ঢাকা ২৬ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২

ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন যাওয়ার একটি কারণও নেই: সালাহউদ্দিন আহমদ

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৮:১৫ পিএম
ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন যাওয়ার একটি কারণও নেই: সালাহউদ্দিন আহমদ
সর্বদলীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। ছবি: খবরের কাগজ

জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার একটি কারণও নেই-বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই মনে করি ডিসেম্বরে নির্বাচন সম্ভব। এর আগেই জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচনমুখী যে সংশোধনীগুলো, তা চিহ্নিত করে ঐক্যমতের ভিত্তিতে আমরা যদি বাস্তবায়ন করি। তবে এমন কোনো সংস্কার নেই যা একমাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। শুধুমাত্র সংবিধান ব্যতীত অন্যান্য যে সংস্কার প্রস্তাব আছে তা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এক মাসের ভেতরে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। যেটা আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি। সুতরাং নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার একটি কারণও নেই।’

সোমবার (২ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলী রোডে অবস্থিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সর্বদলীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন। ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে সভাপতিত্ব করে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। বৈঠকে ২৬টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিগণ অংশ নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা সংস্কার কমিশনের মতামতের ভিত্তিতে বিস্তারিত মতামত দিয়েছি। সংস্কার বিষয়ে আমরা তিন দিন সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছি। সংস্কার কমিশন অন্যান্য দলের সঙ্গেও বৈঠক করেছে। আমরা আমাদের মতামত লিখিতভাবেও দিয়েছি। আমরা আলোচনা মধ্য দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে কাছাকাছি আসতে পেরেছি- এমন মন্তব্য করে তিনি।

তিনি বলেন, যেটা জাতির জন্য বৃহত্তর স্বার্থ সংরক্ষণ করবে আমরা সেটাই গ্রহণ করব। এটা জাতীয় নীতিতে গৃহীত হলে এ জাতির মধ্যে একটা ঐক্য তৈরি হবে। আমরা সেটাই গ্রহণ করব যে প্রস্তাবগুলো সংবিধান ও শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হবে। রাষ্ট্রের সবকিছুর মধ্যে একটা ভারসাম্য সৃষ্টি হবে। এর মধ্যে দিয়ে বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর যে আকাঙ্ক্ষা তা বাস্তবায়ন করতে পারব। 

বৈঠকে অধিকাংশ দলগুলোই ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, আমরা আশা করি প্রধান উপদেষ্টা সেটি বিবেচনা করবেন। প্রধান উপদেষ্টা নিরপেক্ষভাবে তার দায়িত্ব পালন করবেন। কারও প্রতি রাগ-বিরাগ, অভিমান প্রদর্শন করবেন না। তবে জাতি তার কাছে নিরপেক্ষতা আশা করে।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সংবিধান সংশোধনী যেসব প্রস্তাব বিভিন্ন দল দিয়েছে, আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। উনারা যেভাবে আন্তরিকতা দেখেছেন তাতে আগামী এক মাসের মধ্যে একটা ঐক্যমতে আসা সম্ভব বলে মনে করি। কিছু কিছু বিষয়ে অবশ্যই দ্বিমত থাকবে, সব বিষয়ে সবাই একমত হবে, এমনটা আমরা আশাও করি না। যেসব বিষয়ে আমরা একমতে আসতে পারব, সেটা অবশ্যই পরবর্তী সংসদে সংশোধনী হবে। এসব বিষয়ে এখন ঐকমতের ভিত্তিতে একটি সনদ স্বাক্ষরিত হলেই হবে। এটা আমাদের ইলেকশন মেনুফ্যাকচারেও আসবে। এটা অঙ্গীকার হিসেবে থাকবে। 

তিনি আরও বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে ওনারা যথেষ্ট আন্তরিক, তবে ইতোমধ্যে অনেক সময় ক্ষেপণ হয়েছে। আশা করি আর বেশি সময় নেবেন না। এই মাসের মধ্যে একটা কম্পাইল করা সম্ভব হবে। 

 

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ

নিউইয়র্ককে জুলাই গণহত্যার চিত্রপ্রদর্শনী করবে ‘প্যাট্রয়টস অব বাংলাদেশ’

