শেরপুর জেলার সীমান্ত উপজেলা ঝিনাইগাতীতে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে নাকাল সাধারণ মানুষ। দিনরাত মিলে ১০ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকছে না। উপজেলা সদরে বিদ্যুৎ সরবরাহ কিছুটা স্বাভাবিক হলেও ইউনিয়ন পর্যায়ে অবস্থা খুবই নাজুক। কয়েক দিন পরেই শুরু হবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর বার্ষিক পরীক্ষা। বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলায় পড়াশোনায় মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটতে পারে ছাত্রছাত্রীদের। বিদ্যুতের অভাবে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আগত দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসাসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে প্রায়ই নষ্ট হচ্ছে টিভি-ফ্রিজসহ ব্যবহার্য ইলেকট্রনিকস সামগ্রী।
অন্যদিকে ভারতের মেঘালয়ের গারো পাহাড় থেকে নেমে আসা বন্য হাতির আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে রাতের বেলা হাই-ভোল্টেজের সার্চ লাইট জ্বালিয়ে রাখতে হয় সীমান্ত এলাকায়। না হলে রাতের অন্ধকারে বন্য হাতির দল নেমে এসে উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করে। সেই সঙ্গে প্রাণহানিও ঘটে। এদিকে এনজিওগুলোর তৎপরতায় গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে উঠেছে কিছু কুটির শিল্প কারখানা।
বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে এসব শিল্পের উৎপাদন মুখ থুবড়ে পড়েছে। কৃষিপ্রধান এলাকা হওয়ায় রবিশস্য ও শীতের আগাম শাকসবজি চাষে কৃষকরা এখন মহাব্যস্ত। কিন্তু সেখানেও বাগড়া দিচ্ছে বিদ্যুতের ঘন ঘন আসা-যাওয়া। সেচকাজে মারাত্মক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কৃষকদের। অর্থাৎ লোডশেডিংয়ের কারণে অত্র এলাকার সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নেমে এসেছে স্থবিরতা।
অতএব জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে সীমান্তবর্তী উপজেলা ঝিনাইগাতীতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মনিরুজ্জামান মনির
গ্রাম: নলকুড়া
ঝিনাইগাতী, শেরপুর