ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

ময়মনসিংহ উত্তর জেলা ছাত্রদলের সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ একই কমিটির ৬ নেতার

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৫, ০৩:৩১ পিএম
আপডেট: ০৬ জুন ২০২৫, ০৪:১১ পিএম
ময়মনসিংহ উত্তর জেলা ছাত্রদলের সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ একই কমিটির ৬ নেতার
ময়মনসিংহ উত্তর জেলা ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির সভাপতি নুরুজ্জামান সোহেল

ময়মনসিংহে নবগঠিত উত্তর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরুজ্জামান সোহেলের বিরুদ্ধে যতসামান্য পড়ালেখা-সহ একাধিক অভিযোগ তুলেছে একই কমিটির পদধারী ছয় নেতা। এর মাধ্যমে নবগঠিত কমিটির নেতাদের বিভক্তির বিষয়টি সুস্পষ্ট হয়েছে।

কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ পাঠানোর বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

শুক্রবার (৬ জুন) সকালে লিখিত অভিযোগটি খবরের কাগজের হাতে এসেছে। এতে দেখা যায়, অভিযোগপত্রে ছয়জন পদধারী নেতা স্বাক্ষর করেছেন। তারা হলেন- নবগঠিত উত্তর জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি নাইমুর আরেফিন পাপন, মাসুদুর রহমান মাসুদ, মাসুদ আলম (মাসুদুল আলম মাসুদ), নাদিম সারোয়ার টিটু, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুজ্জামান সরকার শাওন ও সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল আলম রুবেল।

অভিযোগের একাংশে তারা উল্লেখ করেন - যারা জীবন বাজি রেখে আন্দোলন করেছে, সংগ্রাম করেছে, কমিটিতে তাদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। যাকে সভাপতি করা হয়েছে, তিনি যতসামান্য পড়ালেখা করেছেন। এছাড়া তিনি বিগত সময়ে নৌকার পক্ষে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। যার ভিডিওফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয়।

আরও বলা হয় - রাষ্ট্রীয় অবকাঠামো মেরামতে বিএনপির ৩১ দফার মধ্যে ২৪ নম্বর দফায়, বিরাজমান নৈরাজ্য দূর করে নিম্ন ও মধ্য পর্যায়ে চাহিদাভিত্তিক শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া অভিযোগে সভাপতির কোনো ছাত্রত্ব না থাকাসহ যতসামান্য পড়ালেখা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। 

এদিকে নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক এ কে এম সুজা উদ্দিন চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি সাংগঠনিক নিষ্ক্রিয়তার জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) পাওয়ার বিষয়টি অভিযোগপত্রে উল্লেখ করলেও এর চেয়ে বেশি কোনো অভিযোগ তুলেননি ওই ছয় নেতা।

অভিযোগপত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, গত ১৮ মে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বরাবর তারা লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের অনুলিপি বিএনপির নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদল ময়মনসিংহ বিভাগীয় টিমের (উত্তর ছাত্রদল) কাছে পাঠানো হয়েছে।

অভিযোগপত্রের বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেছেন নবগঠিত উত্তর জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ।

তিনি বলেন, ‘ছাত্রদলের কমিটিতে যারা নেতৃত্ব দেবেন, তাদের অবশ্যই শিক্ষিত হতে হবে। যতসামান্য পড়ালেখা করা নেতার নেতৃত্ব কর্মীরা মেনে নিতে চায় না। নেতৃত্বনির্ভর ছাত্রদলের রাজনীতি সবাই দেখতে চায়। যেই পদের জন্য যিনি উপযুক্ত না, তাকে ওই পদ দেওয়া ঠিক না। ত্যাগী নেতাদের বঞ্চিত করে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই কমিটি বিলুপ্ত করার দাবি জানাচ্ছি।’

একই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল আলম রুবেল বলেন, ‘ছাত্রদলে নেতৃত্ব দেওয়া কোনো নেতার যদি যতসামান্য পড়ালেখা থাকে, তাহলে এটি আমাদের জন্য লজ্জাজনক। এমন নেতার নেতৃত্ব মেনে নিতে অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েন। কারণ, যেসব নেতা কিংবা কর্মীরা পড়ালেখা চলমান রেখেছেন, অনার্স-মাস্টার্স শেষ করেছেন, তাদের পক্ষে এমন নেতার নেতৃত্ব মেনে নেওয়া কঠিন। ফলে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

