ঢাকা ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

অসহায়ের সহজ চিকিৎসা কি আছে?

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২১ পিএম
অসহায়ের সহজ চিকিৎসা কি আছে?

অসহায়ের সহায় সরকারি চিকিৎসা। আসলে কি তাই? তবে সরকারি হাসপাতালে দালালরা খুব প্রভাবশালী। যখন যে দল সরকারে থাকে দালালরা দ্রুত সেই দলের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করে থাকে। আর মফস্বল শহরে এই দালালিটা একটু অন্যরকম। মফস্বলে বলেন আর রাজধানী ঢাকার কথা বলেন- সর্বত্রই ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা ওষুধের দোকান ও ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরির প্রতিনিধিরা ডাক্তারের সঙ্গে রাউন্ডে থাকেন। ডাক্তাররা দামি ওষুধ বা পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিধান দিলে, যেসব ওষুধ হাসপাতালে পাওয়া যায় না, সেই ওষুধ বেশি লেখা হয় ব্যবসায়িক স্বার্থে। বহিরাগতরা তৎক্ষণাৎ প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ তাদের নিজেদের দোকান থেকে নিয়ে আসেন বা রক্ত নিয়ে গিয়ে রিপোর্ট দিয়ে যান। হাসপাতাল সুপার বা স্বাস্থ্যকর্মীরা ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারেন না।  রোগী আর তাদের আত্মীয়রা কোনোরকমের প্রতিবাদ করতে পারেন না। সবাই দালালদের কাছে জিম্মি! 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

সাইবার নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধ করুন

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১:০৬ এএম
সাইবার নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধ করুন

সাংবাদিকতা একটি মহৎ পেশা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার অবাধ ক্ষেত্র। এ আইনটি সাংবাদিক পেশার পরিবেশকে সংকুচিত করেছিল। বাকস্বাধীনতা মতপ্রকাশের অধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এ বিষয়গুলো খর্ব করার মতো সাইবার সিকিউরিটি আইনে ছিল, যা অমানবিক ও দুঃখজনক।

 সাংবাদিকরা প্রথম থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বা সাইবার নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধের জন্য বহু আকুতি-অনুরোধকে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার পাত্তা না দিয়ে বরং কারাগারেই মৃত্যুবরণ, অজামিনযোগ্য ধারা, ছোট অপরাধের বড় দণ্ড, একই বিষয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে মামলাসহ এই আইনের কয়েকটি অসামঞ্জস্য খুবই বেদনাদায়ক। এতে সাংবাদিক, শিল্পী, সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হয়েছেন। 

প্রশ্ন হচ্ছে, স্বাধীনতার পরে এখনো সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না কেন? একাত্তরের যে কয়টি লক্ষ্য নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল তার মধ্যে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্য ছিল অন্যতম। সংবিধানেও বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু দেশে সাইবার বা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি নিবর্তনমূলক আইন করা হয়েছে। এতদিন এই আইনে যাদের বিরুদ্দে মামলা হয়েছিল, তাদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশই সাংবাদিক ও লেখক। অনেককে গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখিও করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের জামিনও মেলেনি সহজে। ভয়ংকর এ আইনটি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে। সে জন্য এ সরকারকে অনেক ধন্যবাদ।
 
মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
লেখক ও গণমাধ্যমকর্মী 
১৭, ফরিদাবাদ, গেন্ডারিয়া, ঢাকা-১২০৪
[email protected]

স্থায়ীভাবে বন্যা নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হোন

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৭ এএম
স্থায়ীভাবে বন্যা নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হোন

প্রতি বছর বন্যার ঘটনা ও আতঙ্ক বিরাজ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে। বর্তমানে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে বন্যা দেখা দিয়েছে। কেন এই বন্যা? ইতিহাসের আলোকে বিচার-বিবেচনা করা হলে আমরা সবাই, বাস্তবের কথা স্পষ্ট করে বলতে পারি যে, দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নদীর উৎসমুখে বাঁধ দিয়ে শাখা নদী, খাল-বিল, জলাশয় ইত্যাদির অপমৃত্যু ঘটানো হয়েছে। 

আবার কখনো কখনো আর্থিক সহায়তায় খাল কেটে নদীর প্রবাহের দিক পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। ফলে বিভিন্ন স্থানে বারবার স্রোতের আঘাত আসে নদীর পাড়ে। এদিকে বহু মৃত নদীকে বর্ষায় আংশিকভাবে জেগে উঠতে দেখা যায়। আপাতত অসংখ্য নদীর অপমৃত্যু হলেও খালে রূপান্তরিত করে, স্থায়ীভাবে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করতে উদ্যোগ নেওয়া উচিত। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

জ্যেষ্ঠতারভিত্তিতে প্রধান শিক্ষক  নিয়োগ করুন

প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫২ এএম
জ্যেষ্ঠতারভিত্তিতে প্রধান শিক্ষক 
নিয়োগ করুন

অধিগ্রহণকৃত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক (চাকরির শর্তাবলি নির্ধারণ) বিধিমালা, ২০১৩-এর বিধি ২-এর উপবিধি-(জ)তে বলা হয়েছে- ‘শিক্ষক অর্থ কোনো অধিগ্রহণকৃত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বা সহকারী শিক্ষক পদে নিযুক্ত (নিয়োগপ্রাপ্ত) ব্যক্তি। রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষক পদ সৃষ্টি করা হয় ১৪ জুলাই, ২০০৮ তারিখে। ২২ এপ্রিল, ২০১০ তারিখে রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরি (নিয়োগ, পদোন্নতি, শৃঙ্খলা ও কল্যাণ) নীতিমালা, ২০০৯ জারি করা হয়। তারপর পদোন্নতিসাপেক্ষে কিছু বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগপ্রাপ্ত হন। আর ২০০৮ সালের পর কেউ কেউ সরাসরি প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। 

বেসরকারি শিক্ষকদের উল্লিখিত চাকরি নীতিমালায় পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগের ক্ষেত্রে বলা হয়েছিল- ‘বিদ্যালয়ে কর্মরত সহকারী শিক্ষকদের মধ্য থেকে ন্যূনতম ৭ বছর এমপিওভুক্ত এবং সি-ইন-এডসহ ন্যূনতম এইচএসসি বা সমমানের যোগ্যতাসম্পন্ন এবং জ্যেষ্ঠতম শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেওয়া যেতে পারে।’ 

পদোন্নতি নিয়োগের শর্তসমূহ পূরণ করতে না পারায় প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনরত অনেক সহকারী শিক্ষক জাতীয়করণের পূর্বে সেসব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি নিয়োগ পেয়ে অব্যাহতভাবে কর্মরত থাকতে পারেননি। তারা সহকারী শিক্ষক নিয়োগে থেকেই প্রধান শিক্ষক পদের দায়িত্ব পালন করেছিলেন মাত্র। যার কারণে জাতীয়করণ নিয়োগ গেজেটে তাদের প্রধান শিক্ষক হিসেবে গেজেটভুক্ত না করে সহকারী শিক্ষক হিসেবেই গেজেটভুক্ত করা হয়েছিল।
 
মো. হাবিবুর রহমান
সহকারী শিক্ষক
চরযোগেন্দ্র আমতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
দক্ষিণ চরমশুরা (বসারচর), রমজানবেগ, মুন্সীগঞ্জ সদর, মুন্সীগঞ্জ
[email protected]

উত্তরবঙ্গের বন্যার্তদের কষ্ট দেখার কেউ নেই

প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৯ এএম
উত্তরবঙ্গের বন্যার্তদের কষ্ট দেখার কেউ নেই

