ঢাকা ২ শ্রাবণ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২

প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ ও গর্ভপাতের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৩:৫১ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ০৩:৫৩ পিএম
প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ ও গর্ভপাতের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে
অভিযুক্ত বিএনপি নেতা বাবর আলী

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ ও ভয় দেখিয়ে গর্ভপাতের অভিযোগ উঠেছে বাবর আলী (৪৫) নামে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে।

বাবর আলী উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য।

ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, 'আমার মেয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী গত ৭ মাস আগে বাবর আলী মেম্বার প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। আমি শ্রমিকের কাজ করার জন্য গত ২ মাস মাদারীপুরে ছিলাম। তিনদিন আগে আমার স্ত্রী আমার মেয়ের গর্ভবতী হওয়ার বিষয় আমাকে জানালে আমি তিনদিন পর আসার কথা বলি। এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বাবর আলী মেম্বার আমার স্ত্রীকে ভয় দেখিয়ে আমার মেয়েকে নিয়ে মাতৃ সদনে গিয়ে গর্ভপাত করান। বাবর আলী মেম্বার এর আগেও অনেক অপকর্ম করেছে অনেক মেয়ের সর্বনাশ করেছে কোনো বিচার হয়নি। আমি আপনাদের মাধ্যমে বাবর আলী মেম্বারের মুখোশ উন্মোচন করতে চাই এবং আইনের মাধ্যমে উপযুক্ত বিচার চাই। তিনি প্রভাবশালী হওয়ায় আইনের আশ্রয় নিতে পারছি না।' 

অভিযুক্ত বাবর আলী বলেন, 'মেয়েটি তার বাড়ির পাশে হাফিজিয়া মাদ্রাসায় আয়ার কাজ করতেন, সেখানে অন্য কারো দ্বারা গর্ভবতী হতে পারে। বৃহস্পতিবার মেয়ের মা আমার কাছে এসে মেয়েটির সম্পর্কে জানায় তখন আমি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার মধ্যেই গর্ভপাত হয়। আমার প্রতিপক্ষ শত্রুরা আমাকে ফাঁসানোর  জন্য এ মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।'

এ বিষয়ে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকেরিয়া হোসেন বলেন, ধর্ষণ ও গর্ভপাত সংক্রান্ত বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মেহেদী/

খুলনায় পৌঁছেছেন এনসিপির নেতারা

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ১০:০৭ পিএম
খুলনায় পৌঁছেছেন এনসিপির নেতারা
ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জ থেকে  সেনাবাহিনীর সহায়তায় গাড়ি বহর নিয়ে নিরাপদে খুলনায় পৌঁছেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) কেন্দ্রীয় নেতারা।

বুধবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নেতাদের বহনকারী গাড়ি খুলনা সার্কিট হাউজে আসে।

এর মধ্যে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আকতার হোসেন, সারজিস আলম, সামান্তা শারমীন, তাসনিম জারা খুলনা সার্কট হাউসে এবং অন্য নেতারা একটি হোটেলে উঠেছেন।

এর আগে বুধবার স(১৬ জুলাই) দুপুরে গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের হামলার পর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অবস্থান নেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা।

এনসিপি নেতাদের অভিযোগ, ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে দিতে এনসিপির সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। দুপুরের দিকে শহরের সমাবেশস্থলে তারা হঠাৎ করে মিছিল নিয়ে এসে মঞ্চে চড়াও হয়। এ সময় সাউন্ড বক্স, মাইক ও চেয়ার ভাঙচুর করার পাশাপাশি এনসিপির উপস্থিত নেতাকর্মীদেরও মারধর করে তারা।

সুমন/

জুলাই আন্দোলনে বিএনপির ৫ শতাধিক নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন: টুকু

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩৯ পিএম
জুলাই আন্দোলনে বিএনপির ৫ শতাধিক নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন: টুকু
ছবি: খবরের কাগজ

জুলাই আন্দোলনে বিএনপির পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।

তিনি বলেন, এ ছাড়া বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদল একটি সুনির্দিষ্ট সংখ্যা ব্যাখ্যা করেছে তাছাড়া অন্য কেউ প্রকাশ করেনি। জুলাই আন্দোলনে মূল ভূমিকা ছিলো তারেক রহমানের।

বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে জেলা ছাত্রদলের আয়োজনে জুলাই-আগস্টের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় টুকু আরও বলেন, চরমোনাই পীরকে আওয়ামী লীগ দাঁত ভেঙ্গে ফেলেছিলো। সেও এখন বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলে। এই চরমোনাই পীর পতিত স্বৈরাচার সরকারকে বাতাস করেছে। দেশের বর্তমানে জনপ্রিয় নেতা হচ্ছে তারেক রহমান। আর সেই তারেক রহমানকে যারা কথা বলেন তাদের মাশুল দিতে হবে। যারা এই দেশের মানুষের কাছে ঘৃণ্য রাজাকার তারাও আজকে তারেক রহমানকে নিয়ে কথা বলে।

