এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর ‘উচ্চশিক্ষায় মানুষ’ হওয়ার স্বপ্নে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। ‘অভিশপ্ত’ অটোপাসের কারণে জিপিএ-৫ বেড়ে যাওয়ায় স্বভাবতই ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বেড়ে একেকটি আসনের জন্য প্রার্থীর পরিমাণ বাড়বে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ এবং ইঞ্জিয়ারিংয়ে পড়তে ইচ্ছুক যথার্থ এবং সুযোগ্য মেধাবীরাও এতে স্বপ্নভঙ্গের আশঙ্কায় আতঙ্কিত। ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে মেধাবীদের চোখ রাঙাচ্ছে ‘কোটা প্রথা।’ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরণে তৎপর হলেও ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে মেধার অবমূল্যায়নের বিরুদ্ধে তাদের বৈপ্লবিক কোনো উদ্যোগ এখনো পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
শিক্ষার্জনের অধিকার দেশের সব মানুষের। মেধার যথাযথ মূল্যায়নই দল-মত-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবার এ অধিকার নিশ্চিত করতে পারে। কিন্তু ‘অভিশপ্ত কোটা প্রথা’ মেধাবীদের উচ্চশিক্ষার্জনে বাধার দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোটার কারণে স্বপ্নের পথে হাঁটতে না পারলে অনেক মেধাবীমুখ অসময়ে শিক্ষার পথ থেকে হারিয়ে যাবে। কেননা, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়ার সঙ্গে পেরে না ওঠায় অধিকাংশ মানুষেরই যখন ‘নুন আনতে পান্তা ফুরায়,’ তখন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্জনের স্বপ্ন দেখা ‘গরিরের ঘোড়া রোগ’ ছাড়া কিছুই নয়।
দেশে মানসম্পন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের খুবই অভাব। যেগুলো আছে, সেগুলোর খরচ আকাশছোঁয়া, যা দেশের অধিকাংশ মানুষের পক্ষেই বহন করা সম্ভব নয়। এ অবস্থায় মেধাবীদের সার্বিক অসহায়ত্বের কথা বিবেচনায় এনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় আসন বাড়ানো এবং যাবতীয় কোটা বাতিলের জন্য দায়িত্বশীলদের অনুরোধ করছেন নিরীহ-মেধাবী ভর্তিচ্ছুরা।
মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ্
বারইয়ারহাট, মিরসরাই, চট্টগ্রাম-৪৩২৬
[email protected]