ঢাকা ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

ভর্তি পরীক্ষায় কোটা বিলুপ্ত করুন

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৮ পিএম
ভর্তি পরীক্ষায় কোটা বিলুপ্ত করুন

এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর ‘উচ্চশিক্ষায় মানুষ’ হওয়ার স্বপ্নে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। ‘অভিশপ্ত’ অটোপাসের কারণে জিপিএ-৫ বেড়ে যাওয়ায় স্বভাবতই ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বেড়ে একেকটি আসনের জন্য প্রার্থীর পরিমাণ বাড়বে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ এবং ইঞ্জিয়ারিংয়ে পড়তে ইচ্ছুক যথার্থ এবং সুযোগ্য মেধাবীরাও এতে স্বপ্নভঙ্গের আশঙ্কায় আতঙ্কিত। ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে মেধাবীদের চোখ রাঙাচ্ছে ‘কোটা প্রথা।’ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরণে তৎপর হলেও ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে মেধার অবমূল্যায়নের বিরুদ্ধে তাদের বৈপ্লবিক কোনো উদ্যোগ এখনো পরিলক্ষিত হচ্ছে না।

 শিক্ষার্জনের অধিকার দেশের সব মানুষের। মেধার যথাযথ মূল্যায়নই দল-মত-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবার এ অধিকার নিশ্চিত করতে পারে। কিন্তু ‘অভিশপ্ত কোটা প্রথা’ মেধাবীদের উচ্চশিক্ষার্জনে বাধার দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোটার কারণে স্বপ্নের পথে হাঁটতে না পারলে অনেক মেধাবীমুখ অসময়ে শিক্ষার পথ থেকে হারিয়ে যাবে। কেননা, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়ার সঙ্গে পেরে না ওঠায় অধিকাংশ মানুষেরই যখন ‘নুন আনতে পান্তা ফুরায়,’ তখন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্জনের স্বপ্ন দেখা ‘গরিরের ঘোড়া রোগ’ ছাড়া কিছুই নয়। 

দেশে মানসম্পন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের খুবই অভাব। যেগুলো আছে, সেগুলোর খরচ আকাশছোঁয়া, যা দেশের অধিকাংশ মানুষের পক্ষেই বহন করা সম্ভব নয়। এ অবস্থায় মেধাবীদের সার্বিক অসহায়ত্বের কথা বিবেচনায় এনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় আসন বাড়ানো এবং যাবতীয় কোটা বাতিলের জন্য দায়িত্বশীলদের অনুরোধ করছেন নিরীহ-মেধাবী ভর্তিচ্ছুরা।

মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ্
বারইয়ারহাট, মিরসরাই, চট্টগ্রাম-৪৩২৬
[email protected]

তারের জঞ্জালে অতিষ্ঠ নগরবাসী

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১৩ পিএম
তারের জঞ্জালে অতিষ্ঠ নগরবাসী

ঢাকা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে মহল্লার অলিগলিতে বিদ্যুতের খুঁটিগুলোয় ঝুলে থাকা তারের জঞ্জালে অতিষ্ঠ নগরবাসী। ঝুলে থাকা তারের কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। বিদ্যুতের খুঁটিগুলোর অবস্থাও বেহাল। মাত্রাতিরিক্ত ডিশ ও ইন্টারনেটের তারের ভারে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ঝুলন্ত তারগুলো কেটে দিলেও তা পুনরায় লাগিয়ে নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো। 

এরই মধ্যে রয়েছে বিশালাকৃতির ভোল্টেজ ট্রান্সফরমার। এ অবস্থাতেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন লাইনম্যানরা। অনেক খুঁটিই সড়কের দিকে হেলে পড়েছে। ফলে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যত্রতত্র ভবনের মাঝখান দিয়ে টানা হচ্ছে বৈদ্যুতিক সংযোগ। ঝুলন্ত তারগুলোর সঙ্গে টাঙিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন সংগঠনের বিজ্ঞাপন। প্রায়ই দেখা যায়, এসব তারে আটকে আছে নোংরা-ছেঁড়া কাপড়। ফলে অগ্নিসংযোগও ঘটে থাকে। বিশেষ করে গলির মোড়গুলোর অবস্থা সব থেকে নাজুক। এসব জঞ্জাল দূর করে নাগরিকদের বিপদমুক্ত চলাফেরা নির্বিঘ্ন করতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ও বিদ্যুৎ-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।


সাদেকুর রহমান সাদিক
ছোলমাইদ, ভাটারা, ঢাকা

বায়ুদূষণে দমবন্ধ ঢাকা

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১১ পিএম
বায়ুদূষণে দমবন্ধ ঢাকা

ঢাকার বায়ুদূষণ অনেক দিনের সমস্যা। তবে শীতকালে পরিবেশ শুষ্ক ও বৃষ্টিহীন থাকে বিধায় বায়ুদূষণ এখন এমন এক ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছেছে যে, তা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। নভেম্বরের শুরু থেকে বাইরে অতিমাত্রায় ধুলাবালির উপস্থিতি বাড়ছে। শহরটিতে ক্রমাগত নির্মাণকাজ, যানজট, ইটভাটা, রাস্তার ধুলা এবং শিল্পকারখানার নির্গত ধোঁয়ার কারণে বায়ুর গুণগত মান দিন দিন খারাপ হচ্ছে। শীতকালে দূষণ আরও তীব্র হয়। কারণ এই সময়ে ধোঁয়া এবং ধুলা বাতাসে মিশে থাকে এবং স্থির থাকে।

 বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিত মানদণ্ডের তুলনায় ঢাকার বায়ুমান প্রায়ই অস্বাভাবিক মাত্রায় উচ্চ থাকে। এতে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, হৃদরোগ এবং অন্যান্য শ্বাসজনিত অসুস্থতা বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষত, শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ, যেমন- নির্মাণকাজের নিয়ন্ত্রণ, ইটভাটার আধুনিকীকরণ, যানবাহনের দূষিত ধোঁয়া নির্গমন নিয়ন্ত্রণ এবং আরও সবুজায়ন জরুরি। জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং কার্যকর আইন প্রয়োগের মাধ্যমেও বায়ুদূষণ কমানো সম্ভব।


রাকিব হাসান
ঢাকা

খেজুরের কাঁচা রস পান নয়

প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৭ এএম
খেজুরের কাঁচা রস পান নয়

প্রকৃতিতে আগমন ঘটেছে শীতের। শীত এলেই গ্রামের গাছিরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন খেজুরের রস সংগ্রহে। খেজুরের কাঁচা রস আমাদের সবারই প্রিয়। শীতের সকালে রোদে বসে খেজুরের কাঁচা রস আর হাতে ভাজা মুড়ির স্বাদ উপভোগ করা বাঙালির অনেক পুরোনো অভ্যাস। এই স্বাদ উপভোগ করতে অনেকেই এ সময় শহর ছেড়ে পাড়ি জমান গ্রামের আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে। কিন্তু সেই খেজুরের রস যদি আপনজনদের জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে তা পরিহার করাই আবশ্যক। 

নিপাহ ভাইরাসের সঙ্গে আমরা সবাই এখন পরিচিত। সাধারণত শীতের সময় এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেশি লক্ষ করা যায়। আমাদের দেশে এই ভাইরাসের প্রধান বাহক বাদুড়। রাতের অন্ধকার নেমে এলেই বাদুড় গাছে বসে রস পান করে। ফলে খুব সহজেই বাদুড়ের লালা ও মলমূত্র হাঁড়িতে থাকা রসের সঙ্গে মিশে যায়। মূলত বাদুড়ের মুখ থেকে নির্গত লালা ও ত্যাগ করা মলমূত্র থেকেই নিপাহ ভাইরাসের উৎপত্তি। এই ভাইরাস ছোঁয়াচে হওয়ার কারণে অল্প সময়ের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে।

নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুঝুঁকি ৭০ শতাংশ। এই ভাইরাসের কোনো টিকা বা নির্দিষ্ট চিকিৎসা না থাকা এবং সাধারণ মানুষের অবহেলার ফলেই নিপাহ ভাইরাস দিন দিন ভয়ংকর রূপ ধারণ করছে। তাই সবার উদ্দেশ্যে বলব, খেজুরের কাঁচা রস পান থেকে বিরত থাকুন।

তপন কুমার ঘোষ 
শিক্ষার্থী, সরকারি মুকসুদপুর কলেজ, গোপালগঞ্জ
[email protected]

চিনি তুমি কি ভিলেন!

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৫ পিএম
চিনি তুমি কি ভিলেন!

