ঢাকা ৩০ ভাদ্র ১৪৩১, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কৃষি ও কৃষিঋণের পরিবর্তন দরকার

প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৪, ১১:৪৫ এএম
কৃষি ও কৃষিঋণের পরিবর্তন দরকার

একটি দেশের কৃষি হলো তার প্রাণ। অর্থনীতির চাকা যতই সচল থাকুক না কেন, কৃষির বিকল্প কিছু হতে পারে না। কলকারখানার উৎপাদনের পাশাপাশি যদি কৃষি সেভাবে এগিয়ে যেতে না পারে, তাহলে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিতে পড়বে বাংলাদেশ। দীর্ঘদিন কৃষির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি কৃষি অধিদপ্তরের গাফিলতি। 

কোন জেলায় কোন ধরনের ফসল ভালো হয়, সেখানে সেই ফসল চাষে উৎসাহ দেওয়া হয় কৃষি অধিদপ্তর থেকে। কিন্তু দেখা গেল আলু উৎপাদনের জেলা মুন্সীগঞ্জ। সেখানে কী পরিমাণ জমি আলু চাষের আওতায় আনা হবে তার একটি প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় দপ্তরে পাঠাতে হয়। কিন্তু মাঠপর্যায়ে তারা কখনো খতিয়ে দেখে না কী পরিমাণ জমি চাষের আওতায় এল। এখানেই বিপর্যয় সৃষ্টি হয়। তারা বলে, এ বছর জেলায় ৮ লাখ টন আলু উৎপাদন হয়েছে, বাস্তবে হয়েছে ৪ লাখ টন। তখনই সরকার কোনো হিসাব মেলাতে পারে না। এ কারণেই আলু আমাদের ৬০-৭০ টাকায় কিনতে হয়। 

তাই সরকারকে কৃষি অধিদপ্তর ঢেলে সাজিয়ে মাঠপর্যায়ে যাচাই-বাছাই শেষে প্রতিবেদন তৈরি করে কৃষককে কৃষি প্রণোদনা দিতে হবে। কৃষিঋণের ব্যাপারে বলব, সরকার রাজস্ব খাত থেকে কৃষিতে ভর্তুকি দিয়ে থাকে প্রতিবছর। কৃষি ব্যাংক তা প্রতিপালন করে। কৃষক সে ঋণ নিয়ে কৃষির কোনো কাজে খাটায় না। ঘর মেরামত, ফ্রিজ কেনা, মেয়ে বিয়ে দেওয়া, ছেলেকে বিদেশে পাঠানোসহ নানা কাজে খরচ করে। আর তাতেই কৃষি খাত উপেক্ষিত হয়ে পড়ে। 

অলিউর রহমান ফিরোজ
সাংবাদিক
মিরাপাড়া, রিকাবীবাজার, মুন্সীগঞ্জ
[email protected]

ব্যাংকের গ্রাহকরা কেন দুশ্চিন্তায় ভুগবেন?

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৯ এএম
ব্যাংকের গ্রাহকরা কেন দুশ্চিন্তায় ভুগবেন?

সাধারণ মানুষ সরকার ও ব্যাংক ব্যবস্থার ওপর বিশ্বাস করে ব্যাংকে টাকা রাখেন। সেই টাকা লুটেরারা নিয়ে বেগমপাড়ায় অট্টালিকা গড়বে। মালয়েশিয়া এবং দুবাইয়ে গিয়ে মাস্তি করবে। সিঙ্গাপুরে জুয়ার আসর মাতাবে- সেই দায় কেন সরকারের ঘাড়ে চাপবে না। কেন এখন হাজার হাজার গ্রাহককে তাদের তিলে তিলে জমানো অর্থ নিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে হবে? একটি ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়ার সময় ৪০০ কোটি টাকা জামানত দিতে হয় বাংলাদেশ ব্যাংককে। তা ছাড়া সাধারণ মানুষের জমাকৃত টাকার একটা অংশ বাংলাদেশ ব্যাংকে গচ্ছিত রাখতে হয়। সেই টাকা এখন কোথায়? তা ছাড়া যখন ব্যাংক মালিকরা নামে-বেনামে লাখ লাখ কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার করলেন, তা কেন সরকার দেখতে পেল না। 

