সাধারণ মানুষ সরকার ও ব্যাংক ব্যবস্থার ওপর বিশ্বাস করে ব্যাংকে টাকা রাখেন। সেই টাকা লুটেরারা নিয়ে বেগমপাড়ায় অট্টালিকা গড়বে। মালয়েশিয়া এবং দুবাইয়ে গিয়ে মাস্তি করবে। সিঙ্গাপুরে জুয়ার আসর মাতাবে- সেই দায় কেন সরকারের ঘাড়ে চাপবে না। কেন এখন হাজার হাজার গ্রাহককে তাদের তিলে তিলে জমানো অর্থ নিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে হবে? একটি ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়ার সময় ৪০০ কোটি টাকা জামানত দিতে হয় বাংলাদেশ ব্যাংককে। তা ছাড়া সাধারণ মানুষের জমাকৃত টাকার একটা অংশ বাংলাদেশ ব্যাংকে গচ্ছিত রাখতে হয়। সেই টাকা এখন কোথায়? তা ছাড়া যখন ব্যাংক মালিকরা নামে-বেনামে লাখ লাখ কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার করলেন, তা কেন সরকার দেখতে পেল না।
ব্যাংকিং সেক্টরের নজিরবিহীন অনিয়মের কারণেই ব্যাংকে তারল্যসংকট দেখা দিচ্ছে। যেসব মালিক ঋণের নামে টাকা নিয়েছেন, তাদের কেন ধরা হচ্ছে না। ব্যাংকিং খাতে যে মহামারি চলছে, তার জন্য ব্যাংকের পরিচালকরাও কম দায়ী নন। এবার ব্যাংকিং সেক্টরে টাস্কফোর্স গঠন করা হচ্ছে। তাতেও যে ফল ভালো হবে না, তা নির্দ্বিধায় বলে দেওয়া যায় অতীত অভিজ্ঞতা থেকে। তাই সবার আগে লুটপাট এবং পাচার বন্ধ করতে পদক্ষেপ নিতে হবে ব্যাংকগুলোর। সেখানে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে এনে গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষাই হবে এখন মূল কাজ। না হলে ডেসটিনি আর যুবকের মতো দীর্ঘসূত্রতায় ভুগতে হবে দেশের ব্যাংক খাতের গ্রাহকদের।
রোকসানা রহমান
আলীপুর, মোল্লারহাট, কালকিনী, মাদারীপুর
[email protected]