ঢাকা ২৬ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২

বাজেট জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে: ফয়জুল হাকিম

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৫:২২ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ০৫:৩৬ পিএম
বাজেট জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে: ফয়জুল হাকিম
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম বলেছেন, জাতীয় সংসদের অনুপস্থিতিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ঘোষিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

সোমবার (২ জুন) এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকারের ঋণনির্ভর নীতি অনুসরণ করেই করা হয়েছে। প্রস্তাবিত এই বাজেটে অতীতের সরকারের মতোই কালো টাকাকে সাদা করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। উৎপাদন খাতে দেশীয় বড় শিল্পের কাঁচামালের ওপরে ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে দেশের শিল্প বিকাশে গতি শ্লথ করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান যে বৈষম্যহীন বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা জাগিয়ে ছিল, দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে যে চরম বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা জারি রয়েছে তা অবসানের কোনো রূপরেখা প্রস্তাবিত এই বাজেটে দেখা যায় না। জনগণের কর্মসংস্থান, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প ও কৃষিখাতকে অগ্রাধিকার দিতে এসব খাতে অধিক বরাদ্দ বৃদ্ধি দরকার ছিল। মূলত: অতীতের বাজেটের ধারাবাহিকতায় এই বাজেট করা হয়েছে। এই কাঠামো অতিক্রম করতে না পারার মূল কারণ শাসকগোষ্ঠীর পরিবর্তন হলেও শাসক শ্রেণির পরিবর্তন হয়নি।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাজেট প্রস্তাবের আগে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে সম্পর্কিত রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গ্রহণ করা প্রয়োজন ছিল, কেননা জাতীয় সংসদের অনুপস্থিতিতে যে বাজেট এখানে প্রস্তাব করা হয়েছে তা আরও জনস্বার্থ সম্পর্কিত হতে পারতো।

জাপার পথচলার ফয়সালা হয়ে গেছে ২৫ জুন: শামীম হায়দার

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ১১:১০ এএম
জাপার পথচলার ফয়সালা হয়ে গেছে ২৫ জুন: শামীম হায়দার
জাপার নবনিযুক্ত মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী

দলের কর্তৃত্ব নিয়ে নানা টানাপোড়েনের মধ্যে জাতীয় পার্টির (জাপা) তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন। তারা দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকেই ফের নেতৃত্বে দেখতে চান বলে জানিয়েছেন জাপার নবনিযুক্ত মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি বলেছেন, জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে যতবার ষড়যন্ত্র হয়েছে, ততবারই তিনি সততার শক্তিতে স্বমহিমায় ঘুরে দাঁড়িয়েছেন।

বুধবার (৯ জুলাই) জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর নবনিযুক্ত মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে সংবর্ধনা দিয়েছে।

সেই অনুষ্ঠানে শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা সব সময় জাতীয় পার্টির সঙ্গেই ছিল। তারা কখনো জাতীয় পার্টির মূল স্রোতের বাইরে যায়নি। গত ২৫ জুন জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা ঢাকায় এসে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন প্রকাশ করেছেন। সেই দিনই জাতীয় পাটির্র আগামী দিনের পথচলার ফয়সালা হয়ে গেছে।’ 

তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা জি এম কাদেরের ‘মূল শক্তি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালে অনেকেই বলেছিলেন এরশাদের মৃত্যুর পর আর জাতীয় পার্টি টিকবে না। শ্রম ও মেধা দিয়ে জি এম কাদের জাতীয় পার্টিকে শক্ত ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এমন বাস্তবতায় যদি কেউ কেউ বলেন, জি এম কাদেরকে অব্যাহতি দিয়ে দেবেন এটা হাস্যকর।’

জাপা থেকে বহিষ্কারের পর ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ অভিযোগ করেছেন, কাউন্সিলে হেরে যাওয়ার ভয়ে জি এম কাদের জাপার দশম জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনের আয়োজন করতে চাইছেন না। এর জবাবে জাপার নবনিযুক্ত মহাসচিব বলেন, ‘কাউন্সিলে কারা থাকবেন? তৃণমূল নেতা-কর্মীরাই তো থাকবেন। তৃণমূল নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে জি এম কাদেরের পাশে আছেন। আর কাউন্সিলে জি এম কাদেরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো প্রার্থী কে আছেন?’

জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে আনীত দুর্নীতির অভিযোগের জবাবও দিয়েছেন শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি বলেছেন, ‘গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের সততা ও স্বচ্ছতা জাজ্বল্যমান। পাঁচ বছর গুরুত্বপূর্ণ ২টি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন তিনি। তখন তার বিরুদ্ধে কেউ একটি দুর্নীতির অভিযোগও আনতে পারেননি। আওয়ামী লীগ সরকার বারবার চেষ্টা করেও জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির মামলা করতে পারেনি। দুর্নীতি জি এম কাদেরকে কখনো স্পর্শ করতে পারেনি।’ 

সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মো. সামছুল হক। সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং ঢাকা মহানগরের দক্ষিণের আহ্বায়ক মীর আব্দুস সবুর আসুদ, শেরীফা কাদের, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মমতাজ উদদীন, ইঞ্জিনিয়ার মইনুর রাব্বী চৌধুরী রুম্মন, জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা নুরুল আজহার শামীম, দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলমসহ কেন্দ্রীয় কমিটির অনেক নেতা। অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির অনেক নেতাও উপস্থিত ছিলেন।

ক্যান্সার আক্রান্ত শিশু ফাহিমার খোঁজ নিলেন তারেক রহমান

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৯:৫৭ এএম
আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫, ১০:২২ এএম
ক্যান্সার আক্রান্ত শিশু ফাহিমার খোঁজ নিলেন তারেক রহমান
ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও আমরা বিএনপি পরিবারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামে ব্লাড ক্যান্সার আক্রান্ত শিশু ফাহিমার পিতার হাতে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশু ফাহিমার বাবার হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব ও আমরা বিএনপি পরিবারের প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। 

অসহায় এই পরিবারের সার্বিক খোঁজখবর এবং সংশ্লিষ্টদের কাছে তার পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসার ব্যয় বহনের প্রত্যায় ব্যক্ত করেন তিনি।

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ১১ বছর বয়সী ফাহিমার বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী গুনাগারি ইউনিয়নে। তারা ছয় ভাই-বোন। তার কৃষক বাবা কোনোমতে সংসার চালান। নিজেদের সমস্ত কিছু দিয়ে মেয়ের চিকিৎসা চালানো শুরু করেন। নিজের বসতভিটা ব্যতীত সবকিছু বিক্রি করে দেন। একপর্যায়ে অর্থাভাবে মেয়ের চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যায়। এক ইউটিউবার তাদের নিয়ে একটি প্রতিবেদন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন। তা নজরে আসে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। তারপরই তিনি ‘আমরা বিএনপি পরিবার’কে মেয়েটির খোঁজ-খবর ও চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব নিতে নির্দেশ দেন। এরপর থেকে মেয়েটির চিকিৎসা ব্যয় বহন করছে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’।

প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল, আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, আবুল কাশেম, সংগঠনটির সদস্যসচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি।

এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য রাজীব জাফর চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. শাকিউর রশীদ, মহানগর ছাত্রদলের সদস্যসচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, যুগ্ম-আহ্বায়ক ফখরুল ইসলাম শাহীন, রাজিবুল হক বাপ্পী ও মেডিকেল কলেজ ছাত্রদল নেতা ডা. আহমদুল্লাহ্ চৌধুরী প্লেজার প্রমুখ।

অমিয়/

শাপলা প্রতীক হতে না পারলে ধানের শীষও পারবে না: সারজিস

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫৯ এএম
আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫, ১০:০৫ এএম
শাপলা প্রতীক হতে না পারলে ধানের শীষও পারবে না: সারজিস
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম

শাপলা যদি রাজনৈতিক দলের প্রতীক হতে না পারে, তাহলে ধানের শীষও রাজনৈতিক দলের প্রতীক হতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। 

বুধবার (৯ জুলাই) রাতে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে এই কথা বলেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে সারজিস লেখেন, ‘শাপলা জাতীয় প্রতীক নয়। জাতীয় প্রতীকের একটি অংশ। একইভাবে ধানের শীষ, পাট পাতা এবং তারকাও জাতীয় প্রতীকের অংশ।

শাপলা যদি রাজনৈতিক দলের প্রতীক না হতে পারে তাহলে ধানের শীষও প্রতীক হতে পারবে না। আর যদি জাতীয় প্রতীকের যেকোনো একটি অংশ রাজনৈতিক দলের প্রতীক হতে পারে তাহলে শাপলাও হতে পারবে।

জাতীয় ফুল হিসেবে শাপলার প্রতীক হতে আইনগত বাধা নেই। কারণ জাতীয় ফল কাঁঠাল অলরেডি মার্কা হিসেবে আছে।
আর যদি মার্কা দেখেই ভয় পান তাহলে সেটা আগে থেকেই বলেন!’

