ঢাকা ১১ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
English

উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনের দাবি বিএনপির

প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৫, ০৯:২৪ পিএম
আপডেট: ২৪ মে ২০২৫, ০৯:৫৬ পিএম
উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনের দাবি বিএনপির
ছবি: খবরের কাগজ

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকেও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

শনিবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

দিনভর উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা এবং গুঞ্জনের মধ্যে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যর একটি প্রতিনিধি দল। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় এই বৈঠক শুরু হয়। ঘণ্টাব্যাপী রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে পৌণে ৯টার দিকে বের হন তারা। প্রতিনিধি দলের অপর তিন সদস্য হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ। এরপর জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির একই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু আলোচনার বিষয়বস্তু আমাদের আগে জানানো হয়নি। বর্তমান রাজনৈতিক পেক্ষাপটে আমরা যা আন্দাজ করতে পেরেছিলাম তার ওপর ভিত্তি করে একটা লিখিত বক্তব্য তার হাতে দিয়েছি।

লিখিত বক্তব্য সারাংশ তুলে ধরে তিনি জানান, বাংলাদেশে গণতন্ত্র উত্তরণের লক্ষ্য বিএনপি প্রথম থেকেই একটি সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবি করে আসছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সরকারের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে বির্তকিত উপদেষ্টা বাদ দিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনের জন্য আমরা দাবি জানিয়েছি। বিএনপির প্রতিটি নেতা-কর্মী ব্যক্তিগত রাজনৈতিক এবং পারিবারিক ভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। এবং সেজন্য আওয়ামী লীগের বিচার সবচেয়ে বেশি দাবি করে বিএনপি। এই বিচার কোনোভাবে অসম্পূর্ণ থাকলে বিএনপি আগামী দিনে রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে স্বাধীন বিচার বিভাগের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে।

খন্দকার মোশাররফ জানান, নির্বাচনের সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম অবিলম্বে শেষ করে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজনের জন্য দ্রুত একটি রোডম্যাপ ঘোষণার দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। জনগণ বিশ্বাস করে, অন্তর্বর্তী সরকারের মূল দায়িত্ব হচ্ছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে গণতন্ত্রে উত্তরণে একটি প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করবে সরকার। আমরা মনে করি, যেকোনো উছিলায় নির্বাচন যত বিলম্ব করা হবে, জাতির কাছে পুনরায় স্বৈরাচার ফিরে আসার ক্ষেত্র প্রস্তুত হবে। এর দায়দায়িত্ব সরকার ও তাদের সংশ্লিষ্টদের ওপর বর্তাবে। সম্প্রতি নানা গুজবের পেক্ষিতে আমরা বলেছি, বিএনপির কখনো প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চায়নি। বরং প্রথম দিন থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে আসছে।

এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মোশাররফ বলেন, সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন ছিল আলোচনার মূল বিষয়। আমরা বলেছি, সংস্কার চলমান বিষয়, এটা চলতে থাকবে। সব দলের আলোচনার ভিত্তিতে সরকার একটা সংস্কার প্রস্তাব দেবে এবং সেটা চলমান থাকবে। জনগণ যদি আমাদের ক্ষমতায় বসায় তাহলে আগামীতে সেই সংস্কার বাস্তবায়ন করবে বিএনপি। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান থেকে শুরু তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সবচেয়ে আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের কর্তাব্যক্তি যারা দায়ী তাদের বিচার তো আমরা চাচ্ছি। আমরা তো বিচারের পক্ষে তবে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা এই বিচার করবে। এই বিচার দিন তারিখ ঠিক করে সম্ভব নয়। যে বিচার সম্পূর্ণ না হবে ক্ষমতায় গেলে সেগুলো বিচারের আওতায় এনে সম্পূর্ণ করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। উনারা জানিয়েছেন, ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার কাজ শেষ করা হবে। এখানে সংস্কার ও বিচারের ব্যাপারে কারো দ্বিমত নেই। সূতরাং ডিসেম্বরে আগেও নির্বাচন করা সম্ভব, এ আলোচনাও হয়েছে।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে সালাউদ্দিন বলেন, নির্বাচনের রোডম্যাপ বিষয়ে স্পেসিক কোন আলোচনা হয় নাই, জানান নাই। আমরা দাবি করেছি। হয়তোবা উনারা প্রেসের মাধ্যমে জানাবেন, আমরা অপেক্ষায় আছি। উনারা জানানোর পরে আমরা প্রতিক্রিয়া জানাবো।

