ঢাকা ২৪ আষাঢ় ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২

তারেক রহমান নির্বাচনে লড়বেন ৩ আসনে

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৮:৪৪ এএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৫, ১০:২৬ এএম
তারেক রহমান নির্বাচনে লড়বেন ৩ আসনে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া-বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলেই দেশে ফিরতে পারেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। জানা গেছে, দেশে ফিরে অন্তত তিনটি আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি। পাশাপাশি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও অন্তত একটি আসনে নির্বাচন করবেন।

অন্যদিকে, তার পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান সিলেট-১ আসনে নির্বাচন করছেন, এটি মোটামুটি নিশ্চিত বলে জানা গেছে।

বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্রগুলো বলছে, সিলেট-১ আসনের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা ইতোমধ্যে এলাকায় এ-সংক্রান্ত পোস্টার সাঁটিয়েছেন। দেশে ফিরে গত ২৩ জুন ভোটার হয়েছেন জুবাইদা। ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য তার তথ্য সংগ্রহ করেছে নির্বাচন কমিশন। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে প্রায় ১৭ বছর দেশের বাইরে ছিলেন তিনি। সম্প্রতি দেশে ফিরে ভোটার হালনাগাদ করতে হয়েছে তাকে। একই সময় থেকে তারেক রহমানও লন্ডনে বসবাস করছেন। তবে শেখ হাসিনার পতন-পরবর্তী পরিস্থিতিতে তার দেশে ফিরে আসার সুযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে সব মামলায় খালাস পেয়ে দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারেক রহমান, যদিও তার ফেরার দিনক্ষণের বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা হয়নি।

তবে সূত্র বলছে, নিরাপত্তাসহ তার ফেরার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে বিএনপি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কবে দেশে ফিরবেন সেই সিদ্ধান্ত তিনিই নেবেন। এটা আগাম বলা কঠিন। তবে দেশে প্রত্যাবর্তনের আগে বড় সারপ্রাইজ থাকবে। দেখা যাবে হঠাৎ একদিন ঘোষণা আসবে, আগামীকাল দেশে ফিরবেন তারেক রহমান। তার দেশে ফেরার দিনে কাউকে ঘোষণা দিয়ে ঢাকায় আসতে বলার প্রয়োজন পড়বে না। সেদিন ঢাকার এয়ারপোর্ট থেকে বাসা পর্যন্ত এমন জনস্রোত নামবে যা বাংলাদেশের ইতিহাসে আগে কেউ দেখেনি।’

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দল পরিচালনা করছেন তারেক রহমান। বিগত সরকারের অনেক অত্যাচার-নির্যাতন সত্ত্বেও তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ আছে। নির্বাচনে জয়লাভ করে বিএনপি সরকার গঠন করলে তিনিই মূল কান্ডারি হবেন বলে দলটির নেতা-কর্মীরা মনে করেন। প্রধান কান্ডারি হিসেবে খালেদা জিয়া আগে বেশির ভাগ সময় ৫টি আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তবে নির্বাচন কমিশনের আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে ২০০৮ সালে তিনি ৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন। তারেক রহমানও সর্বোচ্চ ৩টি আসনে নির্বাচন করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়ে আছে। তবে কোন তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তা এখনো ঠিক হয়নি। শরিকদের সঙ্গে আসন বণ্টন, প্রার্থীর জনপ্রিয়তা, সর্বোপরি নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে তার ঘনিষ্ঠজনতা মনে করেন, বগুড়ার একটি আসনে তিনি নির্বাচন করবেন এটি মোটামুটি নিশ্চিত।

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠকের সূত্র ধরে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে বিএনপি মনে করছে। সে অনুযায়ী দলটি প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘তারেক রহমান কবে দেশে ফিরবেন সেই সিদ্ধান্ত তিনি তার সুবিধামতো সময়েই নেবেন। এত বছর বাইরে রয়েছেন, পারিবারিক ও রাজনৈতিক সুবিধা-অসুবিধা রয়েছে। এ ছাড়া আরও অনেক বিষয় রয়েছে। তার দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত আমরাও দিতে পারব না। তবে আমি এতটুকু বলতে পারি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যেকোনো সময় তিনি তারিখ ঘোষণা করতে পারেন। সে দিনই দেশবাসী ও আমরা জানতে পারব তার আগমনের কথা।’

তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে তার (তারেক রহমান) লেভেলের নেতার নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখতে হবে। নিরাপত্তার বিষয়টি সব মহলকে বিবেচনায় নিতে হবে। ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তিনি আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সারা দেশের মানুষের সঙ্গেও সংযোগ স্থাপন করে গেছেন।’ 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির সিনিয়র এক নেতা জানান, তারেক রহমান তিনটি আসনে প্রার্থী হবেন। তবে কোন তিনটি আসনে, তা এখনো নির্ধারিত হয়নি। তিনি দেশে প্রত্যাবর্তন করবেন এবং এর পরই সিদ্ধান্ত নেবেন। 

নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, দেশের বিদ্যমান নানা রাজনৈতিক অস্থিরতার কথা বিবেচনায় নিয়ে অন্তত ১টি আসনে খালেদা জিয়ার নির্বাচন করা উচিত বলে মনে করে বিএনপি। ফলে সেভাবেই এক ধরনের মৌখিক সিদ্ধান্ত হয়ে আছে। সব শেষ ২০০৮ সালের নির্বাচনে বগুড়া-৬, বগুড়া-৭ এবং ফেনী-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হয়েছিলেন তিনি। তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্যমূলক মামলায় সাজা দিয়ে তাকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বগুড়া-৭, ঢাকা-৭, ঢাকা-৯, চট্টগ্রাম-৮ ও ফেনী-১ আসনে তিনি জয়লাভ করেন। এর মধ্যে ঢাকা-৭ আসনে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার বিপক্ষে দাঁড়িয়ে ২১ হাজার ৯০৪ ভোটে জয়লাভ করেন খালেদা জিয়া। এরপর একই আসনে খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে তিনি বগুড়া-৬, বগুড়া-৭, ফেনী-১, লক্ষ্মীপুর-২ এবং চট্টগ্রাম-১ আসনে প্রার্থী হয়ে সব আসনে জয়লাভ করেন। এরপর ২০০১ সালের নির্বাচনে বগুড়া-৬, বগুড়া-৭, ফেনী-১, লক্ষীপুর-২ এবং খুলনা-২ আসনে প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হন খালেদা জিয়া। এবার ফেনী-১ বা বগুড়া-৬ বা ৭, এর মধ্যে যেকোনো একটি আসনে খালেদা জিয়া প্রার্থী হতে পারেন বলে বিএনপিতে আলোচনা আছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, ‘ম্যাডাম নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না, সে সিদ্ধান্ত হয়নি। নির্বাচনি প্রক্রিয়া শুরু হলে পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হবে। ম্যাডাম এ বিষয়ে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবেন। আমাদের আরেকটু ধৈর্য ধরতে হবে।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে ঘিরে সিলেটে বিএনপির রাজনীতিতে চলছে নানামুখী আলোচনা। ‘মর্যাদাপূর্ণ’ সিলেট-১ আসনে প্রার্থী হতে পারেন জুবাইদা রহমান। তারেক রহমানের মতো তিনিও প্রথমবারের মতো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তার জন্ম সিলেটের দক্ষিণ সুরমায়। সাবেক নৌবাহিনী প্রধান রিয়াল অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের কন্যা তিনি। ইতোমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের গুলশান এভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাসার ঠিকানায় জুবাইদা রহমানের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিককে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে প্রথমে তাকে ভোটার হতে হয়। একজন ভোটার চাইলে দেশের যেকোনো আসন থেকে প্রার্থী হতে পারেন।

সিলেট-১ আসনে জিয়া পরিবারের কাউকে নির্বাচনে দাঁড় করানোর জন্য ইতোমধ্যে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেছেন সিলেট বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। জুবাইদা রহমানকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চেয়ে সিলেট নগরজুড়ে পোস্টারিং করেছেন অনেকে। সিলেট-১ আসনটিকে বলা হয়- ‘যে দল সিলেট-১ আসনে বিজয়ী হয়- সেই দল সরকার গঠন করে।’ 

