নির্বাচনি প্রক্রিয়ার বাইরে অন্য কোনো পন্থা গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।
বুধবার (জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। গণতন্ত্রে যে উত্তরণ সেই উত্তরণের একটি মাত্র প্রক্রিয়া হচ্ছে, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন, নিরপেক্ষ নির্বাচন। এর বাইরে আর কোনো পন্থা বাংলাদেশে কেনো, সারা বিশ্ব বা অন্য কোথাও জানা নেই। আর যদি কেউ বলে, তারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না, অন্য কোনো পন্থায় তারা এদেশকে পরিচালনা করতে চায়, তাহলে আমাদের পথ আলাদা, তাদের পথ আলাদা। এটা স্পষ্ট করতে হবে, গণতন্ত্রের মুখোস পড়ে কেউ যদি এদেশে স্বৈরতন্ত্র করতে চায়, সেটা বিএনপি হতে দেবে না।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে ক্রমাগত ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কয়েকটি দলের কটূক্তিমূলক বক্তব্য দেওয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মঈন খান বলেন, ‘এদেশে গত কয়েকদিনের যে বিভিন্ন ঘটনা হচ্ছে, সেই ঘটনার মূল্যে কোনো রহস্য রয়েছে, সেই রহস্য আজকে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে উন্মোচিত করতে হবে। আমরা শান্তিপূর্ণ, নিয়মতান্ত্রিক ও সুষ্ঠু রাজনীতিতে বিশ্বাসী।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সমাজ এবং সংস্কৃতিতে যে সব কথা, বাক্য, কটুবাক্য সেগুলো দেশের মানুষ চিরদিন প্রত্যাখান করে এসেছে। যেসব কথা-বার্তা-ভাষা আজকে দেশে যারা প্রকাশ্যে নিয়ে আসে তারা বাংলাদেশকে ভালোবাসে না। তারা বাংলাদেশের সমাজকে ধ্বংস করতে চায়, তারা বাংলাদেশের যে কৃষ্টি সেটাকে ধ্বংস করতে চায়।’
মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে মইন খান বলেন, ‘আমরা এদেশে বড় হয়েছি। আপনারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। আপনারা কী কখনো দেখেছেন যে, বাংলাদেশের প্রকাশ্যে এই ধরণের শব্দ, ভাষা, কটুবাক্য। উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাংলাদেশের ইমেজকে ধ্বংস করার জন্য কারা দায়ী তাদের চিহ্নিত করতে হবে।’
এ সময় বর্তমানে দেশজুড়ে যে সহিংসতা-হত্যাকান্ডের মতো ঘটনা ঘটছে, যারা ঘটাচ্ছেন তাদের সঠিক পথে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। যারা বর্তমানে দেশের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করছেন, তাদের শুধু একটা কথাই বলবো যে, আপনারা বাংলাদেশকে ভালোবাসতে শিখুন।’
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, প্রয়াত মশিউর রহমান যাদু মিয়ার মেয়ে বিএনপি নেত্রী রিটা রহমান ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মজিবুর রহমান প্রমুখ।
শফিকুল ইসলাম/সুমন/