যাসিবাদীরা। এ মন্তব্য করেছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান।

বুধবার (৪ জুন) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে এই বিবৃতি দেয় জামায়াতে ইসলামী।  

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদীরা পালিয়ে গেলেও দেশ এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি। তারা বিদেশে বসে ও দেশের ভেতর ঘাপটি মেরে থেকে নানাভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে যাচ্ছে। এ অবস্থার অবসান ঘটিয়ে সরকারকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। 
 
দেশবিরোধী সব অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবিক বাংলাদেশ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত দেশবাসীকে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।

জামায়াত নেতারা কে কোথায় ঈদ করবেন
জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান মৌলভীবাজারে, নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে, নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে, মাওলানা শামসুল ইসলাম চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায়, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীতে, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এ টি এম আজহারুল ইসলাম ঢাকায়, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মা’ছুম কুমিল্লার লাকসাম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়, হামিদুর রহমান আযাদ ঢাকার বসুন্ধরায়, মাওলানা আবদুল হালিম কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে, অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বরিশালে, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের সিলেটে, মাওলানা মো. শাহজাহান চট্টগ্রাম মহানগরে, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন ঢাকায়, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য আবদুর রব ঢাকায়, অধ্যক্ষ মো. শাহাবুদ্দিন বগুড়ায়, অধ্যক্ষ মো. ইজ্জত উল্লাহ সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীতে, মোবারক হোসাইন ঢাকার মোহাম্মদপুর, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মো. সেলিম উদ্দিন সিলেট জেলায় নিজ গ্রামে ঈদের নামাজ আদায় করবেন।

বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আ. লীগের জন্য: রাশেদ প্রধান

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৭:৫৬ পিএম
বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আ. লীগের জন্য: রাশেদ প্রধান
ছবি: খবরের কাগজ

বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আওয়ামী লীগের জন্য দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান।

বুধবার (৪ জুন) বেলা ৩ টার দিকে রাজধানীর পল্টনে শফিউল আলম প্রধান মিলনায়তনে যুব জাগপা’র সাংঠনিক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগকে আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। এ সুযোগ কাদের জন্য? দেশকে লুটপাট করে খাওয়া আওয়ামী লীগ ব্যতীত কার কাছে কালো টাকা আছে?’

রাশেদ প্রধান বলেন, ‘বৈষম্য দূরীকরণের আন্দোলন থেকেই গণঅভ্যুত্থান রচিত হয়। আমরা আশা করেছিলাম গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সরকার কর্মসংস্থান নিয়ে বিশদ পরিকল্পনা প্রকাশ করবে। কিন্তু সেই হাজারও চাকরি প্রত্যাশী ও ২৭ লাখ শিক্ষিত বেকার যুব সমাজের জন্য আলাদা কোনো ঘোষণা নাই।’ 

তিনি বলেন, ‘মানুষের আয় ও ব্যয়ের তারতম্য কমানো, বেকারত্ব-দারিদ্র্য দূরীকরণ নিয়ে বাজেটে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। এবারের বাজেটে বেশকিছু ভালো উদ্যোগ বা প্রত্যাশার কথা বলা হলেও যে কাঠামোতে বাজেট দেওয়া হয়েছে, সেটি গতানুগতিক এবং পুরাতন। এই সরকারের সামনে ভিন্নধর্মী একটা বাজেট উপস্থাপনের সুযোগ ছিল, যা তারা কাজে লাগায় নাই। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়ানোর বিপরীতে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি ও সামাজিক বৈষম্য দূর করা এবারের বাজেটের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। বরাবরের মতো এবারও ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি বাজেট। যা ব্যাংক ঋণ ও বৈদেশিক অনুদান থেকে পূরণ করা হবে। অর্থাৎ এবারের বাজেটেও বিদেশ নির্ভরতা কমানো হয়নি।’ 

