ঢাকা ৩ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
English

রাসেলস ভাইপার থেকে বাঁচার উপায়

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৪, ০২:১২ পিএম
রাসেলস ভাইপার থেকে বাঁচার উপায়

বাংলাদেশে এখন এক তীব্র, ভয়-আতঙ্কের নাম রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপ। এই সাপের দংশনে সবচেয়ে বেশি মারা যাচ্ছেন কৃষকরা। ধান কাটতে গিয়ে রাসেলস ভাইপারের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন তারা। আগে হাতে গোনা কয়েকটি জেলায় এই সাপের উপস্থিতি দেখা গেছে। এখন তা ২৮টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। দিন দিন রাসেলস ভাইপারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা খুবই আতঙ্কের বিষয়। কিন্তু স্বস্তির বিষয় হলো, বাংলাদেশে রাসেলস ভাইপারের সঠিক চিকিৎসা আছে। এ জন্য যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে চিকিৎসাকেন্দ্রে নিতে হবে। সর্প দংশনের শিকার হলেই নিশ্চিত মৃত্যু হবে- ব্যাপারটা মোটেই এমন নয়। সর্প দংশনের শিকার হলে আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। সর্প দংশনের পর রোগীকে সাহস দিতে হবে। শান্ত রাখতে হবে। সর্প দংশিত অঙ্গের নড়াচড়া বন্ধ রাখা, যাতে বিষ শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে না পড়ে। অধিকাংশ সাপ হাতে বা পায়ে দংশন করে, দংশিত অঙ্গ নড়াচড়া না করার ফলে শরীরে বিষ ছড়াতে সময় লাগে। পায়ে ছোবল দিলে লাঠি বেঁধে পা সোজা করে স্টেচারে শুইয়ে দ্রুত চিকিৎসাকেন্দ্রে নিতে হবে। চিকিৎসককে সব খুলে বলতে হবে। উল্লেখ্য, যেকোনো ধরনের বাঁধনে সাপের বিষ আটকাতে পারে না। এতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে হাত-পা চিরতরে পঙ্গু হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে চন্দ্রবোড়া ও সবুজবোড়া সর্প দংশনে বাঁধন মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। 

জমিতে কাজের সময় অবশ্যই গামবুট পরতে হবে। সম্ভব হলে হাতে গ্লাভস থাকা উত্তম। দেখা গেছে সাপ হাত এবং পায়ে দংশন করে সবচেয়ে বেশি। রাতের বেলা লাইট নিয়ে চলাফেরা করতে হবে। রাতে জমিতে কাজ না করাই ভালো। জমির ধান, ভুট্টাসহ নানা ফসল কাটার জন্য যান্ত্রিক মেশিন ব্যবহার করতে পারলে ভালো হয়। জমি এবং জমির ঝোপঝাড় দিয়ে হাঁটার সময় সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। রাসেলস ভাইপার হিসহিস শব্দ করে। যা কানে বেশ জোরেই শোনা যায়। এ কারণে হিসহিস শব্দ শুনলে সাবধান হতে হবে। কাজ করার সময় মাটিতে শব্দ করা যেতে পারে, যাতে সামান্য হলেও কম্পন সৃষ্টি হয়। রাসেলস ভাইপার কম্পন বুঝতে পারে। রাসেলস ভাইপার দ্রুত দংশন করতে পারে। কিন্তু এরা তেড়ে এসে কামড়ায় না। এরা খুব অলস প্রকৃতির সাপ। কুণ্ডুলী পাকিয়ে বসে থাকে। এই সাপের বিষে বিভিন্ন ধরনের বিষ থাকে না। রাসেলস ভাইপারের দংশনের সঠিক চিকিৎসা বাংলাদেশে আছে। 

মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
বনানী, ঢাকা
[email protected]

রঙে ভরা বৈশাখ আবার আইলো রে!

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২১ পিএম
রঙে ভরা বৈশাখ আবার আইলো রে!

