ঢাকা ২৫ কার্তিক ১৪৩১, রোববার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

নিজ দেশের চাহিদা পূরণের পর অন্যদেশ

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১:১৭ এএম
আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ পিএম
নিজ দেশের চাহিদা পূরণের পর অন্যদেশ

ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ। মাছটি দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও তেমন সুস্বাদু। বাঙালির কাছে এর জুড়ি মেলা ভার। পয়লা বৈশাখে ভোরবেলা পান্তা-ইলিশ দিয়ে নববর্ষ উৎযাপন করা বাঙালির আবহমানকালের সংস্কৃতি। এ ছাড়া যেকোনো উৎসব-অনুষ্ঠান, পূর্জাপার্বণে ইলিশের চাহিদা থাকে সবার আগে। শুধু কি বাংলাদেশ? প্রতিবেশী ভারতেও রয়েছে এর ব্যাপক চাহিদা। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালির বসবাস। সেখানকার বাজারেও সারা বছর ইলিশের রমরমা ব্যবসা হয়। পূজাপার্বণে এর চাহিদা স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে যায়।


 ৯ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় শারদীয় দুর্গাপূজা। পূজার পাতে পদ্মার রুপালি ইলিশ থাকবে না, তা কী করে হয়? গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নিলে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কে ভাটা পড়ে। প্রতিবেশী দুটি দেশের মধ্যে শীতল সম্পর্ক বিরাজ করায় পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের মধ্যে পুজোয় ইলিশ পাওয়া নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বরাবর ভারতকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়। 


প্রতিবেশী দুটি দেশের মধ্যকার শীতল সম্পর্ক কখনোই সুফল বয়ে আনতে পারে না। এতে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব বয়ে আনতে পারে। এ ক্ষেত্রে কূটনৈতিক মাধ্যম হিসেবে ইলিশ রপ্তানির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যকার শীতল সম্পর্ক কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের উচিত দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিয়ে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা।

মো. সবুজ মিয়া
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]

সাপে কাটার ওষুধ চাই

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৯ এএম
সাপে কাটার ওষুধ চাই

গ্রামবাংলা ও শহরতলিতে সব সময় সাপের উপদ্রব দেখা যায়। অনেক ক্ষেত্রে এই উপদ্রব মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়। গ্রামের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে সাপে কাটার ওষুধ সব সময় মেলে না। আবার অনেক ক্ষেত্রে ওষুধ মিললেও চিকিৎসকের অভাব। অগত্যা কেউ কেউ ওঝা-ঝাড়ফুঁক ইত্যাদি অবৈজ্ঞানিক চিকিৎসার ওপর নির্ভর করেন কিংবা ঢাকায় চিকিৎসা করাতে ছুটে আসতে হয়।

 গ্রাম থেকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য রোগীকে গাড়ি করে নিয়ে যাওয়া সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল। সময়মতো চিকিৎসা না হওয়ায় রোগীর পথেই মৃত্যু ঘটে। যেহেতু এই চিকিৎসা আপৎকালীন, তাই জাতির কল্যাণে সব সময় গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও শহরতলির হাসপাতালে পর্যাপ্ত সাপের দংশন থেকে সুস্থ হওয়ার ওষুধ মজুত রাখা খুবই জরুরি। পাশাপাশি ঢাকার হাসপাতালগুলোতে সাপে কাটা ওষুধপত্র ও চিকিৎসক রাখা বিশেষ প্রয়োজন। সর্প দংশনের মতো অপঘাতে মৃত্যু আমাদের সুস্থ সমাজে মোটেই কাম্য নয়। সুস্থভাবে বেঁচে থাকা আমাদের মৌলিক অধিকারের অন্তর্গত। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধার বাড়ি নিয়ে ভয়াবহ নৈরাজ্য চলছে

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৩ এএম
একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধার বাড়ি নিয়ে ভয়াবহ নৈরাজ্য চলছে

একজন রেমিট্যান্সযোদ্ধা ও তার একটি বাড়ি নিয়ে ডেভেলপার এবং সন্ত্রাসীদের নৈরাজ্যমূলক কর্মকাণ্ডে তার জীবন বিষিয়ে উঠছে। রেমিট্যান্সযোদ্ধা মনির হোসেন ১৯৯৫ সাল থেকে আমেরিকাপ্রবাসী। দেশে রিজার্ভব্যবস্থা সচল রাখার জন্য তার অনেক অবদান রয়েছে। ২০০৮ সালে তিনি ঢাকার ৫২/৩ পশ্চিম রাজাবাজারে সাড়ে ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। জমি কেনার পর সেখানে টঙ্গীবাড়ি নিবাসী জনতা ব্যাংকের কেরানি আনোয়ারুল আলমকে থাকতে দেন।

