তিন মাস ধরে প্রতিটি সবজির দাম বেড়েই চলছে। নিত্যপণ্য যেন সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে সবজি বিক্রিতে প্রভাব পড়েছে। মানুষ প্রয়োজনের তুলনায় কম সবজি কিনছে। আগে যেখানে ১০-১২টি টমেটো কিনত, এখন সেখানে মাত্র ১টি টমেটো কিনছে। কাঁচা মরিচ, বেগুন, পটোল, ঝিঙে, করলা, আলু, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, পেঁপে ইত্যাদি সবজি কিনতে গিয়ে মানুষ হতাশ হচ্ছে। নিত্যপণ্য কিনতে কিনতে এমনিতেই মানুষের হাতটান। সবজির দাম লাগামছাড়া হওয়ায় মধ্যবিত্তের মাথায় হাত। সবজির দাম বৃদ্ধির ফলে কৃষকরা লাভবান হয় না। লাভবান হয় পাইকাররা হয়।
বাজারে জিনিসপত্রের দাম ইচ্ছাকৃত বাড়ানো হচ্ছে কি না নজরদারি করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আছে। কিন্তু বাজারে যখন জিনিসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হয় তখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদস্যদের বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে দেখা যায় না। বেশ কিছুদিন ধরে মূল্যবৃদ্ধির ফলে মানুষ যখন নাজেহাল হয়, তখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বাজারে ঘুরতে দেখা যায়। মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদস্যরা বাজার ঘুরে দাম নিয়ন্ত্রণ না করেন তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থাকার মানে হয় না। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদস্যদের কাজের প্রতি প্রশাসনের নজরদারি দরকার।
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]