এ আসন থেকে তাই ডা. জুবাইদা রহমানকে চাচ্ছেন অনেকেই। এতে সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনে বিএনপির প্রার্থীদের জয়লাভের পথ সহজ হবে বলে অনেকে ধারণা করছেন। বিএনপির প্রার্থী ও ভোটাররাও মাঠে চাঙ্গা থাকবেন। 

প্রসঙ্গত, ২০০৭-০৮ সালে ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময়ে তারেক রহমানের ওপর প্রচণ্ড নির্যাতন চালানো হয়েছিল। সে সময় রাজনীতি থেকে তাকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্র হয়েছে বলে বিএনপি অভিযোগ করে আসছে। এমনকি তাকে দেশত্যাগেও বাধ্য করা হয়। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর রাতে তারেক রহমান তার পরিবার নিয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান। এরপর তাকে আর দেশে আসতে দেওয়া হয়নি। এ কারণে তার দেশে ফেরা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে।

> বরিশালে মনোনয়নযুদ্ধে বিএনপির ১১ হেভিওয়েট

গণতন্ত্রের চর্চা থেকে অনেক দূরে সরে গেছি: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫৭ পিএম
গণতন্ত্রের চর্চা থেকে অনেক দূরে সরে গেছি: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'দুর্ভাগ্য যে বাংলাদেশে গণতন্ত্রটা চর্চা হয়নি। গণতন্ত্রের চর্চা পাকিস্তান আমল থেকে এখানে হয়নি। খুব স্বল্প সময় ধরে কিছুটা চর্চা হয়েছিল। তারপরে আবার সেই চর্চা থেকে আমরা দূরে সরে গেছি।'

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বাংলা একাডেমিতে 'সিভিল ডিসকোর্স ন্যাশনালস-২০২৫'-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা কলেজ ডিবেটিং সোসাইটি এবং দ্য বাংলাদেশ ডায়ালগ যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, 'বাংলাদেশের তরুণরা ১ দশমিক ৮৭ শতাংশ রাজনীতিতে আগ্রহীর একটা জরিপ দেখে সকালে মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। এখানে এসে আমার আশা বেড়েছে। আমাদের তরুণরা আরও বেশি যোগ্য। তারা দেশ গঠনে বেশি ভূমিকা রাখতে পারবে।' 

তিনি বলেন, 'বর্তমান প্রজন্ম এখন আমাদের চেয়ে অনেক অনেক দূর এগিয়ে গেছে। অনেকে বলেন যে এখানে কিছু হবে না। এটা সঠিক নয়। আমি অত্যন্ত আশাবাদী অনেক কিছু হবে এবং বাংলাদেশে অবশ্যই আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব।' 

মির্জা ফখরুল বলেন, 'তর্ক আছে, বিতর্ক আছে। মতের অমিল আছে। আমরা বিশ্বাস করি যে আমার কথা বলার স্বাধীনতা থাকতে হবে। তোমারও কথা বলার স্বাধীনতা থাকতে হবে। এটাই হচ্ছে উপযুক্ত একটা ডেমোক্রেসি।'

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের একটি প্রদেশের প্রধান মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে সাক্ষাতের প্রসঙ্গে টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'শুধুমাত্র তার একজন দেহরক্ষী নিয়ে এসে আশ্রয় নেওয়া সবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আর আমাদের এখানে যেই মন্ত্রী হয়ে গেল সেই সম্পূর্ণভাবে ভিন্ন জগতে চলে যায়। তার বাড়ির সামনে গাড়ি, পেছনে আরেকটা গাড়ি- এই একটা মানসিকতা তৈরি হয়। এই মানসিকতা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। স্পিকার, প্রাইম মিনিস্টার বললেই তো যথেষ্ট হয়। আমি আশাবাদী মানুষ, আমি মনে করি, আমাদের নতুন ছেলেরা এই বিষয়টা চালু করবে। ভালো সময় আসবে, আরও ভালো সময় আসবে।'

আয়োজকদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, 'তারা অত্যন্ত সুন্দর একটা ভালো কাজ করেছেন। আমাদের নতুন প্রজন্মের চেঞ্জের সঙ্গে আমাদের পরিচয়টা আর বাড়ানো দরকার। এখানে একটা বড় গ্যাপ আছে। ঢাকাতে যে চিন্তাভাবনা আবার ঠাকুরগাওয়ে সেই চিন্তাভাবনা না। আমরা একটা প্রজন্ম তৈরি করতে চাচ্ছি, একটা শক্তি তৈরি করতে চাচ্ছি, একটা আর্মি তৈরি করতে চাচ্ছি, যে আর্মি বাংলাদেশকে বদলে দেবে। যদি আমরা সামনের দিকে যেতে পারি তাহলে নিশ্চই আমরা জয় করব।'

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র হেলথ স্পেশালিস্ট ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর একেএম ইলিয়াস, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাশনা ইমাম প্রমুখ। 

শফিকুল/মেহেদী/

চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার যুবদল নেতা বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৬:২৭ পিএম
চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার যুবদল নেতা বহিষ্কার
মনিরউজ্জামান মনির

নরসিংদীর পলাশে সিমেন্ট কারখানায় চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার ডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মনিরউজ্জামান মনিরকে বহিষ্কার করেছে জেলা যুবদল। 

সোমবার (৭ জুলাই) জেলা যুবদলের সহ-দপ্তর সম্পাদক নাজমুল ইসলাম সুমন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) জেলা যুবদলের সভাপতি ও জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মনিরউজ্জামান মনিরকে যুবদলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন জেলা যুবদলের সভাপতি মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ ও সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান সরকার হাসান।

জেলা যুবদল সভাপতি মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ বলেন, ‘দলীয় আদর্শ ও শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মনিরউজ্জামান মনিরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’

এর আগে, গত ৪ জুলাই (রবিবার) রাতে নরসিংদী সদর উপজেলার ব্রাহ্মন্দী এলাকা থেকে মনিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

জানা গেছে, গত ৩ জুলাই দুপুরে ডাঙ্গা ইউনিয়নে নির্মাণাধীন কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেড কারখানায় হামলার ঘটনা ঘটে। মনিরের নির্দেশে নদীপথে দুটি ট্রলারে করে ২৫-৩০ জনের একটি সশস্ত্র দল কারখানায় প্রবেশ করে। তারা শ্রমিকদের থাকার ৬টি কক্ষে হামলা ও ভাঙচুর চালায় এবং মোবাইল, ল্যাপটপসহ মালামাল লুট করে নেয়। হামলায় অন্তত সাতজন শ্রমিক আহত হন। পরে পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষ মনিরউজ্জামান মনিরকে প্রধান আসামি করে ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে পলাশ থানায় মামলা করে।

শাহিন/সালমান/

জামায়াতের লক্ষ্য সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনা: শফিকুর রহমান

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫৪ পিএম
জামায়াতের লক্ষ্য সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনা: শফিকুর রহমান
ছবি: খবরের কাগজ

জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্য জুলাই-আগস্টের জনআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন এবং জীবন উৎসর্গকারী ছাত্র-জনতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে দেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনা বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকালে রাজধানীর মগবাজারে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘জাতীয় সমাবেশ’ বাস্তবায়ন কমিটির এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। ৭-দফা আদায়ের মাধ্যমেই ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের সফলতা অর্জন করা সম্ভব বলে জামায়াতের আমির বৈঠকে অভিমত ব্যক্ত করেন।

বৈঠকে ৭-দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ১৯ জুলাই বেলা ২টায় রাজধানী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক ‘জাতীয় সমাবেশ’ সফল করে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করা হয়।

জাতীয় সমাবেশ সর্বাত্মকভাবে সফল করার জন্য সংগঠনের সর্বস্তরের জনশক্তি ও দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার বহু ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থান জাতীয় জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বৈঠকে আরও উপস্থিতি ছিলেন জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, অধ্যক্ষ মো. ইজ্জত উল্লাহ, মোবারক হোসাইন, মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, উত্তরের আমির মো. সেলিম উদ্দিন, দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম, ইসলামিক দাওয়াহ সার্কেল মালয়েশিয়ার সভাপতি অধ্যাপক সাইফুল্লাহ মানসুর, উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, মো. ইয়াসিন আরাফাত, সহকারী সেক্রেটারি কামাল হোসাইন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি অ্যাড. আতিকুর রহমান, ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম এবং ড. জুবায়ের আহমাদ প্রমুখ। 