 পয়লা বৈশাখ শুধুই একটি দিন নয়, কোটি বাঙালির আবেগ, সংস্কৃতি আর আত্মপরিচয়ের প্রতীক! বাংলা বছরের প্রথম দিনটি যেন হৃদয়ে অকৃত্রিম আনন্দের ধ্বনি তোলে! ‘এসো হে বৈশাখ, এসো, এসো’ গান দিয়ে শুরু হয় বাঙালির প্রাণের এই উৎসব! সূর্য ওঠে প্রতিদিন, তবে পয়লা বৈশাখের নতুন সূর্য যেন অনেকটাই আলাদা! এই দিন সূর্যের আলোয় থাকে নতুন করে আরম্ভ করার অঙ্গীকার আর পুরোনো গ্লানি ভুলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়! 

পয়লা বৈশাখ মানেই এক অনন্য আবেগ আর ভালোবাসার মেলবন্ধন, যা প্রতিটি হৃদয় ছুঁয়ে যায়! এ যেন সংস্কৃতির আলিঙ্গন, ঐতিহ্যের পুনর্জাগরণ আর নতুন করে বাঁচার প্রেরণা! চারদিকে ঢাকের বাদ্য, মুখরিত মঙ্গল শোভাযাত্রা, আলপনার রঙে রাঙানো পথ আর মুখে মুখে বাংলার জয়গান- সব মিলিয়ে যেন এক প্রাণবন্ত মোহনা! হালখাতা, নতুন পসরা, মিষ্টিমুখ সবকিছুতেই থাকে চূড়ান্ত বৈশাখী আমেজ! মুহূর্তেই উৎসব রূপ নেয় মহোৎসবে! পয়লা বৈশাখ এক আত্মবিশ্বাসী চেতনার প্রকাশ- ‘আমি গর্বিত, আমি বাঙালি!’ ধর্ম-বর্ণ আর রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে রেখে এদিনে সবাই একত্রিত হয়! জাতি, বয়স, পেশানির্বিশেষে সবাই এক কাতারে এসে দাঁড়ায়! বৈশাখী মেলা, লোকগীতি, পুতুল নাচ আর পান্তা-ইলিশে যেন বাঙালিয়ানার এক প্রাণবন্ত ছাপ ফুটে ওঠে! প্রশ্ন উঠতে পারে, এই পরিবর্তনের মাঝে কি হারিয়ে যাচ্ছে সেই চিরচেনা বৈশাখ? একদমই নয়! কারণ, উৎসবের মূল সুর যে আজও অভিন্ন! নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার উদ্দীপনা, বাঙালিয়ানার জয়গান আর রঙে রঙে নিজেদের নবোদ্যমে সাজিয়ে তোলার আনন্দ যে আজও চোখে পড়ে! 
আসিফ আল মাহমুদ 
আকবরশাহ মাজার, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম ৪২০২ 
[email protected] 

নববর্ষ হোক সর্বজনীন, সংস্কৃতিই হোক পরিচয়

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৫ পিএম
নববর্ষ হোক সর্বজনীন, সংস্কৃতিই হোক পরিচয়

নববর্ষ কোনো একক ধর্ম বা গোষ্ঠীর উৎসব নয়, এটি বাঙালির হাজার বছরের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার। কিন্তু প্রতিবছর এই উৎসবকে ঘিরে কিছু গোষ্ঠী বিভেদের বীজ বপনের অপচেষ্টা চালায়। অথচ বাস্তবতা হলো, নববর্ষ এমন এক সাংস্কৃতিক মিলনমেলা, যেখানে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীনির্বিশেষে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আনন্দ করে, একে অপরকে শুভেচ্ছা জানায়, গভীর সমারোহের সঙ্গে নতুন আসার আলো নিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়। এটি কেবল একটি ক্যালেন্ডারে পাল্টে যাওয়ার দিন নয়, বরং জাতিগত পরিচয়ের গভীর অনুভব, সমৃদ্ধ বাংলা সংস্কৃতির পরিচায়ক, শিকড়ের টান এবং ঐক্যবোধের প্রতীক। 

