ঢাকা ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

সবজির বাজার আগুন

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৭ এএম
সবজির বাজার আগুন

তিন মাস ধরে প্রতিটি সবজির দাম বেড়েই চলছে। নিত্যপণ্য যেন সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে সবজি বিক্রিতে প্রভাব পড়েছে। মানুষ প্রয়োজনের তুলনায় কম সবজি কিনছে। আগে যেখানে ১০-১২টি টমেটো কিনত, এখন সেখানে মাত্র ১টি টমেটো কিনছে। কাঁচা মরিচ, বেগুন, পটোল, ঝিঙে, করলা, আলু, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, পেঁপে ইত্যাদি সবজি কিনতে গিয়ে মানুষ হতাশ হচ্ছে। নিত্যপণ্য কিনতে কিনতে এমনিতেই মানুষের হাতটান। সবজির দাম লাগামছাড়া হওয়ায় মধ্যবিত্তের মাথায় হাত। সবজির দাম বৃদ্ধির ফলে কৃষকরা লাভবান হয় না। লাভবান হয় পাইকাররা হয়। 

বাজারে জিনিসপত্রের দাম ইচ্ছাকৃত বাড়ানো হচ্ছে কি না নজরদারি করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আছে। কিন্তু বাজারে যখন জিনিসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হয় তখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদস্যদের বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে দেখা যায় না। বেশ কিছুদিন ধরে মূল্যবৃদ্ধির ফলে মানুষ যখন নাজেহাল হয়, তখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বাজারে ঘুরতে দেখা যায়। মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদস্যরা বাজার ঘুরে দাম নিয়ন্ত্রণ না করেন তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থাকার মানে হয় না। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদস্যদের কাজের প্রতি প্রশাসনের নজরদারি দরকার। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

মানবস্বাস্থ্যের জন্য অশনিসংকেত

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৬ এএম
মানবস্বাস্থ্যের জন্য অশনিসংকেত

বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য খাতে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স একটি নতুন অশনিসংকেত হিসেবে দেখা দিয়েছে। অ্যান্টিবায়োটিক হলো এমন এক ধরনের ওষুধ, যা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। কিন্তু বর্তমানে অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি ঢাকা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের এক বছর সময়কালে (২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত) পরীক্ষিত ২৫ হাজার ৫৬২টি নমুনার বিশ্লেষণে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা হ্রাসের আশঙ্কাজনক তথ্য উঠে এসেছে। এমনকি অনেকাংশেই অকার্যকর হয়ে পড়া অ্যান্টিবায়োটিকের তালিকায় রয়েছে শক্তিশালী বহু অ্যান্টিবায়োটিকও। গবেষকদের তথ্যমতে, হাসপাতালের রোগীদের প্রধান চারটি জীবাণুর ক্ষেত্রে মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্সের হার ৯১-৯৮ শতাংশ। মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্সের অর্থই হলো, অধিকাংশ অ্যান্টিবায়োটিকই জীবাণুকে নিয়ন্ত্রণ করতে অক্ষম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা বলছে, প্রতিবছর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সে সারা বিশ্বে প্রায় পৌনে ১৩ লাখ মানুষ মারা যায়। ধারণা করা হয়, এভাবে চলতে থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ১ কোটিতে গিয়ে দাঁড়াবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকারিতা হারানোর কারণে জটিল সংক্রমণ মোকাবিলায় শক্তিশালী ও দামি অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হচ্ছে। যা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে এবং অনেক ক্ষেত্রে রোগী মৃত্যুর মুখে পড়ছে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক সেবন এবং ডোজ সম্পন্ন না করার প্রবণতা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে। এই পরিস্থিতিতে অ্যান্টিবায়োটিকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার রোধে কঠোর আইন প্রণয়ন এবং তা কার্যকর করার কোনো বিকল্প নেই। পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

তুহিন চাকমা
শিক্ষার্থী, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
সদস্য, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা
[email protected]

সবাই মানবতার সেবায় নিবেদিত প্রাণ

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ এএম
সবাই মানবতার সেবায় নিবেদিত প্রাণ

যেকোনো দুর্যোগে মানবিক সহায়তা প্রদানে স্বেচ্ছাসেবকদের সচেতন ও দক্ষ করে তোলার লক্ষ্যে দিবসটি পালিত হয়। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ১৯৮৫ সালের ডিসেম্বর মাসের ১৭ তারিখ অনুষ্ঠিত অধিবেশনে প্রতিবছর ৫ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী দিবস পালনের জন্য সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

জীবনের সর্বত্র স্বেচ্ছাসেবীদের অবদান সম্পর্কে জনসচেতনতা এবং ঘরে ও বাইরে স্বেচ্ছাসেবায় অধিকসংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণে উৎসাহ প্রদান, আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য। দেশের বিভিন্ন স্থানে দিবসটি উপলক্ষে সভা-সেমিনারসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
স্বেচ্ছায় স্বপ্রণোদিত হয়ে আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত হওয়ার জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর এটি সমাজের সব বয়সী মানুষের, সব স্তরের মানুষেরই নৈতিক দায়িত্ব। বিশেষ করে যুবকদের ওপর এই দায়িত্বটি বেশি। দেশের জনশক্তির এক-তৃতীয়াংশ যুবক। এদের শক্তিতে পরিণত করার মাধ্যমে প্রত্যেককে একেকজন সেবক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সর্বোপরি দেশের প্রয়োজনে যুবকরা সংগঠিত হয়ে যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলা করতে পারে।

দেশ, সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে স্বেচ্ছাসেবক মনোবৃত্তিকে উদ্বুদ্ধ করা এখন সারা বিশ্বেই অত্যন্ত গুরুত্ব পাচ্ছে। সেই লক্ষ্যে গঠিত হয়েছে জাতিসংঘের স্বেচ্ছাসেবক কর্মসূচি ইউএনভি। নির্দিষ্ট দিনে অতীতের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে স্মরণ করা বা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতেই এসব দিবস পালিত হয়। পালনীয় সেই সব দিবসের মধ্যে একটি হলো আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস।

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ 
লেখক
[email protected]

খাঁটি খেজুরের গুড় পেতে হলে  কারবারিদের বাড়িতে যেতে হবে

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০৩ পিএম
খাঁটি খেজুরের গুড় পেতে হলে 
কারবারিদের বাড়িতে যেতে হবে

কনকনে ঠাণ্ডা না পড়লে খেজুরের গুড়ে গন্ধ ও স্বাদ কোনোটাই আসে না, কিন্তু একই সঙ্গে এটাও সত্য যে, খাঁটি খেজুরের গুড় এখনকার দিনে অতি দুর্লভ। এর প্রধান কারণ শুধু শীত কমে যাওয়া নয়, খেজুরগাছ কমে যাওয়াও খাঁটি খেজুর গুড় না পাওয়ার অন্যতম কারণ। প্রাকৃতিক কারণে অর্থাৎ গ্লোবাল ওয়ার্মিং ইত্যাদি কারণে কনকনে শীত আগের মতো পড়ে না, ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত কনকনে ঠাণ্ডা থাকে। অথচ আমাদের ছোটবেলায় নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি থেকেই হাফ সোয়েটার পরতে হতো। ফেব্রুয়ারি মাসেও যথেষ্ট কনকনে ঠাণ্ডা থাকত।

 বিগত ১৫-১৬ বছরে খেজুরগাছ জ্বালানি কাঠ হিসেবে ব্যবহার করায় এর সংখ্যা বহু কমেছে। ফলে পর্যাপ্ত খেজুর রস উৎপাদিত হচ্ছে না। অবিলম্বে সরকারি উদ্যোগে খেজুরগাছের সংখ্যা বাড়াতে হবে। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি খেজুরগাছের সংরক্ষিত বনাঞ্চল তৈরি করে, তা হলে ভালো হয়। বর্তমানে খেজুরগাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় খেজুর রস যারা সংগ্রহ করতেন সেই শিউলিরা পেশা বদল করে অন্য পেশায় চলে গেছেন। খেজুরগাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে পর্যাপ্ত খেজুর রস উৎপাদিত হবে এবং খাঁটি খেজুরের গুড়ও পাওয়া যাবে। বর্তমান সময়ে খাঁটি খেজুরের গুড় পাওয়া যায় কিন্তু তার দাম অনেকটাই বেশি। ঢাকা শহরসহ বড় বড় শহরের খাঁটি খেজুর গুড় পাওয়া দুষ্কর। তার জন্য গ্রামাঞ্চলে যেখানে গুড় তৈরি করা হয়, সেই কারবারিদের বাড়ি যেতে হবে। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

মানবাধিকার সুরক্ষায় আমাদের করণীয়

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০১ পিএম
মানবাধিকার সুরক্ষায় আমাদের করণীয়

১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। ১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। ১৯৫০ সালে এই দিনটিকে জাতিসংঘ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়। ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতিসংঘ কর্তৃক মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হওয়ার পর থেকে প্রতিবছর এই দিন ‘বিশ্ব মানবাধিকার দিবস’ হিসেবে পালিত হয়। প্রত্যেক দেশ ও জাতিরই কিছু গৌরবোজ্জ্বল দিন থাকে।

 সেই দিনগুলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আর এই দিবসগুলোর জন্য কোনো না কোনো মাস দেশ ও জাতির জীবনে অতি উজ্জ্বল গর্বের মাস হিসেবে পরিলক্ষিত হয়। ডিসেম্বর মাস আমাদের জীবনের তেমনই একটি গর্বের মাস। ১৬ ডিসেম্বর আমাদের মহান বিজয় দিবস ও ২৫ ডিসেম্বর খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন। এই ধারাবাহিকতায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও মহাসমারোহে পালিত হয় বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। নারী-পুরুষ-শিশুনির্বিশেষে সমাজে বসবাসকারী প্রত্যেক মানুষের দৈনন্দিন জীবনে মানবাধিকারের প্রভাব অনস্বীকার্য।


ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ 
লেখক
[email protected]

পর্যটকদের নিরাপত্তায় সমুদ্রসৈকতে  স্পিডবোট নামানো হোক

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৪ এএম
পর্যটকদের নিরাপত্তায় সমুদ্রসৈকতে 
স্পিডবোট নামানো হোক

বিজয় দিবসে বা বড়দিনে কোথায় যাবেন? ঢাকায় থাকলে বোটানিক্যাল গার্ডেন। বাইরে যেতে চাইলে কুয়াকাটা অথবা কক্সবাজার। প্রতিবারের মতো এবারও ক্রিসমাস ইভ বা বড়দিনে সমুদ্রে পর্যটকদের যাতে কোনো দুর্ঘটনার মুখে পড়তে না হয়, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়ই সে ব্যাপারে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেবে। আমাদের মতে, প্রাথমিক ভাবনা অনুযায়ী স্পিডবোট নামানো প্রয়োজন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত স্নানের সময় সমুদ্রে টহল দেওয়া উচিত স্পিডবোটগুলোকে। বসানো উচিত সিসি ক্যামেরা।

 সমুদ্রসৈকতের আশপাশের রাস্তা ও সৈকত সরণিতে লাগানো প্রয়োজন ক্যামেরা। ওয়াচ টাওয়ারের মাথায়ও বসানো উচিত নজরদারি ক্যামেরা। সারাক্ষণ ক্যামেরা চলবে এবং ওই টিভিগুলোর ফুটেজ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতির পরিকল্পনাও থাকা উচিত। সমুদ্রে স্নান করতে গিয়ে ডুবে যাওয়ার মুহূর্তে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কী কী করতে হবে, এ ব্যাপারে একটা মহড়া হতে পারে। 

সমুদ্রে নতুন স্পিডবোট নামানো হলে পর্যটকরাও খুশি হবেন, কেননা স্পিডবোটগুলো থাকলে বা সেগুলো ব্যবহার করার সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে উদ্ধার করতে হবে পর্যটকদের, এসব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার খবর শুনলে স্থানীয় হোটেল কর্তৃপক্ষও খুশি হবেন। সবার ধারণা, এমন নিরাপত্তা বন্দোবস্ত করা গেলে আরও বেশি পর্যটক কুয়াকাটা ও কক্সবাজারে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত হবেন। সমুদ্রে টহল দেওয়ার জন্য স্পিডবোট নামানো হলে একদিকে পর্যটকরা যেমন নিরাপত্তা পাবেন, অপরদিকে কক্সবাজারের আকর্ষণ আরও বাড়বে। 

লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });