আজ বৃহস্পতিবার, বিশ্ব মিতব্যয়িতা দিবস-২০২৪। প্রতিবছর ৩১ অক্টোবর এই দিবসটি পালন করা হয়। মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানানোর মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। প্রতিবছর এই দিনে পরিবার ও জাতির কল্যাণে সবাইকে মিত্যব্যয়ী হওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। ১৯২৪ সালে ‘মিলানে’ অনুষ্ঠিত বিশ্বের বিভিন্ন সঞ্চয় ব্যাংকের প্রতিনিধিদের প্রথম বিশ্ব কংগ্রেসে গৃহীত এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দিবসটি পালন শুরু হয়। মূলত মিতব্যয় ও সঞ্চয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে জনগণের মনোযোগ আকর্ষণ করার উদ্দেশ্য নিয়ে এই দিবসটি পালন করা হয়।
প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ১৩০ কোটি টন খাদ্য নষ্ট হয়, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬০ লাখ কোটি টাকা। অথচ বিশ্বে প্রতিদিন ১৭ কোটি মানুষ ক্ষুধার্ত অবস্থায় দিন কাটায়। মিতব্যয়িতা মানব চরিত্রের একটি বিশেষ গুণ। অপরদিকে, অমিতব্যয়িতা দারিদ্র্যের একটি প্রধান লক্ষণ। প্রত্যেক ব্যক্তিরই মিতব্যয়ী হওয়া উচিত। জীবনকে সফল করে তোলার জন্য এই বৈশিষ্ট্যের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আমাদের স্মরণ রাখতে হবে, আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সঙ্গতি রয়েছে কিনা। আয় ও ব্যয়ের দিকটি বিশেষভাবে বিবেচনায় না আনলে, যেমন অর্থসংকট দেখা দেবে তেমনি দৈনন্দিন জীবনেও অন্তহীন দুঃখ-দুর্দশায় পতিত হতে হবে। তাই আজকের মিতব্যয়িতা দিবসে ‘আমরা সবাই সঞ্চয়ী ও মিতব্যয়ী হব; সুন্দর ও সচ্ছল জীবন গড়ে তুলব’- এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগীকল্যাণ সোসাইটি
[email protected]