ঢাকা ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫
English

নিজ দেশের চাহিদা পূরণের পর অন্যদেশ

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১:১৭ এএম
আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ পিএম
নিজ দেশের চাহিদা পূরণের পর অন্যদেশ

ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ। মাছটি দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও তেমন সুস্বাদু। বাঙালির কাছে এর জুড়ি মেলা ভার। পয়লা বৈশাখে ভোরবেলা পান্তা-ইলিশ দিয়ে নববর্ষ উৎযাপন করা বাঙালির আবহমানকালের সংস্কৃতি। এ ছাড়া যেকোনো উৎসব-অনুষ্ঠান, পূর্জাপার্বণে ইলিশের চাহিদা থাকে সবার আগে। শুধু কি বাংলাদেশ? প্রতিবেশী ভারতেও রয়েছে এর ব্যাপক চাহিদা। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালির বসবাস। সেখানকার বাজারেও সারা বছর ইলিশের রমরমা ব্যবসা হয়। পূজাপার্বণে এর চাহিদা স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে যায়।


 ৯ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় শারদীয় দুর্গাপূজা। পূজার পাতে পদ্মার রুপালি ইলিশ থাকবে না, তা কী করে হয়? গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নিলে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কে ভাটা পড়ে। প্রতিবেশী দুটি দেশের মধ্যে শীতল সম্পর্ক বিরাজ করায় পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের মধ্যে পুজোয় ইলিশ পাওয়া নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বরাবর ভারতকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়। 


প্রতিবেশী দুটি দেশের মধ্যকার শীতল সম্পর্ক কখনোই সুফল বয়ে আনতে পারে না। এতে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব বয়ে আনতে পারে। এ ক্ষেত্রে কূটনৈতিক মাধ্যম হিসেবে ইলিশ রপ্তানির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যকার শীতল সম্পর্ক কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের উচিত দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিয়ে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা।

মো. সবুজ মিয়া
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]

আলোকিত জীবন গড়তে পাঠাভ্যাস

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০২:৫৩ পিএম
আলোকিত জীবন গড়তে পাঠাভ্যাস

যন্ত্র নয়, নিজের সন্তানের হাতে বই তুলে দিন। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো এতটাই নেতিবাচক বিষয়ে আকীর্ণ যে রীতিমতো দমবন্ধ হয়ে আসে! দেখা যাচ্ছে, মানুষ আবার ফিরে আসছে সেই চিরপুরাতন সঙ্গী বইয়ের কাছে। ইলেকট্রনিক যন্ত্রের সঙ্গে বেড়ে ওঠা শিশুর মস্তিষ্কের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা রয়েছে! আজ বাংলাদেশে কী ভয়ানক রকমের অস্থিরতা বিরাজ করছে!

 কিশোররা গ্যাং তৈরি করছে! জড়িয়ে পড়ছে মারামারি, খুনোখুনিতে! যদি ওরা ছোটবেলা থেকে নিয়মিত পত্রিকা পড়ত, বই পড়ত তবে আর যাই হোক না কেন, নির্ঘাত ভালো মানুষ হতো। অপরাধী হতো না! সারাক্ষণ অনলাইন দুনিয়ায় ডুবে থাকলে মন দিয়ে কিছু করা যায় না, ভাবা যায় না! চিত্ত সদা চঞ্চল থাকে! আর এরই পরিণতি এত এত অপরাধ, গুজবের দাবানল, মবাক্রান্ত সংস্কৃতি!

যে তরুণ বই পড়ে, পত্রিকা পড়ে সে-ই প্রকৃত স্মার্ট! ভার্চুয়াল জগৎ আসলে মরীচিকা, বিভ্রম! সেটা আদৌ আছে কি না, আমরা জানি না! কিন্তু কাগুজে বই আর পত্রিকার ভুবনটা একদম বাস্তব! এতে কোনো জারিজুরি নেই! ওটা আছে এবং তাতে মুদ্রিত খবরগুলোও সত্য। বই পড়া মানুষ মানেই সুন্দর মানুষ! যারা জীবন, সমাজ আর দেশটাকে সুন্দর করে তুলবেন, আলোকিত করবেন পৃথিবীটাকে! 


