ঢাকা ১ শ্রাবণ ১৪৩২, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
English

টালবাহানা বাদ দিয়ে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন: আমিনুল হক

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ১০:০১ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ১০:০৩ পিএম
টালবাহানা বাদ দিয়ে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন: আমিনুল হক
শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করেন আমিনুল হক। ছবি: সংগৃহীত

অন্তবর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, টালবাহানা বাদ দিয়ে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলনের সকল রাজনৈতিক দল আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়। অনতিবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন।

মঙ্গলবার (৩ জুন) দিনব্যাপি মিরপুর ১১ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে পল্লবী থানা যুবদল, দোয়ারীপাড়ায় রূপনগর ৯২নং ওয়ার্ড বিএনপি ও ট-ব্লক স্বেচ্ছাসেবকদল রূপনগর থানাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) এর ৪৪ তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে খাবার বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

অন্তবর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে সংস্কার ও নির্বাচন প্রসঙ্গে আমিনুল হক বলেন, আপনারা সংস্কার চান, আমরাও অনেক আগে থেকেই সংস্কার চাই। এদেশের সাধারণ মানুষ সংস্কার চায়। কিন্তু সেটা হতে হবে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকারের অধীনে। কারণ সংস্কার ও বিচারের নামে গত ১০ মাসে এখন পর্যন্ত আপনারা কোনো সংস্কার করতে পারেন নাই। আপনারা এখন পর্যন্ত পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের আইনের আওতায় এনে বিচার করতে পারেন নাই। আপনারা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের কাঙ্ক্ষিত অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারেন নাই।

বাংলাদেশের মানুষের ভিতরে স্থিতিশীল অবস্থা আসেনি ও অস্থিরতা বিরাজ করছে মন্তব্য করে আমিনুল হক বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অবস্থা ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে। তারপরও আমরা আশা করছিলাম পতিত স্বৈরাচার সরকার বাংলাদেশের অর্থনীতিকে যে দূর্বল করে দিয়ে গেছে, এই অন্তবর্তী সরকারের সময়ে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সুদৃঢ় হবে। দূর্বল অর্থনীতিতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। কিন্তু ১০ মাস পার হয়ে গেছে এখনও পর্যন্ত দেশে কোনো বিনিয়োগ আসছে না। বিনিয়োগ না আসার অন্যতম কারণ বাংলাদেশের মানুষের ভিতরে স্থিতিশীলতা আসেনি, মানুষের মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এটার মূল হচ্ছে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। তাই সেই দিক থেকে চিন্তা করলে নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই। সুতরাং আমরা আশা করব, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করে মানুষের ক্ষমতা মানুষের হাতে ফিরিয়ে দেবে। এটাই আমাদের প্রত্যাশা। 

অন্তবর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা শুরু করে দিয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, অন্তবর্তী সরকারের ভিতরে কিছু পতিত আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রকারী, কিছু বিদেশি ষড়যন্ত্রকারী এবং এই অন্তবর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টারা তারা নির্বাচনকে পিছিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করছে। কারণ তারা ক্ষমতার মোহে পড়ে গেছে।  

তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছর ধরে এদেশের সাধারণ মানুষ তারা ভোট দিতে পারেনি। মানুষ ভোট দিতে চায়। ভোটের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে জনকল্যাণে কাজ করবে বলেও তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।  

বিকেলে পল্লবীতে অসুস্থ বিএনপি নেতা মো. হারুনকে দেখতে তার বাসভবনে যান আমিনুল হক। এসময় স্হানীয় বিএনপিও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে ছিলেন।

গোপালগঞ্জকে আবুসাইদগঞ্জ নামকরণের প্রস্তাব রাশেদ প্রধানের

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৮:০৪ পিএম
গোপালগঞ্জকে আবুসাইদগঞ্জ নামকরণের প্রস্তাব রাশেদ প্রধানের
ছবি: সংগৃহীত

