ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

সিলেট বিএনপির আলোচিত নেতা কোহিনুর ‘শ্বশুরবাড়িকাণ্ডে’ বহিষ্কার

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ০৬:২০ পিএম
সিলেট বিএনপির আলোচিত নেতা কোহিনুর ‘শ্বশুরবাড়িকাণ্ডে’ বহিষ্কার
কোহিনুর আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

সিলেট নগরীতে ২০১০ সালে ছাত্রদলের সশস্ত্র মহড়া দিয়ে প্রথম আলোচনায় আসেন তিনি। আলোচিত হওয়ায় বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে একটি শক্তিশালী বলয় তৈরি করেন। ৫ আগস্ট পরবর্তী বাস্তবতায় নানা অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। এরপর শ্বশুরবাড়ির ঘটনায়ও নেতিবাচকভাবে আলোচিত হন। এর সূত্র ধরে তাকে বহিষ্কার করা হয়। 

তিনি সিলেটে বিএনপির রাজনীতিতে আলোচিত নেতা সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর আহমেদ। 

বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো হয়। 

বুধবার (১১ জুন) রাতে দলীয় প্যাডে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সিলেট জেলাধীন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর আহমেদকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’

বহিষ্কারের কারণ সম্পর্কে স্থানীয় বিএনপি সূত্রে জানা যায়, ৫ আগস্ট পরবর্তী বিভিন্ন ঘটনায় আলোচিত হন কোহিনূর। তার বিরুদ্ধে সীমান্ত পথে চিনি চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইকারী নিয়ন্ত্রণের নানা অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের মধ্যে সম্প্রতি তার শ্বশুরবাড়ির একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ঘটনাটি ‘শ্বশুরবাড়িকাণ্ড’ হিসেবে ছড়িয়েছে।

শ্বশুরবাড়ির ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (১০ জুন) কোহিনুর আহমেদের শ্বশুরবাড়ি দক্ষিণ সুরমার সিলাম ইউনিয়নের টিলাপাড়ায় খন্দকার বাড়ির গেটের নামকরণ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওইদিন সকালে তার শ্বশুরবাড়ির রাস্তায় নির্মিত গেটে ‘খন্দকার বাড়ি’ নাম ফলক লাগানোর চেষ্টা করলে বিরোধের সূত্রপাত হয়।

এরপর কোহিনুর আহমেদের সম্বন্ধী জুবেল খন্দকার, রুমেল খন্দকার, মবু শিকদার, সুহেল খন্দকারদের সঙ্গে প্রতিপক্ষ তজমুলদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে কোহিনুর আহমেদের ছেলে ও শাহপরান কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি নাদিলের নেতৃত্বে ছাত্রদল, যুবদল ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা তজমুলের পক্ষের লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এরপর এলাকাবাসী মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিলে উত্তেজিত জনতা ছুটে আসলে কোহিনুরের পক্ষ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে কোহিনুর বিতর্কের মুখে পড়েন। বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ে এই বিষয়টি জানানো হয়। ঘটনার পরদিনই কোহিনুর আহমেদকে বহিষ্কার করা হয়।

তবে কোহিনুরের দাবি, শ্বশুরবাড়ির ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যবহার করেছে। এ ব্যাপারে তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমার শ্বশুরবাড়ির এলাকার ঘটনাটি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকে ঘটেছে। এটা কোনো রাজনৈতিক ঘটনা নয়। এর পরও তাতে আমাকে জড়ানোর অপচেষ্টা করা হয়েছে। দলীয়ভাবে খোঁজ নিলেই আসল তথ্য বের হয়ে আসবে। আমি দলের শীর্ষ নেতাদের এ ব্যাপারে খোঁজ নেওয়ার আহ্বান জানাই।’ 

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, সিলেটে বিএনপির রাজনীতিতে কোহিনুর আহমদ একটি আলোচিত নাম। ২০১০ সালে বিএনপির দুইপক্ষের বিরোধে একপক্ষের হয়ে কোহিনুর সিলেট নগরীতে প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র মহড়া করে ব্যাপকভাবে আলোচিত হন। তখন তিনি ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। অস্ত্রবাজির সেই ঘটনার পর অস্ত্র আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা হলে তিনি অন্তরালে চলে যান। এরপর বিরতি দিয়ে নিজ এলাকা দক্ষিণ সুরমায় উপজেলা বিএনপির রাজনীতিতে নিজস্ব গ্রুপ নিয়ে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ূম চৌধুরীর বলয়ে সক্রিয় হন। ৫ আগস্টের আগে ও পরে দক্ষিণ সুরমায় তার নেতৃত্বাধীন বিএনপির শক্ত অবস্থান ছিল।