ব্যাংকিং সেক্টরের নজিরবিহীন অনিয়মের কারণেই ব্যাংকে তারল্যসংকট দেখা দিচ্ছে। যেসব মালিক ঋণের নামে টাকা নিয়েছেন, তাদের কেন ধরা হচ্ছে না। ব্যাংকিং খাতে যে মহামারি চলছে, তার জন্য ব্যাংকের পরিচালকরাও কম দায়ী নন। এবার ব্যাংকিং সেক্টরে টাস্কফোর্স গঠন করা হচ্ছে। তাতেও যে ফল ভালো হবে না, তা নির্দ্বিধায় বলে দেওয়া যায় অতীত অভিজ্ঞতা থেকে। তাই সবার আগে লুটপাট এবং পাচার বন্ধ করতে পদক্ষেপ নিতে হবে ব্যাংকগুলোর। সেখানে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে এনে গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষাই হবে এখন মূল কাজ। না হলে ডেসটিনি আর যুবকের মতো দীর্ঘসূত্রতায় ভুগতে হবে দেশের ব্যাংক খাতের গ্রাহকদের।

রোকসানা রহমান
আলীপুর, মোল্লারহাট, কালকিনী, মাদারীপুর
[email protected]

ভেজালমুক্ত খাদ্যদ্রব্য চাই

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৭ এএম
ভেজালমুক্ত খাদ্যদ্রব্য চাই

দেশের একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার আশায় খাদ্যদ্রব্যে ইচ্ছামাফিক ভেজাল মিশিয়ে জনগণকে ঠেলে দিচ্ছে নির্ঘাত মৃত্যুর মুখে। সবার চোখের সামনে ভেজালকারীরা নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ভেজাল কার্যক্রম। ভোজ্যতেল থেকে শুরু করে মিষ্টি, দুধ, চিনি, মাছ, ফলমূলসহ সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের পাশাপাশি জীবন রক্ষাকারী ওষুধেও মেশানো হচ্ছে ভেজাল। ভেজাল খেয়ে জন্ডিস, কিডনি, চর্মরোগ, পেটের পীড়া, ক্যানসারসহ বিভিন্ন রোগে দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী আক্রান্ত ও অসুস্থ। ভেজালের কারণে জনজীবন হুমকিতে। স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে দেশের মানুষ মুক্তি চায়। অথচ দেখার যেন কেউ নেই। 

মনে রাখা উচিত, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রধান অবলম্বন জনস্বাস্থ্য। আর যারা এই স্বাস্থ্য নিয়ে টালবাহানা বা ছিনিমিনি খেলে, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি ব্যাহত করে, তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা ছাড়া কোনো গতি নেই। ভেজালের বিরুদ্ধে দেশবাসীসহ সিটি করপোরেশন, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান এবং এনজিওগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। এমতাবস্থায় সরকারের জনস্বাস্থ্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করছি। 
 
মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
গণমাধ্যমকর্মী
১৭ ফরিদাবাদ, গেন্ডারিয়া, ঢাকা-১২০৪
[email protected]

নোমোফোবিয়া নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৮ এএম
নোমোফোবিয়া নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে

প্রযুক্তির বিকাশ এবং ডিজিটালকরণের সঙ্গে সঙ্গে কয়েক বছর ধরে স্মার্টফোনের ব্যবহার বেড়েছে। এখন স্মার্টফোন ছাড়া মানুষ এক মুহূর্তও থাকতে পারে না। কিছুক্ষণের জন্য মোবাইল থেকে সরে এলে মনে হয় কী একটা মিস হয়ে গেল। চিকিৎসাবিজ্ঞানে মোবাইল ফোন থেকে সরে আসার এই ভীতিকে বলা হয় ‘নো মোবাইল ফোন ফোবিয়া’। সংক্ষেপে যাকে বলে ‘নোমোফোবিয়া’। 

বর্তমানে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই নোমোফোবিয়া একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশেও এখন নোমোফোবিয়া সংক্রামক ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। শিশু, তরুণ, বৃদ্ধ সবাই নোমোফোবিয়ায় আক্রান্ত। বেশি সময় ধরে মোবাইল ফোনে লেগে থাকায় মানুষের ক্ষীণ দৃষ্টি, মাথাব্যথা, হতাশা, মেজাজ খিটখিটেসহ শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি ঘটছে। এ সমস্যা নিরসনে ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ কয়েকটি দেশ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও বাংলাদেশে এখনো তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে বাংলাদেশে নোমোফোবিয়ার সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। 

এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশকে নোমোফোবিয়া নিয়ে কার্যকর গবেষণা প্রয়োজন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় সীমিত করে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি চালু করা উচিত। শিল্পকারখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ডিটক্স ক্যাম্প চালু করা হোক, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা নির্দিষ্ট সময়সীমা পর্যন্ত মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকতে পারবে। যত দ্রুত সম্ভব এ সমস্যা নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি। 

মাইফুল জামান ঝুমু
শিক্ষার্থী, ফরাসি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 
[email protected]

প্রতিটি গৃহ হোক অস্ত্রমুক্ত

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৬ এএম
প্রতিটি গৃহ হোক অস্ত্রমুক্ত

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সারা দেশে যৌথ অভিযান পরিচালনা চলছে। এ অভিযান কতিপয় বাড়ির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। প্রতিটি বাড়িসহ সব প্রতিষ্ঠানে, দল-মতনির্বিশেষে সব রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি সাঁড়াশি অভিযান চালাতে হবে। 

তবেই অস্ত্র উদ্ধার অভিযান হবে সফল। আমরা চাই, বাংলাদেশের প্রতিটি গৃহ হোক অস্ত্রমুক্ত। নিরাপদ সুন্দর বাংলাদেশ হোক। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

নতুন শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে ভাবনা

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫৫ এএম
নতুন শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে ভাবনা

বাঙালি হুজুগের পাবলিক। দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন কারিকুলাম নিয়ে তেলেসমাতি কাণ্ড ঘটে গেল। সবাই নিজের মতো করে মতামত দিল! ব্যস! যা হওয়ার হতে থাকুক। এবার সরকার আর অভিভাবকের গ্যাঁড়াকলে পড়লাম আমরা শিক্ষার্থীরা। একটু অশুদ্ধ ভাষায় বললে ‘মাইনকার চিপায়’। এই দুর্মূল্যের বাজারে কারিকুলামের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু কিনতে হচ্ছে অভিভাবকদের। এক মাস পেলাম নতুন কারিকুলামের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য। ক্লাসে বসলাম গ্রুপ ওয়ার্কের জন্য, কিন্তু বেঞ্চে বসতে না বসতেই সময় শেষ। অ্যাসাইনমেন্টসের স্তূপ জমেছে বাসায়। শিক্ষার্থীরা তো তখনই আনন্দের সঙ্গে অ্যাসাইনমেন্টস করবে, যখন শিক্ষক ধৈর্যসহকারে পড়াবেন। এক কথায় শিক্ষকদেরও ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। যে কারিকুলামে সরকার আমাদের শিক্ষিত করাতে চাচ্ছে, সে কারিকুলাম বিদেশের, আর সেখানে একটা শ্রেণিকক্ষে বেশি হলে ২০-৩০ জন ছাত্রছাত্রী থাকে। তাও আবার সকাল থেকে সন্ধ্যা। আর আমাদের এক একটা শ্রেণিকক্ষে কমপক্ষে ৮০-৯০ জন ছাত্রছাত্রী থাকে। সময় সকাল থেকে খুব বেশি হলে দুপুর ১২টা অবধি। বিদেশের শিক্ষার্থীদের বাড়ি গিয়ে পড়াশোনা, অ্যাসাইনমেন্টস, প্রজেক্টস ইত্যাদি কিছুই করতে হয় না। তাহলে কীভাবে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম বিদেশের মতো উন্নত হয়ে উঠবে? এখন সরকার যদি জাতিকে মূর্খ বানাতে চায় সেটা আলাদা কথা, কিন্তু কোনো ভালো উদ্দেশ্য যদি থেকে থাকে, তাহলে আমার একটাই কথা। যারা এই কারিকুলামের পেছনে ভূমিকা রাখছেন, আপনারা আর একটু পরিকল্পনা করুন। সময় এখনো ফুরায়নি কিন্তু নিঃসন্দেহে অতি দ্রুত ফুরিয়ে যাবে।

সামিহা তাহমিদ
২৯৭ পূর্ব রামপুরা, ঢাকা-১২১৯