একজন রেমিট্যান্সযোদ্ধা ও তার একটি বাড়ি নিয়ে ডেভেলপার এবং সন্ত্রাসীদের নৈরাজ্যমূলক কর্মকাণ্ডে তার জীবন বিষিয়ে উঠছে। রেমিট্যান্সযোদ্ধা মনির হোসেন ১৯৯৫ সাল থেকে আমেরিকাপ্রবাসী। দেশে রিজার্ভব্যবস্থা সচল রাখার জন্য তার অনেক অবদান রয়েছে। ২০০৮ সালে তিনি ঢাকার ৫২/৩ পশ্চিম রাজাবাজারে সাড়ে ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। জমি কেনার পর সেখানে টঙ্গীবাড়ি নিবাসী জনতা ব্যাংকের কেরানি আনোয়ারুল আলমকে থাকতে দেন।
মনির প্রবাসী হওয়ায় তার এ বাড়িটি ইমপেরিয়াল ডেভেলপারকে ২০২৩ সালে দিয়ে দেন। ডেভেলপার সেখানে তাকে আটটি ফ্লাট এবং সাইনিং মানি হিসেবে ৮০ লাখ টাকা দেওয়ার চুক্তি করে। এর পরই ডেভেলপারের রূপ বদলে যায়। তারা প্রতারণা করে কৌশলে চুক্তিপত্রে আটটি ফ্লাটের পরিবর্তে সাতটি এবং সাইনিং মানি ৮০ লাখের বিপরীতে ৬০ লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলে। ডেভেলপার এ সময় ৫০ লাখ টাকা নগদ এবং ১০ লাখ টাকার চেক দেয়। সেই চেকের মেয়াদ ফুরালেও মনিরকে টাকা দিচ্ছে না ডেভেলপার। পরে চুক্তিপত্র দেখে ডেভেলপারকে সাতটি ফ্লাট দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তারা এ সময় ভুল স্বীকার করে আরেকটি ফ্ল্যাট লিখে দেওয়ার সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে।
সেটিও এখন লিখে দিতে গড়িমসি করছে। ডেভেলপার ও কেয়ারটেকার সন্ত্রাসী বাহিনী ভাড়া করে তার কাছ থেকে জোরপূর্বক চারটি চেকে ২০ লাখ টাকা লিখে নেয়। তার আগে কেয়ারটেকার এবং তার সন্ত্রাসী ছেলে ১০ লাখ টাকা মনিরের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে। দেশের ভয়াবহ নৈরাজ্যের জন্য হাজার হাজার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হতাহত হলো। কিন্তু ডেভেলপার এবং কেয়াটেকারের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কি বন্ধ হবে না। এ প্রশ্ন এখন রেমিট্যান্সযোদ্ধা মনিরের। তাই রেমিট্যান্সযোদ্ধা অসহায় মনির দেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
হাজি মো. রাসেল ভূঁইয়া
ব্যবসায়ী
৫২/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, ইন্দিরা রোড, ঢাকা
[email protected]