নবগঠিত কমিটির তালিকা ও এই কমিটির নেতার স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্র

উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নিহাদ সালমান দুনন খবরের কাগজকে বলেন, ‘কমিটি দেওয়ার আগে শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ অনেককিছু যাচাই-বাছাই করা হয়। নবগঠিত কমিটির সভাপতি নুরুজ্জামান সোহেলের পড়ালেখা নিয়ে ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। যদিও ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষর করে কমিটি ঘোষণা করেছেন।’

নবগঠিত কমিটির সাধারণত সম্পাদক এ কে এম সুজা উদ্দিন বলেন, ‘আমি ফুলপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ছিলাম। আমাকে একবার শোকজ করলেও সশরীরে উপস্থিত হয়ে জবাব দিয়েছিলাম। দল অনেক যাচাই-বাছাই করে উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদে আমাকে দ্বায়িত্ব দিয়েছে।’

একই কমিটির সভাপতি নুরুজ্জামান সোহেল খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ তোলা হয়েছে। আমি কখনোই আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করিনি। যে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে, সেটিতে সুপার এডিট হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি এসএসসি পাস করতে পারিনি, এটি অসত্য। বিগত সময়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা থাকাসহ নানা কারণে খুব বেশি পড়ালেখা করা হয়নি। তবে কোন পর্যন্ত পড়ালেখা করেছি, তা বলতে চাই না।’

নুরুজ্জামান সোহেলের গ্রামের বাড়ি জেলার গৌরীপুর উপজেলায়। তিনি গৌরীপুর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও ময়মনসিংহ উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বলে জানিয়েছেন গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আহম্মদ তায়েবুর রহমান হিরন।

তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে ভিডিওটি ছড়িয়েছে এই ভিডিওতে নুরুজ্জামান সোহেল উপস্থিত থাকার বিষয়টি সত্য। তিনি তখন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণার অংশ হিসেবে একটি বাসার কক্ষে অবস্থান করছিলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার যতদুর মনে আছে, সোহেল ২০০২ সালে গৌরীপুরের আর কে উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। তখন পাস করতে পারেনি সোহেল। কয়েকবার পরীক্ষা দিয়েও অকৃতকার্য হয়েছে কিনা এই মুহুর্তে মনে নেই। তবে সোহেল এসএসসি পাস করতে না পেরে পড়ালেখা ছেড়ে দিয়েছিল। পরে জানতে পেরেছি, ২০১২ সালে ময়মনসিংহে উন্মুক্ত, টেকনিক্যাল অথবা মাদ্রাসা থেকে এসএসসি পাস করেছে। এরপর তিনি কলেজেও ভর্তি হয়েছিলেন। তবে এইচএসসি পাস করেছে কিনা, তা জানা নেই।’

এর আগে গত ১৫ মে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে ময়মনসিংহ জেলা দক্ষিণ, উত্তর, মহানগর, আনন্দমোহন কলেজ ও কোতোয়ালি থানা ছাত্রদলের আংশিক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। উত্তর জেলা ছাত্রদলের ১১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে নূরুজ্জামান সোহেল সভাপতি ও এ কে এম সুজা উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।

এ ছাড়া কমিটির অন্যরা হলেন- সিনিয়র সহসভাপতি নাইমুর আরেফিন পাপন, সহসভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ, মাসুদ আলম (মাসুদুল আলম মাসুদ), নাদিম সারোয়ার টিটু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মনোয়ার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুজ্জামান সরকার শাওন, রাসেল আহম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল আলম রুবেল ও দপ্তর সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন তালুকদার।

