উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে শেরপুরের ঝিনাইগাতী, নকলা, নালিতাবাড়ীসহ জেলার বিস্তীর্ণ জনপদ। স্মরণকালের এ ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, মৎস্যঘের, গবাদিপশুর খামার, রাস্তাঘাটসহ বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অনেকেই মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। উঠতি ফসল হারিয়ে কৃষক এখন দিশেহারা। রাস্তাঘাট ভেঙে যাওয়ায় স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরা পড়েছে বিপাকে। গর্ভবতী নারী ও মুমূর্ষু রোগীকে হাসপাতালে নিতে স্বজনদের সীমাহীন বেগ পেতে হচ্ছে। এক কথায়, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় পুরো এলাকায় নেমে এসেছে চরম মানবিক বিপর্যয়।
বিশেষ করে ফাকরাবাদ থেকে কুশাইকুড়া ও নলকুড়া হয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র সড়কটির অবস্থা বেহাল। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে স্বেচ্ছাশ্রমে সাময়িক চলাচলের জন্য কিছুটা মেরামত করছে। এমতাবস্থায় জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে অত্র এলাকার রাস্তাঘাট সংস্কার ও নতুন করে ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মনিরুজ্জামান মনির
গ্রাম: নলকুড়া, থানা: ঝিনাইগাতী
জেলা: শেরপুর