ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

এনসিপির আর্থিক নীতিমালা চূড়ান্ত, ‘ক্রাউড ফান্ডিং’ শুরু

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৯:৫১ পিএম
এনসিপির আর্থিক নীতিমালা চূড়ান্ত, ‘ক্রাউড ফান্ডিং’ শুরু
বাংলামোটরে দলের কার্যালয়ে ‘এনসিপির আর্থিক নীতিমালা ঘোষণা ও ক্রাউড ফান্ডিং কার্যক্রম’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত দলের নেতারা। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আর্থিক ও তহবিল পরিচালনার নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে। একই সঙ্গে দলের তহবিল সংগ্রহে অনলাইন গণচাঁদার (ক্রাউড ফান্ডিং) কার্যক্রম শুরু করেছে। বুধবার (৪ জুন) রাজধানীর বাংলামোটরে ‘এনসিপির আর্থিক নীতিমালা ঘোষণা ও ক্রাউড ফান্ডিং কার্যক্রম’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘জুলাই বিপ্লবের পর থেকে দেশের আপামর জনতা এনসিপিকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করতে চেয়েছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই অনুদান গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা অনলাইন ও অফলাইনে একটা ক্রাউড ফান্ডিংয়ের দিকে যাচ্ছি যে ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে আমরা দলের কার্যালয় স্থাপনসহ নির্বাচনি তহবিল সংগ্রহ করব।’

চলতি মাসে নিবন্ধনের জন্য কমিশনে যাবেন উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ‘স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক আর্থিক পলিসি করতে চায় এনসিপি। এর মধ্য দিয়ে সংগঠনের আয়, ব্যয়, বরাদ্দ, আয়ের উৎস, ব্যয়ের খাত প্রতিটি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পলিসি গ্রহণ করা হয়েছে। এ মাসে নির্বাচন কমিশনে আমরা নিবন্ধনের জন্য যাব। তখন আমরা দলের সব হিসাব জমা দেব। কারণ আমাদের মূল উদ্দেশ্য জনগণের সমর্থন নিয়ে এগিয়ে যাওয়া।’ এনসিপির নামে চাঁদাবাজির চেষ্টা হলে প্রতিহত করার আহ্বান জানান তিনি।

দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন জানান, donate.ncpbd.org এই ওয়েবসাইটটির মধ্য দিয়ে ব্যাংকিং এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মধ্য দিয়ে নাগরিক পার্টির সদস্য এবং সমর্থকরা আর্থিক অনুদান দিতে পারবেন।

আগামী নির্বাচনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের ঘোষণা ড্যাব নেতাদের

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫০ পিএম
আগামী নির্বাচনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের ঘোষণা ড্যাব নেতাদের
ছবি: সংগৃহীত

আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে বিজয়ী করতে রাজপথে থেকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের ঘোষণা দিয়েছেন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)-এর নেতারা। 

বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর চারটি হাসপাতালের নেতারা এক মতবিনিময় সভায় এই ঘোষণা দেন। একইসঙ্গে ড্যাবের নির্বাচনেও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তারা।

ড্যাবের আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে নিটোর (পঙ্গু হাসপাতাল), জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, জাতীয় নিউরোসাইন্স ইনস্টিটিউট এবং শিশু হাসপাতালের জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী চিকিৎসকদের উদ্যোগে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

নিটোরের আর জে গারস্থ হলে অনুষ্ঠিত সভায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রায় চার শতাধিক চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ সর্বস্তরের চিকিৎসকদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি সভাকে পরিণত করে এক মিলনমেলায়।

সভায় নেতারা বর্তমান প্রেক্ষাপটে চিকিৎসকদের অধিকার, সংগঠনের কাঠামোগত সমস্যা, ভোটার তালিকার বৈষম্য, কর্মপরিবেশ এবং আগামীর রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল শাখার সাবেক সভাপতি এবং ড্যাবের সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. খায়রুল ইসলাম। সভা যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন ড্যাবের শিশু হাসপাতাল শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. এম এ কামাল ও ডা. জাভেদ হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় শিশু হাসপাতালের ড্যাব শাখার সভাপতি ডা. মো. আজহারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘সদ্যবিদায়ী ড্যাব কমিটি অগণতান্ত্রিকভাবে বহু যোগ্য ও পরীক্ষিত জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। অবিলম্বে বঞ্চিত চিকিৎসকদের নাম পুনঃঅন্তর্ভুক্ত করে পূর্ণাঙ্গ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে। এ বিষয়ে চিকিৎসক সমাজ কোনো ছাড় দেবে না।’ 