বিএসএফ সীমান্তরক্ষী নয়, খুনি বাহিনীতে পরিণত হয়েছে: নাহিদ ইসলাম

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫৭ পিএম
বিএসএফ সীমান্তরক্ষী নয়, খুনি বাহিনীতে পরিণত হয়েছে: নাহিদ ইসলাম
পথসভায় বক্তব্য রাখেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: খবরের কাগজ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বিএসএফ কোনো সীমান্তরক্ষী বাহিনী নয়, বরং এটি একটি খুনি বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। ভারতীয় আধিপত্যবাদের কারণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বারবার লঙ্ঘিত হয়েছে। আমাদের পানির ন্যায্য হিস্যা দেওয়া হয়নি। অর্থনৈতিকভাবে, সাংস্কৃতিকভাবে বারবার বাংলাদেশকে অবদমন করা হয়েছে।

বুধবার (৯ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের শহিদ হাসান চত্বরে আয়োজিত এক পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।

নাহিদ বলেন, ‘সীমান্ত হত্যা আমরা কখনোই মেনে নেব না। গত ৫৪ বছরে সীমান্তে হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। শুধু চুয়াডাঙ্গাতেই সীমান্ত এলাকায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২০০ জন।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বিগত ১৬ বছর ভারত সরকারের সহায়তায় দেশে গুম, খুন ও দমন-পীড়নের রাজনীতি চালিয়েছে।’ 

এ সময় দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরাসরি গণহত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি নিজেই গণহত্যা পরিচালনা করেছেন। অথচ সেই শেখ হাসিনাকে ভারতের বর্তমান মোদি সরকার আশ্রয় দিয়ে রেখেছে। একজন মানবতাবিরোধী অপরাধী, একজন গণহত্যাকারীকে আশ্রয় দেওয়ার দায় ভারতকেই নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ভারত সরকারকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ইতিহাসের কাছে আপনাদের জবাবদিহি করতে হবে। মোদি সরকারকে মনে রাখতে হবে, গণমানুষের রক্তের দায় কখনো ধোয়া যায় না।’

এদিন পথসভায় এনসিপির ভবিষ্যৎ রূপরেখা ও রাজনৈতিক দর্শন তুলে ধরেন আখতার হোসেন। 

তিনি বলেন, ‘এনসিপি দেশে নতুন ধারা ও নতুন রাজনীতির সূচনা করতে চায়। আমরা চাই একটি বৈষম্যহীন, মানবিক ও ন্যায়ভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্র, যেখানে প্রতিটি মানুষের মর্যাদা, অধিকার ও ন্যায়ের নিশ্চয়তা থাকবে। হাজারো মানুষ আমাদের এই পদযাত্রায় অংশ নিচ্ছেন, শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, ভালোবাসা দিচ্ছেন। আমরা সেই ভালোবাসার দায়িত্ব নিতে চাই, নতুন বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে নিজেদের উৎসর্গ করে।’

নেতারা আরও বলেন, ‘আমাদের অনেক ভাই শহিদ হয়েছেন। গণতন্ত্র, মানবিকতা, স্বাধীন মত প্রকাশ এবং আইনের শাসনের জন্য তাদের রক্ত ঝরেছে। সেই রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে কেবল সরকারের পরিবর্তন নয়, গোটা রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক রূপান্তর ঘটাতে হবে।’

এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের সঞ্চালনায় পথসভায় বক্তব্য রাখেন দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব মোল্লা মো. ফারুক এহসান, ডা. তাসনিম জারা, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।

এর আগে, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া বাজারে ‘জুলাই পদযাত্রা’র আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। এরপর দুপুর দেড়টায় আলমডাঙ্গা শহরের আলতাইবা মোড়ে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা আড়াইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের শহিদ হাসান চত্বরে আয়োজিত পথসভাটি ছিল এই কর্মসূচির অন্যতম কেন্দ্রীয় আয়োজন।

পরে বিকেলে দর্শনা ও জীবননগরে আরও দুটি পথসভা শেষে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা ঝিনাইদহের উদ্দেশ্যে রওনা হন।

মিজানুর/সালমান/

 

শেখ হাসিনার সঙ্গে আ.লীগেরও বিচার হওয়া উচিত: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:২৬ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৪:০৭ পিএম
শেখ হাসিনার সঙ্গে আ.লীগেরও বিচার হওয়া উচিত: মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