রাশেদ প্রধান বলেন, ‘নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে ১০০ কোটি টাকার তহবিল এবং কিছু নিত্যপণ্যের দাম কমানো ইতিবাচক। জুলাই বিপ্লবে শহিদ ও আহতদের জন্য ৪০৫ কোটি টাকা বরাদ্দকে স্বাগত জানাই। তবে তা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। বিগত ১০ মাসে যোদ্ধাদের সুচিকিৎসা আমরা দেখি নাই।’ 

যুব জাগপা সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর জাগপা আহ্বায়ক শ্যামল চন্দ্র সরকার, শ্রমিক জাগপা সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন, যুব জাগপা সাংগঠনিক সম্পাদক ওলিউল আনোয়ার, যুব নেতা আশিক মোল্লা, আসাদুজ্জামান নূর ও জনি নন্দী প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সুমন/

মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞা পরিবর্তন জরুরি কাজ নয়: রব

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৭:১১ পিএম
আপডেট: ০৪ জুন ২০২৫, ০৭:১৫ পিএম
মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞা পরিবর্তন জরুরি কাজ নয়: রব
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি-এর সভাপতি আ স ম আবদুর রব। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞা পরিবর্তন অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বা জরুরি কোনো কাজ নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি-এর সভাপতি আ স ম আবদুর রব।

বুধবার (৪ জুন) এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।  

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে এ ধরনের পরিবর্তন কার্যকর করাও সমীচীন বা প্রয়োজনীয় নয়। বরং প্রকৃত প্রয়োজন ছিল- দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে যারা মিথ্যা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়ে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে, তাদেরকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া।’ 

আ স ম রব বলেন, ‘বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স তথা মুজিববাহিনী এবং দেশের অভ্যন্তরে গড়ে ওঠা সশস্ত্র ও প্রত্যক্ষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন বাহিনীর যেসব প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সংকীর্ণ রাজনৈতিক কারণে গত ৫৩ বছর ধরে অবহেলা করা হয়েছে, তাদেরকে স্বীকৃতি ও অন্তর্ভুক্তি করাই ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব।’

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক অভ্যন্তরীণ উপনিবেশমুক্ত রাষ্ট্র তথা ঔপনিবেশিক কাঠামো এবং আইন কানুনের পরিবর্তে স্বাধীন দেশের উপযোগী গণমুখী রাষ্ট্র বিনির্মাণের মৌলিক সংস্কারকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। জনবিচ্ছিন্নতা হতে পারে এমন অনাবশ্যক ও অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক তৈরি না করে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত রাষ্ট্র পুনর্গঠনে কার্যকর ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা।’

শফিকুল ইসলাম/সুমন/

অভ্যুত্থান পরবর্তী বাস্তবতায় বাজেট জনপ্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি: জোনায়েদ সাকি

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৬:৫২ পিএম
অভ্যুত্থান পরবর্তী বাস্তবতায় বাজেট জনপ্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি: জোনায়েদ সাকি
ছবি: সংগৃহীত

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, অভ্যুত্থান পরবর্তীতে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ ব্যর্থ হয়েছে ঘোষিত বাজেট। এই বাজেট নিয়মতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছে। অভ্যুত্থান পরবর্তী যে নতুন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিল, তা বাস্তবায়ন করতে হলে যে ধরনের জনমুখী বাজেট দরকার তা এই বাজেটে নেই।

বুধবার (৪ জুন) সকালে হাতিরপুলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাজেট পর্যালোচনায় সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল। 

সভাপতি বক্তব্যে জোনায়েদ জোনায়েদ সাকি বলেন, ফ্যাসিস্ট শাসন আমলে যে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়েছে, অর্থনীতি লুটপাঠের সঙ্গে তা গভীরভাবে সম্পর্কিত। আমরা লুটপাঠের অর্থনীতি বন্ধের প্রদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারকে আহ্বান করেছি। তরুণ ও দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে এই বাজেটে কোনো বিনিয়োগ পরিকল্পনা নাই। সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বাজেট প্রণয়নের আহ্বান জানান তিনি। 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য দেওয়ান আবদুর রশীদ নীলু, মনির উদ্দিন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, দীপক কুমার রায়।