ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

রাজশাহীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম
রাজশাহীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য হাসিনুর ইসলাম সজল

রাজশাহীতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য হাসিনুর ইসলাম সজলকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) রকিবুল হাসান ইবনে রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে রবিবার (২২ জুন) রাতে নগরের শাহমখদুম থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তার সজল রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত। ছাত্রলীগের পদ পাওয়ার আগেই তিনি শাহরিয়ারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং পরে তার বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হন।

নগরের দক্ষিণ নওদাপাড়া এলাকার বাসিন্দা সজল রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। পুলিশের ভাষ্য, তার বিরুদ্ধে নিয়োগ ও বদলি সংক্রান্ত অনিয়ম ও প্রভাব খাটিয়ে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

আরএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ রকিবুল হাসান ইবনে রহমান জানান, গ্রেপ্তার সজলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এনায়েত/মেহেদী/

শেখ হাসিনার সঙ্গে আ.লীগেরও বিচার হওয়া উচিত: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:২৬ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩২ পিএম
শেখ হাসিনার সঙ্গে আ.লীগেরও বিচার হওয়া উচিত: মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

গণহত্যা ও ফ্যাসিবাদের সঙ্গে যুক্ত থাকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দল হিসেবে আওয়ামী লীগেরও বিচার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময়ই মনে করি, যেসব রাজনৈতিক দল ফ্যাসিবাদের পক্ষে থাকবে, যারা ফ্যাসিবাদের পক্ষে কাজ করবে যেটা আওয়ামী লীগ করেছে, তাদের প্রতিটি ব্যক্তির শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।’

বুধবার (৯ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে সাংবাদিকদের করা ‘বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলন দমাতে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন’ এখন এমন একটি দলের বিষয়ে আপনাদের অবস্থান কী- এমন প্রশ্নে এসব কথা বলেন তিনি।

এর আগে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য ও জিয়া পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল কদ্দুস এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. সিরাজউদ্দিনকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে তাদের চিকিৎসার সার্বিক খোঁজখবর নেন। 

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিশেষ করে দলের প্রধান শেখ হাসিনার, তার বিচার কিন্তু শুরু হয়েছে। আমরা আশা করছি, তার সঙ্গে যারা এই গণহত্যা এবং এই ফ্যাসিবাদের আক্রমণের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকেরই বিচার হবে। সেই হিসেবে আমরা দেখতে চাই, দলকেও (আওয়ামী লীগ) যদি আইনের আওতায় নিয়ে এসে দলগত হিসেবে বিচার করা হয়, তাহলে অবশ্যই তাদের বিচার হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।’

তিনি বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগের নির্যাতন, নিপীড়ন, হত্যা, গুম-খুনের সবচেয়ে বড় ভিক্টিম আমাদের দল বিএনপি। আমি নিজেও ১১২টা মামলার আসামি এবং ১৩ বার জেলে যেতে হয়েছে।’
 
সংস্কারের সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যারা মনে করেন যে নির্বাচন প্রয়োজন নেই। আমার মনে হয়, তারা আবার চিন্তা করবেন নির্বাচন প্রয়োজন জনগণের জন্য। একটা নির্বাচিত সরকার দরকার। যে নির্বাচনে জনগণের সম্পর্ক থাকবে। সে কারণেই আমরা বলেছি যে সংস্কারগুলো হচ্ছে প্রত্যেকটি সংস্কারের দাবি আমরাই তুলেছি সবার আগে। সংস্কার এবং নির্বাচনের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই। দুটো একসঙ্গে চলতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘দেশটাকে সবাই মিলে বাঁচাতে হবে এবং প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব হচ্ছে দেশকে সঠিক ট্র্যাকে উঠানো। যত দ্রুত সেটা উঠানো যাবে ততই মঙ্গল।’

