পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিশ্বে গত দুই বছরে (২০২২-২৩) ১৬২ জন সাংবাদিক খুন হয়েছেন, যা দুঃখজনক। সাংবাদিকরা মূলত বার্তাবাহক। সরকার ও জনগণের মধ্যকার সংযোগস্থল বলা যেতে পারে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত সাংবাদিকরা কাজ করে চলছেন। সম্প্রতি ইউনেসকোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত দুই বছরের তুলনায় (২০২২-২৩) বিশ্বব্যাপী সাংবাদিক হত্যার হার অনেকাংশে বেড়েছে। জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বাংলাদেশেও অনেক সাংবাদিক মারা গেছেন, আবার অনেকে আহত হয়েছেন।
বিশ্বে সাংবাদিকের মৃত্যুর হার বৃদ্ধিকে ইউনেসকো ‘আশঙ্কাজনক’ হিসেবে অভিহিত করেছে। সাংবাদিকদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হবে, তা কোনো সভ্য সমাজ মেনে নিতে পারে না। বাংলাদেশ এমন একটা দেশ যেখানে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা থাকলেও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নেই। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে গণতন্ত্রকে সুদৃঢ় করার জন্য সাংবাদিকদের এগিয়ে আসতে হবে।
সাংবাদিকরা জাতির বিবেক বলেই তারা সচেতন। আর এ জন্যই সাংবাদিকরা তাদের লেখনীর মাধ্যমে দেশের মানুষকে সাহসী এবং যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হিসেবে গড়ে তুলতে চেষ্টা করেন। ইউনেসকো তার প্রতিবেদনে বলেছে, বিশ্বজুড়ে গত দুই বছরে গড়ে প্রতি চার দিনে একজন সাংবাদিক খুন হয়েছেন। ইউনেসকো বলেছে, সাংবাদিক খুনের অধিকাংশ ঘটনার কোনো বিচার পাওয়া যায়নি। এসব খুনের শতকরা ৮৫ ভাগ মামলার কোনো সমাধান খুঁজে পাওয়া যায়নি বা পরিত্যক্ত হয়েছে।
মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
গণমাধ্যমকর্মী
১৭ ফরিদাবাদ, গেন্ডারিয়া, ঢাকা