শফিকুল/মেহেদী/

আবরার ফাহাদের দেখানো পথেই রাজনীতি করছে এনসিপি: নাহিদ

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৫:১৬ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪৪ পিএম
আবরার ফাহাদের দেখানো পথেই রাজনীতি করছে এনসিপি: নাহিদ
পথসভায় বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: খবরের কাগজ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে আবরার ফাহাদ মাইলফলক ছিলেন। আবরারের মৃত্যু ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ও বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। আবরারের মৃত্যুর প্রতিবাদের মিছিলে দিল্লি না ঢাকা স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। সেই স্লোগানই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জুলাইয়ে আবার দেওয়া হয়। বাংলাদেশপন্থী পথ দেখিয়ে গেছেন আবরার ফাহাদ। সেই পথেই জাতীয় নাগরিক পার্টি রাজনীতি করছে। সেই পথ ধরেই জুলাই গণ-অভ্যুথান সংগঠিত হয়েছিল।

তিনি বলেন, ‘আবরার ফাহাদ থেকে আবু সাঈদ মুগ্ধসহ শহিদদের আমরা স্মরণ করি। তারা যেই বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিল, পদযাত্রার মাধ্যমে আমরা সেই বাংলাদেশ গড়তে দেশবাসীকে আহ্বান জানাচ্ছি।’

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বেলা ৩টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে এক পথসভায় এসব কথা বলেন নাহিদ ইসলাম।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে কুষ্টিয়ায় যারা শহিদ ও আহত হয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘এই কুষ্টিয়ার কৃতি সন্তান আবরার ফাহাদ। যাকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা রাতভর নির্যাতন করে হত্যা করেছিল। আমরা সেই আবরার ফাহাদের উত্তরসূরী। এই আন্দোলন ছিল গোলামির বিরুদ্ধে ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। শত শত শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমরা গোলামি থেকে আজাদি পেয়েছি।’ 

তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে আবরার ফাহাদের পথ ধরে এগিয়ে গেছি। আবার যদি কোনো রাজনৈতিক দল বা পক্ষ সেই আধিপত্যবাদের গোলাম হতে চায় তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধেও দাঁড়াব। দেশের মানুষও তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে। আমাদের কথা স্পষ্ট- গোলামি নয়, আমরা আজাদি চায়। আমরা আগামী দিনে মেরুদণ্ড সোজা করে মর্যাদার সঙ্গে দাঁড়াব। কুষ্টিয়ার শহিদ আবরার ফাহাদ ও শহিদ ইয়ামিন আমাদের সেই শিক্ষা দিয়ে গেছে।’

পরে আবরার ফাহাদের বাবা বরকতউল্লাহ এবং মা রোকেয়া বেগমের সঙ্গে কথা বলেন নাহিদ ইসলাম। পদযাত্রায় যোগ দেওয়ার আগে তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

এর আগে, দুপুর ১টার দিকে কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙা গ্রামে শহিদ আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, আবরার ফাহাদের বাবা বরকতউল্লাহ, মা রোকেয়া খাতুনসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।

এদিন সকালে শহরের দিশা টাওয়ারে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা।

মিলন/সালমান/

মানিকগঞ্জে বিস্ফোরক মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫৬ পিএম
মানিকগঞ্জে বিস্ফোরক মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর আলম

মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এস.এম. জাহাঙ্গীর আলমকে (৫৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে উপজেলার বাঘুটিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর আলম দৌলতপুর উপজেলার পারুরিয়া গ্রামের মৃত জয়নুদ্দিন শেখের ছেলে।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ.আর.এম আল মামুন গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০২৪ সালের ৩ ডিসেম্বর দৌলতপুর থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা করা হয়। মামলায় দণ্ডবিধির ১৪৩, ৩২৪, ৩২৬, ৪২৭ ও ৫০৬(২) ধারাও যুক্ত রয়েছে। মামলার পর থেকে আসামি জাহাঙ্গীর আলম পলাতক ছিলেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সোমবার বিকেলে বাঘুটিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আসাদ/মেহেদী/