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৯:৪১ পিএম
নিউইয়র্ককে জুলাই গণহত্যার চিত্রপ্রদর্শনী করবে ‘প্যাট্রয়টস অব বাংলাদেশ’
ছবি: খবরের কাগজ

চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আগামী ৩ আগস্ট নিউইয়র্কের ডাইভার্সিটি প্লাজায় দিনব্যাপী আলোচনা সভা ও চিত্রপ্রদর্শনী কর্মসূচি পালন করবে নিউইয়র্ক ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ‘প্যাট্রয়টস অব বাংলাদেশ।’

বাংলাদেশ সময় বুধবার (৯ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টায় নিউইয়র্কের একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেয় প্যাট্রয়টস অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আবদুল কাদের। 

২৪'র জুলাই বিপ্লবে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তাদের আত্মত্যাগের অবদানকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য দেশ-বিদেশের সব বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শহিদদের পাশাপাশি যারা জুলাই বিপ্লবে আহত হয়েছেন তাদের সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা অন্তর্বর্তী সরকার ও পরবর্তী সরকারকে করতে হবে।’ 

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা বলেন, ‘গত বছর জুলাই মাসে বাংলাদেশে যে, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন হয়েছিল তাতে বাংলাদেশের ছাত্রজনতা ও মেহনতি মানুষের পাশাপাশি প্রবাসীরাও অংশ নিয়েছিলেন। জুলাই আন্দোলন শুধু একটি আন্দোলন ছিল না।, এটা ছিল একটা বিপ্লব। এই বিপ্লবের চেতনা ছড়িয়ে পড়েছিল বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে। যে চেতনায় পুরো জাতি ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত করার আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। সেই আন্দোলন পূর্ণতা লাভ করে ৫ আগস্ট স্বৈরাচারের পালানোর মাধ্যমে। এরপর শুরু হয় নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন। এই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের জুলাইয়ের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে হবে। হাজারো শহিদদের রক্তদান ভুলে গেলে চলবে না। জুলাইয়ের এই বিপ্লবী চেতনাই হোক আমাদের আগামী দিনের পথচলার পাথেয়।’ 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিতি ছিলেন- জুলাই আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান বর্ষপূর্তি উদযাপন কমিটির  কনভেনার আবদুস সবুর, জাকির হাওলাদার, এ.এস.এম রহমতউল্লাহ, দেলোয়ার হোসেন শিপন, হাছান সিদ্দিকী, কমিউনিটির নেত্রী বেগম শাহানা, ইকনার সোস‍্যাল জাস্টিস ডাইরেক্টর ড. মাহতাব উদ্দিন, কমিউনিটি লিডার মোশাররফ সবুজ, জামাইকার আবদুল গনি, মুক্তিযোদ্ধা ফরহাদ আহম্মেদ , সালেহ মানিক, মুধা মোহাম্মদ জসিম, কলামিস্ট তাহের ফারুকী প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সুমন/

ফ্যাসিবাদীদের বিচার ও সংস্কার অপরিহার্য: নাহিদ ইসলাম

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৮:৪১ পিএম
ফ্যাসিবাদীদের বিচার ও সংস্কার অপরিহার্য: নাহিদ ইসলাম
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে জনগণের অংশগ্রহণ প্রমাণ করে, মানুষ পরিবর্তন চায়। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখেছি, তা বাস্তবায়নে ফ্যাসিবাদীদের বিচার, দেশের মৌলিক সংস্কার এবং একটি নতুন সংবিধান অপরিহার্য।’

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) পদযাত্রার দশম দিনে মাগুরা শহরের ভায়না মোড়ে অনুষ্ঠিত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি আরও বলেন, ‘৩ আগস্টের মধ্যে আমরা জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদ দেখতে চাই। সরকার বা রাজনৈতিক শক্তি ব্যর্থ হলে আমরা ছাত্র ও জনতাকে নিয়ে আবার রাজপথে নামব।’

নাহিদ আরও বলেন, ‘আমরা মাগুরায় এসেছি একটি বার্তা নিয়ে, তা হলো এলাকার উন্নয়ন, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও দখলদারত্ব রোধে মানুষকে সচেতন হতে হবে। এই জেলার দশজন মানুষ জুলাই গণ-আন্দোলনে শহিদ হয়েছেন। তাদের রক্তের মর্যাদা দিতে হবে।’

