শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। একটি জাতির উন্নতি কিংবা অবনতি সম্পূর্ণ নির্ভর করে ওই জাতি কতখানি শিক্ষিত তার ওপর। জ্ঞানার্জনের মাধ্যমেই গড়ে ওঠে একটা শিক্ষিত জাতি। লাইব্রেরি হচ্ছে জ্ঞানার্জনের সেই প্রধান মাধ্যম। দেহের খোরাক মেটাতে যেমন খাদ্যের প্রয়োজন, তেমনি মনের খোরাক মেটানোর জন্য লাইব্রেরির প্রয়োজন।
হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার সাতপাড়িয়া একটি জনবহুল ও বর্ধিষ্ণু গ্রাম। এই গ্রামে ৭-৮ হাজার মানুষ বসবাস করে। যার মধ্যে শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী এবং শিক্ষিত জনগণের সংখ্যা অনেক।
সম্প্রতি গ্রামটিতে আধুনিক শিক্ষার হাওয়া লাগায়, এই গ্রামের অনেকেই দেশ-বিদেশে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করছে। গ্রামে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকলেও অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, গ্রামে কোনো গ্রন্থাগার নেই। ফলে গ্রামের জ্ঞানপিপাসু ও শিক্ষার্থীদের ২০ কিলোমিটার দূরে উপজেলা শহরে কিংবা ৪০ কিলোমিটার দূরে জেলা শহরে গিয়ে বই বা পত্রপত্রিকা সংগ্রহ করতে হয়। অথচ গ্রামে একটি গ্রন্থাগার স্থাপন করলে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শিক্ষার্থী, চাকরিজীবীসহ সব পেশার মানুষ জ্ঞানার্জনের সুযোগ পেত। স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করে সাতপাড়িয়া গ্রামে একটি সাধারণ গ্রন্থাগার স্থাপনের জন্য যথাযর্থ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সবুজ আহমদে জীবন
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, রাবি শাখা
[email protected]