ঢাকা ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪২ এএম
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার আশপাশে ছিনতাইকারীর উপদ্রব ইদানীং বেড়ে চলছে। একটু রাত হলেই বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন বিনোদপুর, কাজলা, তালাইমারী এলাকায় চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। অথচ সেখানে অধিকাংশ অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বসবাস। নিত্যপ্রয়োজনে মাঝেমধ্যে রাতের বেলা রুমে থেকে বের হতে হয়। কিংবা অনেক সময় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে গিয়ে বা জরুরি কোনো কাজে আটকা পড়ে রাতের বেলায় রুমে ফিরতে হয়। ছিনতাইকারী দলগুলো এই সুযোগটি গ্রহণ করে থাকে। 
আকস্মিক আক্রমণে পথচারীদের সবকিছু লুট করে নিয়ে যায়। 

অধিকাংশ ক্ষেত্রে ছিনতাইকারী দলগুলো বাইক ব্যবহার করায় চোখের পলকে ব্যাপারটি সম্পন্ন হয়ে যায়। ছিনতাইকারীদের উপদ্রব এতটাই মারাত্মক অবস্থায় উপনীত হয়েছে যে, অনেক সময় দিনদুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনে ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। তাদের আতঙ্কে রাতের বেলা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে চারুকলা, বোটানিক্যাল গার্ডেন, বধ্যভূমি, ইবলিশ চত্বরসহ বেশিরভাগ এলাকায় চলাচল করা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে এবং আশপাশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করতে পুলিশ ফাঁড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি এবং তাদের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

সবুজ আহমেদ জীবন
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, রাবি
[email protected]

আসুন, শীতার্তদের পাশে দাঁড়াই

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫২ এএম
আসুন, শীতার্তদের পাশে দাঁড়াই

শীত মৌসুম মানে নিম্নশ্রেণির অসহায় মানুষের সীমাহীন কষ্ট আর দুর্ভোগের দিনগুলো শুরু। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া, দিনব্যাপী সূর্যের ক্ষীণ তাপ আর প্রকৃতির নানারূপ পরিবর্তনে বয়স্ক ও শিশুসহ সব শ্রেণির মানুষের মধ্যে দেখা দেয় সর্দি-কাশি, জ্বর, হাঁপানির মতো জটিল রোগের। শীতের তীব্রতায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ ও কষ্টের শিকার সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলো। তাদের নিম্নমানের জীবনযাপন আর স্বল্প আয়ের ফলে তীব্র শীতে তাদের পরিবার শীতবস্ত্রসংকটে ভোগে। শুষ্ক আবহাওয়া ও দিনব্যাপী সূর্যের ক্ষীণ তাপের ফলে তাদের দৈনন্দিন আয় ব্যাহত হয়। শীত মৌসুমে প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র ও পর্যাপ্ত তাপমাত্রার অভাবে শিশু, যুবক, বৃদ্ধসহ সবাই বিভিন্ন ধরনের রোগ ও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভোগে।

তাই শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির আগেই আমাদের উচিত শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের সাহায্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা। শীতের শুরুতে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো শুধু একটি মানবিক কর্তব্য নয়, বরং আমাদের সবার নৈতিক দায়িত্ব। আমরা নিজেদের অবস্থান থেকে অসহায় মানুষের জন্য সাধ্যমতো সাহায্যে এগিয়ে এলে আমাদের দেশ একটি সুস্থ, সমৃদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠার দিকে একধাপ এগিয়ে যাবে।

মুজাহিদুল ইসলাম
রাজশাহী কলেজ

যত্রতত্র বাস দাঁড়ানো বন্ধ করুন

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫০ এএম
যত্রতত্র বাস দাঁড়ানো বন্ধ করুন

ঢাকা মহানগরীতে প্রায় ২ কোটি মানুষের বসবাস। এই ২ কোটি মানুষের সিংহভাগই গণপরিবহনে যাতায়াত করে। বিশেষ করে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের কর্মস্থল এবং শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা গণপরিবহন। কিন্তু বিশাল মহানগরীর গণপরিবহনে নেই কোনো শৃঙ্খলা। অতিরিক্ত যাত্রী ওঠানো, যেখানে-সেখানে বাস থামানোর প্রবণতা সর্বত্রই দেখা যায়। 

বাস দাঁড়ানোর জন্য নির্ধারিত স্থান থাকলেও যত্রতত্র রাস্তার মাঝখানে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানো-নামানো যেন সাধারণ নিয়মে পরিণত হয়েছে। এর ফলে রাস্তায় আকস্মিক যানজট লেগে যায়। পেছনে গাড়ির লম্বা লাইন, হেলপার, যাত্রীদের কোলাহল এক বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি করে। এতে করে নগরবাসীর যেমন মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে তেমনি মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তা ছাড়া দীর্ঘক্ষণ জ্যামের কারণে বাসগুলো থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া এবং জ্বালানি নষ্ট হয়ে রাষ্ট্রের ক্ষতি হচ্ছে। তাই কর্তৃপক্ষের তদারকি এবং ট্রাফিক আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে যত্রতত্র গণপরিবহন দাঁড়ানো বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি যাত্রীদেরও স্টপেজের বাইরে বাসে ওঠা-নামা থেকে বিরত থাকা উচিত।


কল্পনা আক্তার 
ছোলমাইদ, ভাটারা, ঢাকা

অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২১ এএম
অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ইটভাটার দৌরাত্ম্যের সঙ্গে পরিবেশের বিপর্যয় অনেকটা সমার্থক। দেশে ইটভাটা গড়ে তোলার নীতিমালা থাকলেও তা যথাযথভাবে মানা হয় না, এর মধ্যে আছে আবার অবৈধ ইটভাটাও। বছরের পর বছর ধরে সেগুলো চলতে থাকে। যেমন ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঠাকুরগাঁও জেলায় গড়ে উঠেছে কয়েকটি অবৈধ ইটভাটা। বিষয়টি খুবই হতাশাজনক। এই ইটভাটার নেই বৈধ কোনো কাগজপত্র। নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও ইট পোড়ানোর সনদ।

 বিগত সরকারের আমলে যেভাবে চলে এসেছে, এখনো সেভাবেই চলছে।পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া কেউ ইট উৎপাদন করতে পারেন না। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে কোনো ইটভাটা চলার সুযোগ নেই। অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধ করতে কোনোভাবেই সময়ক্ষেপণ করা যাবে না। বছরের পর বছর ধরে চলা অবৈধ ইটভাটাগুলো দ্রুত উচ্ছেদ করা হোক। বৈধ ইটভাটাগুলোর ক্ষেত্রেও নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে। নদের জলাশয় ও খাল উদ্ধার করা হোক। আমরা আশা করব, এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেবে পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন।

আশিকুজ্জামান আশিক
আগারগাঁও, ঢাকা

নতুন ধরনের চোর

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৯ এএম
নতুন ধরনের চোর

মেট্রোরেলে সচিবালয় স্টেশন থেকে উঠে অনেকেই মতিঝিল স্টেশনে নামেন না। বরং ওই ট্রেনে চড়ে তারা বিভিন্ন গন্তব্যস্থলে গিয়ে নামেন। কিন্তু সচিবালয় থেকে মতিঝিল স্টেশন পর্যন্ত যে ভাড়া সেটা তারা দিলেন না। এটাও এক ধরনের চুরি। এই চোরদের ধরা হোক এবং শাস্তির আওতায় আনা হোক। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

প্রতিবন্ধী শিশু মহিলা বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে বিশেষ সুরক্ষা প্রয়োজন

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৯ এএম
প্রতিবন্ধী শিশু মহিলা বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে
বিশেষ সুরক্ষা প্রয়োজন

বিশ্বজুড়ে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধিতার শিকার মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও সুরক্ষার অঙ্গীকার নিয়ে উদযাপন হতে যাচ্ছে ৩৩তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস। বাংলাদেশে এ বছর ২৬তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন হবে। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে বিকশিত নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে প্রতিবন্ধী জনগণ’। 

দেশে এখন সরকারের নিবন্ধিত প্রতিবন্ধী, অর্থাৎ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তির সংখ্যা ৩০ লাখ। একটি দেশের শতকরা ১০ ভাগ মানুষ প্রতিবন্ধী। এটা আন্তর্জাতিক হিসাব। বাস্তবতা হচ্ছে, সরকারি হিসাবের চেয়ে দেশে প্রতিবন্ধী কয়েক গুণ বেশি। প্রতিবন্ধী নাগরিকরা যেন সমাজে অন্য সব নাগরিকের মতো সমান অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে বসবাস করতে পারে, সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরি ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রতিবছর আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস পালিত হয়।

 শারীরিকভাবে অসম্পূর্ণ মানুষের প্রতি সহমর্মিতা ও সহযোগিতা প্রদর্শন ও তাদের কর্মকাণ্ডের প্রতি সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যেই দিবসটির সূচনা হয়। সব ধরনের শারীরিক, মানসিক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধিতা মানববৈচিত্র্যেরই অংশ। তাই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে তাদের উন্নয়নের মূল স্রোতোধারায় সম্পৃক্ত করা খুবই জরুরি। সমাজের অবিচ্ছেদ্য এ অংশকে সব নাগরিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যথাযথ প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। তবেই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাও জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম হবেন। আসুন আমরা সবাই মিলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতি আমাদের সামাজিক দায়িত্ব পালন করি এবং সেই সঙ্গে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ি।

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

লেখক

[email protected]