ঢাকা ১ আশ্বিন ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দেশে কিশোর গ্যাং আতঙ্কিত নাম

প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২৪, ১১:৪৫ এএম
দেশে কিশোর গ্যাং আতঙ্কিত নাম

দেশের শিশু আইন অনুযায়ী যখন কেউ ১৮ বছরের কম বয়সে অপরাধে লিপ্ত হয়, তখন তাকে কিশোর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। কিশোর গ্যাং মানে হলো বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের চুলের কাট, ভাবভঙ্গি, চালচলন প্রায় সময় আক্রমণাত্মক, নেশা করা, একটু মতবিরোধ হলে অশ্লীল বাচনভঙ্গি, হামলা, মারামারি, শেষ পর্যায়ে গিয়ে খুন-হত্যা পর্যন্ত গড়িয়ে যায়। এ ছাড়া অপরাধমূলক নানাবিধ কর্মকাণ্ডে তো জড়িয়ে আছেই। 

দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, আমাদের দেশে বর্তমান সময়ে কিশোর গ্যাং সংস্কৃতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আগে শুধু নির্দিষ্ট কয়েকটি জায়গায় দেখা গেলেও বর্তমানে সারা দেশের আনাচকানাচে বিস্তার লাভ করেছে এই সামাজিক ব্যাধি। যে বয়সে শিশু-কিশোরদের বইখাতা, কলম, খেলাধুলার মাঝে সীমাবদ্ধ থাকার কথা, সেই বয়সেই তাদের হাতে ছুরি, অস্ত্র, নেশাজাতীয় দ্রব্য। 

দেশের সিংহভাগ ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অপহরণ, ধর্ষণ, খুন ইত্যাদির সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে কিশোর গ্যাং জড়িয়েই আছে। শিক্ষার অভাব, অসৎ সঙ্গ, অপসংস্কৃতির সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা ইত্যাদি কিশোর গ্যাং সৃষ্টির অন্যতম কারণ। নিজ পরিবার থেকে শুরু করে সমাজের সবাইকে এ ব্যাপারে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করতে হবে।

মো. মোস্তাফিজুর রহমান
ফরিদপুর
[email protected]

আর নয় নারীর শ্লীলতাহানি

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১৯ এএম
আর নয় নারীর শ্লীলতাহানি

দেখা গেল কেউ একজন অসুস্থ হয়ে পড়লেন। তার চিকিৎসা হচ্ছিল বেসরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিলেন আরও চিকিৎসার প্রয়োজন। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার খরচ অনেক। দরিদ্র মহিলা তার স্বামীকে এত খরচ করে চিকিৎসা করাবেন কেমন করে? ঠিক করলেন, রোগীকে বাড়িতেই নিয়ে যাবেন। বেসরকারি হাসপাতালের খরচ সামলাতে না পেরে দরিদ্র পরিবার প্রিয়জনকে বাড়িতে নিয়ে যেতে বাধ্য হন। 

আবার এমনও ঘটনা ঘটছে যে, মহিলা অনেক কষ্ট করে একটি অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করলেন। অসুস্থ স্বামীকে শোয়ালেন সেখানে। অ্যাম্বুলেন্সের চালক বিধ্বস্ত, শোকার্ত, অসহায় মহিলাকে একরকম বাধ্য করল তার পাশে বসতে। খানিক পথ যেতেই সেই চালক আর তার সাগরেদ মহিলার শ্লীলতাহানি করল জোর করে। মহিলা চিৎকার করে ওঠেন। চালক আর সাগরেদ অসুস্থ স্বামীর অক্সিজেন নল খুলে তাকে ছুড়ে ফেলে দিল গাড়ি থেকে। মহিলার শ্লীলতাহানি করে, তার গায়ের গয়নাও খুলে  নিল। 

রেহাই দিল না তাকেও। আবার অন্যরকম ঘটনাও আছে, যেমন- কেউ শত্রুতার জেরে হত্যা করে তার হাত কেটে তা জনসমক্ষে বীরের বেশে প্রদর্শন করে। দেখে মনে হয়, এ পাষণ্ডের কাছে এরকম ঘটনা মামুলি ব্যাপার। মানুষ কতটা নিষ্ঠুর হলে এরকম কাজ করতে পারে! এমনই একটি দৃশ্য সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখে পড়েছে! এরা কি মানুষ না পাষণ্ড! এই সব ঘটনা কি মর্মান্তিক! কত পাশবিক! কতই না ভয়ংকর! এসব ঘটনাকে ধিক্কার জানানোর ভাষা আমরা অনেক সময় হারিয়ে ফেলি! 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

ফরিদাবাদে ডাকঘর চাই

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১৭ এএম
ফরিদাবাদে ডাকঘর চাই

ডিজিটাল বা আধুনিক যুগে ডাকব্যবস্থার উন্নয়নের গুরুত্বের কথা নতুন করে ব্যাখ্যা দেওয়া নিষ্প্রয়োজন। মূলত ডাকব্যবস্থার উন্নয়ন দেশের সার্বিক অগ্রগতির জন্যই প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে নতুন বাংলাদেশ গড়তে এর যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে। উল্লেখ্য, পুরান ঢাকার ফরিদাবাদ পোস্টাল কোড ঢাকা-১২০৪, এলাকা বিশাল। অথচ খোদ ফরিদাবাদে অবস্থিত শত বছরের পুরোনো ডাকঘরটি ডাক বিভাগ কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি কী কারণে প্রত্যাহার করে নিয়েছে, তা এলাকাবাসী অবগত নন। 

ডাকঘর না থাকার কারণে চিঠিপত্র আদান-প্রদান, ডাকটিকিট ক্রয়, সঞ্চয়পত্র, ডাক জীবন বিমা, চিঠি রেজিস্ট্রারি, ইএমএস, পোস্টকার্ড, পার্সেল সবকিছু থেকে এলাকাবাসী বঞ্চিত। তবে জেনে রাখা ভালো, আজকাল দেশের অনেক ডাকঘরের অবস্থা বেহাল। ডাক বাঁধার জন্য দড়ি, বাতি জ্বালানোর তেল এমনকি গালা পর্যন্ত নেই। এসব সামগ্রী ক্রয়ের জন্য প্রতি মাসে সরকারি বরাদ্দ অপ্রতুল, যা ডাকঘর চলার উপযোগী নয়। ডাকব্যবস্থা ও ডাক বিভাগের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োজিত ডাককর্মীরা এখনো বিভিন্নভাবে উপেক্ষিত। আশা করি, পুরান ঢাকার মানুষের সমস্যার কথাটি উপলব্ধি করে ডাক বিভাগ অবিলম্বে রাজধানীর ফরিদাবাদের প্রত্যাহারকৃত ডাকঘরটি পুনরায় জনস্বার্থে চালুর উদ্যোগ নেবে।
 
মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
গণমাধ্যমকর্মী
১৭ ফরিদাবাদ, গেন্ডারিয়া, ঢাকা-১২০৪
[email protected]

ব্যাংকের গ্রাহকরা কেন দুশ্চিন্তায় ভুগবেন?

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৯ এএম
ব্যাংকের গ্রাহকরা কেন দুশ্চিন্তায় ভুগবেন?

সাধারণ মানুষ সরকার ও ব্যাংক ব্যবস্থার ওপর বিশ্বাস করে ব্যাংকে টাকা রাখেন। সেই টাকা লুটেরারা নিয়ে বেগমপাড়ায় অট্টালিকা গড়বে। মালয়েশিয়া এবং দুবাইয়ে গিয়ে মাস্তি করবে। সিঙ্গাপুরে জুয়ার আসর মাতাবে- সেই দায় কেন সরকারের ঘাড়ে চাপবে না। কেন এখন হাজার হাজার গ্রাহককে তাদের তিলে তিলে জমানো অর্থ নিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে হবে? একটি ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়ার সময় ৪০০ কোটি টাকা জামানত দিতে হয় বাংলাদেশ ব্যাংককে। তা ছাড়া সাধারণ মানুষের জমাকৃত টাকার একটা অংশ বাংলাদেশ ব্যাংকে গচ্ছিত রাখতে হয়। সেই টাকা এখন কোথায়? তা ছাড়া যখন ব্যাংক মালিকরা নামে-বেনামে লাখ লাখ কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার করলেন, তা কেন সরকার দেখতে পেল না। 

ব্যাংকিং সেক্টরের নজিরবিহীন অনিয়মের কারণেই ব্যাংকে তারল্যসংকট দেখা দিচ্ছে। যেসব মালিক ঋণের নামে টাকা নিয়েছেন, তাদের কেন ধরা হচ্ছে না। ব্যাংকিং খাতে যে মহামারি চলছে, তার জন্য ব্যাংকের পরিচালকরাও কম দায়ী নন। এবার ব্যাংকিং সেক্টরে টাস্কফোর্স গঠন করা হচ্ছে। তাতেও যে ফল ভালো হবে না, তা নির্দ্বিধায় বলে দেওয়া যায় অতীত অভিজ্ঞতা থেকে। তাই সবার আগে লুটপাট এবং পাচার বন্ধ করতে পদক্ষেপ নিতে হবে ব্যাংকগুলোর। সেখানে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে এনে গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষাই হবে এখন মূল কাজ। না হলে ডেসটিনি আর যুবকের মতো দীর্ঘসূত্রতায় ভুগতে হবে দেশের ব্যাংক খাতের গ্রাহকদের।

