ঢাকা ২৬ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২

প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জিত হবে না, কমবে না মূল্যস্ফীতি

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০১:০৮ পিএম
আপডেট: ০৪ জুন ২০২৫, ০১:১০ পিএম
প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জিত হবে না, কমবে না মূল্যস্ফীতি
খবরের কাগজ ইনফো

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনায় ৫ দশমিক ৫ শতাংশ মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। 

মঙ্গলবার (৩ মে) তাদের কেউ সংবাদ সম্মেলন করে, কেউ গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনা নিয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানান।

সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থ উপদেষ্টা।

তিনি বাজেট বক্তৃতায় বলেন, ‘আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে এবং মধ্য মেয়াদে ৬ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত হবে বলে আমরা আশা করছি।’

অন্যদিকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামার আশা করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর এ প্রত্যাশার কথা বলেন।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেন, ‘এই বাজেটের প্রবৃদ্ধি নিম্নগামী। প্রবৃদ্ধি নিম্নগামী হলে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা সম্ভব হবে না, স্বাভাবিক ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাহত হবে এবং কম রাজস্ব আদায় হবে। মূল্যস্ফীতির হার ৬ দশমিক ৫ শতাংশ ধরা হয়েছে। এপ্রিল পর্যন্ত এই হার ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ পর্যন্ত আনা সম্ভব হয়েছে। সামনের দিকে মূল্যস্ফীতির হার কমবে এমন কোনো লক্ষণ আমরা দেখছি না।’

প্রবৃদ্ধির নিম্নগামী অবস্থানের কারণে কর্মসংস্থান ও ব্যবসা-বাণিজ্যের মন্দাভাব দেখা দেবে বলে আশঙ্কা করে তিনি বলেন, ‘প্রাক্কলিত মূল্যস্ফীতি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবসম্মত নয়। মূল্যস্ফীতির লাগাম টানা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। ফলে সাধারণ মানুষ দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর অবস্থায় পৌঁছাবে।’

বর্তমান বাজেট ‘বাস্তবায়নযোগ্য নয়’ উল্লেখ করে জি এম কাদের আরও বলেন, ‘রাজস্ব আহরণের যে লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে, তা অবাস্তব বা কাছাকাছি যাওয়াও সম্ভব নয় বর্তমান প্রেক্ষাপটে। যতদিন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না আসে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়, ততদিন বিদেশি ঋণ বা সাহায্য পাওয়া নিয়েও সংশয় আছে। ফলে বাজেট ঘাটতির আকার অনেক বড় হবে।’ 

প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বৈষম্য দূর করার কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ না থাকায় দেশে বেকারত্ব ও দারিদ্র্য আরও বাড়বে।’ বাম জোট নেতারা বলেন, ‘এই বাজেটে বৈষম্যহীনতা ও টেকসই উন্নয়ন ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা বলা হলেও বাস্তবে মুক্তবাজারের পুরোনো ধারাবাহিকতার পুনরাবৃত্তি ঘটানো হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেট বৈষম্য, বেকারত্ব, মূল্যস্ফীতি, বিনিয়োগসংকট কোনোটাই মোকাবিলা করতে পারবে না।’

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ ও মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রস্তাবিত ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেটে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি এবং ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকার সুদ পরিশোধের বোঝা রয়েছে। স্পষ্টত এ বোঝা তথা করের চাপ পড়বে জনগণের ওপর।’
 
উচ্চ মূল্যস্ফীতির বাস্তবতায় ব্যক্তি করদাতাদের করমুক্ত সীমা না বাড়ানো এবং ই-কমার্সসহ বিভিন্ন খাতে কর বৃদ্ধির প্রস্তাব সরাসরি সাধারণ মানুষের জীবনকে আরও দুর্বিষহ করে তুলবে বলে মন্তব্য করেন খেলাফত মজলিসের নেতারা।

চাঁদাবাজিতে বাধা, এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১০:২২ পিএম
চাঁদাবাজিতে বাধা, এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ
ছবি:খবরের কাগজ

চাঁদাবাজিতে বাধা দেওয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের শহিদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (৯ জুলাই) রাতে এনসিপির দপ্তর সমন্বয়কারী এম এম শোয়াইব এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। 