ডা. এম এ কামাল বলেন, ‘তারেক রহমানের প্রজ্ঞাপূর্ণ ভিশনের আলোকে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো এখন সময়ের দাবি।’ 

পাশাপাশি তিনি ভোটার তালিকা পুনর্গঠনের ওপর জোর দেন এবং বলেন, ‘ভোটার তালিকা অবশ্যই নির্ভুল ও নিরপেক্ষ হতে হবে। চিকিৎসকদের আত্মমর্যাদা ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় এটা জরুরি।’

সাওন/সালমান/

ভারতের পরিকল্পনায় সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এনবিআর: রাশেদ প্রধান

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৬:৪৯ পিএম
ভারতের পরিকল্পনায় সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এনবিআর: রাশেদ প্রধান
ছবি: খবরের কাগজ

ভারতের পরিকল্পনা এবং ইন্ধনে অন্তর্বর্তী সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান।

তিনি বলেন, ‘এনবিআর সংস্কার অধ্যাদেশের বিরোধীতার অজুহাতে ৬১ দিন আন্দোলন, কমপ্লিট শাট ডাউন, সরকারের বদলি আদেশ ছিঁড়ে ফেলার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। খালি চোখে সাধারণ আন্দোলন মনে হলেও এটা ছিল ভারতের ইন্ধনে অন্তর্বর্তী সরকার উৎখাতের গভীর ষড়যন্ত্র। শুধু চিহ্নিত আন্দোলনকারী নয় বরং এনবিআর-এর উপর মহল থেকে সবার বিরুদ্ধে সরকারের তদন্ত করা উচিত।’ 

জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে, আগামীর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জাগপা’র মাসব্যাপী কর্মসূচির ৯ম দিন বুধবার (৯ জুলাই) বরিশালের টাউন হল, হাতেম আলি কলেজ চৌমাথা এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ শেষে পথসভার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

রাশেদ প্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশকে ভারতের করদ রাজ্য বানানোর লক্ষ্যে হিন্দুস্থান যে কোনো মূল্যে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার গদি ফেরত চায়।  এজন্য ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ এবং ভারতের পরাজয়ের পর থেকে দেশে একের পর এক ষড়যন্ত্র চলছে। অন্তর্বর্তী সরকার এবং দেশের জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে। নতুন বাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদ এবং আওয়ামী লীগের অপরাজনীতি চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে।’ 

গণসংযোগে শেষে পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাগপা প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক শ্যামল চন্দ্র সরকার, যুব জাগপা সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক ওলিউল আনোয়ার, শ্রমিক জাগপা সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন, জাগপা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক জীবন আহমেদ অভি, বরিশাল জাগপা নেতা আব্দুল জলিল খাঁ, নান্নু হাওলাদার, মো. মনির হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মো. মাহফুজ গাজী ও মো. লাল মিয়া প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সুমন/

২৫ জুনেই জাপার পথচলার ফয়সালা হয়ে গেছে: শামীম হায়দার

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৬:৩৭ পিএম
২৫ জুনেই জাপার পথচলার ফয়সালা হয়ে গেছে: শামীম হায়দার
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির নবনিযুক্ত মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির (জাপা) নবনিযুক্ত মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা সব সময় জাতীয় পার্টির সঙ্গেই ছিল। তারা কখনো জাতীয় পার্টির মূল স্রোতের বাইরে যায়নি। গেল ২৫ জুন জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা ঢাকায় এসে জাপা চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন প্রকাশ করেছেন। সেই দিনই জাতীয় পার্টির আগামী দিনের পথচলার ফয়সালা হয়ে গেছে।

বুধবার (৯ জুলাই) জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তরের নেতা-কর্মীরা এই নবনিযুক্ত মহাসচিবকে সংবর্ধনা দিয়েছে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘দলের কর্তৃত্ব নিয়ে নানা টানাপোড়েনের মধ্যে জাতীয় পার্টির তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন। তারা দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকেই ফের নেতৃত্বে দেখতে চান।’

নবনিযুক্ত মহাসচিব বলেন, ‘জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে যতবার ষড়যন্ত্র হয়েছে, ততবারই তিনি সততার শক্তিতে স্বমহিমায় ঘুরে দাঁড়িয়েছেন।’

তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা জি এম কাদেরের ‘মূল শক্তি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালে অনেকেই বলেছিলেন এরশাদের মৃত্যুর পর আর জাতীয় পার্টি টিকবে না। শ্রম ও মেধা দিয়ে জি এম কাদের জাতীয় পার্টিকে শক্ত ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এমন বাস্তবতায় যদি কেউ কেউ বলেন, জিএম কাদেরকে অব্যাহতি দিয়ে দেবেন এটা শুধুই হাস্যকর।’

