ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

প্রয়োজনে ঢাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে শপথের আয়োজন করা হবে: ইশরাক

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ১০:২৭ এএম
প্রয়োজনে ঢাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে শপথের আয়োজন করা হবে: ইশরাক
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন বলেছেন, সরকারের পক্ষ থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে অবিলম্বে তার শপথ গ্রহণের আয়োজনের ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ঢাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়েই শপথের আয়োজন করা হবে।

মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরের পর ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে নগর ভবনে অবস্থান নেওয়া বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় তিনি আরও বলেন, মেয়রের চেয়ারে কে বসবেন তা নির্ধারণ করবেন ঢাকা দক্ষিণের বাসিন্দারা। নগর ভবনে বহিরাগতদের কোনো ঠাঁই হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। একই সঙ্গে ঈদ সামনে রেখে আজ থেকে আন্দোলন স্থগিতের কথাও জানান ইশরাক হোসেন। বলেন, দাবি আদায় না হলে এই ছুটির পর আবারও আন্দোলন করা হবে। সেই আন্দোলন হবে আরও কঠোর।

ইশরাক বলেন, এই নগর ভবনে কোনো বহিরাগত প্রশাসক ও কোনো উপদেষ্টা প্রবেশ করতে পারবেন না। ঈদে নগরবাসীর সেবা নিশ্চিত করা ও জনগণের ভোগান্তি বিবেচনায় নিয়ে আপাতত কর্মসূচি শিথিল করা হয়েছে। সরকার এর মধ্যে শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা করে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিলে জনগণই তাদের মেয়রকে শপথ পড়িয়ে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবেন।

অবিভক্ত ঢাকা সিটির মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক মাস দু-এক আগে আদালতের রায়ে মেয়র হওয়ার সুযোগ পান। এরপর নির্বাচন কমিশন তাকে মেয়র ঘোষণা করলেও আইনি জটিলতার কথা বলে তার শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় সরকার বিভাগ। এ নিয়ে তার সমর্থকরা প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে নগর ভবনে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির সর্বশেষ নির্বাচন হয়। তাতে বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে পৌনে দুই লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র হন আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস। এই নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেননি ইশরাক। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর গত ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল সেই নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে।

এর আগে গতকাল সকাল থেকেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন ঢাকা মহানগরের বাসিন্দারা।

‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে নগর ভবন প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচি শুরু হয়। করপোরেশনের কর্মচারীরাও এতে অংশ নেন। কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিক্ষোভকারীরা বলেন, আদালতের রায়ের পরও ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ানোর কারণে পরিষ্কার হলো যে অন্তর্বর্তী সরকার আসলে নিরপেক্ষ নয়। তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

এদিকে নগর ভবনের মূল ফটকে ১৫ মে থেকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। এতে কার্যত বন্ধ হয়ে আছে সিটি করপোরেশনের সব ধরনের দৈনন্দিন সেবা কার্যক্রম। বন্ধ হয়ে আছে হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স, জন্মনিবন্ধনসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা।

বিএসএফের গুলিতে নিহত কৃষকের বাড়িতে নাগরিক পার্টির নেতারা

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫০ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫১ পিএম
বিএসএফের গুলিতে নিহত কৃষকের বাড়িতে নাগরিক পার্টির নেতারা
ছবি: খবরের কাগজ

নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রার নবম দিনে বুধবার (৯ জুলাই) চুয়াডাঙ্গা শহরে পথসভা শেষে দলটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে দলটির নেতারা বিকেল চারটার দিকে দর্শনা ও জীবননগরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। তবে পথিমধ্যে গাড়িবহর হঠাৎ দিক পরিবর্তন করে দামুড়হুদা উপজেলার ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামের দিকে চলে যায়।

সেখানে তারা গিয়ে উপস্থিত হন গত ২ জুলাই চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত কৃষক ইব্রাহিম বাবুর বাড়িতে। ইব্রাহিম বাবুর মরদেহ মৃত্যুর ছয় দিন পর ৮ জুলাই রাতে ভারতীয় পুলিশ বাংলাদেশকে হস্তান্তর করে।

নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে নাগরিক পার্টির নেতারা কিছু সময় কাটান এবং তাদের প্রতি সমবেদনা জানান।

এ সময় দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বিএসএফের গুলিতে নিহত ইব্রাহিম বাবু ভাইয়ের মরদেহ ৬ দিন পর তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমরা তাদের পাশে দাঁড়াতে এসেছি। তার পরিবার এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়েছে। আমরাও চাই, আর কোনো মায়ের বুক যেন খালি না হয়। আমরা গ্রামের সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। ৫ আগস্টের পর থেকে সীমান্তে হত্যা ও নির্যাতন বেড়েছে। বিএসএফ এখন আর কোনো সীমান্তরক্ষী বাহিনী নয়, বরং এটি একটি খুনি বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। সীমান্ত হত্যা নিয়ে আমাদের সবাইকে প্রতিবাদী হতে হবে।’

পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় এনসিপি দল দর্শনা ও জীবননগরের পূর্বনির্ধারিত পথসভা বাতিল করে। পরে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে তারা ঝিনাইদহের উদ্দেশ্যে রওনা হন।

মিজানুর রহমান/সুমন

নৌকার এজেন্ট লক্ষ্মীপুর ছাত্রদলের সভাপতি  প্রার্থী, কলেজ সভাপতির নেই ছাত্রত্ব

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:০৮ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:১৪ পিএম
নৌকার এজেন্ট লক্ষ্মীপুর ছাত্রদলের সভাপতি  প্রার্থী, কলেজ সভাপতির নেই ছাত্রত্ব
লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি হাসিবুর রহমান অভি (বামে) এবং জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল খালেদ। ছবি: সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুর-২ আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থী অ্যাডভোকেট নূর উদ্দীন চৌধুরী নয়নের পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল খালেদের বিরুদ্ধে। বর্তমানে তিনি লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি পদ পেতে লবিং-তদবির চালাচ্ছেন। তার বয়স প্রায় ৪০ বছর, নেই ছাত্রত্বও।

আর লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি হাসিবুর রহমান অভির বিরুদ্ধেও মাদক সংশ্লিষ্টসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। তারও ছাত্রত্ব নেই। অভি বর্তমানে জেলা ছাত্রদলের বড় পদ পেতে তদবির শুরু করেছেন। এনিয়ে জেলা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ-অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। 

স্থানীয় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘আব্দুল্লাহ আল খালেদ জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি পদ থাকলেও বিগত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী ছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূর উদ্দীন চৌধুরী নয়ন এমপির সঙ্গে তার গভীর সখ্যতা ছিল। ২০২১ সালের উপনির্বাচনে দালাল বাজার ইউনিয়নের মহেদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নয়ন এমপির পোলিং এজেন্ট হিসেবে খালেদ দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আওয়ামী বিরোধী কোনো আন্দোলন সংগ্রামে তার উপস্থিত ছিল না।’ 

জানা গেছে, জাতীয় পরিচয় পত্রে আব্দুল্লাহ আল খালেদের জন্ম ১৯৮৬ সালের পহেলা জানুয়ারি। ২০০৩ সালে তিনি এসএসসি পরীক্ষা দেন। ২০১৬ সালে মাস্টার্স শেষ করে শিক্ষাজীবন শেষ করেছেন। ৪০ বছর বয়সে এসে জেলা ছাত্রদলের প্রার্থী হতে তদবির-লবিং চালাচ্ছেন। 

জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল খালেদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘তার জন্ম ১৯৮৮ সালে, ভুলক্রমে এনআইডিতে ১৯৮৬ সাল চলে আসছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে আমি ‘ল’ করছি। তিনি বলেন, আমি ব্যাংকের চাকরি করতাম। তখন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। কোনো এমপির প্রার্থী হয়ে নয়।’

লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি হাসিবুর রহমান অভি এলাকায় মাদক ব্যবসার সঙ্গে  জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জানান, অভি ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে জেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন টিপু এবং পৌর ৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি জয় রকির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তিনি দিনে বিএনপি, রাতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর লক্ষ্মীপুর থেকে পালিয়ে যান সালাহউদ্দিন টিপু। এলাকা ছাড়ার আগের দিনও টিপু ছাত্র-জনতার উপরে গুলি চালায়। টিপু এলাকা ছাড়ার পর লক্ষ্মীপুরের ইয়াবা ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ চলে যায় ছাত্রদল নেতা অভির হাতে। বর্তমানে তার হাতেই ইয়াবা ব্যবসা সিন্ডিকেট। অভির বিরুদ্ধে এত অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও জেলা ছাত্রদল কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। 

ইতোমধ্যে অভির মাদক সেবনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, অভি প্রকাশ্য পৌর ৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি জয় রকির সঙ্গে রুমে বসে মাদক সেবন করছেন। পাশাপাশি তারা ইয়াবা ও গাজা সেবন করতে দেখা যায়। 

অভিযোগের বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি হাসিবুর রহমান অভি খবরের কাগজকে বলেন, ‘জেলা কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে সম্পূর্ণ প্রতিহিংসার কারণে একটি গ্রুপ এসব রটাচ্ছে। তিনি কখনো ইয়াবা ধরেননি। রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার।’

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছরের মধ্যে লক্ষীপুরে যুবলীগ বা ছাত্রলীগের সঙ্গে আমি সমঝোতা করেনি। প্রতিটি মামলার আসামি ছিলাম এবং কারাগারে ছিলাম।’