টুকু বলেন, বাংলাদেশকে আগে আমাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তারপর অন্য কিছু। বাংলাদেশর মানুষ বিএনপির সঙ্গে রয়েছে, তারেক রহমান যেমন বলেছে জনগণের সঙ্গে থাকুন বিএনপি জনগণের দল। বাংলাদেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দাবি তারেক রহমানের ভুল নয়। আপনারা নির্বাচন দিন দেখেন জনগণ বিএনপিকে বেছে নিবে। শেখ হাসিনা যেমন নির্বাচন দিতে ভয় পেত ঠিক আপনারাও নির্বাচন দিতে ভয় পাচ্ছেন।আপনারা জনগণকেও ভয় পান। বিএনপি একমাত্র দল যারা জোড় করে ভোট নেয় নাই। জনগণ যতবার ভোট দেবার সুযোগ পেয়েছে ততবার বিএনপি বিজয়ী হয়েছে।

আজকে গোপালগঞ্জের হামলার ঘটনায় বিএনপির পক্ষে মির্জা ফখরুল ইসলাম একটি বিবৃতি দিয়েছে আর আমরাও নিন্দা জানাই। প্রশাসনের মধ্যে যারা ফ্যাসিবাদ রয়েছে তাদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাই বলতে চাই আগামীর বাংলাদেশ হবে জনগণের বাংলাদেশ।

স্মরণসভায় জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক দুর্জয় হোড় শুভর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এম এ বাতেনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুর রহমান লিটন, যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার রাশেদুল আলম রাশেদ, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান শফিক ও শহিদ মারুফের মা মোর্শেদা বেগম।

জুয়েল রানা/সুমন/

অভ‍্যুত্থানের সুফলকে সংস্কারের কাজে না লাগিয়ে ক্ষমতার সিঁড়ি বানানো দুঃখজনক: মঞ্জু

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩১ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩৪ পিএম
অভ‍্যুত্থানের সুফলকে সংস্কারের কাজে না লাগিয়ে ক্ষমতার সিঁড়ি বানানো দুঃখজনক: মঞ্জু
জুলাই অভ‍্যুত্থানের বীর শহিদ আবু সাঈদের ১ম শাহাদাত বার্ষিকীতে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। ছবি: সংগৃহীত

শহিদ আবু সাঈদ-সহ দেড় সহস্রাধিক শহিদের জীবন এবং লাখো মানুষের রক্তের সৌধে গড়া জুলাই অভ‍্যুত্থানের সুফলকে সংস্কারের কাজে না লাগিয়ে কেউ কেউ ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে ব‍্যব্যবহারের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। তিনি এটাকে খুবই দুঃখজনক বলে অভিহিত করেছেন। জুলাই অভ‍্যুত্থানের ঐক‍্য রক্ষার জন‍্য অনেকের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সহিষ্ণু আচরণ না করলে নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। 

বুধবার (১৬ জুলাই) জুলাই অভ‍্যুত্থানের বীর শহিদ আবু সাঈদের ১ম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এবি পার্টি রংপুর জেলা ও মহানগর আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

দুপুর ১টায় শহিদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচির সূচনা করেন তিনি। এসময় দলের ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল দিদারুল আলম (অব.), লে. কর্নেল হেলাল উদ্দিন (অব.), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসাইন, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল বাসেত মারজান, রংপুর মহানগর আহ্বায়ক অ‍্যাডভোকেট আব্দুর রউফ সহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। 

জুলাই অভ‍্যুত্থানের বীর শহিদ আবু সাঈদের মৃত্যুবার্ষিকীতে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। ছবি: সংগৃহীত

এর আগে ঢাকা থেকে সড়ক পথে রওয়ানা হয়ে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতাদের একটি দল বেলা ১২টায় পীরগঞ্জ এসে পৌঁছালে স্থানীয় নেতারা তাদের স্বাগত জানান। পরে পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু সকলকে সঙ্গে নিয়ে শহিদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেন এবং তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের খোঁজ খবর নেন। 

এরপর কেন্দ্রীয় নেতারা বিকেল ৩টায় রংপুর টাউন হলে জেলা ও মহানগর শাখা আয়োজিত আলোচনা সভা, স্মরণ অনুষ্ঠান, দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ ও শোক মিছিলে অংশ নেন।