 মনির প্রবাসী হওয়ায় তার এ বাড়িটি ইমপেরিয়াল ডেভেলপারকে ২০২৩ সালে দিয়ে দেন। ডেভেলপার সেখানে তাকে আটটি ফ্লাট এবং সাইনিং মানি হিসেবে ৮০ লাখ টাকা দেওয়ার চুক্তি করে। এর পরই ডেভেলপারের রূপ বদলে যায়। তারা প্রতারণা করে কৌশলে চুক্তিপত্রে আটটি ফ্লাটের পরিবর্তে সাতটি এবং সাইনিং মানি ৮০ লাখের বিপরীতে ৬০ লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলে। ডেভেলপার এ সময় ৫০ লাখ টাকা নগদ এবং ১০ লাখ টাকার চেক দেয়। সেই চেকের মেয়াদ ফুরালেও মনিরকে টাকা দিচ্ছে না ডেভেলপার। পরে চুক্তিপত্র দেখে ডেভেলপারকে সাতটি ফ্লাট দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তারা এ সময় ভুল স্বীকার করে আরেকটি ফ্ল্যাট লিখে দেওয়ার সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে। 

সেটিও এখন লিখে দিতে গড়িমসি করছে। ডেভেলপার ও কেয়ারটেকার সন্ত্রাসী বাহিনী ভাড়া করে তার কাছ থেকে জোরপূর্বক চারটি চেকে ২০ লাখ টাকা লিখে নেয়। তার আগে কেয়ারটেকার এবং তার সন্ত্রাসী ছেলে ১০ লাখ টাকা মনিরের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে। দেশের ভয়াবহ নৈরাজ্যের জন্য হাজার হাজার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হতাহত হলো। কিন্তু ডেভেলপার এবং কেয়াটেকারের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কি বন্ধ হবে না। এ প্রশ্ন এখন রেমিট্যান্সযোদ্ধা মনিরের। তাই রেমিট্যান্সযোদ্ধা অসহায় মনির দেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

হাজি মো. রাসেল ভূঁইয়া
ব্যবসায়ী
৫২/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, ইন্দিরা রোড, ঢাকা
[email protected]   

কেউ কারও নয়

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৫ এএম
কেউ কারও নয়

বয়স্ক ভাতাসহ বিভিন্ন সরকারি ভাতা নিতে অনেকেই খুব কষ্ট করে ব্যাংকে আসেন যারা বৃদ্ধ তাদের কথাই বলছি অনেক কষ্ট করে তাদের আসার দৃশ্যগুলো দেখে যেকোনো সংবেদনশীল মানুষ যন্ত্রণায় বিক্ষত হতে বাধ্য বোধহয় একটু ভুল বলা হলো, আজকাল দিন বদলেছে শ্রেণি সচেতন যে আমরা আমাদের মন উতলা হবে মধ্যবিত্ত-এলিটদের জন্যই; না, আমরা ঘুরেও তাকাব না; একটা মোম বা মশালও জ্বালাব না ওই সব গরিব-অসহায় বৃদ্ধদের দেখে! যাদের খুব কষ্ট করে বয়স্ক ভাতাসহ বিভিন্ন সরকারি ভাতা নিতে ব্যাংকে আসতে দেখি

যারা চলাচল করতে পারেন না, তাদের বাড়িতে গিয়ে দিয়ে আসতে হবে- এমনটা কি হওয়া উচিত নয়! কত বৃদ্ধ হাঁটতে অক্ষম বয়স্ক ভাতাসহ বিভিন্ন সরকারি ভাতা নিতে তারা কেন আসবেন ব্যাংকে সামান্য ভাতাটা পৌঁছে দিতে সরকারি কর্মীও নেই! ব্যাংকে মাঝেমধ্যে গেলে চলাফেরায় অক্ষমদের দেখলে সত্যিই খুব কষ্ট লাগে! তাদের জন্য কর্তৃপক্ষের কি এতটুকু দয়ামায়া নেই! টাকাটা পৌঁছে দিয়ে আসি- এমন মানুষের আজ বড় অভাব মানুষ আর মানুষ নেই তা ছাড়া সরকারি দপ্তরগুলোও যেন কেমন হয়ে গেছে অনলাইনে সংশোধন চাইলে দিন যায়, মাস যায়- আপত্তি পড়ে দেখে না! আবার করবে সংশোধন! এই অযোগ্যদের জন্যই সাধারণ মানুষ সেবা পাচ্ছেন না কেউ বলতে পারেন, অমানুষ কি মানুষ হবে না?

লিয়াকত হোসেন খোকন

রূপনগর, ঢাকা

[email protected]

ফুসফুস ক্যানসার প্রতিরোধ ও প্রতিকারে  চাই জনসচেতনতা

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৩ এএম
ফুসফুস ক্যানসার প্রতিরোধ ও প্রতিকারে 
চাই জনসচেতনতা

নভেম্বর মাস ফুসফুস ক্যানসার সচেতনতা মাস। বিশ্বব্যাপী ফুসফুস ক্যানসারের ক্রমবর্ধমান প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই নভেম্বর মাস ফুসফুস ক্যানসার সচেতনতা মাস হিসেবে পালিত হয়। আমাদের দেশেও সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে এর তাৎপর্য তুলে ধরা হয়। ফুসফুস ক্যানসার একটি মারাত্মক ব্যাধি। এটি প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা বেশ কঠিন। কারণ অন্যান্য ক্যানসার শনাক্তকরণে যে স্ক্রিনিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, ফুসফুস ক্যানসারের ক্ষেত্রে ততটা কার্যকর ভূমিকা পালন করে না। 

তাই আর্লি স্টেজ পার হলে কিংবা ইন্সিডেন্টাল ফাইন্ডিংয়ের মাধ্যমে শনাক্ত করা যায়। যেমন অনেক সময় দেখা যায়, আক্রান্ত ব্যক্তি কোনো কারণে ফুসফুসের এক্স-রে করেছেন, সেখান থেকে সন্দেহজনকভাবে পরবর্তী সময়ে ফুসফুস ক্যানসার শনাক্ত করে চিকিৎসা প্রদান করা হয়ে থাকে। মৃত্যুঝুঁকির প্রসঙ্গ এলে বলতে হবে, বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ক্যানসারে মৃত্যুঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। ফুসফুস ক্যানসার একটি জটিল রোগ। শুধু সচেতনতাই নয়, প্রতিরোধের জন্যও প্রয়োজন প্রচেষ্টা। আপনি বা আপনার প্রিয়জন কি এই ঝুঁকির মধ্যে আছেন কি না তা জানুন এবং আপনার ফুসফুস আজই পরীক্ষা করুন। সচেতনতার মাধ্যমে নিজের ও আশপাশের সবাইকে ভয়াল রোগটির বিষয়ে সতর্ক করে তুলুন। 

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ 
লেখক
[email protected]

সাতপাড়িয়া গ্রামে গ্রন্থাগার চাই

প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৯ পিএম
সাতপাড়িয়া গ্রামে গ্রন্থাগার চাই

শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। একটি জাতির উন্নতি কিংবা অবনতি সম্পূর্ণ নির্ভর করে ওই জাতি কতখানি শিক্ষিত তার ওপর। জ্ঞানার্জনের মাধ্যমেই গড়ে ওঠে একটা শিক্ষিত জাতি। লাইব্রেরি হচ্ছে জ্ঞানার্জনের সেই প্রধান মাধ্যম। দেহের খোরাক মেটাতে যেমন খাদ্যের প্রয়োজন, তেমনি মনের খোরাক মেটানোর জন্য লাইব্রেরির প্রয়োজন।
হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার সাতপাড়িয়া একটি জনবহুল ও বর্ধিষ্ণু গ্রাম। এই গ্রামে ৭-৮ হাজার মানুষ বসবাস করে। যার মধ্যে শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী এবং শিক্ষিত জনগণের সংখ্যা অনেক। 

সম্প্রতি গ্রামটিতে আধুনিক শিক্ষার হাওয়া লাগায়, এই গ্রামের অনেকেই দেশ-বিদেশে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করছে। গ্রামে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকলেও অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, গ্রামে কোনো গ্রন্থাগার নেই। ফলে গ্রামের জ্ঞানপিপাসু ও শিক্ষার্থীদের ২০ কিলোমিটার দূরে উপজেলা শহরে কিংবা ৪০ কিলোমিটার দূরে জেলা শহরে গিয়ে বই বা পত্রপত্রিকা সংগ্রহ করতে হয়। অথচ গ্রামে একটি গ্রন্থাগার স্থাপন করলে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শিক্ষার্থী, চাকরিজীবীসহ সব পেশার মানুষ জ্ঞানার্জনের সুযোগ পেত। স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করে সাতপাড়িয়া গ্রামে একটি সাধারণ গ্রন্থাগার স্থাপনের জন্য যথাযর্থ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

সবুজ আহমদে জীবন
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, রাবি শাখা
[email protected]