গণহত্যা ও ফ্যাসিবাদের সঙ্গে যুক্ত থাকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দল হিসেবে আওয়ামী লীগেরও বিচার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময়ই মনে করি, যেসব রাজনৈতিক দল ফ্যাসিবাদের পক্ষে থাকবে, যারা ফ্যাসিবাদের পক্ষে কাজ করবে- যেটা আওয়ামী লীগ করেছে, তাদের প্রতিটি ব্যক্তির শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।’

বুধবার (৯ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে সাংবাদিকদের করা ‘বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলন দমাতে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন’ এখন এমন একটি দলের বিষয়ে আপনাদের অবস্থান কী- এমন প্রশ্নে এসব কথা বলেন তিনি।

এর আগে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য ও জিয়া পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল কদ্দুস এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. সিরাজউদ্দিনকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে তাদের চিকিৎসার সার্বিক খোঁজখবর নেন। 

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিশেষ করে দলের প্রধান শেখ হাসিনার, তার বিচার কিন্তু শুরু হয়েছে। আমরা আশা করছি, তার সঙ্গে যারা এই গণহত্যা এবং এই ফ্যাসিবাদের আক্রমণের সঙ্গে জড়িত- প্রত্যেকেরই বিচার হবে। সেই হিসেবে আমরা দেখতে চাই, দলকেও (আওয়ামী লীগ) যদি আইনের আওতায় নিয়ে এসে দলগত হিসেবে বিচার করা হয়, তা হলে অবশ্যই তাদের বিচার হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।’

তিনি বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগের নির্যাতন, নিপীড়ন, হত্যা, গুম-খুনের সবচেয়ে বড় ভিক্টিম আমাদের দল বিএনপি। আমি নিজেও ১১২টা মামলার আসামি এবং ১৩ বার জেলে যেতে হয়েছে।’
 
সংস্কারের সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যারা মনে করেন যে নির্বাচন প্রয়োজন নেই। আমার মনে হয়, তারা আবার চিন্তা করবেন নির্বাচন প্রয়োজন জনগণের জন্য। একটা নির্বাচিত সরকার দরকার। যে নির্বাচনে জনগণের সম্পর্ক থাকবে। সে কারণেই আমরা বলেছি যে সংস্কারগুলো হচ্ছে প্রত্যেকটি সংস্কারের দাবি আমরাই তুলেছি সবার আগে। সংস্কার এবং নির্বাচনের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই। দুটো একসঙ্গে চলতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘দেশটাকে সবাই মিলে বাঁচাতে হবে এবং প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব হচ্ছে দেশকে সঠিক ট্র্যাকে উঠানো। যত দ্রুত সেটা উঠানো যাবে ততই মঙ্গল।’

এর পর বিএনপি মহাসচিব আয়শা মেমোরিয়াল হাসপাতালে শিল্পী ফরিদা পারভিনকে দেখতে যান এবং চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হয়। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন উজ্জ্বল, সহসাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক সাঈদ সোহরাব, জাসাস সভাপতি হেলাল খান ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রুকন প্রমুখ।

শফিকুল/পপি/

ফুটবলার ঋতুপর্ণার ক্যানসার আক্রান্ত মায়ের পাশে তারেক রহমান

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:২৩ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩১ পিএম
ফুটবলার ঋতুপর্ণার ক্যানসার আক্রান্ত মায়ের পাশে তারেক রহমান
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের নির্দেশনায় ‘গোল্ডেন গার্ল’ খ্যাত ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমার ক্যানসার আক্রান্ত মা ভূজোপতি চাকমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর একটি প্রতিনিধিদল। 

বুধবার (৯ জুলাই) সকালে রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি গ্রাম মগাছড়িতে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি ভূজোপতি চাকমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। 

এ সময় সংগঠনের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন উপস্থিত ছিলেন।

