ঢাকা ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪
English
বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

রাষ্ট্র সংস্কারের আগে আত্মসংস্কারের প্রয়োজনীয়তা

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৭ পিএম
রাষ্ট্র সংস্কারের আগে আত্মসংস্কারের প্রয়োজনীয়তা

দিন যত যাচ্ছে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানবিকতার হিংসাত্মক জীবনের রীতিনীতি। আমরা সততাকে শিল্পের পরিচয়ে ফুটিয়ে তুলি কিন্তু পরক্ষণেই তা একরাশ শুকিয়ে যাওয়া কাঠগোলাপের মতো নষ্ট হয়ে যায়। রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সংসদ ভবন যদি মানুষের চিরায়ত দুঃখ-কষ্টের হৃদয় হয়, তাহলে সেখান থেকে আমরা মঙ্গল মুক্তির বার্তা পৌঁছাতে পারব আগামীর শান্তির শপথে। 

মানুষের আত্মার সংস্কার কখনো বিপথগামী করে না। মানুষের যাপিত পথে ক্লান্তি আছে, স্বপ্ন আছে, বেদনা আছে, আছে অপার লোভ। তাই তার অদৃশ্য ক্ষমতা চোখে মেপে ধারণ করা যায় না। রাষ্ট্র মেরামতের সুযোগ পেলেই কেউ কেউ বুনে যায় কুম্ভকর্ণ। যেখানে লোভের জন্ম সেখান থেকেই অস্তিত্বের ধ্বংসের পথযাত্রা শুরু হয়। সততার ডুবন্ত পৃথিবীতে কেবল লোভের আগুন দাউ দাউ করে। রাষ্ট্রের জনজীবনের সব ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করা যায় কিন্তু মানবমনের ধৃষ্টতা অপসারণ করা যায় না। জাতির কল্যাণ আসে মানবপ্রেম থেকে, হৃদয়ের শৃঙ্খল মিছিল থেকে। শ্রম, ত্যাগ আর নিষ্ঠা- এই তিন গুণকে অস্বীকার করে আগামীর পথকে মসৃণ করা যাবে না। 

ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয় 
তরুণ কলাম লেখক; শিক্ষার্থী, নওগাঁ সরকারি কলেজ 
আক্কেলপুর, জয়পুরহাট 
[email protected]

প্রতিবন্ধী শিশু মহিলা বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে বিশেষ সুরক্ষা প্রয়োজন

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৯ এএম
প্রতিবন্ধী শিশু মহিলা বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে
বিশেষ সুরক্ষা প্রয়োজন

বিশ্বজুড়ে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধিতার শিকার মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও সুরক্ষার অঙ্গীকার নিয়ে উদযাপন হতে যাচ্ছে ৩৩তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস। বাংলাদেশে এ বছর ২৬তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন হবে। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে বিকশিত নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে প্রতিবন্ধী জনগণ’। 

দেশে এখন সরকারের নিবন্ধিত প্রতিবন্ধী, অর্থাৎ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তির সংখ্যা ৩০ লাখ। একটি দেশের শতকরা ১০ ভাগ মানুষ প্রতিবন্ধী। এটা আন্তর্জাতিক হিসাব। বাস্তবতা হচ্ছে, সরকারি হিসাবের চেয়ে দেশে প্রতিবন্ধী কয়েক গুণ বেশি। প্রতিবন্ধী নাগরিকরা যেন সমাজে অন্য সব নাগরিকের মতো সমান অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে বসবাস করতে পারে, সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরি ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রতিবছর আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস পালিত হয়।

 শারীরিকভাবে অসম্পূর্ণ মানুষের প্রতি সহমর্মিতা ও সহযোগিতা প্রদর্শন ও তাদের কর্মকাণ্ডের প্রতি সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যেই দিবসটির সূচনা হয়। সব ধরনের শারীরিক, মানসিক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধিতা মানববৈচিত্র্যেরই অংশ। তাই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে তাদের উন্নয়নের মূল স্রোতোধারায় সম্পৃক্ত করা খুবই জরুরি। সমাজের অবিচ্ছেদ্য এ অংশকে সব নাগরিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যথাযথ প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। তবেই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাও জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম হবেন। আসুন আমরা সবাই মিলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতি আমাদের সামাজিক দায়িত্ব পালন করি এবং সেই সঙ্গে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ি।

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

লেখক

[email protected]

মেয়েদের জন্য নামাজের জায়গা চাই

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৬ এএম
মেয়েদের জন্য নামাজের জায়গা চাই

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রাচীন ও বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অন্যান্য সব সুযোগ-সুবিধা থাকলেও নেই মেয়েদের জন্য নির্দিষ্ট নামাজের জায়গা। দুপুরে নামাজের সময় ছেলেরা কেন্দ্রীয় মসজিদে বা ডিপার্টমেন্টের মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করে। কিন্তু মেয়েদের জন্য ডিপার্টমেন্টে নামাজের জন্য যে জায়গাগুলো করা আছে, সে জায়গাগুলো এতটাই ছোট যে একসঙ্গে ১০ জন মেয়েও নামাজ পড়তে পারে না। 

এতে করে মেয়েরা নামাজের সময় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এমনকি ক্যাম্পাসে ভ্রমণের জন্য মেয়েরা এলেও নামাজের জন্য ভোগান্তিতে পড়তে হয়। একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে মেয়েদের জন্য একটি নির্দিষ্ট নামাজের জায়গা থাকা অবশ্যই প্রয়োজন। সবার ভোগান্তির বিষয় বিবেচনায় এনে ক্যাম্পাসের নির্দিষ্ট কোনো স্থানে মেয়েদের নামাজের ব্যবস্থা করার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

মোছা. কাওছারিন জাহান জিম
দর্শন বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
সদস্য, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা
[email protected]

এইডস ভাইরাসের কারণ ও প্রতিকারের উপায়

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৯ এএম
এইডস ভাইরাসের কারণ ও প্রতিকারের উপায়

বাংলাদেশে প্রতিবারের মতো এবারও দিবসটি পালন করার যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্ব এইডস দিবস হলো একটি আন্তর্জাতিক দিবস। ১৯৮৮ সাল থেকে প্রতিবছর ১ ডিসেম্বর দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়। এইচআইভি সংক্রমণের জন্য এইডস মহামারি ছড়িয়ে পড়ার বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এবং যারা এ রোগে মারা গেছেন, তাদের প্রতি শোক পালন করতে এ দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। সরকারি ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, বেসরকারি সংস্থাগুলো এবং বিশ্বে বিভিন্ন ব্যক্তি, এইডস প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সবাইকে সচেতন করতে এই দিনটি পালন করে আসছে।

পরিশেষে বলতে চাই, এইডস রোগীর সংক্রমণ রোধে প্রতি জেলায় পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন; সরকারি হাসপাতালে শিরায় মাদক গ্রহণকারী, যৌনকর্মী, তৃতীয় লিঙ্গ ও সমকামীদের মধ্যে এইচআইভি চিকিৎসা নিশ্চিত; আক্রান্তদের নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে যেসব কুসংস্কার, ভ্রান্ত ধারণা ও বৈষম্য রয়েছে, তা দূর করাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। তাই এইডসে আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচতে মানুষকে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ 
লেখক
[email protected]

সুখ চলে যায়...

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৭ এএম
সুখ চলে যায়...

আমরা কি আরও একটা বিশ্বযুদ্ধের পথে এগোচ্ছি? দুই ক্ষমতালোভী শক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার গগনচুম্বী অহংকারের মুখে বিশ্বের মানুষ আজ অসহায়। তারা সমগ্র বিশ্বকে এক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবিলায় পরমাণু নীতিতে পরিবর্তন আনতে উদ্যোগী হয়েছেন। পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধরত ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে। হোয়াইট হাউস ও ক্রেমলিনের পারস্পরিক যোগাযোগের পথ, হটলাইন বন্ধ করে দিয়েছেন রাশিয়ান প্রসিডেন্ট। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কলঙ্কিত অধ্যায় হিরোশিমা-নাগাসাকিতে যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু বোমা বিস্ফোরণ। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা বাজলে তার সবটা জুড়ে থাকবে পরমাণু যুদ্ধ। এর পরিণতি কী হবে, তা সম্যক জানে দুই ক্ষমতান্ধ শক্তি। তারা অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া বাজি রাখছে বিশ্বের আপামর মানুষকে। দুই মেরুতে বিভক্ত বিশ্বের পরমাণু শক্তিধর দেশগুলোও। 

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলো। আরও রয়েছে ইসরায়েল। রাশিয়ার পাশে চীন। জো বাইডেনের যত পুতুল সরকার আছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তাদের অবস্থাও নড়বড়ে। শুভবুদ্ধি উদয় হোক পুতিন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের। আলোচনায় বসুক পুতিন এবং নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারা বিশ্ববাসীকে আশ্বস্ত করুন। সেই সঙ্গে যেসব দেশে হিংসা, বিদ্বেষ, প্রতিহিংসা, হানাহানি, হামলা, মামলা রয়েছে তাও বন্ধ করা দরকার। তা না হলে পৃথিবীতে শান্তি ফিরে আসবে না। শান্তি যদি ফিরে না আসে, তবে অনুশোচনা নিয়ে বলতে হবে, ‘এরা সুখের লাগি চাহে প্রেম, প্রেম মেলে না সুখ চলে যায়, এমনই মায়ার ছলনা...’!

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

 

রেলক্রসিং কেন কেড়ে নিচ্ছে এত প্রাণ?

প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩১ পিএম
রেলক্রসিং কেন কেড়ে নিচ্ছে এত প্রাণ?

আমাদের দেশে সড়ক ও রেল দুর্ঘটনা যেন অনেকটা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। সারা দেশে ট্রেনে কাটা পড়ে হতাহতের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। 

সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, কুমিল্লার ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশায় থাকা অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ সাত যাত্রী মারা গেছেন। অসচেতনতা ও অবৈধ রেলক্রসিং এই ধরনের মর্মান্তি দুর্ঘটনার মূল কারণ। জানা গেছে, দুর্ঘটনাস্থলের রেলক্রসিংটি অবৈধ ছিল। এমন দুর্ঘটনা যেন দেশের রেল কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা ও দায়িত্বহীনতার করুণ চিত্র তুলে ধরে। এক জরিপে দেখা গেছে- দেশের ৮২ শতাংশ রেলক্রসিং অরক্ষিত; অর্থাৎ ট্রেন চলাচলের সময় যানবাহন আটকানোর জন্য এসব ক্রসিংয়ে কোনো পাহাড়াদার নেই, সুরক্ষাব্যবস্থা অপ্রতুল এবং ট্রেন আসার সংকেত কার্যকর নয়। ফলে একেকটি রেলক্রসিং যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। 

প্রতিবছরই গড়ে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রায় আড়াই হাজার মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। এগুলো কেবল পরিসংখ্যান নয়; এটি রেললাইনের চরম নিরাপত্তা দুর্বলতার ইঙ্গিতও বটে। এ ধরনের দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে রেলক্রসিংগুলো সুরক্ষাব্যবস্থা উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। অবৈধ রেলক্রসিংগুলো অবিলম্বে উচ্ছেদ করার উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি ব্যাপক জনসচেতনা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নিরাপদ রেলপথ নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হলে মূল্য দিতে হবে হাজারো নিরীহ প্রাণের। অতএব, রেলপথ ব্যবস্থাপনায় দ্রুত সংস্কার এখন সময়ের দাবি।

তুহিন চাকমা
শিক্ষার্থী, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
সদস্য, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা
[email protected]