
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ায় অন্তর্বর্তী সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, ‘এই বাজেটের সঙ্গে শেখ হাসিনার বাজেটের পার্থক্য কী? শেখ হাসিনা কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছিলেন, আপনারাও তা দিয়েছেন। এটা তো অন্তর্বর্তী সরকার, এটা ড. ইউনূসের সরকার। মানুষ জানে এ সরকার সৎ সরকার। এই সরকারের হাত দিয়ে কেন খারাপ কাজ হবে, এটা মানুষ জানতে চায়।’
মঙ্গলবার (৩ জুন) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক অনুষ্ঠানে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনা করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকীতে দুস্থদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ উপলক্ষে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দল।
রিজভী বলেন, ‘যে লুটেরা, ব্যাংক ডাকাতদের কাছে কালোটাকা রয়েছে, তারা যদি ওনার (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) হাত দিয়ে সেই টাকা সাদা করতে পারে এবং যদি স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ অন্যান্য সেক্টর বঞ্চিত হয়, ওই সব খাতে যদি বরাদ্দ না থাকে, সামাজিক সুরক্ষা খাতে যদি বরাদ্দ কম থাকে, তাহলে মানুষের কল্যাণের কী হবে?
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেটের ২৩ শতাংশের ওপরে চলে যাবে শুধু প্রশাসনের বেতনের জন্য। তাহলে গরিব মানুষের জন্য, সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আপনি কী রেখেছেন? লাভের গুড় তো পিঁপড়ায় খেয়ে ফেলছে। তাহলে জনগণের জন্য কী করলেন? আপনি স্বাস্থ্য খাতে, শিক্ষা খাতে বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছেন। বরাদ্দ বেশি দরকার শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে। মানুষের ন্যূনতম স্বাস্থ্যসেবা রাষ্ট্র দেখবে। ড. ইউনূস পৃথিবীব্যাপী অনেক কথা বলেছেন। আজকে যখন তার হাতে ক্ষমতা, তিনি তো গরিব মানুষকে ভালো রাখবেন।’
রিজভী বলেন, ‘দেশের প্রতিটি গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দল ড. ইউনূসকে সমর্থন দিয়েছে। বাজেটে গরিবের জন্য বরাদ্দ নেই। গরিবকে আরও গরিব করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি কমানোর পদক্ষেপ বাজেটে আমরা দেখতে পাচ্ছি না। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাজেটে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর চাপ আরও বাড়বে।’
তাঁতী দলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব মজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ-স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।