তিনি বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও দুজন ছাত্র উপদেষ্টার ও যাদের কারণে এ সরকারে নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন হচ্ছে, তাদের পদত্যাগের দাবি প্রধান উপদেষ্টাকে আজকেও আমরা লিখিতভাবে জানিয়েছি। সেটা উনারা দেখবেন।

ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন- একটার সঙ্গে আরেকটা কোনো সম্পর্ক নেই। এবং যদি দ্রুত নির্বাচন দেওয়া হয় তাহলে আজকে বাংলাদেশে যে নৈরাজ্য হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে- এটা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করলে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।

শফিকুল ইসলাম/মেহেদী/এমএ/

হিজলায় কৃষি কর্মকর্তার ওপর হামলা, বিএনপির ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৮:৪২ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ০৯:০৩ পিএম
হিজলায় কৃষি কর্মকর্তার ওপর হামলা, বিএনপির ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ভুক্তভোগী উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ ফখরুল ইসলাম

বরিশালের হিজলা উপজেলার কৃষি দপ্তরের কর্মকর্তাকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় উপজেলা বিএনপি, ছাত্রদল নেতাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

সোমবার (২৩ জুন) ভুক্তভোগী উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ ফখরুল ইসলাম সরকারি কাজে বাধা, হত্যাচেষ্টাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলাটি করেন।

এর আগে রবিবার (২২ জুন) সন্ধ্যায় হিজলা উপজেলার খুন্না গোবিন্দপুরের টেকের বাজারে বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন দেওয়ানের নেতৃত্বে ওই কর্মকর্তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়। 

অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিন দেওয়ান, তার ছেলে হিজলা ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিসান দেওয়ান, তাদের সহযোগী আজমাইন হোসেন চৌধুরী। এ ছাড়া বাকি চারজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আমিনুল ইসলাম।

আহত ফকরুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি সরকারিভাবে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সুবিধাভোগীদের মধ্যে কৃষি প্রণোদনার নারিকেলের চারা বিতরণ করা হয়েছে। বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন দেওয়ানের কয়েকজন অনুসারী সেই চারা পাননি। এতে তিনি ক্ষুব্ধ হন। এর জেরে রবিবার রাতে তিনি টেকের বাজারে গেলে গিয়াস উদ্দিন দেওয়ানের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময়ে গিয়াস উদ্দিন নেতৃত্বে তার ছেলে জিসান ও সহযোগী আজমাইন চৌধুরীসহ অন্য সহযোগীরা ফকরুল ইসলামের ওপর হামলা করে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। 

এদিকে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে গিয়াস উদ্দিন দেওয়ান বলেন, ‘কৃষি কর্মকর্তা ফকরুল ইসলামের ওপর কে বা কারা হামলা করেছে, তা আমার জানা নেই। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’

ওসি শেখ আমিনুল ইসলাম জানান, আহত কর্মকর্তা ফকরুল ইসলাম থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সেটি এজাহার হিসেবে নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মেহেদী/

৪৫ সদস্যের নোমান জাতীয় স্মরণসভা কমিটি গঠন

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৮:১৭ পিএম
৪৫ সদস্যের নোমান জাতীয় স্মরণসভা কমিটি গঠন
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত আবদুল্লাহ আল নোমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং মৎস্য, প্রাণীসম্পদ ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত আবদুল্লাহ আল নোমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ৪৫ সদস্য বিশিষ্ট ‘আব্দুল্লাহ আল নোমান জাতীয় স্মরণসভা কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক হলেন বাংলাদেশ শ্রিম্প এন্ড ফিশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহমুদুল হক ও সদস্য সচিব বিশিষ্ট সাংবাদিক চিন্ময় মুৎসুদ্দী।
 
