ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

অতীত পরিষ্কারের আগে নির্বাচন হলে তা নির্বাচনকে হত্যার সামিল: জামায়াতের আমির

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫৪ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫৬ পিএম
অতীত পরিষ্কারের আগে নির্বাচন হলে তা নির্বাচনকে হত্যার সামিল: জামায়াতের আমির
ফেনীতে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: খবরের কাগজ

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, মৌলিক সংস্কার শেষ হলে যার যার রাজনীতি সকলে করতে পারবে। দুর্গন্ধযুক্ত অতীতের প্রথা পরিষ্কারের আগে আবারও যদি নির্বাচন হয় সেটি হবে নির্বাচনকে হত্যা করার সামিল। 

শনিবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় ফেনী শহরের কিং অব কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, কোনো ফ্যাসিবাদ বাংলার জমিনে থাকতে পারবে না। লড়াই করেছি অধিকারের জন্য, যা এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ সুষ্ঠু নির্বাচন। সেই নির্বাচনের জন্য কিছু জরুরি ও মৌলিক সংস্কারের কথা আমরা পরিষ্কার বলেছি। এ সংস্কারের পথে বাধা দেওয়া কোনো দলের রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা হতে পারে না। সংস্কার কমিশনকে সহযোগিতা করার জন্য আমরা সবাইকে অনুরোধ করব। 

২৪-এর শহিদদের স্মরণ করে তিনি বলেন, আমাদের সন্তানদের সঙ্গে আমরা বেঈমানি করব না, কাউকে বেঈমানি করতে দেওয়া হবে না। এ সন্তানদের পবিত্র রক্তের মূল্য, তাদের কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আমরা প্রস্তুত। আমরা বলেছি আগামী নির্বাচনে কোনো ধরনের প্রশাসনিক ট্যু-শব্দ শুনতে চাইনা। তাই যদি হবে এতো এতো মানুষ জীবন দিয়েছে কেন? 

ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে জামায়াতের আমির বলেন, আমরা ন্যায় ও জনগণের অধিকারের পক্ষে আছি। যতক্ষণ পর্যন্ত না ফ্যাসিবাদের চিহ্ন শেষ না হবে, ততক্ষণ লড়াই অব্যাহত থাকবে। প্রত্যেকের জায়গা থেকে দেশপ্রেম অন্তরে লালন করে, আল্লাহর প্রতি ইমান এনে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। 
 
জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মুফতি আবদুল হান্নানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সেক্রেটারি এটিএম মাসুম প্রমুখ। 

এ সময় জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে দুপুরে একই স্থানে রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতের আমির।

তোফায়েল আহাম্মদ নিলয়/মাহফুজ

 

গণতন্ত্রের চর্চা থেকে অনেক দূরে সরে গেছি: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫৭ পিএম
গণতন্ত্রের চর্চা থেকে অনেক দূরে সরে গেছি: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'দুর্ভাগ্য যে বাংলাদেশে গণতন্ত্রটা চর্চা হয়নি। গণতন্ত্রের চর্চা পাকিস্তান আমল থেকে এখানে হয়নি। খুব স্বল্প সময় ধরে কিছুটা চর্চা হয়েছিল। তারপরে আবার সেই চর্চা থেকে আমরা দূরে সরে গেছি।'

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বাংলা একাডেমিতে 'সিভিল ডিসকোর্স ন্যাশনালস-২০২৫'-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা কলেজ ডিবেটিং সোসাইটি এবং দ্য বাংলাদেশ ডায়ালগ যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, 'বাংলাদেশের তরুণরা ১ দশমিক ৮৭ শতাংশ রাজনীতিতে আগ্রহীর একটা জরিপ দেখে সকালে মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। এখানে এসে আমার আশা বেড়েছে। আমাদের তরুণরা আরও বেশি যোগ্য। তারা দেশ গঠনে বেশি ভূমিকা রাখতে পারবে।' 

তিনি বলেন, 'বর্তমান প্রজন্ম এখন আমাদের চেয়ে অনেক অনেক দূর এগিয়ে গেছে। অনেকে বলেন যে এখানে কিছু হবে না। এটা সঠিক নয়। আমি অত্যন্ত আশাবাদী অনেক কিছু হবে এবং বাংলাদেশে অবশ্যই আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব।' 

মির্জা ফখরুল বলেন, 'তর্ক আছে, বিতর্ক আছে। মতের অমিল আছে। আমরা বিশ্বাস করি যে আমার কথা বলার স্বাধীনতা থাকতে হবে। তোমারও কথা বলার স্বাধীনতা থাকতে হবে। এটাই হচ্ছে উপযুক্ত একটা ডেমোক্রেসি।'

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের একটি প্রদেশের প্রধান মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে সাক্ষাতের প্রসঙ্গে টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'শুধুমাত্র তার একজন দেহরক্ষী নিয়ে এসে আশ্রয় নেওয়া সবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আর আমাদের এখানে যেই মন্ত্রী হয়ে গেল সেই সম্পূর্ণভাবে ভিন্ন জগতে চলে যায়। তার বাড়ির সামনে গাড়ি, পেছনে আরেকটা গাড়ি- এই একটা মানসিকতা তৈরি হয়। এই মানসিকতা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। স্পিকার, প্রাইম মিনিস্টার বললেই তো যথেষ্ট হয়। আমি আশাবাদী মানুষ, আমি মনে করি, আমাদের নতুন ছেলেরা এই বিষয়টা চালু করবে। ভালো সময় আসবে, আরও ভালো সময় আসবে।'

আয়োজকদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, 'তারা অত্যন্ত সুন্দর একটা ভালো কাজ করেছেন। আমাদের নতুন প্রজন্মের চেঞ্জের সঙ্গে আমাদের পরিচয়টা আর বাড়ানো দরকার। এখানে একটা বড় গ্যাপ আছে। ঢাকাতে যে চিন্তাভাবনা আবার ঠাকুরগাওয়ে সেই চিন্তাভাবনা না। আমরা একটা প্রজন্ম তৈরি করতে চাচ্ছি, একটা শক্তি তৈরি করতে চাচ্ছি, একটা আর্মি তৈরি করতে চাচ্ছি, যে আর্মি বাংলাদেশকে বদলে দেবে। যদি আমরা সামনের দিকে যেতে পারি তাহলে নিশ্চই আমরা জয় করব।'

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র হেলথ স্পেশালিস্ট ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর একেএম ইলিয়াস, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাশনা ইমাম প্রমুখ। 

শফিকুল/মেহেদী/

চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার যুবদল নেতা বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৬:২৭ পিএম
চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার যুবদল নেতা বহিষ্কার
মনিরউজ্জামান মনির

নরসিংদীর পলাশে সিমেন্ট কারখানায় চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার ডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মনিরউজ্জামান মনিরকে বহিষ্কার করেছে জেলা যুবদল। 

সোমবার (৭ জুলাই) জেলা যুবদলের সহ-দপ্তর সম্পাদক নাজমুল ইসলাম সুমন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) জেলা যুবদলের সভাপতি ও জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মনিরউজ্জামান মনিরকে যুবদলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন জেলা যুবদলের সভাপতি মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ ও সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান সরকার হাসান।

জেলা যুবদল সভাপতি মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ বলেন, ‘দলীয় আদর্শ ও শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মনিরউজ্জামান মনিরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’

এর আগে, গত ৪ জুলাই (রবিবার) রাতে নরসিংদী সদর উপজেলার ব্রাহ্মন্দী এলাকা থেকে মনিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

জানা গেছে, গত ৩ জুলাই দুপুরে ডাঙ্গা ইউনিয়নে নির্মাণাধীন কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেড কারখানায় হামলার ঘটনা ঘটে। মনিরের নির্দেশে নদীপথে দুটি ট্রলারে করে ২৫-৩০ জনের একটি সশস্ত্র দল কারখানায় প্রবেশ করে। তারা শ্রমিকদের থাকার ৬টি কক্ষে হামলা ও ভাঙচুর চালায় এবং মোবাইল, ল্যাপটপসহ মালামাল লুট করে নেয়। হামলায় অন্তত সাতজন শ্রমিক আহত হন। পরে পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষ মনিরউজ্জামান মনিরকে প্রধান আসামি করে ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে পলাশ থানায় মামলা করে।

শাহিন/সালমান/

জামায়াতের লক্ষ্য সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনা: শফিকুর রহমান

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫৪ পিএম
জামায়াতের লক্ষ্য সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনা: শফিকুর রহমান
ছবি: খবরের কাগজ

জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্য জুলাই-আগস্টের জনআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন এবং জীবন উৎসর্গকারী ছাত্র-জনতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে দেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনা বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকালে রাজধানীর মগবাজারে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘জাতীয় সমাবেশ’ বাস্তবায়ন কমিটির এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। ৭-দফা আদায়ের মাধ্যমেই ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের সফলতা অর্জন করা সম্ভব বলে জামায়াতের আমির বৈঠকে অভিমত ব্যক্ত করেন।

বৈঠকে ৭-দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ১৯ জুলাই বেলা ২টায় রাজধানী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক ‘জাতীয় সমাবেশ’ সফল করে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করা হয়।

জাতীয় সমাবেশ সর্বাত্মকভাবে সফল করার জন্য সংগঠনের সর্বস্তরের জনশক্তি ও দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার বহু ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থান জাতীয় জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বৈঠকে আরও উপস্থিতি ছিলেন জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, অধ্যক্ষ মো. ইজ্জত উল্লাহ, মোবারক হোসাইন, মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, উত্তরের আমির মো. সেলিম উদ্দিন, দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম, ইসলামিক দাওয়াহ সার্কেল মালয়েশিয়ার সভাপতি অধ্যাপক সাইফুল্লাহ মানসুর, উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, মো. ইয়াসিন আরাফাত, সহকারী সেক্রেটারি কামাল হোসাইন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি অ্যাড. আতিকুর রহমান, ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম এবং ড. জুবায়ের আহমাদ প্রমুখ। 

শফিকুল/মেহেদী/

আবরার ফাহাদের দেখানো পথেই রাজনীতি করছে এনসিপি: নাহিদ

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৫:১৬ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪৪ পিএম
আবরার ফাহাদের দেখানো পথেই রাজনীতি করছে এনসিপি: নাহিদ
পথসভায় বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: খবরের কাগজ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে আবরার ফাহাদ মাইলফলক ছিলেন। আবরারের মৃত্যু ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ও বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। আবরারের মৃত্যুর প্রতিবাদের মিছিলে দিল্লি না ঢাকা স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। সেই স্লোগানই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জুলাইয়ে আবার দেওয়া হয়। বাংলাদেশপন্থী পথ দেখিয়ে গেছেন আবরার ফাহাদ। সেই পথেই জাতীয় নাগরিক পার্টি রাজনীতি করছে। সেই পথ ধরেই জুলাই গণ-অভ্যুথান সংগঠিত হয়েছিল।

তিনি বলেন, ‘আবরার ফাহাদ থেকে আবু সাঈদ মুগ্ধসহ শহিদদের আমরা স্মরণ করি। তারা যেই বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিল, পদযাত্রার মাধ্যমে আমরা সেই বাংলাদেশ গড়তে দেশবাসীকে আহ্বান জানাচ্ছি।’

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বেলা ৩টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে এক পথসভায় এসব কথা বলেন নাহিদ ইসলাম।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে কুষ্টিয়ায় যারা শহিদ ও আহত হয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘এই কুষ্টিয়ার কৃতি সন্তান আবরার ফাহাদ। যাকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা রাতভর নির্যাতন করে হত্যা করেছিল। আমরা সেই আবরার ফাহাদের উত্তরসূরী। এই আন্দোলন ছিল গোলামির বিরুদ্ধে ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। শত শত শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমরা গোলামি থেকে আজাদি পেয়েছি।’ 

তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে আবরার ফাহাদের পথ ধরে এগিয়ে গেছি। আবার যদি কোনো রাজনৈতিক দল বা পক্ষ সেই আধিপত্যবাদের গোলাম হতে চায় তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধেও দাঁড়াব। দেশের মানুষও তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে। আমাদের কথা স্পষ্ট- গোলামি নয়, আমরা আজাদি চায়। আমরা আগামী দিনে মেরুদণ্ড সোজা করে মর্যাদার সঙ্গে দাঁড়াব। কুষ্টিয়ার শহিদ আবরার ফাহাদ ও শহিদ ইয়ামিন আমাদের সেই শিক্ষা দিয়ে গেছে।’

পরে আবরার ফাহাদের বাবা বরকতউল্লাহ এবং মা রোকেয়া বেগমের সঙ্গে কথা বলেন নাহিদ ইসলাম। পদযাত্রায় যোগ দেওয়ার আগে তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

এর আগে, দুপুর ১টার দিকে কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙা গ্রামে শহিদ আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, আবরার ফাহাদের বাবা বরকতউল্লাহ, মা রোকেয়া খাতুনসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।

এদিন সকালে শহরের দিশা টাওয়ারে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা।

মিলন/সালমান/

মানিকগঞ্জে বিস্ফোরক মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫৬ পিএম
মানিকগঞ্জে বিস্ফোরক মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর আলম

মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এস.এম. জাহাঙ্গীর আলমকে (৫৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে উপজেলার বাঘুটিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর আলম দৌলতপুর উপজেলার পারুরিয়া গ্রামের মৃত জয়নুদ্দিন শেখের ছেলে।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ.আর.এম আল মামুন গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০২৪ সালের ৩ ডিসেম্বর দৌলতপুর থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা করা হয়। মামলায় দণ্ডবিধির ১৪৩, ৩২৪, ৩২৬, ৪২৭ ও ৫০৬(২) ধারাও যুক্ত রয়েছে। মামলার পর থেকে আসামি জাহাঙ্গীর আলম পলাতক ছিলেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সোমবার বিকেলে বাঘুটিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আসাদ/মেহেদী/