গোপালকে দিল্লি পাঠিয়ে গোপালগঞ্জকে আবুসাইদগঞ্জ নামকরণের প্রস্তাব দিয়েছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান।

তিনি বলেন, ‘দিল্লির আশ্বাসে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী শক্তি এখনও আস্ফালন করে। পুলিশ হত্যার বিচারের কথা বলে নিজেরাই পুলিশের উপরে হামলা করে। এই দেশ এখন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী খুনি হাসিনার নয়, এই দেশ এখন মুগ্ধ, ওয়াসিম, আবু সাঈদের।’

জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে ও আগামীর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জাগপার মাসব্যাপী কর্মসূচির ১৬তম দিন ১৬ জুলাই রংপুর পায়রা চত্বরে গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে জাগপা নেতারা প্রথম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে শহিদ আবু সাইদের কবর জিয়ারত করেন।

রাশেদ প্রধান বলেন, ‘গোপালগঞ্জে দফায় দফায় সন্ত্রাসী নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ, পুলিশ, ইউএনও, এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপরে হামলা আবারও প্রমাণ করেছে, আওয়ামী লীগের অপরাজনীতি ছিল দেশের মানুষের বিরুদ্ধে। শহিদ আবু সাঈদের প্রথম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে আমাদের শপথ গ্রহণ করতে হবে। খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের গণহত্যার বিচার, দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার এবং হিন্দুস্তানের আধিপত্যবাদ রুখে দেওয়ার আগে পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলছে চলবে।’

পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, শামীম আকতার পাইলট, ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক শ্যামল চন্দ্র সরকার, যুব জাগপা সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, শ্রমিক জাগপা সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন, পঞ্চগড় জেলা সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার আলম বিপ্লব ও দিনাজপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েস রুপমপ্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সুমন

নির্বাচনি প্রক্রিয়ার বাইরে কোনো পন্থা গ্রহণযোগ্য নয়: মঈন খান

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৬:৪৮ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫৪ পিএম
নির্বাচনি প্রক্রিয়ার বাইরে কোনো পন্থা গ্রহণযোগ্য নয়: মঈন খান
ছবি: খবরের কাগজ

নির্বাচনি প্রক্রিয়ার বাইরে অন্য কোনো পন্থা গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।

বুধবার (জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। গণতন্ত্রে যে উত্তরণ সেই উত্তরণের একটি মাত্র প্রক্রিয়া হচ্ছে, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন, নিরপেক্ষ নির্বাচন। এর বাইরে আর কোনো পন্থা বাংলাদেশে কেনো, সারা বিশ্ব বা অন্য কোথাও জানা নেই। আর যদি কেউ বলে, তারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না, অন্য কোনো পন্থায় তারা এদেশকে পরিচালনা করতে চায়, তাহলে আমাদের পথ আলাদা, তাদের পথ আলাদা। এটা স্পষ্ট করতে হবে, গণতন্ত্রের মুখোস পড়ে কেউ যদি এদেশে স্বৈরতন্ত্র করতে চায়, সেটা বিএনপি হতে দেবে না।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে ক্রমাগত ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কয়েকটি দলের কটূক্তিমূলক বক্তব্য দেওয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মঈন খান বলেন, ‘এদেশে গত কয়েকদিনের যে বিভিন্ন ঘটনা হচ্ছে, সেই ঘটনার মূল্যে কোনো রহস্য রয়েছে, সেই রহস্য আজকে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে উন্মোচিত করতে হবে। আমরা শান্তিপূর্ণ, নিয়মতান্ত্রিক ও সুষ্ঠু রাজনীতিতে বিশ্বাসী।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সমাজ এবং সংস্কৃতিতে যে সব কথা, বাক্য, কটুবাক্য সেগুলো দেশের মানুষ চিরদিন প্রত্যাখান করে এসেছে। যেসব কথা-বার্তা-ভাষা আজকে দেশে যারা প্রকাশ্যে নিয়ে আসে তারা বাংলাদেশকে ভালোবাসে না। তারা বাংলাদেশের সমাজকে ধ্বংস করতে চায়, তারা বাংলাদেশের যে কৃষ্টি সেটাকে ধ্বংস করতে চায়।’

মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে মইন খান বলেন, ‘আমরা এদেশে বড় হয়েছি। আপনারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। আপনারা কী কখনো দেখেছেন যে, বাংলাদেশের প্রকাশ্যে এই ধরণের শব্দ, ভাষা, কটুবাক্য। উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাংলাদেশের ইমেজকে ধ্বংস করার জন্য কারা দায়ী তাদের চিহ্নিত করতে হবে।’ 

এ সময় বর্তমানে দেশজুড়ে যে সহিংসতা-হত্যাকান্ডের মতো ঘটনা ঘটছে, যারা ঘটাচ্ছেন তাদের সঠিক পথে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। যারা বর্তমানে দেশের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করছেন, তাদের শুধু একটা কথাই বলবো যে, আপনারা বাংলাদেশকে ভালোবাসতে শিখুন।’ 

মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, প্রয়াত মশিউর রহমান যাদু মিয়ার মেয়ে বিএনপি নেত্রী রিটা রহমান ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মজিবুর রহমান প্রমুখ। 

শফিকুল ইসলাম/সুমন/

সেনা-পুলিশ পাহারায় গোপালগঞ্জ ছাড়লেন এনসিপি নেতারা

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৬:৩৪ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৬:৩৪ পিএম
সেনা-পুলিশ পাহারায় গোপালগঞ্জ ছাড়লেন এনসিপি নেতারা
ছবি: সংগৃহীত

সেনাবাহিনী ও পুলিশের পাহারায় গোপালগঞ্জ ছেড়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা।

বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৫টার পর গোপালগঞ্জ ছাড়েন তারা।

এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

কড়াপাহাড়ায় তাদের ১৫ থেকে ১৬টি গাড়িবহর গোপালগঞ্জ ছাড়ে। এই বহরে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, আখতার হোসেন, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলমসহ দলের শীর্ষ নেতারা রয়েছেন।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, সেনাবাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় একই এপিসিতে ওঠেন হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম। আখতার হোসেনকে অন্য একটি এপিসিতে উঠতে দেখা গেছে।

এর আগে, এনসিপির সমাবেশস্থল এবং পরে পদযাত্রা ও গাড়িবহরে হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোপালগঞ্জ।

পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) চার প্লাটুন সদস্য।

সালমান/



ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জে মার্চের হুঁশিয়ারি ভিপি নুরের

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৬:১০ পিএম
ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জে মার্চের হুঁশিয়ারি ভিপি নুরের
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জে মার্চের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। 

বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এই হুঁশিয়ারি দেন।

তিনি লিখেন, ‘প্রশাসন যদি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গোপালগঞ্জকে দুর্বৃত্ত ও সন্ত্রাসী লীগ মুক্ত করার কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে আমরা গোপালগঞ্জকে দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসীদের থেকে মুক্ত করতে 'ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ মার্চ' করবো। গোপালগঞ্জবাসীর প্রতিও আমাদের আহ্বান ফ্যাসিবাদ নির্মূল আপনারাও আওয়াজ তুলুন, পুরো বাংলাদেশ আপনাদের পাশে থাকবে।’

তিনি আরও লিখেন, ‘সারা দেশের লীগের দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসীরা গোপালগঞ্জে আস্তানা গেড়েছে । এনসিপির সমাবেশ ও যাত্রাপথে আজকের হামলা প্রমাণ করে ১১ মাসেও এদের মধ্যে ন্যূনতম কোন অনুশোচনাবোধ তৈরি হয়নি। বরং এরা প্রতিশোধপরায়ণ হিংস্র জন্তুতে পরিণত হয়েছে। তাই কথা পরিষ্কার, ফ্যাসিস্ট লীগের প্রশ্নে আর কোনো ছাড় নয়। বিপ্লব ও বিপ্লবীদের সুরক্ষায় ফ্যাসিস্টদের নির্মূল করতেই হবে।’ 

