একটি দেশের কৃষি হলো তার প্রাণ। অর্থনীতির চাকা যতই সচল থাকুক না কেন, কৃষির বিকল্প কিছু হতে পারে না। কলকারখানার উৎপাদনের পাশাপাশি যদি কৃষি সেভাবে এগিয়ে যেতে না পারে, তাহলে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিতে পড়বে বাংলাদেশ। দীর্ঘদিন কৃষির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি কৃষি অধিদপ্তরের গাফিলতি।
কোন জেলায় কোন ধরনের ফসল ভালো হয়, সেখানে সেই ফসল চাষে উৎসাহ দেওয়া হয় কৃষি অধিদপ্তর থেকে। কিন্তু দেখা গেল আলু উৎপাদনের জেলা মুন্সীগঞ্জ। সেখানে কী পরিমাণ জমি আলু চাষের আওতায় আনা হবে তার একটি প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় দপ্তরে পাঠাতে হয়। কিন্তু মাঠপর্যায়ে তারা কখনো খতিয়ে দেখে না কী পরিমাণ জমি চাষের আওতায় এল। এখানেই বিপর্যয় সৃষ্টি হয়। তারা বলে, এ বছর জেলায় ৮ লাখ টন আলু উৎপাদন হয়েছে, বাস্তবে হয়েছে ৪ লাখ টন। তখনই সরকার কোনো হিসাব মেলাতে পারে না। এ কারণেই আলু আমাদের ৬০-৭০ টাকায় কিনতে হয়।
তাই সরকারকে কৃষি অধিদপ্তর ঢেলে সাজিয়ে মাঠপর্যায়ে যাচাই-বাছাই শেষে প্রতিবেদন তৈরি করে কৃষককে কৃষি প্রণোদনা দিতে হবে। কৃষিঋণের ব্যাপারে বলব, সরকার রাজস্ব খাত থেকে কৃষিতে ভর্তুকি দিয়ে থাকে প্রতিবছর। কৃষি ব্যাংক তা প্রতিপালন করে। কৃষক সে ঋণ নিয়ে কৃষির কোনো কাজে খাটায় না। ঘর মেরামত, ফ্রিজ কেনা, মেয়ে বিয়ে দেওয়া, ছেলেকে বিদেশে পাঠানোসহ নানা কাজে খরচ করে। আর তাতেই কৃষি খাত উপেক্ষিত হয়ে পড়ে।
অলিউর রহমান ফিরোজ
সাংবাদিক
মিরাপাড়া, রিকাবীবাজার, মুন্সীগঞ্জ
[email protected]