আব্দুল্লাহ আল নোমানের স্মরণে আগামী শুক্রবার (২৭ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিকাল ৩টা একটি স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজন করছে আব্দুল্লাহ আল নোমান জাতীয় স্মরণ সভা কমিটি। 

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, ডেইলি নিউ এইজ এর এডিটরিয়াল বোর্ডের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সাংবাদিক শহীদুল্লাহ খান বাদল, এ কে খান গ্রুপের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন কাশেম খান, এমএম ইস্পাহানী গ্রুপের চেয়ারম্যান মির্জা সালমান ইস্পাহানী, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সাবেক মহাপরিচালক ড. সুলতান হাফিজুর রহমান, সাবেক রাষ্ট্রদূত লিয়াকত আলী চৌধুরী, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. নীতিশ সি দেবনাথ, আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মোহাম্মদ আলী আজাদী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহাব, ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল প্রফেসর হাসিনা জাকারিয়া, বিশিষ্ট মৎস্য বিজ্ঞানী ড. মাহমুদুল করিম, বাংলাদেশ আকুয়াকালচার অ্যালায়েন্সের সাবেক সভাপতি মো. মাকসুদুর রহমান, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খোন্দকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর এম এ তাসলিম, দি ডেইলী পিপলস ভিউ এর সম্পাদক সাংবাদিক ওসমান গণি মনসুর, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, যমুনা টিভির বিজনেজ এডিটর সাজ্জাদ খান, দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এর ডেপুটি এডিটর সাজ্জাদুর রহমান, বিশিষ্ট টিভি ব্যক্তিত্ব খ ম হারুন, ইউনিট্রেন্ড লি. এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুনির আহমেদ খান, চট্টগ্রাম ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির বোর্ড চেয়ারম্যান লুৎফি এম আইয়ুব, সাবেক মূখ্য সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল করিম, সাবেক সচিব এএসএম রশিদুল হাই, সাবেক সচিব এ কে এম জাফরুল্লাহ, সাবেক সচিব মুহাম্মদ আলকামা সিদ্দিকী, মৎস্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক নাসির উদ্দিন আহমেদ, সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবদুল মজিদ, মৎস্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, বেঙ্গল রেমিডিস লি. এর চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউল করিম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর সিদ্দিক আহম্মেদ চৌধুরী, পিআরআই এর সিইও ড. জি এম খুরশীদ আলম, কৃষি, পল্লী উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তা-এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এর সাবেক উপদেষ্টা ড. মাহফুজ আহমেদ, এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স এর সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. নুরুল আমিন এবং খবরের কাগজ এর নির্বাহী সম্পাদক এনাম আবেদীন ।

শফিকুল ইসলাম/

সেবা ব্যাহত করে আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিতে পরিকল্পিত হামলা: ইশরাক হোসেন

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৭:১৮ পিএম
সেবা ব্যাহত করে আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিতে পরিকল্পিত হামলা: ইশরাক হোসেন
ছবি: খবরের কাগজ

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (নগর ভবন) নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে নাগরিক সেবা ব্যাহত করে আন্দোলন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে পরিকল্পিত হামলার অভিযোগ করেছেন ইশরাক হোসেন।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে এসে তিনি এ অভিযোগ করেন। 

তিনি বলেন, 'ষড়যন্ত্রকারীদের মূল লক্ষ শান্তিপূর্ণ এই আন্দোলন চিরতরে বানচাল করে দেওয়া। এর পেছনে ষড়যন্ত্রকারী যে বা যারাই হোক তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।'