এরআগে, বুধবার প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’কে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার তফসিলভুক্ত না করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসি সচিব আখতার আহমেদ একথা জানান। 

এরপরই এই স্ট্যাটাস দিলেন সারজিস আলম।

এদিকে, রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে গত ২২ জুন ইসিতে আবেদন করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আবেদনে শাপলা, মোবাইল ও কলমের মধ্যে একটিকে প্রতীক হিসেবে চেয়েছিল দলটি।

অমিয়/

চাঁদাবাজিতে বাধা, এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১০:২২ পিএম
চাঁদাবাজিতে বাধা, এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ
ছবি:খবরের কাগজ

চাঁদাবাজিতে বাধা দেওয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের শহিদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (৯ জুলাই) রাতে এনসিপির দপ্তর সমন্বয়কারী এম এম শোয়াইব এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। 

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৫ কার্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- মোস্তাকিম, কবীর সুজন, জাবেদ, শাওন, সানী-সহ আরও কয়েকজন। হামলার সময় আহতদের কাছে থাকা মোবাইল, মানিব্যাগ ও নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে এম এম শোয়াইব জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের যোগসাজোশে স্থানীয় একটি চক্র মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট থেকে চাঁদা তুলে আসছিলেন। বৈধ দোকানদারদের দোকান ফিরিয়ে দেওয়া এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানাতে এনসিপির মোহাম্মদপুর থানার প্রতিনিধি মোহাম্মদ মোস্তাকিম, অ্যাডভোকেট লুৎফুল কবির সুজন, জাবেদ, শাওনসহ একটি প্রতিনিধিদল উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল- ৫ কার্যালয়ে যান। সেখানে আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা আওয়ামী লীগের অবৈধ মেয়র আতিকের ঘনিষ্ঠ কুখ্যাত চাঁদাবাজ মাহবুব আলমের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালায়। একটি রুমে আটকে রেখে তাদের হত্যা চেষ্টা করে। পরে আহতদের উদ্ধার করে শহিদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাহবুব আওয়ামী লীগের আমল থেকেই সিটি করপোরেশনে আতিকের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন তদবির ও টেন্ডার বাণিজ্যে তাকে সবসময় দেখা যায়। মোহাম্মদপুর অঞ্চলের ময়লার চাঁদা, ফুটপাতসহ চাঁদাবাজির এক স্বর্গ রাজ্য গড়ে তুলেছে মাহবুব। পাঁচ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এই মাহবুব স্থানীয় প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় তারা এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। 

অবিলম্বে এই সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে এনসিপি। তা না হলে মোহাম্মদপুরবাসীদের নিয়ে চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের বিরুদ্ধে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলার হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

আরিফ সাওন/

বিএসএফের গুলিতে নিহত কৃষকের বাড়িতে নাগরিক পার্টির নেতারা

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫০ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫১ পিএম
বিএসএফের গুলিতে নিহত কৃষকের বাড়িতে নাগরিক পার্টির নেতারা
ছবি: খবরের কাগজ

নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রার নবম দিনে বুধবার (৯ জুলাই) চুয়াডাঙ্গা শহরে পথসভা শেষে দলটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে দলটির নেতারা বিকেল চারটার দিকে দর্শনা ও জীবননগরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। তবে পথিমধ্যে গাড়িবহর হঠাৎ দিক পরিবর্তন করে দামুড়হুদা উপজেলার ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামের দিকে চলে যায়।

সেখানে তারা গিয়ে উপস্থিত হন গত ২ জুলাই চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত কৃষক ইব্রাহিম বাবুর বাড়িতে। ইব্রাহিম বাবুর মরদেহ মৃত্যুর ছয় দিন পর ৮ জুলাই রাতে ভারতীয় পুলিশ বাংলাদেশকে হস্তান্তর করে।

নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে নাগরিক পার্টির নেতারা কিছু সময় কাটান এবং তাদের প্রতি সমবেদনা জানান।

এ সময় দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বিএসএফের গুলিতে নিহত ইব্রাহিম বাবু ভাইয়ের মরদেহ ৬ দিন পর তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমরা তাদের পাশে দাঁড়াতে এসেছি। তার পরিবার এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়েছে। আমরাও চাই, আর কোনো মায়ের বুক যেন খালি না হয়। আমরা গ্রামের সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। ৫ আগস্টের পর থেকে সীমান্তে হত্যা ও নির্যাতন বেড়েছে। বিএসএফ এখন আর কোনো সীমান্তরক্ষী বাহিনী নয়, বরং এটি একটি খুনি বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। সীমান্ত হত্যা নিয়ে আমাদের সবাইকে প্রতিবাদী হতে হবে।’

পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় এনসিপি দল দর্শনা ও জীবননগরের পূর্বনির্ধারিত পথসভা বাতিল করে। পরে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে তারা ঝিনাইদহের উদ্দেশ্যে রওনা হন।

মিজানুর রহমান/সুমন