ঋতুপর্ণা চাকমার পরিবারের প্রতি তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহমর্মিতার বার্তা পৌঁছে দেন রুহুল কবির রিজভী। এ সময় তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঋতুপর্ণা চাকমার মা ভূজোপতি চাকমার হাতে চিকিৎসা সহায়তা তুলে দেন রিজভী। পাশাপাশি তার পরিবারের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল, সংগঠনের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, আবুল কাশেম, সংগঠনটির সদস্যসচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন ও জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি প্রমুখ।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দীপু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ মামুন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য রাজীব জাফর চৌধুরী ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম তুহিন প্রমুখ। 

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ক্যানসারে মারা যান ঋতুপর্ণার বাবা বরজ বাঁশি চাকমা। বাবার অনুপ্রেরণায় ঋতুপর্ণা খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে ওঠেন। পাশাপাশি তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

সম্প্রতি এএফসি উইমেন্স এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ঋতুপর্ণা মায়ানমারের বিপক্ষে দুটি গোল করে দলকে ২-১ ব্যবধানে জয় এনে দিয়েছেন। তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষেও একটি গোল করেন তিনি।

সালমান/

সিলেটে জয়া সেনের ‘এমপি প্রতিনিধি’ প্রদীপকে পুলিশে সোপর্দ

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০২:৫৯ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
সিলেটে জয়া সেনের ‘এমপি প্রতিনিধি’ প্রদীপকে পুলিশে সোপর্দ
এভাবেই পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় প্রদীপ রায়কে। ভিডিও থেকে ধারণ করা ছবি

পরনে সাদামাটা সেন্ডুগেঞ্জি ও লুঙ্গি। মেঝেতে বসা। উঠতে চাইলে ‘এই বস-বস, মাটিতে বসা থাক’ বলে দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছিল না। চারপাশ ঘিরে রেখেছেন কয়েকজন লোক। দুজন পুলিশও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এ অবস্থায় ভিডিও ধারণ করে বলা হচ্ছিল, ‘ডেভিল, ডেভিল ধরা পড়ছে...’।

এভাবে পুলিশে সোপর্দ করা হয় দিরাই-শাল্লার (সুনামগঞ্জ-১ আসন) সাবেক সংসদ সদস্য জয়া সেনগুপ্তের ‘এমপি প্রতিনিধি’ প্রদীপ রায়কে। 

তিনি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দিরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত প্রায় আড়াইটার দিকে সিলেট নগরীর সুবিদবাজার এলাকার লন্ডনি রোডের একটি বাসা থেকে তাকে জালালাবাদ থানায় সোপর্দ করা হয়।

বুধবার যোগাযোগ করলে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘স্থানীয় জনতা প্রদীপ রায়কে আটক করলে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হেফাজতে নিয়েছে।’

ওসি জানান, প্রদীপ রায়ের বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের আগে ও পরে সিলেট-সুনামগঞ্জে মোট সাতটি মামলা রয়েছে। জলমহাল দখল নিয়ে হত্যা মামলাও রয়েছে। তাকে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

জানা গেছে, প্রদীপ রায় বিগত ১৫ বছর দিরাই শাল্লায় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। নানা ঘটনায় স্থানীয়ভাবে সমালোচিতও ছিলেন তিনি। সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার ভাই বিশ্বজিৎ রায় আওয়ামী লীগের মনোনয়নে দিরাই পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ৫ আগস্টের পর প্রদীপ রায় ও তার ভাই আত্মগোপনে ছিলেন।

পুলিশ জানায়, প্রদীপের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে সিলেট নগরীর পাঠানটুলা এলাকায় বসবাসরত দিরাই বিএনপি কর্মীরা স্থানীয় লোকদের সহযোগিতায় তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। প্রদীপ রায়কে আটকের সময় একটি ভিডিও মধ্যরাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। 

ভিডিওতে দেখা যায়, প্রদীপকে বাসার মেঝেতে বসিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি বার কয়েক দাঁড়াতে চাইলেও উঠতে বা নড়তে দেওয়া হচ্ছিল না। দিগম্বর ও ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থায় দেখা যাচ্ছিল। ভিডিওতে তাকে ‘ডেভিল’ বলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন থাকাকালে দিরাই-শাল্লায় তার একচ্ছত্র আধিপত্য নিয়ে বিক্ষুব্ধদের নানা কথাবার্তা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। শেষে দুজন পুলিশ সেখানে গিয়ে বিক্ষুব্ধদের শান্ত করে প্রদীপকে তাদের হেফাজতে নেন। 