ফ্যাসিস্টদের দোসররা হামলা চালিয়েছে উল্লেখ করে ইশরাক হোসেন বলেন, 'আন্দোলনকারীদের অনুরোধ জানিয়ে যখন নাগরিক সেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়, তখন থেকেই আমার প্রতিপক্ষরা বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করে এটাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা শুরু করে। সব বাধা অতিক্রম করে সেবা চালু করা হয়।  এর পর গত দুদিন যাবৎ সুন্দরভাবে সেবা কার্যক্রম অব্যাহত থাকার কারণে নগরবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। এটি আমাদের প্রতিপক্ষ সহ্য করতে না পেরে নতুন কায়দায় নিজেদের চক্রান্ত বাস্তবায়ন করে।' 

তিনি বলেন, 'আজকে আমার নামে স্লোগান দিয়ে ফাসিস্টের উচ্ছিষ্ট সহযোগীরা নগর ভবনে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে এবং যারা এতদিন আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন, সামনের সারিতে ছিলেন, তাদের হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়।' 

এটা করে তারা এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'একদিকে আমার নাম ব্যবহার করে একটি সুষ্ঠু সেবার পরিবেশ বিনষ্ট করে জনমনে আতঙ্ক তৈরি করা, অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের এ ন্যাক্কারজনক হামলার মাধ্যমে একটি বার্তা দেওয়া, যাতে তারা আমাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে না আসে।' 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'গোলাম কিবরিয়া রুবেল ও আরিফুজ্জামান প্রিন্সের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এরা ফ্যাসিবাদের দোসর। আওয়ামী আমলের সুবিধাভোগী। বিশ্বস্ত মাধ্যমে জানা গেছে এরা স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার গাড়িতেও চলাফেরা করতেন। তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে।' 

হামলায় তিনজনের অবস্থা গুরুত্ব জানিয়ে তিনি বলেন, 'একজনের বুকে ছুরি দিয়ে এমনভাবে আঘাত করা হয়েছে, তার ফুসফুসে ছিদ্র হয়ে গেছে। অন্য দুজনের অবস্থাও গুরুতর। তাদের পায়ে বুকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও ৮-১০ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।  তাদের মাথায় ও হাঁটুতে হাতুড়ি পেটা করা হয়েছে। 

কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের সংবাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হাতে গোনা দুই একটি সংবাদ মাধ্যমে আজকের বিষয়টি ভিন্ন ভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। এসব মিডিয়া হাউসে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা রয়েছে। তারাই এভাবে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে।

আরিফ/মেহেদী/

জামায়াতকে ভোট দিলে অপশাসন-দুঃশাসন মুক্ত দেশ গড়ব: ডা. শফিকুর রহমান

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৭:০৭ পিএম
জামায়াতকে ভোট দিলে অপশাসন-দুঃশাসন মুক্ত দেশ গড়ব: ডা. শফিকুর রহমান
ছবি: খবরের কাগজ

আগামী নির্বাচনে জনগণ জামায়াতে ইসলামীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে অপশাসন-দুঃশাসন মুক্ত দেশ গড়ব বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।

সুখী, সমৃদ্ধ আধুনিক বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে জামায়াতের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমরা দেশকে দীর্ঘ অপশাসন-দুঃশাসনের দুষ্ট ক্ষত থেকে মুক্ত করে ন্যায়-ইনসাফের ভিত্তিতে আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করব-ইনশাআল্লাহ।'

মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাজধানীর মিরপুরে ঢাকা-১৫ সংসদীয় আসনের সাধারণ জনগণের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

শফিকুর রহমান বলেন, ‘পতিত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী আমলে পুরোদেশকে একটি জ্বলন্ত অগ্নিগিরিতে পরিণত  করা হয়েছিল। আমি এ আসনে নিজে প্রার্থী হলেও এখানে আসতে পারিনি। নির্বাচনের মাত্র তিন আগে আমাদের উঠিয়ে নিয়ে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। নির্বাচনের অ্যাজেন্ট ও সহকর্মীদের উঠিয়ে নিয়ে কনসালট্রেশন সেন্টারে আটক করে শারীরিকভাবে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছিল। এভাবে কোন সভ্য সমাজ চলতে পারে না। মূলত, আগুনকে বেশিদিন ছাই চাপা দিয়ে রাখা যায় না। তাই সে আগুনের লেলিহান শিখায় স্বৈরাচারের তখতে তাউস খান খান হয়ে গেছে। তাদের পতন ঘটেছে লজ্জাজনকভাবে।' 