লক্ষ্মীপুর জেলার ছাত্রদলের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রিয়াদ সত্য স্বীকার করে বলেন, ‘অভির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হয়ে তাকে বহিষ্কার করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘২০২১ সালের কমিটি দিয়ে চলছে কলেজ ছাত্রদল। তার ছাত্রত্ব নাও থাকতে পারে। নতুন কমিটি গঠনের কাজ চলছে।’

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির খবরের কাগজকে বলেন, ‘লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদলের কমিটি গঠন নিয়ে এখনো সেভাবে কাজ শুরু হয়নি। কমিটি গঠনের আগে যাচাই-বাছাই করা হবে। জেলার যারা অভিভাবক রয়েছেন, তাদের সঙ্গে প্রার্থীদের বয়সসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘অভির বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শফিকুল ইসলাম/সুমন/

আগামী নির্বাচনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের ঘোষণা ড্যাব নেতাদের

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫০ পিএম
আগামী নির্বাচনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের ঘোষণা ড্যাব নেতাদের
ছবি: সংগৃহীত

আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে বিজয়ী করতে রাজপথে থেকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের ঘোষণা দিয়েছেন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)-এর নেতারা। 

বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর চারটি হাসপাতালের নেতারা এক মতবিনিময় সভায় এই ঘোষণা দেন। একইসঙ্গে ড্যাবের নির্বাচনেও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তারা।

ড্যাবের আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে নিটোর (পঙ্গু হাসপাতাল), জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, জাতীয় নিউরোসাইন্স ইনস্টিটিউট এবং শিশু হাসপাতালের জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী চিকিৎসকদের উদ্যোগে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

নিটোরের আর জে গারস্থ হলে অনুষ্ঠিত সভায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রায় চার শতাধিক চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ সর্বস্তরের চিকিৎসকদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি সভাকে পরিণত করে এক মিলনমেলায়।

সভায় নেতারা বর্তমান প্রেক্ষাপটে চিকিৎসকদের অধিকার, সংগঠনের কাঠামোগত সমস্যা, ভোটার তালিকার বৈষম্য, কর্মপরিবেশ এবং আগামীর রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল শাখার সাবেক সভাপতি এবং ড্যাবের সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. খায়রুল ইসলাম। সভা যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন ড্যাবের শিশু হাসপাতাল শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. এম এ কামাল ও ডা. জাভেদ হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় শিশু হাসপাতালের ড্যাব শাখার সভাপতি ডা. মো. আজহারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘সদ্যবিদায়ী ড্যাব কমিটি অগণতান্ত্রিকভাবে বহু যোগ্য ও পরীক্ষিত জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। অবিলম্বে বঞ্চিত চিকিৎসকদের নাম পুনঃঅন্তর্ভুক্ত করে পূর্ণাঙ্গ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে। এ বিষয়ে চিকিৎসক সমাজ কোনো ছাড় দেবে না।’ 

ডা. এম এ কামাল বলেন, ‘তারেক রহমানের প্রজ্ঞাপূর্ণ ভিশনের আলোকে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো এখন সময়ের দাবি।’ 

পাশাপাশি তিনি ভোটার তালিকা পুনর্গঠনের ওপর জোর দেন এবং বলেন, ‘ভোটার তালিকা অবশ্যই নির্ভুল ও নিরপেক্ষ হতে হবে। চিকিৎসকদের আত্মমর্যাদা ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় এটা জরুরি।’

সাওন/সালমান/

ভারতের পরিকল্পনায় সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এনবিআর: রাশেদ প্রধান

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৬:৪৯ পিএম
ভারতের পরিকল্পনায় সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এনবিআর: রাশেদ প্রধান
ছবি: খবরের কাগজ

ভারতের পরিকল্পনা এবং ইন্ধনে অন্তর্বর্তী সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান।

তিনি বলেন, ‘এনবিআর সংস্কার অধ্যাদেশের বিরোধীতার অজুহাতে ৬১ দিন আন্দোলন, কমপ্লিট শাট ডাউন, সরকারের বদলি আদেশ ছিঁড়ে ফেলার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। খালি চোখে সাধারণ আন্দোলন মনে হলেও এটা ছিল ভারতের ইন্ধনে অন্তর্বর্তী সরকার উৎখাতের গভীর ষড়যন্ত্র। শুধু চিহ্নিত আন্দোলনকারী নয় বরং এনবিআর-এর উপর মহল থেকে সবার বিরুদ্ধে সরকারের তদন্ত করা উচিত।’ 

জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে, আগামীর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জাগপা’র মাসব্যাপী কর্মসূচির ৯ম দিন বুধবার (৯ জুলাই) বরিশালের টাউন হল, হাতেম আলি কলেজ চৌমাথা এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ শেষে পথসভার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