পথসভায় এনসিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ৫ আগস্ট জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের একবছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বিশেষ কর্মসূচি পালিত হবে। এই কর্মসূচিতে মাগুরাবাসীসহ সারা দেশের মানুষকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, তাসনিম জারা, সাদিয়া ফারজানা দিনাসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ থেকে গাড়িবহর নিয়ে মাগুরা পৌঁছান এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। ওই সময় শহরের ইছাখাদা বাজারে তাদের সংবর্ধনা জানান স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। পরে ভায়না মোড় চত্বরে তারা পথসভা করেন। এ দিন সকাল থেকেই ভায়না মোড়ে সাধারণ মানুষের ভিড় দেখা যায়। অনেকেই কেন্দ্রীয় নেতাদের একনজর দেখতে ভিড় করেন। পথসভা শেষে নেতা-কর্মীরা নড়াইলের উদ্দেশে যাত্রা করেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টাকে বন্যাদুর্গত এলাকা সফর ও ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান এবি পার্টির

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫১ পিএম
আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৭:০৯ পিএম
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টাকে বন্যাদুর্গত এলাকা সফর ও ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান এবি পার্টির
দুর্যোগ ব‍্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজমের সঙ্গে সাক্ষাতে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। ছবি: খবরের কাগজ

দুর্যোগ ব‍্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সাম্প্রতিক বন্যায় উদ্বেগ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। 

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই)  দুপুরে সচিবালয়ে উপদেষ্টার দপ্তরে দেখা করে এবি পার্টির চেয়ারম্যান এ অনুরোধ জানান।

এ সময় মজিবুর রহমান মঞ্জু ত্রাণ উপদেষ্টাকে দুর্যোগকবলিত এলাকা পরিদর্শনের আহ্বান জানান। এ ছাড়া ফেনী জেলার সদর উপজেলা, পরশুরাম, ফুলগাজী ও সোনাগাজী এবং নোয়াখালী, লক্ষীপুর ও পিরোজপুর জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অতিবৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল এবং আকস্মিক বন‍্যা পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়ে, দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা এবং প্রয়োজনীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি। 

তিনি বলেন, ‘গত বছরের বন্যার পর যথাসময়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারলে এবার আকস্মিক বন্যার কবলে পড়তে হত না।’

এ সময় তিনি, মুছাপুর ক্লোজার এবং বল্লামুখা বাঁধ পুনর্নির্মাণে সরকারের অবস্থান জানতে চান মঞ্জু। 

এ ছাড়া পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত ও বাধাহীন করার ওপর গুরুত্ব দেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ ও বন্যা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় অনিয়ম হলে সেগুলো তদন্ত করে বের করা দরকার।’ 

২৪শের বন্যার পর সরকারের বরাদ্দ দেওয়া বিপুল অঙ্কের টাকা যথাযথভাবে কাজে লাগানোর নিশ্চয়তা চান এবি পার্টির চেয়ারম্যান। 

জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতায় কোন ঘাটতি নেই, উপজেলা পর্যায়ে যথেষ্ট ত্রাণ সামগ্রী মজুত আছে। তিনি জেলা প্রশাসকদের  সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন এবং প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

দাবিগুলোর সঙ্গে একমত পোষণ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলাপ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ সময় বৃষ্টি কমে আসলে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে প্রয়োজনীয় পুনর্বাসন কার্যক্রম হাতে নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। যাদের কৃষি জমি ও ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে ক্ষতিপূরণের বিষয়েও পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

রাজশাহী জেলা বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রে যৌন হয়রানির অভিযোগ

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৬:৪৩ পিএম
রাজশাহী জেলা বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রে যৌন হয়রানির অভিযোগ
রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকারের (৭৪) বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। জেলা মহিলা দলের এক নেত্রী তার বিরুদ্ধে অনৈতিক প্রস্তাব ও অসদাচরণের অভিযোগ এনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (৮ জুলাই) অভিযোগপত্রটি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গৃহীত হয়। এর অনুলিপি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস এবং রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের কাছেও পাঠানো হয়েছে।