এর পর বিএনপি মহাসচিব আয়শা মেমোরিয়াল হাসপাতালে শিল্পী ফরিদা পারভিনকে দেখতে যান এবং চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হয়। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন উজ্জ্বল, সহসাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সাঈদ সোহরাব, জাসাস সভাপতি হেলাল খান ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রুকন প্রমুখ।

শফিকুল/পপি/

ফুটবলার ঋতুপর্ণার ক্যানসার আক্রান্ত মায়ের পাশে তারেক রহমান

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:২৩ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩১ পিএম
ফুটবলার ঋতুপর্ণার ক্যানসার আক্রান্ত মায়ের পাশে তারেক রহমান
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের নির্দেশনায় ‘গোল্ডেন গার্ল’ খ্যাত ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমার ক্যানসার আক্রান্ত মা ভূজোপতি চাকমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর একটি প্রতিনিধিদল। 

বুধবার (৯ জুলাই) সকালে রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি গ্রাম মগাছড়িতে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি ভূজোপতি চাকমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। 

এ সময় সংগঠনের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন উপস্থিত ছিলেন।

ঋতুপর্ণা চাকমার পরিবারের প্রতি তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহমর্মিতার বার্তা পৌঁছে দেন রুহুল কবির রিজভী। এ সময় তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঋতুপর্ণা চাকমার মা ভূজোপতি চাকমার হাতে চিকিৎসা সহায়তা তুলে দেন রিজভী। পাশাপাশি তার পরিবারের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল, সংগঠনের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, আবুল কাশেম, সংগঠনটির সদস্যসচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন ও জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি প্রমুখ।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দীপু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ মামুন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য রাজীব জাফর চৌধুরী ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম তুহিন প্রমুখ। 

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ক্যানসারে মারা যান ঋতুপর্ণার বাবা বরজ বাঁশি চাকমা। বাবার অনুপ্রেরণায় ঋতুপর্ণা খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে ওঠেন। পাশাপাশি তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

সম্প্রতি এএফসি উইমেন্স এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ঋতুপর্ণা মায়ানমারের বিপক্ষে দুটি গোল করে দলকে ২-১ ব্যবধানে জয় এনে দিয়েছেন। তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষেও একটি গোল করেন তিনি।

সালমান/

সিলেটে জয়া সেনের ‘এমপি প্রতিনিধি’ প্রদীপকে পুলিশে সোপর্দ

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০২:৫৯ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
সিলেটে জয়া সেনের ‘এমপি প্রতিনিধি’ প্রদীপকে পুলিশে সোপর্দ
এভাবেই পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় প্রদীপ রায়কে। ভিডিও থেকে ধারণ করা ছবি

পরনে সাদামাটা সেন্ডুগেঞ্জি ও লুঙ্গি। মেঝেতে বসা। উঠতে চাইলে ‘এই বস-বস, মাটিতে বসা থাক’ বলে দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছিল না। চারপাশ ঘিরে রেখেছেন কয়েকজন লোক। দুজন পুলিশও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এ অবস্থায় ভিডিও ধারণ করে বলা হচ্ছিল, ‘ডেভিল, ডেভিল ধরা পড়ছে...’।

এভাবে পুলিশে সোপর্দ করা হয় দিরাই-শাল্লার (সুনামগঞ্জ-১ আসন) সাবেক সংসদ সদস্য জয়া সেনগুপ্তের ‘এমপি প্রতিনিধি’ প্রদীপ রায়কে। 

তিনি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দিরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত প্রায় আড়াইটার দিকে সিলেট নগরীর সুবিদবাজার এলাকার লন্ডনি রোডের একটি বাসা থেকে তাকে জালালাবাদ থানায় সোপর্দ করা হয়।

বুধবার যোগাযোগ করলে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘স্থানীয় জনতা প্রদীপ রায়কে আটক করলে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হেফাজতে নিয়েছে।’

ওসি জানান, প্রদীপ রায়ের বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের আগে ও পরে সিলেট-সুনামগঞ্জে মোট সাতটি মামলা রয়েছে। জলমহাল দখল নিয়ে হত্যা মামলাও রয়েছে। তাকে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

জানা গেছে, প্রদীপ রায় বিগত ১৫ বছর দিরাই শাল্লায় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। নানা ঘটনায় স্থানীয়ভাবে সমালোচিতও ছিলেন তিনি। সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার ভাই বিশ্বজিৎ রায় আওয়ামী লীগের মনোনয়নে দিরাই পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ৫ আগস্টের পর প্রদীপ রায় ও তার ভাই আত্মগোপনে ছিলেন।

পুলিশ জানায়, প্রদীপের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে সিলেট নগরীর পাঠানটুলা এলাকায় বসবাসরত দিরাই বিএনপি কর্মীরা স্থানীয় লোকদের সহযোগিতায় তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। প্রদীপ রায়কে আটকের সময় একটি ভিডিও মধ্যরাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। 

ভিডিওতে দেখা যায়, প্রদীপকে বাসার মেঝেতে বসিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি বার কয়েক দাঁড়াতে চাইলেও উঠতে বা নড়তে দেওয়া হচ্ছিল না। দিগম্বর ও ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থায় দেখা যাচ্ছিল। ভিডিওতে তাকে ‘ডেভিল’ বলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন থাকাকালে দিরাই-শাল্লায় তার একচ্ছত্র আধিপত্য নিয়ে বিক্ষুব্ধদের নানা কথাবার্তা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। শেষে দুজন পুলিশ সেখানে গিয়ে বিক্ষুব্ধদের শান্ত করে প্রদীপকে তাদের হেফাজতে নেন। 

প্রদীপের বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের আগে মামলার বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে দিরাই থানা সূত্রে জানা গেছে, দিরাইয়ের কুলঞ্জ ইউনিয়নের জারুলিয়া জলমহালের দখল নিয়ে ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় প্রদীপ রায়কে আসামি করা হয়। তবে পুলিশের চার্জশিটে তাকেসহ আরও কয়েকজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এছাড়া ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর দিরাইয়ের ভাটিপাড়া জলমহালের দখল নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনার একজন নিহতের ঘটনায় করা হত্যা মামলায়ও প্রদীপ রায় আসামি। ৫ আগস্টের পর দিরাই ও সিলেটে আরও পাঁচটি মামলার আসামি।

জানা গেছে, দিরাই-শাল্লায় ভোটের রাজনীতিতেও প্রদীপ রায় একজন অবৈধ প্রভাব বিস্তারকারী হিসেবে পরিচিত। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে হারিয়ে ডামি প্রার্থী জয়া সেনগুপ্তকে বিজয়ী করেছিলেন। সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনটি প্রয়াত রাজনীতিবিদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নির্বাচনি এলাকা। ভোটের রাজনীতিতে ‘সুরঞ্জিতের আসন’ হিসেবে পরিচিত। ২০১৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মারা গেলে তার স্ত্রী ড. জয়া সেনগুপ্ত ওই বছরের ৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের দ্বিতীয়বার মতো তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে শাল্লা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনের ছোট ভাই চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (আল-আমিন চৌধুরী) আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হলে প্রদীপ রায় তার এমপি প্রতিনিধি টিকিয়ে রাখতে দলীয় প্রার্থীকে হারিয়ে দিয়েছিলেন বলে তখন খোদ আওয়ামী লীগ থেকে অভিযোগ উঠেছিল।

অমিয়/

বিএনপির ৩১ দফা মানেই আগামীর বাংলাদেশ: আফরোজা আব্বাস

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০২:৩৩ পিএম
বিএনপির ৩১ দফা মানেই আগামীর বাংলাদেশ: আফরোজা আব্বাস
ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপির ৩১ দফা মানেই গণতন্ত্র, আর এই ৩১ দফার মধ্যেই রয়েছে আগামীর বাংলাদেশের রূপরেখা বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস।

তিনি বলেন, 'এই ঘোষণার মধ্যেই আছে ভবিষ্যতে সরকার গঠনের রূপরেখা, কৃষকের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতকরণ, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং নারী ও শিশু মুক্তির দিকনির্দেশনা।'

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকেলে আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ মাঠে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে আয়োজিত জনসভা ও নারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে দুপুর থেকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে নারীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের দায়িত্বশীল নেতা কবীর আহমেদ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেলাল উদ্দিন সরকার তুহিন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইসমত আরা, সাধারণ সম্পাদক শামীমা বাছির স্মৃতি, উপজেলা বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদীন আব্দু, সাধারণ সম্পাদক ডা. খোরশেদ আলম, পৌর বিএনপির সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক আকতার খান এবং উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী অন্তরা চৌধুরী।

সভা সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মাসুম ভূঁইয়া।

আফরোজা আব্বাস বলেন, 'নারীরা শুধু রাজনীতি করে না, তারা সংসার সামলায়, সন্তান প্রতিপালন করে এবং দেশের প্রয়োজনে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। নারীদের অধিকার আদায়ে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদান অনস্বীকার্য। আর তারেক রহমানই হলেন নির্যাতিত মানুষের কাঁধে হাত রাখা সত্যিকারের নেতা।' 

তিনি আরও বলেন, 'স্বৈরাচারী হাসিনা মামলা দিয়েছিল, বাড়ি ছাড়া করেছিল তবু আমাদের মা দেশনেত্রী খালেদা জিয়া পালিয়ে যায়নি। হাসিনা পালিয়ে গেছে'

জুটন বনিক/মেহেদী/

ময়মনসিংহে যুবলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১০:৫০ এএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১১:২০ এএম
ময়মনসিংহে যুবলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ২
বামে খন্দকার বাকী বিল্লাহ ও অন্যজন যুবলীগ নেতা

ময়মনসিংহে সাগর হত্যা মামলা ও বিএনপির অফিস ভাঙচুরের মামলায় যুবলীগ নেতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে শহরের চরপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ময়মনসিংহের সাবেক জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) ও দীপু-সায়েম পরিষদের সহসভাপতি ও আওয়ামী লীগ কর্মী খন্দকার বাকী বিল্লাহ এবং মহানগর যুবলীগের সদস্য তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী।

বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, 'খন্দকার বাকী বিল্লাহ সাগর হত্যা মামলার আসামি। এ ছাড়া বিএনপির অফিস ভাঙচুর মামলার আসামি তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী। গত ৫ আগস্টের পর গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে যান তারা। পরে দুপুরে দুজন চরপাড়া এলাকায় ছিলেন। এ সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ময়মনসিংহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের পদধারী এক নেতা খবরের কাগজকে বলেন, 'বাকী বিল্লাহ আওয়ামী লীগের কর্মী। তিনি সদরের সাবেক সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্তর আস্থাভাজন। মারা যাওয়া ছাত্রলীগ নেতা দীপু ও সায়েমের স্মরণে দীপু-সায়েম স্মৃতি পরিষদ গঠন করেছিল আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্ত। ওই কমিটির সভাপতি শান্ত নিজেই। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর খন্দকার বাকী বিল্লাহকে ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে দ্বায়িত্ব পালন করতে আর দেখা যায়নি। তিনি গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে ছিলেন। এ ছাড়া তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী যুবলীগের সক্রিয় নেতা।'

গত বছরের ১৯ জুলাই ময়মনসিংহ নগরের মিন্টু কলেজ এলাকায় ছাত্রদের বিক্ষোভ মিছিলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে রেদোয়ান হোসেন ওরফে সাগর (২৪) নিহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ গত ২৪ জুলাই বাদী হয়ে ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা করেন। এ ছাড়া বিএনপি পার্টি অফিস ভাঙচুরের ঘটনায়ও স্থানীয় বিএনপির পক্ষ থেকে আলাদা মামলা হয়।

মিন্টু/মেহেদী/