ঢাকা ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
English
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

হরতাল-অবরোধ: গণতন্ত্র চর্চার অন্তরায়

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৬ এএম
হরতাল-অবরোধ: গণতন্ত্র চর্চার অন্তরায়

হরতাল-অবরোধ শব্দ দুটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে খুব পরিচিত শব্দ। দেশের রাজনীতির সঙ্গে শব্দ দুটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মূলত বিরোধী দলগুলো চাপ সৃষ্টি করে নিজেদের অধিকার দাবি-দাওয়া আদায় করার চেষ্টা করে থাকে।

শব্দগত দিক থেকে শব্দ দুটির মধ্যে বেশ পার্থক্য থাকলেও বাস্তবে তেমন কোনো পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় না। হরতাল হচ্ছে সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণের সম্মিলিত আন্দোলন। এর সঙ্গে সাধারণ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ বা সমর্থন থাকে। যদিও কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা গোষ্ঠীর নেতৃত্বে বিষয়টি সংগঠিত হয়ে থাকে। তবে অন্য সবকিছু বন্ধ থাকলেও জরুরি প্রয়োজনীয় সংস্থা, হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স গণমাধ্যম ইত্যাদি জরুরি প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো হরতালের আওতার বাইরে রাখা হয়। অন্যদিকে অবরোধ হচ্ছে কোনো বিশেষ কর্মসূচি পালনে জনগণকে বাধ্য করার একটি পন্থা। এতে জনসাধারণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ বা সমর্থন কোনোটাই থাকে না। বরং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো কিংবা বিভিন্ন গোষ্ঠী তাদের নিজেদের দাবি-দাওয়া আদায়ের জন্য অবরোধের মাধ্যমে দেশে অচল অবস্থা সৃষ্টি করে সরকারের ওপর একপ্রকার চাপ প্রয়োগ করে থাকে। অবরোধ চলাকালে সব ধরনের পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ করার মাধ্যমে সরকারকে চাপে ফেলতে বাধ্য করা হয়। এতে সাধারণ জনগণের ভোগান্তি বাড়ে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, অফিস-আদালত এবং বিভিন্ন কল-কারখানা, গার্মেন্টস কর্মীদের প্রচুর ভোগান্তি পোহাতে হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত, এর থেকে উত্তরণের জন্য সহনশীলতা এবং পরমতসহিষ্ণুতা বৃদ্ধি করা।

 

সবুজ আহমেদ জীবন

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

[email protected]

মধ্যবিত্তের ঢেউ

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৮ এএম
মধ্যবিত্তের ঢেউ

বাংলাদেশের মধ্যবিত্তরা ইদানীং ঢাকাসহ বড় বড় শহরের হোটেল-রেস্তোরাঁয় তেমন একটা আসছেন না। বয়স্কদের সামান্য টাকায় মধ্যবিত্ত পরিবার কোনোভাবে সংসার চালাচ্ছে। উচ্চশিক্ষিত বেকার যুবকরা চাকরি পাচ্ছেন না। নিম্নবিত্তরা কখনো হোটেল-রেস্তোরাঁয় খেতে যান না। উচ্চবিত্ত বা ধনাঢ্যরা সাধারণত হোটেল-রেস্তোরাঁয় খেতে তেমন একটা আসে না। একদিকে মধ্যবিত্ত পরিবারের ঘরে ঘরে যুবকদের চাকরি নেই। দেশের আর্থিক অবস্থার অস্থিরতা কোন পর্যায়ে রয়েছে, তাও কেউ সঠিকভাবে বলতে পারছে না। যারা সঞ্চয়পত্র করে রেখেছেন তারাও ইদানীং যথাসময়ে ইন্টারেস্টের টাকা পাচ্ছেন না। সবাই অর্থাৎ মধ্যবিত্ত শ্রেণির লোকজন টাকার অভাবে আছে।

 যে জন্য ঢাকাসহ বড় বড় শহরে সেই ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে। বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বেচাকেনা নেই বললেই চলে। মধ্যবিত্তরা একটা সময় নিয়মিত যেভাবে হোটেল-রেস্তোরাঁ, বিভিন্ন শপিংমল এবং হোটেলে থাকার জন্য ঘর বুক করতেন, সেখানেও হাহাকার। চারদিকে ব্যবসা মন্দা, তাই অনেকে দোকান ছেড়ে দিয়ে অন্য কোথাও চলে গেছে। যেহেতু যেসব জায়গায় কর্মী নেওয়া হতো কম সময়ের জন্য, তারাও চাকরি হারিয়েছেন। কোনো সন্দেহ নেই সর্বত্র ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে মধ্যবিত্ত মানুষের ঢেউ কমে যাওয়ার কারণে ঢাকার বিভিন্ন স্থানের ব্যবসার হাল খুব খারাপ। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

ফরিদাবাদে ডাকঘর চাই?

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৭ এএম
ফরিদাবাদে ডাকঘর চাই?

পুরান ঢাকার ফরিদাবাদের শত বছরের ডাকঘরটি কোনো প্রকার নোটিশ ছাড়াই ডাক বিভাগ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ডাকঘর না থাকার কারণে বিপাকে পড়েছেন কয়েক শ গ্রাহক, যাদের বেশির ভাগই প্রবীণ নাগরিক বা সিনিয়র সিভিল সিটিজেন। 

উল্লেখ্য, পুরান ঢাকার ফরিদাবাদ পোস্টাল কোড নম্বর-১২০৪ নামে প্রতিষ্ঠিত এবং এলাকার পরিধি বিশাল। অথচ খোদ ফরিদাবাদে অবস্থিত শত বছরের পুরোনো ডাকঘরটি ডাক বিভাগ কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি কী কারণে প্রত্যাহার করে নিয়েছে, তা এলাকাবাসী এখনো অবগত নয়। ডাকঘর না থাকার কারণে চিঠিপত্র আদান-প্রদান, ডাকটিকিট ক্রয়, সঞ্চয়পত্র, ডাকজীবন বিমা, চিঠি রেজিস্টারি, ইএমএস, পোস্টকার্ড, পার্সেল, চাকরির ইন্টারভিউ কার্ড সময়মতো পাওয়া যায় না। শুধু তাই নয়, গুরুত্বপূর্ণ চিঠি, মানি অর্ডার, পার্সেল, খাম, ডাকটিকিট, পোস্টাল অর্ডার- এসব সেবাসুবিধা থেকে এলাকাবাসী দীর্ঘদিন থেকে বঞ্চিত।

আজকাল দেশের অনেক ডাকঘরের অবস্থা বেহাল থাকলেও ফরিদাবাদ ডাকঘরটি ছিল জমজমাট। ডাক বাঁধার জন্য দড়ি, বাতি জ্বালানোর তেল এমনকি গালা পর্যন্ত নেই। এসব সামগ্রী ক্রয়ের জন্য প্রতি মাসে সরকারি বরাদ্দ অপ্রতুল; যা ডাকঘর চলার উপযোগী নয়। ডাকব্যবস্থা ও ডাক বিভাগের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োজিত ডাককর্মীরা এখনো বিভিন্নভাবে উপেক্ষিত। দেশের অনেক মানুষ আছেন যারা ব্যাংকে টাকা জমা রাখাকে নিরাপদ মনে করেন না বিধায় তারা পোস্ট অফিসের বিভিন্ন স্কিমে টাকা রাখতে স্বাছন্দ্য বোধ করেন। আশা করি, পুরান ঢাকার মানুষের সমস্যার কথাটি উপলব্ধি করে ডাক বিভাগ কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে রাজধানীর ফরিদাবাদ এলাকা থেকে প্রত্যাহারকৃত শত বছরের পুরোনো ডাকঘরটি পুনরায় জনস্বার্থে চালুর উদ্যোগ নেবে। 
 
মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
লেখক ও গণমাধ্যমকর্মী 
১৭ ফরিদাবাদ, গেন্ডারিয়া, ঢাকা-১২০৪
[email protected]

তারের জঞ্জালে অতিষ্ঠ নগরবাসী

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১৩ পিএম
তারের জঞ্জালে অতিষ্ঠ নগরবাসী

ঢাকা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে মহল্লার অলিগলিতে বিদ্যুতের খুঁটিগুলোয় ঝুলে থাকা তারের জঞ্জালে অতিষ্ঠ নগরবাসী। ঝুলে থাকা তারের কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। বিদ্যুতের খুঁটিগুলোর অবস্থাও বেহাল। মাত্রাতিরিক্ত ডিশ ও ইন্টারনেটের তারের ভারে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ঝুলন্ত তারগুলো কেটে দিলেও তা পুনরায় লাগিয়ে নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো। 

এরই মধ্যে রয়েছে বিশালাকৃতির ভোল্টেজ ট্রান্সফরমার। এ অবস্থাতেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন লাইনম্যানরা। অনেক খুঁটিই সড়কের দিকে হেলে পড়েছে। ফলে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যত্রতত্র ভবনের মাঝখান দিয়ে টানা হচ্ছে বৈদ্যুতিক সংযোগ। ঝুলন্ত তারগুলোর সঙ্গে টাঙিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন সংগঠনের বিজ্ঞাপন। প্রায়ই দেখা যায়, এসব তারে আটকে আছে নোংরা-ছেঁড়া কাপড়। ফলে অগ্নিসংযোগও ঘটে থাকে। বিশেষ করে গলির মোড়গুলোর অবস্থা সব থেকে নাজুক। এসব জঞ্জাল দূর করে নাগরিকদের বিপদমুক্ত চলাফেরা নির্বিঘ্ন করতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ও বিদ্যুৎ-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।


সাদেকুর রহমান সাদিক
ছোলমাইদ, ভাটারা, ঢাকা

বায়ুদূষণে দমবন্ধ ঢাকা

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১১ পিএম
বায়ুদূষণে দমবন্ধ ঢাকা

ঢাকার বায়ুদূষণ অনেক দিনের সমস্যা। তবে শীতকালে পরিবেশ শুষ্ক ও বৃষ্টিহীন থাকে বিধায় বায়ুদূষণ এখন এমন এক ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছেছে যে, তা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। নভেম্বরের শুরু থেকে বাইরে অতিমাত্রায় ধুলাবালির উপস্থিতি বাড়ছে। শহরটিতে ক্রমাগত নির্মাণকাজ, যানজট, ইটভাটা, রাস্তার ধুলা এবং শিল্পকারখানার নির্গত ধোঁয়ার কারণে বায়ুর গুণগত মান দিন দিন খারাপ হচ্ছে। শীতকালে দূষণ আরও তীব্র হয়। কারণ এই সময়ে ধোঁয়া এবং ধুলা বাতাসে মিশে থাকে এবং স্থির থাকে।

 বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিত মানদণ্ডের তুলনায় ঢাকার বায়ুমান প্রায়ই অস্বাভাবিক মাত্রায় উচ্চ থাকে। এতে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, হৃদরোগ এবং অন্যান্য শ্বাসজনিত অসুস্থতা বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষত, শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ, যেমন- নির্মাণকাজের নিয়ন্ত্রণ, ইটভাটার আধুনিকীকরণ, যানবাহনের দূষিত ধোঁয়া নির্গমন নিয়ন্ত্রণ এবং আরও সবুজায়ন জরুরি। জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং কার্যকর আইন প্রয়োগের মাধ্যমেও বায়ুদূষণ কমানো সম্ভব।


রাকিব হাসান
ঢাকা

খেজুরের কাঁচা রস পান নয়

প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৭ এএম
খেজুরের কাঁচা রস পান নয়

প্রকৃতিতে আগমন ঘটেছে শীতের। শীত এলেই গ্রামের গাছিরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন খেজুরের রস সংগ্রহে। খেজুরের কাঁচা রস আমাদের সবারই প্রিয়। শীতের সকালে রোদে বসে খেজুরের কাঁচা রস আর হাতে ভাজা মুড়ির স্বাদ উপভোগ করা বাঙালির অনেক পুরোনো অভ্যাস। এই স্বাদ উপভোগ করতে অনেকেই এ সময় শহর ছেড়ে পাড়ি জমান গ্রামের আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে। কিন্তু সেই খেজুরের রস যদি আপনজনদের জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে তা পরিহার করাই আবশ্যক। 

নিপাহ ভাইরাসের সঙ্গে আমরা সবাই এখন পরিচিত। সাধারণত শীতের সময় এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেশি লক্ষ করা যায়। আমাদের দেশে এই ভাইরাসের প্রধান বাহক বাদুড়। রাতের অন্ধকার নেমে এলেই বাদুড় গাছে বসে রস পান করে। ফলে খুব সহজেই বাদুড়ের লালা ও মলমূত্র হাঁড়িতে থাকা রসের সঙ্গে মিশে যায়। মূলত বাদুড়ের মুখ থেকে নির্গত লালা ও ত্যাগ করা মলমূত্র থেকেই নিপাহ ভাইরাসের উৎপত্তি। এই ভাইরাস ছোঁয়াচে হওয়ার কারণে অল্প সময়ের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে।

নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুঝুঁকি ৭০ শতাংশ। এই ভাইরাসের কোনো টিকা বা নির্দিষ্ট চিকিৎসা না থাকা এবং সাধারণ মানুষের অবহেলার ফলেই নিপাহ ভাইরাস দিন দিন ভয়ংকর রূপ ধারণ করছে। তাই সবার উদ্দেশ্যে বলব, খেজুরের কাঁচা রস পান থেকে বিরত থাকুন।

তপন কুমার ঘোষ 
শিক্ষার্থী, সরকারি মুকসুদপুর কলেজ, গোপালগঞ্জ
[email protected]

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });