ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ। মাছটি দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও তেমন সুস্বাদু। বাঙালির কাছে এর জুড়ি মেলা ভার। পয়লা বৈশাখে ভোরবেলা পান্তা-ইলিশ দিয়ে নববর্ষ উৎযাপন করা বাঙালির আবহমানকালের সংস্কৃতি। এ ছাড়া যেকোনো উৎসব-অনুষ্ঠান, পূর্জাপার্বণে ইলিশের চাহিদা থাকে সবার আগে। শুধু কি বাংলাদেশ? প্রতিবেশী ভারতেও রয়েছে এর ব্যাপক চাহিদা। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালির বসবাস। সেখানকার বাজারেও সারা বছর ইলিশের রমরমা ব্যবসা হয়। পূজাপার্বণে এর চাহিদা স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে যায়।
৯ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় শারদীয় দুর্গাপূজা। পূজার পাতে পদ্মার রুপালি ইলিশ থাকবে না, তা কী করে হয়? গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নিলে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কে ভাটা পড়ে। প্রতিবেশী দুটি দেশের মধ্যে শীতল সম্পর্ক বিরাজ করায় পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের মধ্যে পুজোয় ইলিশ পাওয়া নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বরাবর ভারতকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়।
প্রতিবেশী দুটি দেশের মধ্যকার শীতল সম্পর্ক কখনোই সুফল বয়ে আনতে পারে না। এতে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব বয়ে আনতে পারে। এ ক্ষেত্রে কূটনৈতিক মাধ্যম হিসেবে ইলিশ রপ্তানির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যকার শীতল সম্পর্ক কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের উচিত দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিয়ে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা।
মো. সবুজ মিয়া
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]