ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

লন্ডন বৈঠকে দলীয় রাজনীতির বিশুদ্ধতা প্রাধান্য পাবে: ইসলামী আন্দোলন

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ০৯:৫৬ পিএম
লন্ডন বৈঠকে দলীয় রাজনীতির বিশুদ্ধতা প্রাধান্য পাবে: ইসলামী আন্দোলন
ছবি: সংগৃহীত

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে, সেখানে দলীয় রাজনীতির বিশুদ্ধতা ও সংস্কারের আলাপ প্রাধান্য পাবে বলে মন্তব্য করেছে ইসলামী আন্দোলন। 

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) এক বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব ও দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।

বিবৃতিতে তিনি বলেন,  ‘বিএনপি দেশের প্রধানতম দল। ফলে রাজনীতিতে তাদের মতামত ও তাদের দলীয় প্রধানের গুরুত্ব থাকবে তা স্বাভাবিক। অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে বিএনপি ও তাদের দলীয় প্রধানের মতামতকে গুরুত্ব দিয়েই নানা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের সাক্ষাৎ নিয়ে দেশের রাজনীতি ও মিডিয়ায় যেভাবে উচ্চমাত্রা চড়ানো হচ্ছে, তাতে দেশে রাজনীতিতে একক ব্যক্তিকেন্দ্রিকতার অনাকাঙ্ক্ষিত বহিঃপ্রকাশ ঘটছে।’

আতাউর রহমান বলেন,  ‘নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড গুরুত্বপূর্ণ; যা একটি বহুমাত্রিক রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, মনস্তাত্ত্বিক ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়। প্রধান উপদেষ্টার লন্ডন সফরে একটি নির্দিষ্ট দলের প্রধানের সঙ্গে যে ধরনের আচরণ করা হচ্ছে, তাতে রাজনৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিকভাবে দেশের পরিস্থিতি সেই দলের প্রতি ঝুঁকে যাবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা তৈরি হয়েছে; যা স্পষ্টত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ভারসাম্য নষ্ট করবে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বার্থে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সবার সঙ্গে নিরপেক্ষ আচরণ প্রত্যাশা করে।’

আশা প্রকাশ করে মাওলানা আতাউর রহমান বলেন, ‘দেশে বিএনপি যেভাবে চাঁদাবাজি ও রাজনৈতিক সহিংসতা করছে, তা নিয়ন্ত্রণে তারেক রহমানকে যথাযথ ভূমিকা পালনে উদ্যোগ নিতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা দেশে পরিশুদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ রাজনীতি চর্চার পরামর্শ দেবেন বলে আমরা আশা করি। তা ছাড়া সংস্কার প্রক্রিয়ায় বিএনপি যেভাবে দ্বিমত করছে, তা নিয়ে কথা বলবেন এবং জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় বিএনপি আরও দায়বদ্ধ হওয়ার বিষয়টি আলোচনায় স্থান পাবে বলে দেশবাসী আশা করছে।’

নৌকার এজেন্ট লক্ষ্মীপুর ছাত্রদলের সভাপতি  প্রার্থী, কলেজ সভাপতির নেই ছাত্রত্ব

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:০৮ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:১৪ পিএম
নৌকার এজেন্ট লক্ষ্মীপুর ছাত্রদলের সভাপতি  প্রার্থী, কলেজ সভাপতির নেই ছাত্রত্ব
লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি হাসিবুর রহমান অভি (বামে) এবং জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল খালেদ। ছবি: সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুর-২ আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থী অ্যাডভোকেট নূর উদ্দীন চৌধুরী নয়নের পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল খালেদের বিরুদ্ধে। বর্তমানে তিনি লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি পদ পেতে লবিং-তদবির চালাচ্ছেন। তার বয়স প্রায় ৪০ বছর, নেই ছাত্রত্বও।

আর লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি হাসিবুর রহমান অভির বিরুদ্ধেও মাদক সংশ্লিষ্টসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। তারও ছাত্রত্ব নেই। অভি বর্তমানে জেলা ছাত্রদলের বড় পদ পেতে তদবির শুরু করেছেন। এনিয়ে জেলা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ-অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। 