দক্ষিণ সুরমা উপজেলাটি সিলেট মহানগরীর একটি অংশ নিয়ে গঠিত হওয়ায় কোহিনূরের বহিষ্কারের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া জেলা ও মহানগর বিএনপির রাজনীতিতেও আলোচিত হচ্ছে। সরব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকও। পক্ষে-বিপক্ষে নানা প্রতিক্রিয়া চলছে। বহিষ্কারের বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়ে অনেকে বিএনপিকে বিতর্কমুক্ত রাখার প্রয়াস বলছেন। কেউ কেউ আবার ঘটনাটিকে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তৎপরতার একটি ষড়যন্ত্র বলে আখ্যায়িত করছেন।

কোহিনুরের বহিষ্কার দক্ষিণ সুরমা বিএনপিকে ‘দুর্বল’ করা হয়েছে জানিয়ে সিলেট জেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. মাহবুব আলম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। ৫ আগস্টের আগে-পরে বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের ছবিসংবলিত ফেসবুক পোস্টে মাহবুব আলম লিখেছেন, ‘দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় বিএনপির রাজনীতিকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যে কিছু অদৃশ্য শক্তি যে অপচেষ্টা চালাচ্ছে, তা কোনো অবস্থাতেই সফল হবে না- ইনশাআল্লাহ। অপপ্রচার, ষড়যন্ত্র ও ভুল ব্যাখ্যার যে অপচেষ্টা চলছে, সেটির বিচার ও সত্য উদঘাটন হবে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তদন্তের মাধ্যমে। তিনি (কোহিনুর) সেই সুরাহার অপেক্ষায় আছেন, দৃঢ় মনোবল নিয়ে, বিশ্বাস নিয়ে, আত্মবিশ্বাস নিয়ে। বিএনপির তৃণমূলের হৃদয়ে যারা জায়গা করে নিয়েছেন, তাদের সরিয়ে রাখা যায় না - বরং তারা আরও উজ্জ্বল হয়ে ফিরে আসে।’

অমিয়/

গণতন্ত্রের চর্চা থেকে অনেক দূরে সরে গেছি: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫৭ পিএম
গণতন্ত্রের চর্চা থেকে অনেক দূরে সরে গেছি: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'দুর্ভাগ্য যে বাংলাদেশে গণতন্ত্রটা চর্চা হয়নি। গণতন্ত্রের চর্চা পাকিস্তান আমল থেকে এখানে হয়নি। খুব স্বল্প সময় ধরে কিছুটা চর্চা হয়েছিল। তারপরে আবার সেই চর্চা থেকে আমরা দূরে সরে গেছি।'

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বাংলা একাডেমিতে 'সিভিল ডিসকোর্স ন্যাশনালস-২০২৫'-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা কলেজ ডিবেটিং সোসাইটি এবং দ্য বাংলাদেশ ডায়ালগ যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, 'বাংলাদেশের তরুণরা ১ দশমিক ৮৭ শতাংশ রাজনীতিতে আগ্রহীর একটা জরিপ দেখে সকালে মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। এখানে এসে আমার আশা বেড়েছে। আমাদের তরুণরা আরও বেশি যোগ্য। তারা দেশ গঠনে বেশি ভূমিকা রাখতে পারবে।' 

তিনি বলেন, 'বর্তমান প্রজন্ম এখন আমাদের চেয়ে অনেক অনেক দূর এগিয়ে গেছে। অনেকে বলেন যে এখানে কিছু হবে না। এটা সঠিক নয়। আমি অত্যন্ত আশাবাদী অনেক কিছু হবে এবং বাংলাদেশে অবশ্যই আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব।' 

মির্জা ফখরুল বলেন, 'তর্ক আছে, বিতর্ক আছে। মতের অমিল আছে। আমরা বিশ্বাস করি যে আমার কথা বলার স্বাধীনতা থাকতে হবে। তোমারও কথা বলার স্বাধীনতা থাকতে হবে। এটাই হচ্ছে উপযুক্ত একটা ডেমোক্রেসি।'