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৫ কার্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- মোস্তাকিম, কবীর সুজন, জাবেদ, শাওন, সানী-সহ আরও কয়েকজন। হামলার সময় আহতদের কাছে থাকা মোবাইল, মানিব্যাগ ও নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে এম এম শোয়াইব জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের যোগসাজোশে স্থানীয় একটি চক্র মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট থেকে চাঁদা তুলে আসছিলেন। বৈধ দোকানদারদের দোকান ফিরিয়ে দেওয়া এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানাতে এনসিপির মোহাম্মদপুর থানার প্রতিনিধি মোহাম্মদ মোস্তাকিম, অ্যাডভোকেট লুৎফুল কবির সুজন, জাবেদ, শাওনসহ একটি প্রতিনিধিদল উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল- ৫ কার্যালয়ে যান। সেখানে আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা আওয়ামী লীগের অবৈধ মেয়র আতিকের ঘনিষ্ঠ কুখ্যাত চাঁদাবাজ মাহবুব আলমের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালায়। একটি রুমে আটকে রেখে তাদের হত্যা চেষ্টা করে। পরে আহতদের উদ্ধার করে শহিদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাহবুব আওয়ামী লীগের আমল থেকেই সিটি করপোরেশনে আতিকের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন তদবির ও টেন্ডার বাণিজ্যে তাকে সবসময় দেখা যায়। মোহাম্মদপুর অঞ্চলের ময়লার চাঁদা, ফুটপাতসহ চাঁদাবাজির এক স্বর্গ রাজ্য গড়ে তুলেছে মাহবুব। পাঁচ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এই মাহবুব স্থানীয় প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় তারা এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। 

অবিলম্বে এই সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে এনসিপি। তা না হলে মোহাম্মদপুরবাসীদের নিয়ে চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের বিরুদ্ধে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলার হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

আরিফ সাওন/

বিএসএফের গুলিতে নিহত কৃষকের বাড়িতে নাগরিক পার্টির নেতারা

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫০ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫১ পিএম
বিএসএফের গুলিতে নিহত কৃষকের বাড়িতে নাগরিক পার্টির নেতারা
ছবি: খবরের কাগজ

নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রার নবম দিনে বুধবার (৯ জুলাই) চুয়াডাঙ্গা শহরে পথসভা শেষে দলটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে দলটির নেতারা বিকেল চারটার দিকে দর্শনা ও জীবননগরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। তবে পথিমধ্যে গাড়িবহর হঠাৎ দিক পরিবর্তন করে দামুড়হুদা উপজেলার ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামের দিকে চলে যায়।

সেখানে তারা গিয়ে উপস্থিত হন গত ২ জুলাই চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত কৃষক ইব্রাহিম বাবুর বাড়িতে। ইব্রাহিম বাবুর মরদেহ মৃত্যুর ছয় দিন পর ৮ জুলাই রাতে ভারতীয় পুলিশ বাংলাদেশকে হস্তান্তর করে।

নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে নাগরিক পার্টির নেতারা কিছু সময় কাটান এবং তাদের প্রতি সমবেদনা জানান।

এ সময় দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বিএসএফের গুলিতে নিহত ইব্রাহিম বাবু ভাইয়ের মরদেহ ৬ দিন পর তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমরা তাদের পাশে দাঁড়াতে এসেছি। তার পরিবার এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়েছে। আমরাও চাই, আর কোনো মায়ের বুক যেন খালি না হয়। আমরা গ্রামের সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। ৫ আগস্টের পর থেকে সীমান্তে হত্যা ও নির্যাতন বেড়েছে। বিএসএফ এখন আর কোনো সীমান্তরক্ষী বাহিনী নয়, বরং এটি একটি খুনি বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। সীমান্ত হত্যা নিয়ে আমাদের সবাইকে প্রতিবাদী হতে হবে।’

পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় এনসিপি দল দর্শনা ও জীবননগরের পূর্বনির্ধারিত পথসভা বাতিল করে। পরে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে তারা ঝিনাইদহের উদ্দেশ্যে রওনা হন।

মিজানুর রহমান/সুমন

নৌকার এজেন্ট লক্ষ্মীপুর ছাত্রদলের সভাপতি  প্রার্থী, কলেজ সভাপতির নেই ছাত্রত্ব

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:০৮ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:১৪ পিএম
নৌকার এজেন্ট লক্ষ্মীপুর ছাত্রদলের সভাপতি  প্রার্থী, কলেজ সভাপতির নেই ছাত্রত্ব
লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি হাসিবুর রহমান অভি (বামে) এবং জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল খালেদ। ছবি: সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুর-২ আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থী অ্যাডভোকেট নূর উদ্দীন চৌধুরী নয়নের পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল খালেদের বিরুদ্ধে। বর্তমানে তিনি লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি পদ পেতে লবিং-তদবির চালাচ্ছেন। তার বয়স প্রায় ৪০ বছর, নেই ছাত্রত্বও।