আলোচনা ও স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঞ্জু বলেন, গণঅভ্যুত্থান যদি সফল না হতো, আজ আবু সাঈদের ভিটে মাটিকে ধ্বংস করে সেটাকে শ্মশানে পরিণত করা হতো। তার পরিবারের ওপর নেমে আসতো নৃশংস নির্যাতন। কত সহস্র মানুষ যে গুম আর খুনের শিকার হতো, তার কোনো হিসাব থাকতো না। অথচ সে সময়ে দুঃখ-কষ্টে থাকা রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীরা আজ ভীষণরকম বিভেদে লিপ্ত। একে অপরকে হেয় প্রতিপন্ন করে অনৈক্য সৃষ্টি করতে তাদের বিন্দুমাত্র বিবেকে বাঁধছে না। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, শহিদ আবু সাঈদ-সহ দেড় সহস্রাধিক শহিদের জীবন এবং লাখো মানুষের রক্তের সৌধে গড়া জুলাই অভ‍্যুত্থানের সুফলকে সংস্কারের কাজে না লাগিয়ে কেউ কেউ ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে ব‍্যব্যবহারের চেষ্টা করছে, যা খুব দু:খজনক। রাজনৈতিক দলগুলো সহিষ্ণু আচরণ না করলে নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। 
এবি পার্টি রংপুর মহানগর আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলের ভাইস চেয়ারম্যান লে.কর্নেল দিদারুল আলম (অব.) বলেন, আজ আমরা এক মর্মস্পর্শী ও গৌরবোজ্জ্বল দিনে সমবেত হয়েছি। আমাদের প্রিয় সংগ্রামী, আদর্শের ধারক, শহিদ আবু সাঈদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে। তার আদর্শ, তার সংগ্রামী চেতনা আমাদের হৃদয়ে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে। তিনি ছিলেন ন্যায় ও সত্যের পথের এক অকুতোভয় যোদ্ধা, যার আত্মত্যাগ আমাদের সংগ্রামী চেতনাকে আজও প্রজ্বলিত রাখে।


ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল হেলাল উদ্দিন বলেন, শহিদ আবু সাঈদ কেবল একজন নাম নন, তিনি একটি ইতিহাস, একটি আদর্শ। তার জীবন ছিল শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে নিঃশর্ত সংগ্রামের গল্প। তিনি মৃত্যুকে পরোয়া করেননি, কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন - মৃত্যুই যদি আসে, তবে তা হোক মানুষের মুক্তির পথে। আজও তার সেই অমর বাণী আমাদের প্রেরণা দেয়। তিনি যে কারণে আত্মদান করেছেন আমরা যেন তার দেখানো পথ থেকে বিচ্যুত না হই।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আলতাফ হোসাইন বলেন, আজ আমরা শুধু শোক প্রকাশ করছি না, আজ আমরা পুনর্বার শপথ নিচ্ছি। শপথ নিচ্ছি যে, তার স্বপ্নকে আমরা ধারণ করব, তার আত্মদানকে বৃথা যেতে দেব না। এই পথসভা হোক আমাদের সংকল্পের মঞ্চ - যেখানে আমরা বলব, ‘শহিদ আবু সাঈদ তোমার রক্ত বৃথা যাবে না।’

পথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল বাসেত মারজান, রংপুর মহানগর আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুর রউফ, কেন্দ্রীয় কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা বিষয়ক সম্পাদক এস এ জাহিদ সরকার, দিনাজপুর জেলা আহ্বায়ক অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম, সদস্য সচিব মেহেদী হাসান চৌধুরী পলাশ, নীলফামারী জেলা আহ্বায়ক মাওলানা লিয়াকত আলী, কুড়িগ্রাম জেলা আহ্বায়ক ডা. নজরুল ইসলাম, রংপুর মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক মুস্তাফিজুর রহমান রনজু ও পীরগঞ্জ উপজেলা আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান-সহ প্রমুখ।

 

গোপালগঞ্জকে আবুসাইদগঞ্জ নামকরণের প্রস্তাব রাশেদ প্রধানের

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৮:০৪ পিএম
গোপালগঞ্জকে আবুসাইদগঞ্জ নামকরণের প্রস্তাব রাশেদ প্রধানের
ছবি: সংগৃহীত

গোপালকে দিল্লি পাঠিয়ে গোপালগঞ্জকে আবুসাইদগঞ্জ নামকরণের প্রস্তাব দিয়েছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান।

তিনি বলেন, ‘দিল্লির আশ্বাসে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী শক্তি এখনও আস্ফালন করে। পুলিশ হত্যার বিচারের কথা বলে নিজেরাই পুলিশের উপরে হামলা করে। এই দেশ এখন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী খুনি হাসিনার নয়, এই দেশ এখন মুগ্ধ, ওয়াসিম, আবু সাঈদের।’

জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে ও আগামীর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জাগপার মাসব্যাপী কর্মসূচির ১৬তম দিন ১৬ জুলাই রংপুর পায়রা চত্বরে গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে জাগপা নেতারা প্রথম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে শহিদ আবু সাইদের কবর জিয়ারত করেন।

রাশেদ প্রধান বলেন, ‘গোপালগঞ্জে দফায় দফায় সন্ত্রাসী নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ, পুলিশ, ইউএনও, এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপরে হামলা আবারও প্রমাণ করেছে, আওয়ামী লীগের অপরাজনীতি ছিল দেশের মানুষের বিরুদ্ধে। শহিদ আবু সাঈদের প্রথম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে আমাদের শপথ গ্রহণ করতে হবে। খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের গণহত্যার বিচার, দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার এবং হিন্দুস্তানের আধিপত্যবাদ রুখে দেওয়ার আগে পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলছে চলবে।’

পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, শামীম আকতার পাইলট, ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক শ্যামল চন্দ্র সরকার, যুব জাগপা সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, শ্রমিক জাগপা সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন, পঞ্চগড় জেলা সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার আলম বিপ্লব ও দিনাজপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েস রুপমপ্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সুমন

নির্বাচনি প্রক্রিয়ার বাইরে কোনো পন্থা গ্রহণযোগ্য নয়: মঈন খান

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৬:৪৮ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫৪ পিএম
নির্বাচনি প্রক্রিয়ার বাইরে কোনো পন্থা গ্রহণযোগ্য নয়: মঈন খান
ছবি: খবরের কাগজ

নির্বাচনি প্রক্রিয়ার বাইরে অন্য কোনো পন্থা গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।

বুধবার (জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। গণতন্ত্রে যে উত্তরণ সেই উত্তরণের একটি মাত্র প্রক্রিয়া হচ্ছে, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন, নিরপেক্ষ নির্বাচন। এর বাইরে আর কোনো পন্থা বাংলাদেশে কেনো, সারা বিশ্ব বা অন্য কোথাও জানা নেই। আর যদি কেউ বলে, তারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না, অন্য কোনো পন্থায় তারা এদেশকে পরিচালনা করতে চায়, তাহলে আমাদের পথ আলাদা, তাদের পথ আলাদা। এটা স্পষ্ট করতে হবে, গণতন্ত্রের মুখোস পড়ে কেউ যদি এদেশে স্বৈরতন্ত্র করতে চায়, সেটা বিএনপি হতে দেবে না।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে ক্রমাগত ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কয়েকটি দলের কটূক্তিমূলক বক্তব্য দেওয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মঈন খান বলেন, ‘এদেশে গত কয়েকদিনের যে বিভিন্ন ঘটনা হচ্ছে, সেই ঘটনার মূল্যে কোনো রহস্য রয়েছে, সেই রহস্য আজকে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে উন্মোচিত করতে হবে। আমরা শান্তিপূর্ণ, নিয়মতান্ত্রিক ও সুষ্ঠু রাজনীতিতে বিশ্বাসী।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সমাজ এবং সংস্কৃতিতে যে সব কথা, বাক্য, কটুবাক্য সেগুলো দেশের মানুষ চিরদিন প্রত্যাখান করে এসেছে। যেসব কথা-বার্তা-ভাষা আজকে দেশে যারা প্রকাশ্যে নিয়ে আসে তারা বাংলাদেশকে ভালোবাসে না। তারা বাংলাদেশের সমাজকে ধ্বংস করতে চায়, তারা বাংলাদেশের যে কৃষ্টি সেটাকে ধ্বংস করতে চায়।’

মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে মইন খান বলেন, ‘আমরা এদেশে বড় হয়েছি। আপনারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। আপনারা কী কখনো দেখেছেন যে, বাংলাদেশের প্রকাশ্যে এই ধরণের শব্দ, ভাষা, কটুবাক্য। উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাংলাদেশের ইমেজকে ধ্বংস করার জন্য কারা দায়ী তাদের চিহ্নিত করতে হবে।’ 

এ সময় বর্তমানে দেশজুড়ে যে সহিংসতা-হত্যাকান্ডের মতো ঘটনা ঘটছে, যারা ঘটাচ্ছেন তাদের সঠিক পথে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। যারা বর্তমানে দেশের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করছেন, তাদের শুধু একটা কথাই বলবো যে, আপনারা বাংলাদেশকে ভালোবাসতে শিখুন।’ 

মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, প্রয়াত মশিউর রহমান যাদু মিয়ার মেয়ে বিএনপি নেত্রী রিটা রহমান ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মজিবুর রহমান প্রমুখ। 

শফিকুল ইসলাম/সুমন/