নববর্ষ মানেই পান্তা-ইলিশ নয়, নববর্ষ মানেই শুধু সার্কাস বা মেলা নয়, নববর্ষ মানে নিজেকে খুঁজে পাওয়া, নিজের শিকড়কে উদ্যাপন করা। যারা এই উৎসবের সর্বজনীন রূপকে আঘাত করতে চায়, তারা কেবল বাঙালি সংস্কৃতিকে নয়, জাতিসত্তার অস্তিত্বকেও অস্বীকার করে। তাই সময় এসেছে নববর্ষকে সবচেয়ে বড় বাংলা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের উৎসব হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে আরও জোরালোভাবে প্রতিষ্ঠার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম, রাষ্ট্রীয় প্রচারযন্ত্র সব জায়গা থেকে ছড়িয়ে পড়ুক বাংলা নববর্ষকে বাঙালির সার্বজনীন উৎসবের স্বীকৃতির বার্তা, এর সঙ্গে কোনো বিশেষ ধর্মের বা গোষ্ঠীর নয়, সংস্কৃতির সম্পর্ক। আর সর্বস্তরের সব বাঙালি মেতে উঠুক নববর্ষের আনন্দ  ।
প্রজ্ঞা দাস 
শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ, ইডেন মহিলা কলেজ 
[email protected]

 

রঙে ভরা বৈশাখ আবার আইলো রে!

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৯ পিএম
রঙে ভরা বৈশাখ আবার আইলো রে!

পয়লা বৈশাখ শুধুই একটি দিন নয়, কোটি বাঙালির আবেগ, সংস্কৃতি আর আত্মপরিচয়ের প্রতীক! বাংলা বছরের প্রথম দিনটি যেন হৃদয়ে অকৃত্রিম আনন্দের ধ্বনি তোলে! ‘এসো হে বৈশাখ, এসো, এসো’ গান দিয়ে শুরু হয় বাঙালির প্রাণের এই উৎসব! সূর্য ওঠে প্রতিদিন, তবে পয়লা বৈশাখের নতুন সূর্য যেন অনেকটাই আলাদা! এই দিন সূর্যের আলোয় থাকে নতুন করে আরম্ভ করার অঙ্গীকার আর পুরোনো গ্লানি ভুলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়! 

পয়লা বৈশাখ মানেই এক অনন্য আবেগ আর ভালোবাসার মেলবন্ধন, যা প্রতিটি হৃদয় ছুঁয়ে যায়! এ যেন সংস্কৃতির আলিঙ্গন, ঐতিহ্যের পুনর্জাগরণ আর নতুন করে বাঁচার প্রেরণা! চারদিকে ঢাকের বাদ্য, মুখরিত মঙ্গল শোভাযাত্রা, আলপনার রঙে রাঙানো পথ আর মুখে মুখে বাংলার জয়গান- সব মিলিয়ে যেন এক প্রাণবন্ত মোহনা! হালখাতা, নতুন পসরা, মিষ্টিমুখ সবকিছুতেই থাকে চূড়ান্ত বৈশাখী আমেজ! মুহূর্তেই উৎসব রূপ নেয় মহোৎসবে! পয়লা বৈশাখ এক আত্মবিশ্বাসী চেতনার প্রকাশ- ‘আমি গর্বিত, আমি বাঙালি!’ ধর্ম-বর্ণ আর রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে রেখে এদিনে সবাই একত্রিত হয়! জাতি, বয়স, পেশানির্বিশেষে সবাই এক কাতারে এসে দাঁড়ায়! বৈশাখী মেলা, লোকগীতি, পুতুল নাচ আর পান্তা-ইলিশে যেন বাঙালিয়ানার এক প্রাণবন্ত ছাপ ফুটে ওঠে! প্রশ্ন উঠতে পারে, এই পরিবর্তনের মাঝে কি হারিয়ে যাচ্ছে সেই চিরচেনা বৈশাখ? একদমই নয়! কারণ, উৎসবের মূল সুর যে আজও অভিন্ন! নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার উদ্দীপনা, বাঙালিয়ানার জয়গান আর রঙে রঙে নিজেদের নবোদ্যমে সাজিয়ে তোলার আনন্দ যে আজও চোখে পড়ে!
 