আর লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি হাসিবুর রহমান অভির বিরুদ্ধেও মাদক সংশ্লিষ্টসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। তারও ছাত্রত্ব নেই। অভি বর্তমানে জেলা ছাত্রদলের বড় পদ পেতে তদবির শুরু করেছেন। এনিয়ে জেলা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ-অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। 

স্থানীয় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘আব্দুল্লাহ আল খালেদ জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি পদ থাকলেও বিগত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী ছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূর উদ্দীন চৌধুরী নয়ন এমপির সঙ্গে তার গভীর সখ্যতা ছিল। ২০২১ সালের উপনির্বাচনে দালাল বাজার ইউনিয়নের মহেদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নয়ন এমপির পোলিং এজেন্ট হিসেবে খালেদ দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আওয়ামী বিরোধী কোনো আন্দোলন সংগ্রামে তার উপস্থিত ছিল না।’ 

জানা গেছে, জাতীয় পরিচয় পত্রে আব্দুল্লাহ আল খালেদের জন্ম ১৯৮৬ সালের পহেলা জানুয়ারি। ২০০৩ সালে তিনি এসএসসি পরীক্ষা দেন। ২০১৬ সালে মাস্টার্স শেষ করে শিক্ষাজীবন শেষ করেছেন। ৪০ বছর বয়সে এসে জেলা ছাত্রদলের প্রার্থী হতে তদবির-লবিং চালাচ্ছেন। 

জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল খালেদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘তার জন্ম ১৯৮৮ সালে, ভুলক্রমে এনআইডিতে ১৯৮৬ সাল চলে আসছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে আমি ‘ল’ করছি। তিনি বলেন, আমি ব্যাংকের চাকরি করতাম। তখন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। কোনো এমপির প্রার্থী হয়ে নয়।’

লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি হাসিবুর রহমান অভি এলাকায় মাদক ব্যবসার সঙ্গে  জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জানান, অভি ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে জেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন টিপু এবং পৌর ৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি জয় রকির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তিনি দিনে বিএনপি, রাতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর লক্ষ্মীপুর থেকে পালিয়ে যান সালাহউদ্দিন টিপু। এলাকা ছাড়ার আগের দিনও টিপু ছাত্র-জনতার উপরে গুলি চালায়। টিপু এলাকা ছাড়ার পর লক্ষ্মীপুরের ইয়াবা ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ চলে যায় ছাত্রদল নেতা অভির হাতে। বর্তমানে তার হাতেই ইয়াবা ব্যবসা সিন্ডিকেট। অভির বিরুদ্ধে এত অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও জেলা ছাত্রদল কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। 

ইতোমধ্যে অভির মাদক সেবনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, অভি প্রকাশ্য পৌর ৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি জয় রকির সঙ্গে রুমে বসে মাদক সেবন করছেন। পাশাপাশি তারা ইয়াবা ও গাজা সেবন করতে দেখা যায়। 

অভিযোগের বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি হাসিবুর রহমান অভি খবরের কাগজকে বলেন, ‘জেলা কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে সম্পূর্ণ প্রতিহিংসার কারণে একটি গ্রুপ এসব রটাচ্ছে। তিনি কখনো ইয়াবা ধরেননি। রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার।’

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছরের মধ্যে লক্ষীপুরে যুবলীগ বা ছাত্রলীগের সঙ্গে আমি সমঝোতা করেনি। প্রতিটি মামলার আসামি ছিলাম এবং কারাগারে ছিলাম।’

লক্ষ্মীপুর জেলার ছাত্রদলের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রিয়াদ সত্য স্বীকার করে বলেন, ‘অভির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হয়ে তাকে বহিষ্কার করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘২০২১ সালের কমিটি দিয়ে চলছে কলেজ ছাত্রদল। তার ছাত্রত্ব নাও থাকতে পারে। নতুন কমিটি গঠনের কাজ চলছে।’

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির খবরের কাগজকে বলেন, ‘লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদলের কমিটি গঠন নিয়ে এখনো সেভাবে কাজ শুরু হয়নি। কমিটি গঠনের আগে যাচাই-বাছাই করা হবে। জেলার যারা অভিভাবক রয়েছেন, তাদের সঙ্গে প্রার্থীদের বয়সসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘অভির বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শফিকুল ইসলাম/সুমন/

আগামী নির্বাচনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের ঘোষণা ড্যাব নেতাদের

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫০ পিএম
আগামী নির্বাচনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের ঘোষণা ড্যাব নেতাদের
ছবি: সংগৃহীত

আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে বিজয়ী করতে রাজপথে থেকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের ঘোষণা দিয়েছেন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)-এর নেতারা। 

বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর চারটি হাসপাতালের নেতারা এক মতবিনিময় সভায় এই ঘোষণা দেন। একইসঙ্গে ড্যাবের নির্বাচনেও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তারা।

ড্যাবের আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে নিটোর (পঙ্গু হাসপাতাল), জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, জাতীয় নিউরোসাইন্স ইনস্টিটিউট এবং শিশু হাসপাতালের জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী চিকিৎসকদের উদ্যোগে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

নিটোরের আর জে গারস্থ হলে অনুষ্ঠিত সভায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রায় চার শতাধিক চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ সর্বস্তরের চিকিৎসকদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি সভাকে পরিণত করে এক মিলনমেলায়।

সভায় নেতারা বর্তমান প্রেক্ষাপটে চিকিৎসকদের অধিকার, সংগঠনের কাঠামোগত সমস্যা, ভোটার তালিকার বৈষম্য, কর্মপরিবেশ এবং আগামীর রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল শাখার সাবেক সভাপতি এবং ড্যাবের সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. খায়রুল ইসলাম। সভা যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন ড্যাবের শিশু হাসপাতাল শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. এম এ কামাল ও ডা. জাভেদ হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় শিশু হাসপাতালের ড্যাব শাখার সভাপতি ডা. মো. আজহারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘সদ্যবিদায়ী ড্যাব কমিটি অগণতান্ত্রিকভাবে বহু যোগ্য ও পরীক্ষিত জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। অবিলম্বে বঞ্চিত চিকিৎসকদের নাম পুনঃঅন্তর্ভুক্ত করে পূর্ণাঙ্গ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে। এ বিষয়ে চিকিৎসক সমাজ কোনো ছাড় দেবে না।’ 

ডা. এম এ কামাল বলেন, ‘তারেক রহমানের প্রজ্ঞাপূর্ণ ভিশনের আলোকে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো এখন সময়ের দাবি।’ 

পাশাপাশি তিনি ভোটার তালিকা পুনর্গঠনের ওপর জোর দেন এবং বলেন, ‘ভোটার তালিকা অবশ্যই নির্ভুল ও নিরপেক্ষ হতে হবে। চিকিৎসকদের আত্মমর্যাদা ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় এটা জরুরি।’

সাওন/সালমান/

ভারতের পরিকল্পনায় সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এনবিআর: রাশেদ প্রধান

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৬:৪৯ পিএম
ভারতের পরিকল্পনায় সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এনবিআর: রাশেদ প্রধান
ছবি: খবরের কাগজ

ভারতের পরিকল্পনা এবং ইন্ধনে অন্তর্বর্তী সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান।

তিনি বলেন, ‘এনবিআর সংস্কার অধ্যাদেশের বিরোধীতার অজুহাতে ৬১ দিন আন্দোলন, কমপ্লিট শাট ডাউন, সরকারের বদলি আদেশ ছিঁড়ে ফেলার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। খালি চোখে সাধারণ আন্দোলন মনে হলেও এটা ছিল ভারতের ইন্ধনে অন্তর্বর্তী সরকার উৎখাতের গভীর ষড়যন্ত্র। শুধু চিহ্নিত আন্দোলনকারী নয় বরং এনবিআর-এর উপর মহল থেকে সবার বিরুদ্ধে সরকারের তদন্ত করা উচিত।’ 

জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে, আগামীর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জাগপা’র মাসব্যাপী কর্মসূচির ৯ম দিন বুধবার (৯ জুলাই) বরিশালের টাউন হল, হাতেম আলি কলেজ চৌমাথা এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ শেষে পথসভার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

রাশেদ প্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশকে ভারতের করদ রাজ্য বানানোর লক্ষ্যে হিন্দুস্থান যে কোনো মূল্যে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার গদি ফেরত চায়।  এজন্য ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ এবং ভারতের পরাজয়ের পর থেকে দেশে একের পর এক ষড়যন্ত্র চলছে। অন্তর্বর্তী সরকার এবং দেশের জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে। নতুন বাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদ এবং আওয়ামী লীগের অপরাজনীতি চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে।’ 

গণসংযোগে শেষে পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাগপা প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক শ্যামল চন্দ্র সরকার, যুব জাগপা সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক ওলিউল আনোয়ার, শ্রমিক জাগপা সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন, জাগপা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক জীবন আহমেদ অভি, বরিশাল জাগপা নেতা আব্দুল জলিল খাঁ, নান্নু হাওলাদার, মো. মনির হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মো. মাহফুজ গাজী ও মো. লাল মিয়া প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সুমন/