জাপা থেকে বহিষ্কারের পর ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ অভিযোগ করেছেন, কাউন্সিলে হেরে যাওয়ার ভয়ে জি এম কাদের জাপার দশম জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনের আয়োজন করতে চাইছেন না। এর জবাবে জাপার নবনিযুক্ত মহাসচিব বলেন, ‘কাউন্সিলে কারা থাকবেন? তৃণমূল নেতা-কর্মীরাই তো থাকবেন। তৃণমূল নেতা-কর্মী ঐক্যবদ্ধভাবে জিএম কাদেরের পাশে আছেন। আর কাউন্সিলে জি এম কাদেরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো প্রার্থী কে আছেন?’

জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগের জবাবও দিয়েছেন শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি বলেন, ‘গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের সততা ও স্বচ্ছতা জাজ্বল্যমান। পাঁচ বছর গুরুত্বপূর্ণ ২টি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন তিনি। তখন তার বিরুদ্ধে কেউ একটি দুর্নীতির অভিযোগও আনতে পারেননি। আওয়ামী লীগ সরকার বারবার চেষ্টা করেও জি এম কাদেরের  বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির মামলা করতে পারেনি। দুর্নীতি জি এম কাদেরকে কখনো স্পর্শ করতে পারেনি।’ 

সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মো. সামছুল হক। সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগরের দক্ষিণের আহ্বায়ক মীর আব্দুস সবুর আসুদ, শেরীফা কাদের, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মমতাজ উদদীন, ইঞ্জিনিয়ার মইনুর রাব্বী চৌধুরী রুম্মন, জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা নুরুল আজহার শামীম, দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলমসহ কেন্দ্রীয় কমিটির অনেক নেতা। অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির অনেক নেতাও উপস্থিত ছিলেন।

জয়ন্ত/সালমান/

বিএসএফ সীমান্তরক্ষী নয়, খুনি বাহিনীতে পরিণত হয়েছে: নাহিদ ইসলাম

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫৭ পিএম
বিএসএফ সীমান্তরক্ষী নয়, খুনি বাহিনীতে পরিণত হয়েছে: নাহিদ ইসলাম
পথসভায় বক্তব্য রাখেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: খবরের কাগজ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বিএসএফ কোনো সীমান্তরক্ষী বাহিনী নয়, বরং এটি একটি খুনি বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। ভারতীয় আধিপত্যবাদের কারণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বারবার লঙ্ঘিত হয়েছে। আমাদের পানির ন্যায্য হিস্যা দেওয়া হয়নি। অর্থনৈতিকভাবে, সাংস্কৃতিকভাবে বারবার বাংলাদেশকে অবদমন করা হয়েছে।

বুধবার (৯ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের শহিদ হাসান চত্বরে আয়োজিত এক পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।

নাহিদ বলেন, ‘সীমান্ত হত্যা আমরা কখনোই মেনে নেব না। গত ৫৪ বছরে সীমান্তে হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। শুধু চুয়াডাঙ্গাতেই সীমান্ত এলাকায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২০০ জন।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বিগত ১৬ বছর ভারত সরকারের সহায়তায় দেশে গুম, খুন ও দমন-পীড়নের রাজনীতি চালিয়েছে।’ 

এ সময় দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরাসরি গণহত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি নিজেই গণহত্যা পরিচালনা করেছেন। অথচ সেই শেখ হাসিনাকে ভারতের বর্তমান মোদি সরকার আশ্রয় দিয়ে রেখেছে। একজন মানবতাবিরোধী অপরাধী, একজন গণহত্যাকারীকে আশ্রয় দেওয়ার দায় ভারতকেই নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ভারত সরকারকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ইতিহাসের কাছে আপনাদের জবাবদিহি করতে হবে। মোদি সরকারকে মনে রাখতে হবে, গণমানুষের রক্তের দায় কখনো ধোয়া যায় না।’

এদিন পথসভায় এনসিপির ভবিষ্যৎ রূপরেখা ও রাজনৈতিক দর্শন তুলে ধরেন আখতার হোসেন। 

তিনি বলেন, ‘এনসিপি দেশে নতুন ধারা ও নতুন রাজনীতির সূচনা করতে চায়। আমরা চাই একটি বৈষম্যহীন, মানবিক ও ন্যায়ভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্র, যেখানে প্রতিটি মানুষের মর্যাদা, অধিকার ও ন্যায়ের নিশ্চয়তা থাকবে। হাজারো মানুষ আমাদের এই পদযাত্রায় অংশ নিচ্ছেন, শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, ভালোবাসা দিচ্ছেন। আমরা সেই ভালোবাসার দায়িত্ব নিতে চাই, নতুন বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে নিজেদের উৎসর্গ করে।’