রোকসানা রহমান
আলীপুর, মোল্লারহাট, কালকিনী, মাদারীপুর
[email protected]

ভেজালমুক্ত খাদ্যদ্রব্য চাই

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৭ এএম
ভেজালমুক্ত খাদ্যদ্রব্য চাই

দেশের একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার আশায় খাদ্যদ্রব্যে ইচ্ছামাফিক ভেজাল মিশিয়ে জনগণকে ঠেলে দিচ্ছে নির্ঘাত মৃত্যুর মুখে। সবার চোখের সামনে ভেজালকারীরা নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ভেজাল কার্যক্রম। ভোজ্যতেল থেকে শুরু করে মিষ্টি, দুধ, চিনি, মাছ, ফলমূলসহ সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের পাশাপাশি জীবন রক্ষাকারী ওষুধেও মেশানো হচ্ছে ভেজাল। ভেজাল খেয়ে জন্ডিস, কিডনি, চর্মরোগ, পেটের পীড়া, ক্যানসারসহ বিভিন্ন রোগে দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী আক্রান্ত ও অসুস্থ। ভেজালের কারণে জনজীবন হুমকিতে। স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে দেশের মানুষ মুক্তি চায়। অথচ দেখার যেন কেউ নেই। 

মনে রাখা উচিত, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রধান অবলম্বন জনস্বাস্থ্য। আর যারা এই স্বাস্থ্য নিয়ে টালবাহানা বা ছিনিমিনি খেলে, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি ব্যাহত করে, তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা ছাড়া কোনো গতি নেই। ভেজালের বিরুদ্ধে দেশবাসীসহ সিটি করপোরেশন, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান এবং এনজিওগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। এমতাবস্থায় সরকারের জনস্বাস্থ্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করছি। 
 
মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
গণমাধ্যমকর্মী
১৭ ফরিদাবাদ, গেন্ডারিয়া, ঢাকা-১২০৪
[email protected]

নোমোফোবিয়া নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৮ এএম
নোমোফোবিয়া নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে

প্রযুক্তির বিকাশ এবং ডিজিটালকরণের সঙ্গে সঙ্গে কয়েক বছর ধরে স্মার্টফোনের ব্যবহার বেড়েছে। এখন স্মার্টফোন ছাড়া মানুষ এক মুহূর্তও থাকতে পারে না। কিছুক্ষণের জন্য মোবাইল থেকে সরে এলে মনে হয় কী একটা মিস হয়ে গেল। চিকিৎসাবিজ্ঞানে মোবাইল ফোন থেকে সরে আসার এই ভীতিকে বলা হয় ‘নো মোবাইল ফোন ফোবিয়া’। সংক্ষেপে যাকে বলে ‘নোমোফোবিয়া’। 

বর্তমানে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই নোমোফোবিয়া একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশেও এখন নোমোফোবিয়া সংক্রামক ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। শিশু, তরুণ, বৃদ্ধ সবাই নোমোফোবিয়ায় আক্রান্ত। বেশি সময় ধরে মোবাইল ফোনে লেগে থাকায় মানুষের ক্ষীণ দৃষ্টি, মাথাব্যথা, হতাশা, মেজাজ খিটখিটেসহ শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি ঘটছে। এ সমস্যা নিরসনে ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ কয়েকটি দেশ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও বাংলাদেশে এখনো তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে বাংলাদেশে নোমোফোবিয়ার সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। 

এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশকে নোমোফোবিয়া নিয়ে কার্যকর গবেষণা প্রয়োজন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় সীমিত করে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি চালু করা উচিত। শিল্পকারখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ডিটক্স ক্যাম্প চালু করা হোক, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা নির্দিষ্ট সময়সীমা পর্যন্ত মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকতে পারবে। যত দ্রুত সম্ভব এ সমস্যা নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি। 

মাইফুল জামান ঝুমু
শিক্ষার্থী, ফরাসি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 
[email protected]