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে বিরোধী দল ও ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে। বিশেষভাবে টার্গেট করা হলেছিল আলেম-ওলামাদের। মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করে কথিত রিমান্ডের নামে চালানো হয়েছিল অবর্ণনীয় নির্যাতন। বিচারের নামে প্রহসন সহ নানাভাবে তাদেরকে শহিদও করা হয়েছে।’

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে মাফিয়াতন্ত্রদের অপশাসন-দুঃশাসন থেকে দেশ মুক্তি পেয়েছে বলে মন্তব্য করেন জামায়াতের আমির বলেন, 'এক্ষেত্রে আমাদের যুব সমাজ রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন। শহিদ আবু সাঈদ ‘বুকের ভেতর তুমুল ঝড়/বুক পেতেছি গুলি কর’ বলে বন্দুকের নলের মুখে বুক পেতে দিয়ে আমাদের এ ঐতিহাসিক বিজয় নিশ্চিত করেছিলেন। তার এ আত্মত্যাগই মূলত স্বৈরাচারের ভিত নড়িয়ে দিয়েছে।'

এ সময় অর্জিত বিজয়কে অর্থবহ ও ফলপ্রসূ করতে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান তিনি। 

থানা আমির রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে মতবিনিময়কালে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি লস্কর মোহাম্মদ তসলিম, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক প্রমুখ।

শফিকুল/মেহেদী/

মাগুরায় ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার, বাড়ি থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৬:৫৯ পিএম
মাগুরায় ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার, বাড়ি থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার
ছবি: খবরের কাগজ

মাগুরায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছেন জেলা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের সবুজ।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের ভায়না এলাকায় একটি মিছিলের প্রস্তুতির সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার শহরতলির ভিটাশাইর এলাকায় গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি ওয়ান শুটার গান, একটি গুলি, ১৫ পিস ইয়াবা ও একটি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে।

সেনাবাহিনীর মাগুরা ক্যাম্পের কমান্ডার বলেন, সবুজের বিরুদ্ধে আগে থেকেই অন্তত ১৩ থেকে ১৪টি লিখিত অভিযোগ ছিল। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে নাশকতা, জমি দখল ও নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে এর আগেও তার শহরের ভাড়া বাসায় অভিযান চালানো হয়েছিল। তখন কিছু হালকা মাদকদ্রব্য ছাড়া উল্লেখযোগ্য কিছু পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও বলেন আজকের অভিযানের পেছনে সুনির্দিষ্ট তথ্য ও প্রমাণ ছিল। গ্রেপ্তারের সময় সবুজ শহরের ভায়না এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, মিছিলটি সেনাক্যাম্পের সামনে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। তিনি বিএনপির ব্যানার ব্যবহার করলেও, যৌথ বাহিনীর দাবি, বিএনপির কোনো কেন্দ্রীয় বা স্থানীয় নেতা-কর্মী এতে অংশ নেননি। উপস্থিতদের অনেকেই আর্থিক প্রলোভন বা মোটরসাইকেলের জ্বালানি খরচ দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে সেখানে এসেছিলেন। এ বিষয়ে কয়েকজন অংশগ্রহণকারী ভিডিও সাক্ষাৎকারে যৌথ বাহিনীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরে যৌথ বাহিনী সবুজের গ্রামের বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে টয়লেটের ছাঁদ থেকে ওয়ান শুটার গান, একটি গুলি, অন্য জায়গা থেকে একটি রামদা ও ১৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। এসব আলামতসহ তাকে মাগুরা সদর থানায় হস্তান্তর করা হবে।

রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আইয়ুব আলী বলেন, এ বিষয়ে এখনো কিছু বলতে পারছি না। এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। 

শ্রাবণ/মেহেদী/