স্থানীয় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘আব্দুল্লাহ আল খালেদ জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি পদ থাকলেও বিগত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী ছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূর উদ্দীন চৌধুরী নয়ন এমপির সঙ্গে তার গভীর সখ্যতা ছিল। ২০২১ সালের উপনির্বাচনে দালাল বাজার ইউনিয়নের মহেদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নয়ন এমপির পোলিং এজেন্ট হিসেবে খালেদ দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আওয়ামী বিরোধী কোনো আন্দোলন সংগ্রামে তার উপস্থিত ছিল না।’ 

জানা গেছে, জাতীয় পরিচয় পত্রে আব্দুল্লাহ আল খালেদের জন্ম ১৯৮৬ সালের পহেলা জানুয়ারি। ২০০৩ সালে তিনি এসএসসি পরীক্ষা দেন। ২০১৬ সালে মাস্টার্স শেষ করে শিক্ষাজীবন শেষ করেছেন। ৪০ বছর বয়সে এসে জেলা ছাত্রদলের প্রার্থী হতে তদবির-লবিং চালাচ্ছেন। 

জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল খালেদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘তার জন্ম ১৯৮৮ সালে, ভুলক্রমে এনআইডিতে ১৯৮৬ সাল চলে আসছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে আমি ‘ল’ করছি। তিনি বলেন, আমি ব্যাংকের চাকরি করতাম। তখন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। কোনো এমপির প্রার্থী হয়ে নয়।’

লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি হাসিবুর রহমান অভি এলাকায় মাদক ব্যবসার সঙ্গে  জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জানান, অভি ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে জেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন টিপু এবং পৌর ৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি জয় রকির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তিনি দিনে বিএনপি, রাতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর লক্ষ্মীপুর থেকে পালিয়ে যান সালাহউদ্দিন টিপু। এলাকা ছাড়ার আগের দিনও টিপু ছাত্র-জনতার উপরে গুলি চালায়। টিপু এলাকা ছাড়ার পর লক্ষ্মীপুরের ইয়াবা ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ চলে যায় ছাত্রদল নেতা অভির হাতে। বর্তমানে তার হাতেই ইয়াবা ব্যবসা সিন্ডিকেট। অভির বিরুদ্ধে এত অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও জেলা ছাত্রদল কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। 

ইতোমধ্যে অভির মাদক সেবনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, অভি প্রকাশ্য পৌর ৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি জয় রকির সঙ্গে রুমে বসে মাদক সেবন করছেন। পাশাপাশি তারা ইয়াবা ও গাজা সেবন করতে দেখা যায়। 

অভিযোগের বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি হাসিবুর রহমান অভি খবরের কাগজকে বলেন, ‘জেলা কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে সম্পূর্ণ প্রতিহিংসার কারণে একটি গ্রুপ এসব রটাচ্ছে। তিনি কখনো ইয়াবা ধরেননি। রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার।’

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছরের মধ্যে লক্ষীপুরে যুবলীগ বা ছাত্রলীগের সঙ্গে আমি সমঝোতা করেনি। প্রতিটি মামলার আসামি ছিলাম এবং কারাগারে ছিলাম।’

লক্ষ্মীপুর জেলার ছাত্রদলের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রিয়াদ সত্য স্বীকার করে বলেন, ‘অভির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হয়ে তাকে বহিষ্কার করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘২০২১ সালের কমিটি দিয়ে চলছে কলেজ ছাত্রদল। তার ছাত্রত্ব নাও থাকতে পারে। নতুন কমিটি গঠনের কাজ চলছে।’

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির খবরের কাগজকে বলেন, ‘লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদলের কমিটি গঠন নিয়ে এখনো সেভাবে কাজ শুরু হয়নি। কমিটি গঠনের আগে যাচাই-বাছাই করা হবে। জেলার যারা অভিভাবক রয়েছেন, তাদের সঙ্গে প্রার্থীদের বয়সসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘অভির বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শফিকুল ইসলাম/সুমন/

আগামী নির্বাচনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের ঘোষণা ড্যাব নেতাদের

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫০ পিএম
আগামী নির্বাচনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের ঘোষণা ড্যাব নেতাদের
ছবি: সংগৃহীত

আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে বিজয়ী করতে রাজপথে থেকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের ঘোষণা দিয়েছেন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)-এর নেতারা। 

বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর চারটি হাসপাতালের নেতারা এক মতবিনিময় সভায় এই ঘোষণা দেন। একইসঙ্গে ড্যাবের নির্বাচনেও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তারা।

ড্যাবের আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে নিটোর (পঙ্গু হাসপাতাল), জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, জাতীয় নিউরোসাইন্স ইনস্টিটিউট এবং শিশু হাসপাতালের জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী চিকিৎসকদের উদ্যোগে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

নিটোরের আর জে গারস্থ হলে অনুষ্ঠিত সভায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রায় চার শতাধিক চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ সর্বস্তরের চিকিৎসকদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি সভাকে পরিণত করে এক মিলনমেলায়।

সভায় নেতারা বর্তমান প্রেক্ষাপটে চিকিৎসকদের অধিকার, সংগঠনের কাঠামোগত সমস্যা, ভোটার তালিকার বৈষম্য, কর্মপরিবেশ এবং আগামীর রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল শাখার সাবেক সভাপতি এবং ড্যাবের সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. খায়রুল ইসলাম। সভা যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন ড্যাবের শিশু হাসপাতাল শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. এম এ কামাল ও ডা. জাভেদ হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় শিশু হাসপাতালের ড্যাব শাখার সভাপতি ডা. মো. আজহারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘সদ্যবিদায়ী ড্যাব কমিটি অগণতান্ত্রিকভাবে বহু যোগ্য ও পরীক্ষিত জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। অবিলম্বে বঞ্চিত চিকিৎসকদের নাম পুনঃঅন্তর্ভুক্ত করে পূর্ণাঙ্গ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে। এ বিষয়ে চিকিৎসক সমাজ কোনো ছাড় দেবে না।’ 

ডা. এম এ কামাল বলেন, ‘তারেক রহমানের প্রজ্ঞাপূর্ণ ভিশনের আলোকে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো এখন সময়ের দাবি।’ 

পাশাপাশি তিনি ভোটার তালিকা পুনর্গঠনের ওপর জোর দেন এবং বলেন, ‘ভোটার তালিকা অবশ্যই নির্ভুল ও নিরপেক্ষ হতে হবে। চিকিৎসকদের আত্মমর্যাদা ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় এটা জরুরি।’

সাওন/সালমান/

ভারতের পরিকল্পনায় সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এনবিআর: রাশেদ প্রধান

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৬:৪৯ পিএম
ভারতের পরিকল্পনায় সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এনবিআর: রাশেদ প্রধান
ছবি: খবরের কাগজ

ভারতের পরিকল্পনা এবং ইন্ধনে অন্তর্বর্তী সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান।

তিনি বলেন, ‘এনবিআর সংস্কার অধ্যাদেশের বিরোধীতার অজুহাতে ৬১ দিন আন্দোলন, কমপ্লিট শাট ডাউন, সরকারের বদলি আদেশ ছিঁড়ে ফেলার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। খালি চোখে সাধারণ আন্দোলন মনে হলেও এটা ছিল ভারতের ইন্ধনে অন্তর্বর্তী সরকার উৎখাতের গভীর ষড়যন্ত্র। শুধু চিহ্নিত আন্দোলনকারী নয় বরং এনবিআর-এর উপর মহল থেকে সবার বিরুদ্ধে সরকারের তদন্ত করা উচিত।’ 

জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে, আগামীর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জাগপা’র মাসব্যাপী কর্মসূচির ৯ম দিন বুধবার (৯ জুলাই) বরিশালের টাউন হল, হাতেম আলি কলেজ চৌমাথা এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ শেষে পথসভার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

রাশেদ প্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশকে ভারতের করদ রাজ্য বানানোর লক্ষ্যে হিন্দুস্থান যে কোনো মূল্যে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার গদি ফেরত চায়।  এজন্য ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ এবং ভারতের পরাজয়ের পর থেকে দেশে একের পর এক ষড়যন্ত্র চলছে। অন্তর্বর্তী সরকার এবং দেশের জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে। নতুন বাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদ এবং আওয়ামী লীগের অপরাজনীতি চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে।’ 

গণসংযোগে শেষে পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাগপা প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক শ্যামল চন্দ্র সরকার, যুব জাগপা সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক ওলিউল আনোয়ার, শ্রমিক জাগপা সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন, জাগপা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক জীবন আহমেদ অভি, বরিশাল জাগপা নেতা আব্দুল জলিল খাঁ, নান্নু হাওলাদার, মো. মনির হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মো. মাহফুজ গাজী ও মো. লাল মিয়া প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সুমন/

২৫ জুনেই জাপার পথচলার ফয়সালা হয়ে গেছে: শামীম হায়দার

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৬:৩৭ পিএম
২৫ জুনেই জাপার পথচলার ফয়সালা হয়ে গেছে: শামীম হায়দার
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির নবনিযুক্ত মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির (জাপা) নবনিযুক্ত মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা সব সময় জাতীয় পার্টির সঙ্গেই ছিল। তারা কখনো জাতীয় পার্টির মূল স্রোতের বাইরে যায়নি। গেল ২৫ জুন জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা ঢাকায় এসে জাপা চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন প্রকাশ করেছেন। সেই দিনই জাতীয় পার্টির আগামী দিনের পথচলার ফয়সালা হয়ে গেছে।

বুধবার (৯ জুলাই) জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তরের নেতা-কর্মীরা এই নবনিযুক্ত মহাসচিবকে সংবর্ধনা দিয়েছে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘দলের কর্তৃত্ব নিয়ে নানা টানাপোড়েনের মধ্যে জাতীয় পার্টির তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন। তারা দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকেই ফের নেতৃত্বে দেখতে চান।’

নবনিযুক্ত মহাসচিব বলেন, ‘জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে যতবার ষড়যন্ত্র হয়েছে, ততবারই তিনি সততার শক্তিতে স্বমহিমায় ঘুরে দাঁড়িয়েছেন।’

তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা জি এম কাদেরের ‘মূল শক্তি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালে অনেকেই বলেছিলেন এরশাদের মৃত্যুর পর আর জাতীয় পার্টি টিকবে না। শ্রম ও মেধা দিয়ে জি এম কাদের জাতীয় পার্টিকে শক্ত ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এমন বাস্তবতায় যদি কেউ কেউ বলেন, জিএম কাদেরকে অব্যাহতি দিয়ে দেবেন এটা শুধুই হাস্যকর।’

জাপা থেকে বহিষ্কারের পর ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ অভিযোগ করেছেন, কাউন্সিলে হেরে যাওয়ার ভয়ে জি এম কাদের জাপার দশম জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনের আয়োজন করতে চাইছেন না। এর জবাবে জাপার নবনিযুক্ত মহাসচিব বলেন, ‘কাউন্সিলে কারা থাকবেন? তৃণমূল নেতা-কর্মীরাই তো থাকবেন। তৃণমূল নেতা-কর্মী ঐক্যবদ্ধভাবে জিএম কাদেরের পাশে আছেন। আর কাউন্সিলে জি এম কাদেরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো প্রার্থী কে আছেন?’

জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগের জবাবও দিয়েছেন শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি বলেন, ‘গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের সততা ও স্বচ্ছতা জাজ্বল্যমান। পাঁচ বছর গুরুত্বপূর্ণ ২টি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন তিনি। তখন তার বিরুদ্ধে কেউ একটি দুর্নীতির অভিযোগও আনতে পারেননি। আওয়ামী লীগ সরকার বারবার চেষ্টা করেও জি এম কাদেরের  বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির মামলা করতে পারেনি। দুর্নীতি জি এম কাদেরকে কখনো স্পর্শ করতে পারেনি।’ 

সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মো. সামছুল হক। সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগরের দক্ষিণের আহ্বায়ক মীর আব্দুস সবুর আসুদ, শেরীফা কাদের, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মমতাজ উদদীন, ইঞ্জিনিয়ার মইনুর রাব্বী চৌধুরী রুম্মন, জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা নুরুল আজহার শামীম, দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলমসহ কেন্দ্রীয় কমিটির অনেক নেতা। অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির অনেক নেতাও উপস্থিত ছিলেন।

জয়ন্ত/সালমান/

বিএসএফ সীমান্তরক্ষী নয়, খুনি বাহিনীতে পরিণত হয়েছে: নাহিদ ইসলাম

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫৭ পিএম
বিএসএফ সীমান্তরক্ষী নয়, খুনি বাহিনীতে পরিণত হয়েছে: নাহিদ ইসলাম
পথসভায় বক্তব্য রাখেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: খবরের কাগজ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বিএসএফ কোনো সীমান্তরক্ষী বাহিনী নয়, বরং এটি একটি খুনি বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। ভারতীয় আধিপত্যবাদের কারণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বারবার লঙ্ঘিত হয়েছে। আমাদের পানির ন্যায্য হিস্যা দেওয়া হয়নি। অর্থনৈতিকভাবে, সাংস্কৃতিকভাবে বারবার বাংলাদেশকে অবদমন করা হয়েছে।

বুধবার (৯ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের শহিদ হাসান চত্বরে আয়োজিত এক পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।

নাহিদ বলেন, ‘সীমান্ত হত্যা আমরা কখনোই মেনে নেব না। গত ৫৪ বছরে সীমান্তে হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। শুধু চুয়াডাঙ্গাতেই সীমান্ত এলাকায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২০০ জন।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বিগত ১৬ বছর ভারত সরকারের সহায়তায় দেশে গুম, খুন ও দমন-পীড়নের রাজনীতি চালিয়েছে।’ 

এ সময় দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরাসরি গণহত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি নিজেই গণহত্যা পরিচালনা করেছেন। অথচ সেই শেখ হাসিনাকে ভারতের বর্তমান মোদি সরকার আশ্রয় দিয়ে রেখেছে। একজন মানবতাবিরোধী অপরাধী, একজন গণহত্যাকারীকে আশ্রয় দেওয়ার দায় ভারতকেই নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ভারত সরকারকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ইতিহাসের কাছে আপনাদের জবাবদিহি করতে হবে। মোদি সরকারকে মনে রাখতে হবে, গণমানুষের রক্তের দায় কখনো ধোয়া যায় না।’

এদিন পথসভায় এনসিপির ভবিষ্যৎ রূপরেখা ও রাজনৈতিক দর্শন তুলে ধরেন আখতার হোসেন। 

তিনি বলেন, ‘এনসিপি দেশে নতুন ধারা ও নতুন রাজনীতির সূচনা করতে চায়। আমরা চাই একটি বৈষম্যহীন, মানবিক ও ন্যায়ভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্র, যেখানে প্রতিটি মানুষের মর্যাদা, অধিকার ও ন্যায়ের নিশ্চয়তা থাকবে। হাজারো মানুষ আমাদের এই পদযাত্রায় অংশ নিচ্ছেন, শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, ভালোবাসা দিচ্ছেন। আমরা সেই ভালোবাসার দায়িত্ব নিতে চাই, নতুন বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে নিজেদের উৎসর্গ করে।’

নেতারা আরও বলেন, ‘আমাদের অনেক ভাই শহিদ হয়েছেন। গণতন্ত্র, মানবিকতা, স্বাধীন মত প্রকাশ এবং আইনের শাসনের জন্য তাদের রক্ত ঝরেছে। সেই রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে কেবল সরকারের পরিবর্তন নয়, গোটা রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক রূপান্তর ঘটাতে হবে।’

এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের সঞ্চালনায় পথসভায় বক্তব্য রাখেন দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব মোল্লা মো. ফারুক এহসান, ডা. তাসনিম জারা, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।

এর আগে, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া বাজারে ‘জুলাই পদযাত্রা’র আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। এরপর দুপুর দেড়টায় আলমডাঙ্গা শহরের আলতাইবা মোড়ে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা আড়াইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের শহিদ হাসান চত্বরে আয়োজিত পথসভাটি ছিল এই কর্মসূচির অন্যতম কেন্দ্রীয় আয়োজন।

পরে বিকেলে দর্শনা ও জীবননগরে আরও দুটি পথসভা শেষে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা ঝিনাইদহের উদ্দেশ্যে রওনা হন।

মিজানুর/সালমান/