অভিযোগপত্রে ওই নেত্রী দাবি করেন, বিশ্বনাথ সরকার গত চার মাস ধরে তাকে একাধিকবার অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করেছেন। সাংগঠনিক যোগাযোগের সূত্রে বিশ্বনাথ সরকারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তবে বিশ্বনাথ সরকার তার অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে ভারতীয় চিকিৎসা ভিসার প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার বাসায় ও হোটেলে দেখা করার অনৈতিক প্রস্তাব দেন।

ভুক্তভোগী নেত্রী জানান, তিনি অভিযোগটি সরাসরি জেলা নেতাদের জানালেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং তাকে চুপ থাকার জন্য চাপ প্রয়োগ ও আর্থিক প্রস্তাব দেওয়া হয় বলে অভিযোগে দাবি করা হয়েছে। অভিযোগের সঙ্গে কথোপকথনের কয়েকটি অডিও ক্লিপও যুক্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।’

অভিযোগ অস্বীকার করে বিশ্বনাথ সরকার জানান, তার বয়স ৭৩ থেকে ৭৪ বছর। দলের নেতাকর্মীদের তিনি নিজের সন্তানের মতো দেখেন। দলীয় কাজেই যোগাযোগ হয়েছে, অভিযোগের বিষয়টি আমার জানা নেই।

সুমন/

ডিসেম্বরে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ ইতিবাচক: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৫:১৫ পিএম
আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৫:২৫ পিএম
ডিসেম্বরে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ ইতিবাচক: মির্জা ফখরুল
ছবি: খবরের কাগজ

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সাংবাদিকদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএফইউজে ও ডিইউজে।

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘এটা অত্যন্ত ইতিবাচক ব্যাপার। আমরা আশা করব নির্বাচন কমিশন এই কাজটা দ্রুততার সঙ্গে শেষ করে নির্বাচনের একটা পরিবেশ তৈরি করবে। আমরা দাবি করছি যে, এই নির্বাচনে যেন সবার কাছে অবাধ-নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হয়।’

বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ মার্কিন শুল্ক নির্ধারণের প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশ-জাতি বড় সমস্যায় আছে। আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক। এই পোশাক রপ্তানিতে যদি ৩৫ শতাংশ শুল্ক আসে তাহলে পোশাক শিল্প মাটিতে শুয়ে পড়বে। দাঁড়াতে পারবে না। আমাদের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে যাবে। অন্তর্বর্তী সরকার কতটুক এ বিষয়ে মনোযোগ দিয়েছেন জানি না। যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে আরও বেশি মনোযোগ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করার প্রয়োজন ছিল। তবে সময় এখন চলে যায়নি। এখনো সময় আছে, এ বিষয়গুলো বিবেচনা করার। আমাদের শিল্প যেনে বেঁচে থাকে, কর্মসংস্থান যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এই বিষয়টা সরকারকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখার আহ্বান জানাচ্ছি।’

আলোচনা সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমরা সংসদ নির্বাচন করতে চাই। যদি সংসদ নির্বাচন না হয়, তাহলে দেশে একটি অন্ধকারের শক্তি আবার ক্ষমতায় আসবে। নির্বাচন যাতে অনুষ্ঠিত হয় তা নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি একটি নির্বাচন হবে, এবং সবাইকে অংশগ্রহণ করতে হবে।’

আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি নিজেরাই প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি না করি, তাহলে তাদের ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই। যারা অন্যায় করেছে তাদের কুকীর্তি এবং গত ১৫ বছরে তাদের কর্ম ও কথার প্রমাণ, তাদের পক্ষে নতুন কোনো রাজনৈতিক ন্যারেটিভ তৈরি করা অসম্ভব করে তুলেছে। যেসব যুবক এই সাম্প্রতিক আন্দোলনগুলোতে অংশ নিয়েছে, যারা গড়ে আরও ৫০ বছর বেঁচে থাকবে, তারা তাদের কোনোদিন ক্ষমা করবে না।’ 

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জামায়াতের ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ, বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, ডিইউজের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সুমন/