প্রদীপের বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের আগে মামলার বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে দিরাই থানা সূত্রে জানা গেছে, দিরাইয়ের কুলঞ্জ ইউনিয়নের জারুলিয়া জলমহালের দখল নিয়ে ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় প্রদীপ রায়কে আসামি করা হয়। তবে পুলিশের চার্জশিটে তাকেসহ আরও কয়েকজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এছাড়া ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর দিরাইয়ের ভাটিপাড়া জলমহালের দখল নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনার একজন নিহতের ঘটনায় করা হত্যা মামলায়ও প্রদীপ রায় আসামি। ৫ আগস্টের পর দিরাই ও সিলেটে আরও পাঁচটি মামলার আসামি।

জানা গেছে, দিরাই-শাল্লায় ভোটের রাজনীতিতেও প্রদীপ রায় একজন অবৈধ প্রভাব বিস্তারকারী হিসেবে পরিচিত। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে হারিয়ে ডামি প্রার্থী জয়া সেনগুপ্তকে বিজয়ী করেছিলেন। সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনটি প্রয়াত রাজনীতিবিদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নির্বাচনি এলাকা। ভোটের রাজনীতিতে ‘সুরঞ্জিতের আসন’ হিসেবে পরিচিত। ২০১৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মারা গেলে তার স্ত্রী ড. জয়া সেনগুপ্ত ওই বছরের ৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের দ্বিতীয়বার মতো তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে শাল্লা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনের ছোট ভাই চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (আল-আমিন চৌধুরী) আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হলে প্রদীপ রায় তার এমপি প্রতিনিধি টিকিয়ে রাখতে দলীয় প্রার্থীকে হারিয়ে দিয়েছিলেন বলে তখন খোদ আওয়ামী লীগ থেকে অভিযোগ উঠেছিল।

অমিয়/

বিএনপির ৩১ দফা মানেই আগামীর বাংলাদেশ: আফরোজা আব্বাস

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০২:৩৩ পিএম
বিএনপির ৩১ দফা মানেই আগামীর বাংলাদেশ: আফরোজা আব্বাস
ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপির ৩১ দফা মানেই গণতন্ত্র, আর এই ৩১ দফার মধ্যেই রয়েছে আগামীর বাংলাদেশের রূপরেখা বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস।

তিনি বলেন, 'এই ঘোষণার মধ্যেই আছে ভবিষ্যতে সরকার গঠনের রূপরেখা, কৃষকের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতকরণ, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং নারী ও শিশু মুক্তির দিকনির্দেশনা।'

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকেলে আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ মাঠে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে আয়োজিত জনসভা ও নারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে দুপুর থেকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে নারীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের দায়িত্বশীল নেতা কবীর আহমেদ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেলাল উদ্দিন সরকার তুহিন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইসমত আরা, সাধারণ সম্পাদক শামীমা বাছির স্মৃতি, উপজেলা বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদীন আব্দু, সাধারণ সম্পাদক ডা. খোরশেদ আলম, পৌর বিএনপির সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক আকতার খান এবং উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী অন্তরা চৌধুরী।

সভা সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মাসুম ভূঁইয়া।

আফরোজা আব্বাস বলেন, 'নারীরা শুধু রাজনীতি করে না, তারা সংসার সামলায়, সন্তান প্রতিপালন করে এবং দেশের প্রয়োজনে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। নারীদের অধিকার আদায়ে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদান অনস্বীকার্য। আর তারেক রহমানই হলেন নির্যাতিত মানুষের কাঁধে হাত রাখা সত্যিকারের নেতা।' 

তিনি আরও বলেন, 'স্বৈরাচারী হাসিনা মামলা দিয়েছিল, বাড়ি ছাড়া করেছিল তবু আমাদের মা দেশনেত্রী খালেদা জিয়া পালিয়ে যায়নি। হাসিনা পালিয়ে গেছে'

জুটন বনিক/মেহেদী/