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের একটি প্রদেশের প্রধান মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে সাক্ষাতের প্রসঙ্গে টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'শুধুমাত্র তার একজন দেহরক্ষী নিয়ে এসে আশ্রয় নেওয়া সবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আর আমাদের এখানে যেই মন্ত্রী হয়ে গেল সেই সম্পূর্ণভাবে ভিন্ন জগতে চলে যায়। তার বাড়ির সামনে গাড়ি, পেছনে আরেকটা গাড়ি- এই একটা মানসিকতা তৈরি হয়। এই মানসিকতা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। স্পিকার, প্রাইম মিনিস্টার বললেই তো যথেষ্ট হয়। আমি আশাবাদী মানুষ, আমি মনে করি, আমাদের নতুন ছেলেরা এই বিষয়টা চালু করবে। ভালো সময় আসবে, আরও ভালো সময় আসবে।'

আয়োজকদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, 'তারা অত্যন্ত সুন্দর একটা ভালো কাজ করেছেন। আমাদের নতুন প্রজন্মের চেঞ্জের সঙ্গে আমাদের পরিচয়টা আর বাড়ানো দরকার। এখানে একটা বড় গ্যাপ আছে। ঢাকাতে যে চিন্তাভাবনা আবার ঠাকুরগাওয়ে সেই চিন্তাভাবনা না। আমরা একটা প্রজন্ম তৈরি করতে চাচ্ছি, একটা শক্তি তৈরি করতে চাচ্ছি, একটা আর্মি তৈরি করতে চাচ্ছি, যে আর্মি বাংলাদেশকে বদলে দেবে। যদি আমরা সামনের দিকে যেতে পারি তাহলে নিশ্চই আমরা জয় করব।'

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র হেলথ স্পেশালিস্ট ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর একেএম ইলিয়াস, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাশনা ইমাম প্রমুখ। 

শফিকুল/মেহেদী/

চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার যুবদল নেতা বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৬:২৭ পিএম
চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার যুবদল নেতা বহিষ্কার
মনিরউজ্জামান মনির

নরসিংদীর পলাশে সিমেন্ট কারখানায় চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার ডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মনিরউজ্জামান মনিরকে বহিষ্কার করেছে জেলা যুবদল। 

সোমবার (৭ জুলাই) জেলা যুবদলের সহ-দপ্তর সম্পাদক নাজমুল ইসলাম সুমন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) জেলা যুবদলের সভাপতি ও জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মনিরউজ্জামান মনিরকে যুবদলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন জেলা যুবদলের সভাপতি মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ ও সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান সরকার হাসান।

জেলা যুবদল সভাপতি মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ বলেন, ‘দলীয় আদর্শ ও শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মনিরউজ্জামান মনিরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’

এর আগে, গত ৪ জুলাই (রবিবার) রাতে নরসিংদী সদর উপজেলার ব্রাহ্মন্দী এলাকা থেকে মনিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

জানা গেছে, গত ৩ জুলাই দুপুরে ডাঙ্গা ইউনিয়নে নির্মাণাধীন কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেড কারখানায় হামলার ঘটনা ঘটে। মনিরের নির্দেশে নদীপথে দুটি ট্রলারে করে ২৫-৩০ জনের একটি সশস্ত্র দল কারখানায় প্রবেশ করে। তারা শ্রমিকদের থাকার ৬টি কক্ষে হামলা ও ভাঙচুর চালায় এবং মোবাইল, ল্যাপটপসহ মালামাল লুট করে নেয়। হামলায় অন্তত সাতজন শ্রমিক আহত হন। পরে পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষ মনিরউজ্জামান মনিরকে প্রধান আসামি করে ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে পলাশ থানায় মামলা করে।

শাহিন/সালমান/

জামায়াতের লক্ষ্য সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনা: শফিকুর রহমান

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫৪ পিএম
জামায়াতের লক্ষ্য সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনা: শফিকুর রহমান
ছবি: খবরের কাগজ

জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্য জুলাই-আগস্টের জনআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন এবং জীবন উৎসর্গকারী ছাত্র-জনতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে দেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনা বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকালে রাজধানীর মগবাজারে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘জাতীয় সমাবেশ’ বাস্তবায়ন কমিটির এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। ৭-দফা আদায়ের মাধ্যমেই ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের সফলতা অর্জন করা সম্ভব বলে জামায়াতের আমির বৈঠকে অভিমত ব্যক্ত করেন।

বৈঠকে ৭-দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ১৯ জুলাই বেলা ২টায় রাজধানী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক ‘জাতীয় সমাবেশ’ সফল করে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করা হয়।