আসিফ আল মাহমুদ 
আকবরশাহ মাজার, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম ৪২০২ 
[email protected] 

শব্দদূষণে মানুষ অতিষ্ঠ

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০২:৫২ পিএম
শব্দদূষণে মানুষ অতিষ্ঠ

শব্দদূষণ বলতে মানুষের বা কোনো প্রাণীর শ্রুতিসীমা অতিক্রমকারী কোনো শব্দ সৃষ্টির কারণে শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনাকে বোঝায়। দূষণের কথা বললে মাথায় আসে বায়ু, পানি ও মাটির দূষণের কথা। এসব শব্দদূষণও রীতিমতো আমাদের ক্ষতি করে চলেছে। আমাদের পুরো পরিবেশকে নীরব ঘাতকের মতো ক্ষতিগ্রস্ত করছে শব্দদূষণ।

রাস্তাঘাটে বিনা কারণে হর্ন বাজিয়ে শব্দদূষণের মাত্রাকে বাড়িয়ে তোলা হচ্ছে। এর সঙ্গে আছে উচ্চস্বরে মাইকিং ও গান বাজানো। বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের প্রচারণা, কোম্পানির বিভিন্ন পণ্যের প্রচারণা, নির্বাচন বা যেকোনো প্রচারের কাজে দিন-রাত মাইকের ব্যবহার মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে ব্যাহত করছে। শহরের মতো গ্রামাঞ্চলেও শব্দদূষণের মাত্রা বাড়ছে। শহরের সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি ও ট্রাফিক পুলিশ সক্রিয় থাকলেও গ্রামের দিকে এখনো এমনটা নেই। 

ফলে গ্রামের রাস্তায় কিংবা বাজারে চালকরা কোনো নিয়ম না মেনেই গাড়ি চালান। এতে সৃষ্টি হয় জ্যাম আর চালকরা ইচ্ছেমতো হর্ন বাজাতে থাকেন। এভাবেই বেড়ে যাচ্ছে শব্দদূষণের পরিমাণ। শব্দদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে জনস্বাস্থ্যের ওপর। শব্দদূষণের প্রভাবে মানুষের শ্রবণশক্তি ও স্মরণশক্তি লোপ পাচ্ছে। উচ্চ শব্দের কারণে স্নায়ুর ও হৃদরোগের সমস্যা বাড়ায়, এমনকি মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি করতে পারে। শব্দদূষণের ফলে স্কুল শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই নানা শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় পড়ছে। এভাবেই যদি দূষণের পরিমাণ দিন দিন বাড়তে থাকে, তাহলে দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষের স্বাভাবিক জীবন নষ্ট হতে থাকবে।


ওসমান গনি 
সাংবাদিক ও কলামিস্ট, কুমিল্লা 
[email protected] 

বিলুপ্তির পথে বাঙালি নারীর  আবেগের রেশমি চুড়ি

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৫, ০৯:১০ পিএম
বিলুপ্তির পথে বাঙালি নারীর 
আবেগের রেশমি চুড়ি

বাংলার নারী আর রেশমি চুড়ির সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। একসময় বাঙালি নারীর সাজের প্রধান অনুষঙ্গ ছিল এই চুড়ি। এটি কেবল একটি অলংকার নয়, বাঙালির সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, আবেগ আর নারীর জীবনের নীরব সাক্ষী। নববধূর হাতে শুভ্রতার প্রতীক, উৎসব-পার্বণে আনন্দের প্রতিচ্ছবি, কিংবা দৈনন্দিন জীবনে সখ্যতার সঙ্গী- রেশমি চুড়ি যেন প্রতিটি বাঙালি নারীর গল্প বুনেছে।

তবে আধুনিকতার দাপটে আজ এই ঐতিহ্যবাহী অলংকার বিলুপ্তির পথে। ফাস্ট ফ্যাশনের প্রভাব, পাশ্চাত্য পোশাকের সঙ্গে রেশমি চুড়ির বেমানানতা এবং যত্নের সমস্যা এর বিলুপ্তির প্রধান কারণ। রেশমি চুড়ির কারিগরদের সংকট এবং নতুন প্রজন্মের অনাগ্রহও এর বিলুপ্তিতে বড় ভূমিকা রাখছে। রেশমি চুড়ির বিলুপ্তি কেবল একটি অলংকার হারানো নয়, বরং এটি আমাদের সাংস্কৃতিক শূন্যতাকে তুলে ধরে। ঐতিহ্য ও নৈপুণ্যের এ অবসান আমাদের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের জন্য এক অশনিসংকেত।

এ ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রয়োজন সচেতনতা বৃদ্ধি, রেশমি চুড়িকে আধুনিকীকরণ, সরকারি উদ্যোগ এবং ঐতিহ্য মেলার আয়োজন। আমাদের ব্যক্তিগত উদ্যোগেও রেশমি চুড়ির ব্যবহার বাড়িয়ে এর চাহিদা পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব। রেশমি চুড়ির রিনিঝিনি ধ্বনি আবার বাঙালি নারীর হাতে ফিরে আসুক, যা আমাদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি আর ভালোবাসার প্রতীক হয়ে থাকুক চিরকাল।

সাদিয়া সুলতানা রিমি 
শিক্ষার্থী, গণিত বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]

রেলকে সুপ্রতিষ্ঠিত করুন

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৫, ০৯:০৯ পিএম
রেলকে সুপ্রতিষ্ঠিত করুন

প্রায়ই রেল দুর্ঘটনা ঘটছে। একের পর এক রেল দুর্ঘটনায় হতাহত হন অনেক যাত্রী। রেল দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে যা তথ্য ওঠে আসছে, সেগুলো হলো- বহু ট্রেনে এখনো কবচ ব্যবস্থা চালু করা হয়নি। বহু জায়গায় ইউএমসিএল অর্থাৎ আন ম্যানড লেভেল ক্রসিং এখনো রয়ে গেছে। সিগনালিং ব্যবস্থা এখনো ত্রুটিপূর্ণ। রেললাইন রক্ষণাবেক্ষণে বরাদ্দ টাকা পুরো খরচ করা হয় না।

 হাজার হাজার শূন্য পদ পূরণ না করে, যন্ত্রের প্রতি অত্যধিক নির্ভরতা। ড্রাইভারদের প্রয়োজনীয় এবং ন্যূনতম বিশ্রাম না দেওয়া। ইত্যাদি কারণে রেলযাত্রা এখন মানুষের কাছে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রেন এড়িয়ে অনেকে এখন বিমানযাত্রাকে পছন্দ করছেন বেশি। সময়ানুবর্তিতা নিয়ে যত কম কথা বলা যায়, ততই ভালো। টাইম টেবিল এখন টাইমলেস হয়ে গেছে। দুঃখ করে বলতে হয়, রেল ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ। রেল মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুরোধ, প্রয়োজনীয় এবং কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়ে রেলযাত্রাকে নির্বিঘ্ন করুন, সবচেয়ে কার্যকরী পরিবহন ব্যবস্থা হিসেবে রেলকে সুপ্রতিষ্ঠিত করুন। 


লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

সচিবালয়কে ফ্যাসিবাদমুক্ত করা সময়ের দাবি

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৫, ০১:৫৭ পিএম
সচিবালয়কে ফ্যাসিবাদমুক্ত করা সময়ের দাবি

সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়ায় যে তথ্য উঠে এসেছে, তা গভীরভাবে উদ্বেগজনক বলা হচ্ছে, সচিবালয়ে বর্তমানে প্রায় ৪০০ জন সচিব রয়েছেন তারা নাকি দেশের স্বার্থবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এবং . ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পরিকল্পিতভাবে উসকানি বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন

এদের রুখতেই এখন সচিবালয়কে ফ্যাসিবাদমুক্ত করা অত্যন্ত জরুরি চব্বিশের ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে পতিত ফ্যাসিবাদের দোসররা আজও প্রশাসনে বসে দেশবিরোধী কাজ করে যাচ্ছে রাষ্ট্রযন্ত্রে তাদের প্রভাব বাড়তে থাকলে জনগণের প্রত্যাশা জাতীয় নিরাপত্তা দুটোই হুমকির মুখে পড়বে সচিবালয়কে দেশপ্রেমিক জনগণের স্বার্থে নিবেদিত কর্মকর্তাদের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে এই ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া সরকারের কর্তব্য স্বাধীন রাষ্ট্রে বিদেশি স্বার্থ রক্ষা নয়, বরং দেশের সার্বভৌমত্বই হতে হবে সব সিদ্ধান্তের মূলে

মো. ইয়ামিন খান

ফরিদপুর

[email protected]