রাশেদ প্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশকে ভারতের করদ রাজ্য বানানোর লক্ষ্যে হিন্দুস্থান যে কোনো মূল্যে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার গদি ফেরত চায়।  এজন্য ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ এবং ভারতের পরাজয়ের পর থেকে দেশে একের পর এক ষড়যন্ত্র চলছে। অন্তর্বর্তী সরকার এবং দেশের জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে। নতুন বাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদ এবং আওয়ামী লীগের অপরাজনীতি চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে।’ 

গণসংযোগে শেষে পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাগপা প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক শ্যামল চন্দ্র সরকার, যুব জাগপা সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক ওলিউল আনোয়ার, শ্রমিক জাগপা সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন, জাগপা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক জীবন আহমেদ অভি, বরিশাল জাগপা নেতা আব্দুল জলিল খাঁ, নান্নু হাওলাদার, মো. মনির হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মো. মাহফুজ গাজী ও মো. লাল মিয়া প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সুমন/

২৫ জুনেই জাপার পথচলার ফয়সালা হয়ে গেছে: শামীম হায়দার

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৬:৩৭ পিএম
২৫ জুনেই জাপার পথচলার ফয়সালা হয়ে গেছে: শামীম হায়দার
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির নবনিযুক্ত মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির (জাপা) নবনিযুক্ত মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা সব সময় জাতীয় পার্টির সঙ্গেই ছিল। তারা কখনো জাতীয় পার্টির মূল স্রোতের বাইরে যায়নি। গেল ২৫ জুন জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা ঢাকায় এসে জাপা চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন প্রকাশ করেছেন। সেই দিনই জাতীয় পার্টির আগামী দিনের পথচলার ফয়সালা হয়ে গেছে।

বুধবার (৯ জুলাই) জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তরের নেতা-কর্মীরা এই নবনিযুক্ত মহাসচিবকে সংবর্ধনা দিয়েছে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘দলের কর্তৃত্ব নিয়ে নানা টানাপোড়েনের মধ্যে জাতীয় পার্টির তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন। তারা দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকেই ফের নেতৃত্বে দেখতে চান।’

নবনিযুক্ত মহাসচিব বলেন, ‘জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে যতবার ষড়যন্ত্র হয়েছে, ততবারই তিনি সততার শক্তিতে স্বমহিমায় ঘুরে দাঁড়িয়েছেন।’

তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা জি এম কাদেরের ‘মূল শক্তি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালে অনেকেই বলেছিলেন এরশাদের মৃত্যুর পর আর জাতীয় পার্টি টিকবে না। শ্রম ও মেধা দিয়ে জি এম কাদের জাতীয় পার্টিকে শক্ত ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এমন বাস্তবতায় যদি কেউ কেউ বলেন, জিএম কাদেরকে অব্যাহতি দিয়ে দেবেন এটা শুধুই হাস্যকর।’

জাপা থেকে বহিষ্কারের পর ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ অভিযোগ করেছেন, কাউন্সিলে হেরে যাওয়ার ভয়ে জি এম কাদের জাপার দশম জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনের আয়োজন করতে চাইছেন না। এর জবাবে জাপার নবনিযুক্ত মহাসচিব বলেন, ‘কাউন্সিলে কারা থাকবেন? তৃণমূল নেতা-কর্মীরাই তো থাকবেন। তৃণমূল নেতা-কর্মী ঐক্যবদ্ধভাবে জিএম কাদেরের পাশে আছেন। আর কাউন্সিলে জি এম কাদেরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো প্রার্থী কে আছেন?’

জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগের জবাবও দিয়েছেন শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি বলেন, ‘গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের সততা ও স্বচ্ছতা জাজ্বল্যমান। পাঁচ বছর গুরুত্বপূর্ণ ২টি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন তিনি। তখন তার বিরুদ্ধে কেউ একটি দুর্নীতির অভিযোগও আনতে পারেননি। আওয়ামী লীগ সরকার বারবার চেষ্টা করেও জি এম কাদেরের  বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির মামলা করতে পারেনি। দুর্নীতি জি এম কাদেরকে কখনো স্পর্শ করতে পারেনি।’ 

সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মো. সামছুল হক। সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগরের দক্ষিণের আহ্বায়ক মীর আব্দুস সবুর আসুদ, শেরীফা কাদের, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মমতাজ উদদীন, ইঞ্জিনিয়ার মইনুর রাব্বী চৌধুরী রুম্মন, জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা নুরুল আজহার শামীম, দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলমসহ কেন্দ্রীয় কমিটির অনেক নেতা। অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির অনেক নেতাও উপস্থিত ছিলেন।

জয়ন্ত/সালমান/