আসিফ আল মাহমুদ 
আকবরশাহ মাজার, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম ৪২০২ 
[email protected] 

 

ফ্লাইওভারের ফাঁদে ঢাকার নগরজীবন

প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০২ পিএম
ফ্লাইওভারের ফাঁদে ঢাকার নগরজীবন

ঢাকার যানজট নিরসনের জন্য ফ্লাইওভার নির্মাণ এক যুগ ধরে নগর উন্নয়নের বড় হাতিয়ার হিসেবে বিবেচিত হলেও বাস্তবচিত্র বলছে ভিন্ন কথা। শুধু ফ্লাইওভার তৈরি করলেই সমস্যার সমাধান হয় না; বরং তা আরও জটিল হয়ে দাঁড়ায় যদি এর সঙ্গে উপযুক্ত সংযোগ সড়ক না থাকে। ঢাকায় অধিকাংশ ফ্লাইওভারের সংযোগ সড়ক নেই, ফলে ফ্লাইওভার থেকে নামা গাড়িগুলো সরাসরি মূল সড়কে ঠেকে গিয়ে যানজট সৃষ্টি করে। এতে শুধু ফ্লাইওভার নয়, আশপাশের পুরো এলাকাও যানজটে স্থবির হয়ে পড়ে। 

এ ধরনের পরিকল্পনাহীন ফ্লাইওভার নগরবাসীর জীবনযাত্রাকে জটিল করে তুলছে। প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থেকে মানুষের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে। কর্মস্থলে পৌঁছাতে দেরি, সামাজিক ও পারিবারিক সময় সংকুচিত হওয়া, এমনকি হাসপাতালগামী রোগী পরিবহনের ক্ষেত্রেও মারাত্মক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। শারীরিক ও মানসিক চাপ বাড়ার পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতিও দিন দিন বাড়ছে। জ্বালানির অপচয়, পরিবেশ দূষণ এবং নাগরিক দুর্ভোগসহ সব মিলিয়ে ফ্লাইওভারের সুফল অধরাই থেকে যাচ্ছে ঢাকাবাসীর কাছে। এমন অবস্থায় ফ্লাইওভারের পরিকল্পিত নির্মাণ ব্যতীত যানজট নামক অভিশাপ থেকে মুক্তি অসম্ভব। তাই প্রতিটি ফ্লাইওভার নির্মাণের আগে ও পরে সংযোগ সড়ক, র্যাম্প, প্রবেশ ও প্রস্থান পথসহ বিকল্প রুটের সুপরিকল্পিত নকশা বাস্তবায়ন করতে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

প্রজ্ঞা দাস 
শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ, ইডেন মহিলা কলেজ 
[email protected]

 

চোরদের বাড়িঘর বিক্রি করে ক্ষতিপূরণ আদায় করা হোক

প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০০ পিএম
চোরদের বাড়িঘর বিক্রি করে ক্ষতিপূরণ আদায় করা হোক

৭ এপ্রিল সারা দেশে গাজায় হামলাকারী ইসরায়েল এবং গাজায় হামলাকারী মাস্টারমাইন্ড আমেরিকা ও যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে মিছিল করে তৌহিদি জনতা। আর এই তৌহিদি জনতা মিছিল করে বাটাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে, আরও করে জুতা চুরি। এতে বাটাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইতোমধ্যে হামলাকারী তথা জুতা চোর তৌহিদি জনতার মধ্যে অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ অবস্থায় জুতা চোরদের বাড়িঘর বিক্রি করে বাটাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]