বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় জিপিএ (গ্রেড পয়েন্ট এভারেজ) ও সিজিপিএ (কিউমুলেটিভ গ্রেড পয়েন্ট এভারেজ) পদ্ধতি ব্যাপকভাবে প্রচলিত। এর উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগত দক্ষতা পরিমাপ করা এবং তাদের মেধার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা। কিন্তু শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য কি গ্রেড পয়েন্ট অর্জন? প্রকৃত শিক্ষা ও মেধা কখনো গ্রেড পয়েন্টে নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। বাস্তবে ওই পদ্ধতিগুলো বৈষম্যমূলক। এটি শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি সৃজনশীলতা ও সামাজিক দক্ষতা বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে।
এ ছাড়া, ধনী পরিবারের শিক্ষার্থীরা উন্নত কোচিং ও শিক্ষা উপকরণের সুযোগ পাওয়ায় উচ্চগ্রেড অর্জন করছে। কিন্তু দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা ওই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতি সামাজিক বৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। এ ক্ষেত্রে একটি সমন্বিত মূল্যায়ন পদ্ধতি গ্রহণ করা উচিত। যেখানে শিক্ষার্থীদের প্রতিভা, সৃজনশীলতা ও সামাজিক দায়িত্ববোধের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া। সময়ের দাবি, শিক্ষার মূল উদ্দেশ্যকে সম্মান জানিয়ে একটি উন্নত ও বৈষম্যহীন শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা।
এম আর লিটন
লেখক ও সাংবাদিক, তেজগাঁও, ঢাকা
[email protected]