পরবর্তী আরেকটি পোস্টে  গোপালগঞ্জের ঘটনায় সন্ধ্যা ৭টায় পল্টন থেকে মশাল মিছিলেরও ঘোষণাও দেন নুর।

জয়ন্ত সাহা/সুমন/

রাষ্ট্র সুস্থ করতে তারেক রহমানের মতো নেতৃত্বের প্রয়োজন: ড্যাবের সমাবেশে বক্তারা

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫৬ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫৭ পিএম
রাষ্ট্র সুস্থ করতে তারেক রহমানের মতো নেতৃত্বের প্রয়োজন: ড্যাবের সমাবেশে বক্তারা
ছবি: খবরের কাগজ

‘চিকিৎসকরা যখন রাজপথে আসেন, তখন বুঝে নিতে হবে দেশে কিছু একটা গভীর অসংগতি চলছে। মিথ্যাচার, ষড়যন্ত্র আর অপমানের শিকার এই রাষ্ট্রকে সুস্থ করতে হলে তারেক রহমানের মতো নেতৃত্বের প্রয়োজন।’

বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)-এর আয়োজিত এক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কটূক্তি, মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে এবং দেশের সাম্প্রতিক সময়ের পাশবিক হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এ সভার আয়োজন করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যারা মিথ্যাচার করছে, তারা ভুলে গেছে এই দেশ গড়ে উঠছে তার বাবার হাতে। আজ সেই পরিবারের সন্তানকে যারা কালিমালিপ্ত করতে চায়, তাদের ইতিহাস ক্ষমা করবে না। চিকিৎসকদের এই অবস্থান প্রমাণ করে, এখনো বিবেক জাগ্রত আছে। ঘটনা ঘটেছে ৯ তারিখ, আর ভিডিও প্রকাশ হয়েছে ২ দিন পর ১১ তারিখে। একটা অসৎ উদ্দেশ্য তা করেছে। ১১ তারিখে খুলনায় যুবদলের মোল্লা মাহবুবকে গুলি ও রগ কেটে হত্যা করা হয়েছে। রগ কারা কাটে সেইটা বাংলাদেশের মানুষ জানে। চিকিৎসকরা আমাদের নেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কটুক্তির জন্য রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

ড্যাবের বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল শাখা, মহাখালী ডিজি হেলথ কমপ্লেক্স শাখা, এনআইসিভিডি, নিকডু ও এনআইএমএইচ শাখা, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা এ সভার আয়োজন করে। সভা শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল প্রেসক্লাব এলাকা থেকে শুরু হয়ে আশেপাশের এলাকায় প্রদক্ষিণ করে। সভার শুরুতে জুলাই শহিদ দিবসে জুলাই-আগস্ট শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক উপকমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা জেলা ড্যাবের সাবেক সভাপতি ডা. এ বি এম ছফিউল্লাহ। তিনি বলেন, ‘মিথ্যাচার, ষড়যন্ত্র আর অপমানের শিকার এই রাষ্ট্রকে সুস্থ করতে হলে তারেক রহমানের মতো নেতৃত্বের প্রয়োজন।’

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ড্যাবের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ডা. সাইফ উদ্দিন নিসার আহমেদ তুষান এবং ড্যাবের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সাবেক সদস্য ডা. মো. জাভেদ হোসেন।

সভায় বক্তব্য রাখেন ড্যাবের সাবেক উপদেষ্টা ও বিএনপির সহ পরিবাব কল্যাণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রফিকুল কবির লাবু, সাবেক সহ সভাপতি ডা. বজলুল গণি ভূঁইয়া, সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম বাহার, বেগম খালেদা জিয়া মেডিকেল কলেজ ও শহিদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল শাখা ড্যাবের সাবেক সভাপতি ডা. মো. খায়রুল ইসলাম ও সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ডা. হারুন উর রশীদ খান রাকিব প্রমুখ। 

আরিফ সাওন/সুমন/