নেতারা আরও বলেন, ‘আমাদের অনেক ভাই শহিদ হয়েছেন। গণতন্ত্র, মানবিকতা, স্বাধীন মত প্রকাশ এবং আইনের শাসনের জন্য তাদের রক্ত ঝরেছে। সেই রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে কেবল সরকারের পরিবর্তন নয়, গোটা রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক রূপান্তর ঘটাতে হবে।’

এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের সঞ্চালনায় পথসভায় বক্তব্য রাখেন দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব মোল্লা মো. ফারুক এহসান, ডা. তাসনিম জারা, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।

এর আগে, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া বাজারে ‘জুলাই পদযাত্রা’র আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। এরপর দুপুর দেড়টায় আলমডাঙ্গা শহরের আলতাইবা মোড়ে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা আড়াইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের শহিদ হাসান চত্বরে আয়োজিত পথসভাটি ছিল এই কর্মসূচির অন্যতম কেন্দ্রীয় আয়োজন।

পরে বিকেলে দর্শনা ও জীবননগরে আরও দুটি পথসভা শেষে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা ঝিনাইদহের উদ্দেশ্যে রওনা হন।

মিজানুর/সালমান/

 

শেখ হাসিনার সঙ্গে আ.লীগেরও বিচার হওয়া উচিত: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:২৬ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৪:০৭ পিএম
শেখ হাসিনার সঙ্গে আ.লীগেরও বিচার হওয়া উচিত: মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

গণহত্যা ও ফ্যাসিবাদের সঙ্গে যুক্ত থাকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দল হিসেবে আওয়ামী লীগেরও বিচার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময়ই মনে করি, যেসব রাজনৈতিক দল ফ্যাসিবাদের পক্ষে থাকবে, যারা ফ্যাসিবাদের পক্ষে কাজ করবে- যেটা আওয়ামী লীগ করেছে, তাদের প্রতিটি ব্যক্তির শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।’

বুধবার (৯ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে সাংবাদিকদের করা ‘বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলন দমাতে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন’ এখন এমন একটি দলের বিষয়ে আপনাদের অবস্থান কী- এমন প্রশ্নে এসব কথা বলেন তিনি।

এর আগে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য ও জিয়া পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল কদ্দুস এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. সিরাজউদ্দিনকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে তাদের চিকিৎসার সার্বিক খোঁজখবর নেন। 

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিশেষ করে দলের প্রধান শেখ হাসিনার, তার বিচার কিন্তু শুরু হয়েছে। আমরা আশা করছি, তার সঙ্গে যারা এই গণহত্যা এবং এই ফ্যাসিবাদের আক্রমণের সঙ্গে জড়িত- প্রত্যেকেরই বিচার হবে। সেই হিসেবে আমরা দেখতে চাই, দলকেও (আওয়ামী লীগ) যদি আইনের আওতায় নিয়ে এসে দলগত হিসেবে বিচার করা হয়, তা হলে অবশ্যই তাদের বিচার হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।’

তিনি বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগের নির্যাতন, নিপীড়ন, হত্যা, গুম-খুনের সবচেয়ে বড় ভিক্টিম আমাদের দল বিএনপি। আমি নিজেও ১১২টা মামলার আসামি এবং ১৩ বার জেলে যেতে হয়েছে।’
 
সংস্কারের সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যারা মনে করেন যে নির্বাচন প্রয়োজন নেই। আমার মনে হয়, তারা আবার চিন্তা করবেন নির্বাচন প্রয়োজন জনগণের জন্য। একটা নির্বাচিত সরকার দরকার। যে নির্বাচনে জনগণের সম্পর্ক থাকবে। সে কারণেই আমরা বলেছি যে সংস্কারগুলো হচ্ছে প্রত্যেকটি সংস্কারের দাবি আমরাই তুলেছি সবার আগে। সংস্কার এবং নির্বাচনের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই। দুটো একসঙ্গে চলতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘দেশটাকে সবাই মিলে বাঁচাতে হবে এবং প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব হচ্ছে দেশকে সঠিক ট্র্যাকে উঠানো। যত দ্রুত সেটা উঠানো যাবে ততই মঙ্গল।’

এর পর বিএনপি মহাসচিব আয়শা মেমোরিয়াল হাসপাতালে শিল্পী ফরিদা পারভিনকে দেখতে যান এবং চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হয়। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন উজ্জ্বল, সহসাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক সাঈদ সোহরাব, জাসাস সভাপতি হেলাল খান ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রুকন প্রমুখ।

শফিকুল/পপি/