অভাগা যেদিকে যায়, সাগর শুকিয়ে যায়। বলছিলাম উত্তরবঙ্গের অভাগা মফিজদের কথা। ‘চোখের সামনে স্বপ্ন ভাঙ্গিয়া যায় দারিদ্র্যের করাঘাতে, তবু মাথা নাহি নিচু করে।’ জাতীয় কবি কাজী নজরুল তাঁর বিখ্যাত লাইনটি ‘দারিদ্র্য তুমি মোরে করেছ মহান’ বোধহয় এই হতভাগা মফিজদের জন্যই রচনা করেছিলেন। নয়তো প্রতিবছর আকস্মিক বন্যায় চোখের সামনে স্বপ্নগুলো ভেসে যাওয়া সত্ত্বেও কেউ মুখ বুঝে বসে থাকিতে পারে! তা হয়তো ওদের না দেখলে জানতে পারতাম না।

 গ্রামে একটা প্রচলিত প্রবাদ আছে- ‘কান্দে পুলায় বুনি খায়, না কান্দে পুলায় ছটফটায়।’ উত্তরবঙ্গের মানুষ চক্ষুলজ্জা ভেদ করে মুখ ফুটে কিছু বলতে পারে না বলে কেউ তাদের দিকে মুখ তুলে তাকায় না। তাই বলে কি আমরাও চোখ থাকতে অন্ধ হয়ে যাব? আসুন আমরা সবাই ব্যক্তিগত এবং যৌথ উদ্যোগে বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াই। পাশাপাশি অবহেলিত মফিজদের প্রতি একটু নজর দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাই।


সবুজ আহমেদ জীবন
দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম 
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা
[email protected]

শব্দদূষণ বন্ধ হোক

প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৭ এএম
শব্দদূষণ বন্ধ হোক

গাড়ির সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকাসহ বড় বড় শহরে যানচালকদের নিরর্থক হর্ন বাজানো প্রবণতা বেড়েছে। রাস্তার আগের গাড়ি কোনো কারণে সামান্য গতি শ্লথ করলেই পেছনের গাড়ির চালক হর্ন বাজানো শুরু করে। অনেক সময় দেখা যায় সামনের গাড়িটির কোনো পথে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যাওয়ার উপায় নেই, তা সত্ত্বেও হর্ন বাজানো বন্ধ হয় না। কী কারণে গাড়িটি দাঁড়িয়ে আছে, তা জানার প্রয়োজন বোধ না করেই। 

এমন নয় যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরিই তাড়া আছে, সে-ই একমাত্র প্রয়োজনে রাস্তায় বেরিয়েছে। অনেক সময় সরু বাইলেনেও দেখা যায় এক ছবি। যেখানে ডাবল লেনে গাড়ি যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই, নেই বাইক বা সাইকেল পাস করার জায়গা। সেখানেও বাইক আরোহীরা লাগাতার হর্ন বাজাতে থাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার জন্য। ন্যূনতম ধৈর্য বা অপেক্ষা করার অভ্যাস কারও নেই। অকারণে হর্ন বাজানোর ফলে শুধু শব্দদূষণের মাত্রা বাড়ে এমন নয়, শিশু ও বয়স্কদের অসুবিধা হয় বিস্তর। 

অনেক বয়স্ক অসমর্থ মানুষ রাস্তায় বেরোন, আচমকা হর্নের আওয়াজে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যান, দুর্ঘটনা ঘটে, এমন ঘটনার নজিরও কম নেই। চালকের এই বোধ থাকা উচিত- তার তাড়াহুড়োর জন্য অন্যের অসুবিধা হয়, দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, এমনকি হতে পারে প্রাণহানিও। সুতরাং এই অনভিপ্রেত মারণ প্রবণতার বিরুদ্ধে প্রশাসনের উচিত কড়া পদক্ষেপ করে আইনমাফিক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান। জরিমানা অথবা লাইসেন্স বাতিল যার অন্যতম। 

লিয়াকত হোসেন খোকন

রূপনগর, ঢাকা

[email protected]