ঢাকা ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

আর নয় অতিথি পাখি শিকার

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪২ এএম
আর নয় অতিথি পাখি শিকার

শীত মানেই অতিথি পাখির আগমন। প্রতি বছর শীতের শুরুতেই দেশের হাওর-বাঁওড়, জলাশয়গুলোতে দলবেঁধে আসতে থাকে বিভিন্ন প্রজাতির চেনা-অচেনা পাখি। পাখিদের কলকাকলি আর সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসব এলাকায় ভিড় জমাতে থাকে প্রকৃতিপ্রেমীরা। এসব পাখির অবস্থান ক্ষণস্থায়ী। কারণ এদের আবাসস্থল পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধের সাইবেরিয়া, ইউরোপ ও এশিয়ার কিছু দেশে।

শীত মৌসুমে পৃথিবীর উত্তর মেরু বরফে আচ্ছন্ন থাকায় এসব পাখি জীবন বাঁচাতে ছুটে আসে নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে। জীবন বাঁচাতে এসে বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে তাদের। শিকারির পেতে রাখা ফাঁদে পড়ে প্রতিদিন জীবন দিচ্ছে শতাধিক পাখি। যার ফলে দিন দিন কমেই চলছে অতিথি পাখির সংখ্যা। এসব পাখি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি ভূমিকা রাখছে দেশের অর্থনীতিতে। পাখিদের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসা পর্যটকদের ব্যয় করা অর্থে জীবিকা নির্বাহ করছে অনেকেই এবং একটা অংশ রাজস্ব হিসেবে যুক্ত হচ্ছে সরকারের কোষাগারে। সর্বোপরি বলতে চাই, জীববৈচিত্র্য রক্ষার্থে আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে পাখি নিধন বন্ধে সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

তপন কুমার ঘোষ 
শিক্ষার্থী, সরকারি মুকসুদপুর কলেজ, গোপালগঞ্জ
[email protected]

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটার যৌক্তিকতা

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪০ পিএম
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটার যৌক্তিকতা

জুলাই বিপ্লবের পর চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক কোটাব্যবস্থার নিরসন হলেও এখনো অনেক ক্ষেত্রে তা স্বরূপে বহাল রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি ক্ষেত্রে পোষ্য কোটা তার মধ্যে অন্যতম।

বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সর্বোচ্চ স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। প্রতিবছর প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে লাখ লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া কিছু মেধাবী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়ে থাকে।

তীব্র প্রতিযোগিতা বিদ্যমান থাকায় অনেক সময় শূন্য দশমিক ০০১ নম্বর কম পাওয়ার কারণে অনেক শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়, সেখানে কোটার কারণে এর চেয়ে অনেক কম নম্বর পেয়েও বহু শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়ে থাকে। অনেক সময় ফেল করেও পোষ্য কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার দৃষ্টান্ত রয়েছে।

১৯৭৭ সালে তৎকালীন উপাচার্য ড. আব্দুল বারী তার সন্তানকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করার উদ্দেশ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বপ্রথম পোষ্য কোটা চালু করেন। বাংলাদেশ সংবিধানে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য কোটাব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তার সন্তান কোনো দিক দিয়ে সমাজে অনগ্রসর জনগোষ্ঠী হিসেবে গণ্য হতে পারে না। অথচ একজন কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরোয়, অনেক সময় টাকার অভাবে মেধাবী শিক্ষার্থীর পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। রিকশা চালিয়ে সন্তানের পড়াশোনার খরচ জোগানোর চেষ্টা করছেন বৃদ্ধ বাবা।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার পরও শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তানদের জন্য পোষ্য কোটা রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই।

মো. সবুজ মিয়া
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, শাখা
[email protected]

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি চাই

প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৬ এএম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি চাই

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়। ৭৫৩ একরের এত বড় একটি বিশ্ববিদ্যালয় অথচ এর অভ্যন্তরে কোনো ফার্মেসি নেই। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রায় ৩২ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। যার মধ্যে আবাসিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেক। ক্যাম্পাসের মধ্যে সব ধরনের দোকানপাট থাকলেও নেই শুধু ফার্মেসির ব্যবস্থা।

 ফলে সামান্য অসুখ হলেও ছুটতে হয় ৮ কিলোমিটার দূরে শহরে কিংবা ক্যাম্পাসের বাইরে বিনোদপুর, কাজলার ফার্মেসিগুলোয়। যা অনেক সময়সাপেক্ষ ও ভোগান্তির সৃষ্টি করে। বিশেষ করে রাতের বেলা কেউ অসুস্থ হলে ভোগান্তি আরও বৃদ্ধি পায়। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মেডিকেল সেন্টার রয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগী দেখে চিকিৎসাপত্র দিয়ে থাকেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা ব্যতীত মেডিকেল সেন্টারটি বন্ধ থাকে। বাধ্য হয়ে তখন বাইরে ছুটতে হয়। শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনায় এনে অতি দ্রুত ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ফার্মেসির ব্যবস্থা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। 

মো. সবুজ মিয়া
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা
[email protected]

ভেজাল ও নকল ওষুধে বাজার সয়লাব

প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪ এএম
ভেজাল ও নকল ওষুধে বাজার সয়লাব

নগর থেকে গ্রাম পর্যন্ত সর্বত্রই বিক্রি হচ্ছে নকল ও ভেজাল ওষুধ। প্রকাশ্যে এ ধরনের ওষুধ বিক্রি চললেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। অভিযান চালিয়ে জরিমানা পর্যন্ত করে থেমে যাচ্ছে প্রশাসন। ফলে এ অপকর্মের মূল হোতারা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাই দেশের ওষুধ ব্যবসা এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে, যেখানে স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। সুস্বাস্থ্য রক্ষার্থে প্রয়োজন স্বাস্থ্য সচেতনতা, ডাক্তার ও ওষুধ। আর ওষুধই অসুস্থতার একমাত্র নিয়ামক। বর্তমানে বাংলাদেশে ওষুধশিল্প অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক ভালো সময় পার করছে।

 বাংলাদেশের ওষুধশিল্প দেশের প্রয়োজনীয় সব ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন করতে সমর্থ। তা ছাড়া দেশের অর্থনীতিতে রাখছে বিরাট ভূমিকা। বাংলাদেশের উৎপাদিত ওষুধের চাহিদা ও ব্যবহার বিশ্ববাজারে বেড়েই চলেছে। এত সব সুখবরের মধ্যে বিশ্ববাজারে যখন বাংলাদেশে উৎপাদিত ওষুধের চাহিদা বেড়ে চলেছে ঠিক তখনই এর বিপরীত চিত্র দেশের ওষুধের বাজারে। দেশীয় বাজারে উৎপাদিত হচ্ছে ভেজাল ও নকল ওষুধ। ফলে ক্রমশই অস্থির হয়ে উঠছে ওষুধশিল্প ও চিকিৎসাব্যবস্থা। ভেজাল ওষুধের রমরমা বাণিজ্যের কারণে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে এবং মানুষের জীবন ঝুঁকিতে পড়ছে। ওষুধ ও কসমেটিকস আইন ২০২৩-এ নকল ভেজাল ওষুধ তৈরি ও বিপণনের অপরাধকে জামিন অযোগ্য করা হয়েছে। কিন্তু তার প্রয়োগ নেই। 

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ 
লেখক
[email protected]

কৃষকদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিন

প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৪ পিএম
কৃষকদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিন

বর্তমানে দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী। অসাধু ব্যবসায়ীদের অপতৎপরতায় বাজারে দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানা যাচ্ছে না। এবার আলু, রসুন ও পেঁয়াজের বীজের দাম বেশি হওয়ায় চাষাবাদে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় দ্বিগুণ দামে বীজ কিনতে হচ্ছে কৃষকদের। জানা যায়, ৭০-৮০ শতাংশ বীজ বাজার থেকে সংগ্রহ করতে হয়, যার সুযোগ নিচ্ছে সিন্ডিকেট চক্র। 

প্রতিবছরই কৃষক উচ্চমূল্যে বীজ কিনতে বাধ্য হন, কারণ তাদের কাছে বীজ সংগ্রহ ও সংরক্ষণের কার্যকর কৌশল সম্পর্কে ধারণা নেই। এ ছাড়া সার ও কীটনাশক প্রয়োগেও গুনতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। ফলে কৃষক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি অধিক পরিমাণে সার ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে কৃষিজমির উর্বরতা যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি পরিবেশেরও ক্ষতি হচ্ছে। এ কারণে কৃষকদের বীজ সংগ্রহের কৌশল ও প্রাকৃতিক উপায়ে পোকামাকড় দমনের কৌশল সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। এতে করে উৎপাদন খরচ অনেকাংশে কমে আসবে। এ বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার জন্য জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত কৃষি কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

তুহিন চাকমা
শিক্ষার্থী, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
সদস্য, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা

খড় না পুড়িয়ে পরিবেশ ও স্বাস্থ্য রক্ষা করুন

প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০১ পিএম
খড় না পুড়িয়ে পরিবেশ ও স্বাস্থ্য রক্ষা করুন

ধান কাটার পর ধানগাছের অবশিষ্ট খড় জমিতে পড়ে থাকছে। সেই খড় কৃষকরা আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছেন। ফলে বাতাসে প্রচুর ধোঁয়া ও কার্বন ডাই-অক্সাইড মিশে পরিবেশকে দূষিত করছে। শুধু তাই নয়, জমির মাটিও নষ্ট হচ্ছে। আগুন দেওয়ার ফলে মাটিতে থাকা বন্ধুপোকা, কেঁচো, গুগলি, শামুক, কাঁকড়া প্রভৃতি কীটপতঙ্গ ও প্রাণী পুড়ে মারা যাচ্ছে। তার ফলে মাটির উর্বরতা কমে যাচ্ছে। 

পরবর্তী সময়ে ওই জমিতে ফসলের উৎপাদনও কমতে বাধ্য। অথচ ধানের অবশিষ্ট অংশ না পুড়িয়ে সেগুলোকে পচিয়ে বা ছোট ছোট করে কেটে মেশিনের সাহায্যে মাটিতে মিশিয়ে দিলে জমির উৎপাদন ক্ষমতা বাড়বে। তা ছাড়া অবশিষ্ট খড় জমি থেকে তুলে সংরক্ষণ করে রাখলে দীর্ঘদিন গবাদিপশুকে খাওয়ানো যায়। বাংলাদেশের ৬৪ জেলার কৃষকবন্ধুরা এ ব্যাপারে সচেতন হলে যেমন পরিবেশ নির্মল ও স্বাস্থ্যকর থাকবে, তেমনি কৃষিকাজেরও প্রভূত উপকার হবে। ভুললে চলবে না, দেশের বিভিন্ন স্থানে মাত্রাতিরিক্ত বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ কিন্তু খেতের খড় ও গাছের গোড়া পোড়ানোর ধোঁয়া বাতাসে মিশে যাওয়া। তাই সতর্ক থাকা অবশ্যই প্রয়োজন। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]