আজকের ব্যস্ত জীবনে মুড সুইং, অর্থাৎ মন খারাপ বা বিষণ্নতা দূর করতে ডার্ক চকলেট খেতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ক্ষেত্রে সামান্য চিনিও দারুণ উপকারী। ছোটখাটো আঘাতে কিংবা অত্যধিক রক্তপাত বন্ধ করতে চিনির অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান খুব কার্যকরী। আবার অনেক সময় তাড়াহুড়ো করে গরম চা খাওয়ার সময় জিভ পুড়ে গেলে অল্প কয়েক দানা চিনি জিভে রেখে চুষতে থাকলে পোড়া ভাব কিছুটা কমে ও মুখের স্বাদ ফিরে আসে। সরাসরি না খেলেও চিনি কিন্তু খুব কাজের জিনিস। ফুলদানিতে ফুল তাজা রাখতে এক লিটার পানিতে দুই টেবিল চামচ ভিনেগারের সঙ্গে কয়েক দানা চিনি মিশিয়ে দিলে ফুল থাকে টাটকা অনেক দিন।

 ত্বকের যত্নেও চিনির ভূমিকা আছে। ইদানীং চিনি মানবশরীরের শত্রু বলে বিবেচিত। চিনি খেতে অনীহা এখন বহু মানুষের, তাই প্রতিদিনের তালিকা থেকে চিনির মিষ্টতা হ্রাস পাচ্ছে। তবে যতই চিনিকে ভিলেন হিসেবে দেখা হোক না কেন, শরীর সুস্থ রাখতে চিনিরও প্রয়োজন আছে। একেবারে চিনি ছেড়ে দিলে বিপদ হতে পারে। চিনি ছাড়া মানুষের মস্তিষ্ক কাজ করতে পারে না। যদিও চিকিৎসকরা সরাসরি চিনি খাওয়ার পরিবর্তে ফল ও সবজির প্রাকৃতিক মিষ্টতাকে গুরুত্ব বেশি দিয়ে থাকেন।

 কোনো শুভ কাজে বেরোনোর আগে অল্প দইয়ের সঙ্গে একটু চিনি খাওয়ার রীতি রয়েছে অনেকের কাছে। দইয়ের সঙ্গে একটু চিনি খেলে অন্ত্রের সমস্যা দূর করা থেকে শুরু করে অম্বল থেকে মুক্তি ও শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, তাৎক্ষণিক এনার্জি পেতে অল্প একটু চিনি খাওয়া যেতে পারে। তাই বলি, ‘চিনি’ গো চিনি তোমারে।

 
লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

আর কত অপমৃত্যু?

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৪ পিএম
আর কত অপমৃত্যু?

পত্রিকার পাতায় নিয়মিত স্থান করে নিচ্ছে সড়ক, রেল, গণপিটুনি ও রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রাণ হারানোর খবর। দেশে অপমৃত্যু যেন একটি অপ্রতিরোধ্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানোর হার বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে, গত পাঁচ বছরে সড়কে ৩৫ হাজার ৩৮৪ জন নিহত হয়েছেন, যার ১৩ শতাংশই শিক্ষার্থী। 

বেপরোয় গতি, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, আইন অমান্য করা এবং চালকদের অদক্ষতার কারণে প্রতিদিন অসংখ্য পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। রেল দুর্ঘটনাও পিছিয়ে নেই। পরিসংখ্যান বলছে, এ বছরের প্রথম ৯ মাসে ২৪৩টি রেলপথ দুর্ঘটনা ঘটে, যেখানে মোট ২২৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। লেভেল ক্রসিংয়ের অনিরাপত্তা ও অবহেলার কারণে বারবার ঘটছে দুর্ঘটনা। এ ছাড়া অনেক জীবন বিলীন হয়ে যাচ্ছে রাজনৈতিক সহিংসতা ও গণপিটুনির মতো ঘটনায়। 

জীবনের পরিসমাপ্তি হলো মৃত্যু। তবে আমরা কেউই চাই না জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাচির মতো প্রাণচঞ্চল, নতুন স্বপ্ন ও উদ্যম নিয়ে ছুঁতে চলা একটি ফুল এভাবে অকালে ঝরে যাক। আমরা কেউই চাই না একটি স্বপ্নের মৃত্যু ঘটুক কিংবা একটি পরিবারে নেমে আসুক শোকের ছায়া। যেকোনো মূল্যে অপমৃত্যুর এ মিছিল থামাতে হবে। এ অবস্থা চলতে পারে না। এসব অপমৃত্যুর দায় আমাদের সবার। সরকার, প্রশাসন এবং নাগরিকদের সমন্বিত উদ্যোগই পারে এই মৃত্যুর মিছিল বন্ধ করতে। আমাদের প্রত্যেকের জীবন মূল্যবান। তাই এখনই সময় প্রশ্ন করার- আর কত অপমৃত্যু?

তুহিন চাকমা
শিক্ষার্থী, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
সদস্য, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা
[email protected]

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });