রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার আশপাশে ছিনতাইকারীর উপদ্রব ইদানীং বেড়ে চলছে। একটু রাত হলেই বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন বিনোদপুর, কাজলা, তালাইমারী এলাকায় চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। অথচ সেখানে অধিকাংশ অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বসবাস। নিত্যপ্রয়োজনে মাঝেমধ্যে রাতের বেলা রুমে থেকে বের হতে হয়। কিংবা অনেক সময় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে গিয়ে বা জরুরি কোনো কাজে আটকা পড়ে রাতের বেলায় রুমে ফিরতে হয়। ছিনতাইকারী দলগুলো এই সুযোগটি গ্রহণ করে থাকে।
আকস্মিক আক্রমণে পথচারীদের সবকিছু লুট করে নিয়ে যায়।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে ছিনতাইকারী দলগুলো বাইক ব্যবহার করায় চোখের পলকে ব্যাপারটি সম্পন্ন হয়ে যায়। ছিনতাইকারীদের উপদ্রব এতটাই মারাত্মক অবস্থায় উপনীত হয়েছে যে, অনেক সময় দিনদুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনে ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। তাদের আতঙ্কে রাতের বেলা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে চারুকলা, বোটানিক্যাল গার্ডেন, বধ্যভূমি, ইবলিশ চত্বরসহ বেশিরভাগ এলাকায় চলাচল করা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে এবং আশপাশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করতে পুলিশ ফাঁড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি এবং তাদের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সবুজ আহমেদ জীবন
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, রাবি
[email protected]