বয়স্ক ভাতাসহ বিভিন্ন সরকারি ভাতা নিতে অনেকেই খুব কষ্ট করে ব্যাংকে আসেন। যারা বৃদ্ধ তাদের কথাই বলছি। অনেক কষ্ট করে তাদের আসার দৃশ্যগুলো দেখে যেকোনো সংবেদনশীল মানুষ যন্ত্রণায় বিক্ষত হতে বাধ্য। বোধহয় একটু ভুল বলা হলো, আজকাল দিন বদলেছে। শ্রেণি সচেতন যে আমরা। আমাদের মন উতলা হবে মধ্যবিত্ত-এলিটদের জন্যই; না, আমরা ঘুরেও তাকাব না; একটা মোম বা মশালও জ্বালাব না ওই সব গরিব-অসহায় বৃদ্ধদের দেখে! যাদের খুব কষ্ট করে বয়স্ক ভাতাসহ বিভিন্ন সরকারি ভাতা নিতে ব্যাংকে আসতে দেখি।
যারা চলাচল করতে পারেন না, তাদের বাড়িতে গিয়ে দিয়ে আসতে হবে- এমনটা কি হওয়া উচিত নয়! কত বৃদ্ধ হাঁটতে অক্ষম। বয়স্ক ভাতাসহ বিভিন্ন সরকারি ভাতা নিতে তারা কেন আসবেন ব্যাংকে। সামান্য ভাতাটা পৌঁছে দিতে সরকারি কর্মীও নেই! ব্যাংকে মাঝেমধ্যে গেলে চলাফেরায় অক্ষমদের দেখলে সত্যিই খুব কষ্ট লাগে! তাদের জন্য কর্তৃপক্ষের কি এতটুকু দয়ামায়া নেই! টাকাটা পৌঁছে দিয়ে আসি- এমন মানুষের আজ বড় অভাব। মানুষ আর মানুষ নেই। তা ছাড়া সরকারি দপ্তরগুলোও যেন কেমন হয়ে গেছে। অনলাইনে সংশোধন চাইলে দিন যায়, মাস যায়- আপত্তি পড়ে দেখে না! আবার করবে সংশোধন! এই অযোগ্যদের জন্যই সাধারণ মানুষ সেবা পাচ্ছেন না। কেউ বলতে পারেন, অমানুষ কি মানুষ হবে না?
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা