
সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্র সংস্কার ও জুলাই সনদ- দুটিই করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার (১৩ জুন) লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদ নিয়ে দেশে আলোচনা চলছে। আমাদের সিদ্ধান্ত হলো ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদ হবে। রাষ্ট্র সংস্কারও হবে। রাষ্ট্র সংস্কারের যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হবে সেগুলো বাস্তাবায়ন করা হবে।’
এর আগে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা) বৈঠকটি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ৩টা) বৈঠক শেষ হয়।
আমির খসরু বলেন, ‘বৈঠকে নির্বাচন, রাজনীতিসহ সব বিষয়ে আলোচনা হবে এটা স্বাভাবিক। আমরা তো নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে সামনের দিকে এগোচ্ছি। আমরা সবাই চাই, দেশ গড়ার যে প্রত্যয় নিয়েছি আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সেই কাজটা করব। শুধু নির্বাচনের আগে নয়, নির্বাচনের পরও বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে ঐকমত্য হয়েছি তা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
সংস্কার নিয়ে আলোচনা হয়ে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সংস্কারের যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য হবে সেগুলোই সংস্কার হবে। সংস্কার একটা চলমান প্রক্রিয়া। এমন নয় যে, এখনই সব সংস্কার শেষ হয়ে যাবে। নির্বাচনের আগে ঐকমত্যের ভিত্তিতে কিছু সংস্কার হবে। নির্বাচনের পরও সংস্কার অব্যাহত থাকবে। কারণ আমার যে দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়েছি সেখানে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা সবাই অনুভব করছে। সুতরাং আগে-পরে সংস্কার চলতে থাকবে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার ব্যাপারে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আমির খসরু বলেন, ‘এ ব্যাপারে আলোচনার কোনো প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমরা মনে করি না। তারেক রহমান যখন ইচ্ছা তখন তিনি দেশে ফিরতে পারবেন। সুতরাং সিদ্ধান্ত উনি (তারেক রহমান) নেবেন, সময়ও নির্ধারণ করবেন।’
আমির খসরু বলেন, ‘প্রথমে দুইটি বিষয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমান ‘ওয়ান টু ওয়ান’ দীর্ঘ সময় আলোচনা করেছেন। বৈঠকের ব্যাপারে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা বলেছি, শুধু নির্বাচনের আগে নয়, নির্বাচনের পরও দেশ গড়ার ক্ষেত্রে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করব। নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলব।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় সরকার নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কোনো বিষয় নয়। এটা যারা নির্বাচিত হকে তাদের সিদ্ধান্ত।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিতি ছিলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম প্রমুখ।
শফিকুল ইসলাম/সুমন/