জাতীয় সমাবেশ সর্বাত্মকভাবে সফল করার জন্য সংগঠনের সর্বস্তরের জনশক্তি ও দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার বহু ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থান জাতীয় জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বৈঠকে আরও উপস্থিতি ছিলেন জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, অধ্যক্ষ মো. ইজ্জত উল্লাহ, মোবারক হোসাইন, মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, উত্তরের আমির মো. সেলিম উদ্দিন, দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম, ইসলামিক দাওয়াহ সার্কেল মালয়েশিয়ার সভাপতি অধ্যাপক সাইফুল্লাহ মানসুর, উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, মো. ইয়াসিন আরাফাত, সহকারী সেক্রেটারি কামাল হোসাইন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি অ্যাড. আতিকুর রহমান, ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম এবং ড. জুবায়ের আহমাদ প্রমুখ। 

শফিকুল/মেহেদী/

আবরার ফাহাদের দেখানো পথেই রাজনীতি করছে এনসিপি: নাহিদ

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৫:১৬ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪৪ পিএম
আবরার ফাহাদের দেখানো পথেই রাজনীতি করছে এনসিপি: নাহিদ
পথসভায় বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: খবরের কাগজ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে আবরার ফাহাদ মাইলফলক ছিলেন। আবরারের মৃত্যু ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ও বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। আবরারের মৃত্যুর প্রতিবাদের মিছিলে দিল্লি না ঢাকা স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। সেই স্লোগানই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জুলাইয়ে আবার দেওয়া হয়। বাংলাদেশপন্থী পথ দেখিয়ে গেছেন আবরার ফাহাদ। সেই পথেই জাতীয় নাগরিক পার্টি রাজনীতি করছে। সেই পথ ধরেই জুলাই গণ-অভ্যুথান সংগঠিত হয়েছিল।

তিনি বলেন, ‘আবরার ফাহাদ থেকে আবু সাঈদ মুগ্ধসহ শহিদদের আমরা স্মরণ করি। তারা যেই বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিল, পদযাত্রার মাধ্যমে আমরা সেই বাংলাদেশ গড়তে দেশবাসীকে আহ্বান জানাচ্ছি।’

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বেলা ৩টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে এক পথসভায় এসব কথা বলেন নাহিদ ইসলাম।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে কুষ্টিয়ায় যারা শহিদ ও আহত হয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘এই কুষ্টিয়ার কৃতি সন্তান আবরার ফাহাদ। যাকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা রাতভর নির্যাতন করে হত্যা করেছিল। আমরা সেই আবরার ফাহাদের উত্তরসূরী। এই আন্দোলন ছিল গোলামির বিরুদ্ধে ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। শত শত শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমরা গোলামি থেকে আজাদি পেয়েছি।’ 

তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে আবরার ফাহাদের পথ ধরে এগিয়ে গেছি। আবার যদি কোনো রাজনৈতিক দল বা পক্ষ সেই আধিপত্যবাদের গোলাম হতে চায় তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধেও দাঁড়াব। দেশের মানুষও তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে। আমাদের কথা স্পষ্ট- গোলামি নয়, আমরা আজাদি চায়। আমরা আগামী দিনে মেরুদণ্ড সোজা করে মর্যাদার সঙ্গে দাঁড়াব। কুষ্টিয়ার শহিদ আবরার ফাহাদ ও শহিদ ইয়ামিন আমাদের সেই শিক্ষা দিয়ে গেছে।’

পরে আবরার ফাহাদের বাবা বরকতউল্লাহ এবং মা রোকেয়া বেগমের সঙ্গে কথা বলেন নাহিদ ইসলাম। পদযাত্রায় যোগ দেওয়ার আগে তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

এর আগে, দুপুর ১টার দিকে কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙা গ্রামে শহিদ আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, আবরার ফাহাদের বাবা বরকতউল্লাহ, মা রোকেয়া খাতুনসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।

এদিন সকালে শহরের দিশা টাওয়ারে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা।

মিলন/সালমান/

মানিকগঞ্জে বিস্ফোরক মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫৬ পিএম
মানিকগঞ্জে বিস্ফোরক মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর আলম

মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এস.এম. জাহাঙ্গীর আলমকে (৫৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে উপজেলার বাঘুটিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর আলম দৌলতপুর উপজেলার পারুরিয়া গ্রামের মৃত জয়নুদ্দিন শেখের ছেলে।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ.আর.এম আল মামুন গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০২৪ সালের ৩ ডিসেম্বর দৌলতপুর থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা করা হয়। মামলায় দণ্ডবিধির ১৪৩, ৩২৪, ৩২৬, ৪২৭ ও ৫০৬(২) ধারাও যুক্ত রয়েছে। মামলার পর থেকে আসামি জাহাঙ্গীর আলম পলাতক ছিলেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সোমবার বিকেলে বাঘুটিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আসাদ/মেহেদী/