ঢাকা ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, রোববার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪

আবাসনসংকট দূর করুন

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৫ এএম
আবাসনসংকট দূর করুন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ। প্রায় ১৯ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। আবাসিক সুবিধা নেই জেনেও সবার পছন্দ বিশ্ববিদ্যালয়টি। এখানে মেয়েদের জন্য রয়েছে একটিমাত্র হল। ছেলেদের জন্য  হল থাকলেও তা রয়েছে বেদখলে। মেয়েদের একটি হল ছাড়া হলের সুবিধা কখনোই ভোগ করতে পারেনি বাকি জবিয়ান শিক্ষার্থীরা। সেই একটি হলেও রয়েছে গ্যাসসংকট, চুলার সংকটে দীর্ঘ অপেক্ষার মতো যন্ত্রণা, নিম্নমানের খাবার সরবরাহের মতো সমস্যা, যার কোনোটিই সমাধান হচ্ছে না। 

ক্যাম্পাস জীবনের শুরু থেকেই জবিয়ানরা শুরু করে টিকে থাকার লড়াই। পুরান ঢাকার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মেসের অতিরিক্ত ভাড়া ও অন্যান্য খরচ বহন করার জন্য স্বল্প বেতনের টিউশনে, অতিরিক্ত কর্মঘণ্টায় জবিয়ানরা কাটিয়ে দিচ্ছেন তাদের জীবনের মূল্যবান সময়‌। এত পরিশ্রম করে দিন শেষে ঠিকঠাক পড়াশোনা করাই দায়। এত স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও হতাশার চাদরে প্যাঁচিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিয়ে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যাচ্ছেন। বিশেষ করে আর্থিকভাবে অসচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা প্রায় বন্ধের পথে। জবিয়ান শিক্ষার্থীরা চাই দ্রুত যেন হলগুলো উদ্ধার করা হয়, পাশাপাশি কেরানীগঞ্জে নতুন ক্যাম্পাসে অস্থায়ী আবাসনের মাধ্যমে এই সমস্যার যেন সমাধান হয়। প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের তালিকা করে অন্তত একটি সন্তোষজনক ভাতার ব্যবস্থাও যেন করা হয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। 
নুসরাত জাহান অর্পিতা
শিক্ষার্থী
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
[email protected]

পোস্তগোলা রাস্তার শোচনীয় অবস্থা

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৭ এএম
পোস্তগোলা রাস্তার শোচনীয় অবস্থা

দীর্ঘদিন ধরে পুরান ঢাকার পোস্তগোলার অরসিনগেট এলাকার রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ। তা ছাড়া গেন্ডারিয়ার লোহারপুল থেকে পোস্তগোলা পর্যন্ত রাস্তার দুই দিকে অসংখ্য গর্ত আর ম্যানহোলের ঢাকনা না থাকার কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটলছে, যা দেখার কেউ নেই। এখানে রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। ইতোমধ্যে স্বামীবাগের মেথরপট্টির রাস্তাও সংস্কারের অভাবে বেহাল হতে শুরু করেছে।

 ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের রাস্তাটি সংস্কারে যেন কোনো মাথাব্যথা নেই। সামান্য বৃষ্টি হলে এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। দীর্ঘদিন ধরে পুরান ঢাকাবাসী চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। প্রতিদিন চলার পথে পুরান ঢাকার ভাঙাচোরা রাস্তার কারণে নগরবাসীকে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে। পুরান ঢাকা এখন ধুলাবালিতে একেকার। নগর ভবন সকাল-বিকেল রাস্তায় পানিও ছিটায় না। এ ছাড়া ফরিদাবাদের বাহাদুরপুর লেনের সংস্কারকাজ শেষে দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের মাটির স্তূপ ফেলে রাখা হয়েছে, যাতে পথচারী ও রিকশা যাতায়াতে ভীষণ অসুবিধা বা প্রতিবন্ধকতা দেখা দিচ্ছে।

বলা বাহুল্য, শুধু নারিন্দা এলাকা নয়, পুরান ঢাকার সব অলিগলিসহ গেন্ডারিয়া, ধোলাইখাল, সূত্রাপুর, বাংলাবাজার, ফরিদাবাদ প্রভৃতি এলাকা ঢাকা ওয়াসা, ডিপিডিসি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃক রাস্তা কাটাকাটির জন্য নগরবাসীকে দীর্ঘদিন সীমাহীন দুর্ভোগ ও যানজটে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। এখানে রাস্তা সংস্কারে ঠিকাদারদের চরম অবহেলা ও উদাসীনতার জন্য সিটি করপোরেশনের একশ্রেণির প্রকৌশলীর সখ্যই অনেকাংশে দায়ী। আশা করি, দ্রুত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন রাজধানীর পুরান ঢাকার সব রাস্তাঘাট সংস্কার ও এলাকার ম্যানহোলের ঢাকনা লাগানোর কাজ জরুরি ভিত্তিতে করার উদ্যোগ নেবে। 


মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
গণমাধ্যমকর্মী, ১৭ ফরিদাবাদ, গেন্ডারিয়া, ঢাকা-১২০৪
[email protected]

শীতের আতঙ্ক নিপাহ ভাইরাস

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৪ এএম
শীতের আতঙ্ক নিপাহ ভাইরাস

শীত শুরু হলেই খেজুর রসের চাহিদা বেড়ে যায়। গাছে গাছে হাঁড়ি ঝুলিয়ে সংগ্রহ করা হয় রস। পিঠাপুলি, ফিরনি, পায়েস খাওয়ার ধুম থেকেই খেজুর রস সরবরাহ বৃদ্ধি পায়। কেউ কেউ সরাসরি গাছ থেকে নামিয়ে নেয় খাওয়ার জন্য। লোভনীয় এ খেজুর রস আমাদের অজান্তে বয়ে আনে নিপাহ ভাইরাসসহ নানাবিধ রোগবালাই। সাধারণত গাছিরা রস সংগ্রহের জন্য দিনের বেলায় গাছে হাঁড়ি বেঁধে দেন। রাতে রস মজুত হয় হাঁড়িতে। 

পরের দিন সকালে হাঁড়ি থেকে বাজারে সরবারহ করা হয়। খেজুর রসে আকৃষ্ট হয়ে রাতে বাদুড়, সাপ, পোকামাকড় রস খেতে আসে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা না থাকায় হাঁড়িতে কীটপতঙ্গের প্রবেশ লক্ষ করা যায়। অধিকাংশ সময় রস পরিশোধন ব্যতীত সরাসরি বাজারজাত করা হয় বা গাছ থেকে সরাসরি পান করা হয়। বাদুড়ের লালা, মল রসে মিশ্রিত হওয়ার কারণে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তের ঝুঁকি বেড়ে যায়। জ্বর, বমি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, মাথাব্যথা, প্রলাপ বকা, অজ্ঞান হওয়া, পেটে পীড়া, কখনো কখনো নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, বুকে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়। ২০২৩ সালে প্রকাশিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের মৃত্যুর সম্ভাবনা ৭০ ভাগ। ২০২২-২৩ সালে আক্রান্ত ১৪ জনের মধ্যে ১০ জন মৃত্যুবরণ করেছে।

নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে প্রথম শর্ত সরাসরি কাঁচা রস পান না করা। আক্রান্ত ব্যক্তিকে দেরি না করে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। জনসচেতনতার উদ্যোগ গ্রহণ করে নিপাহ ভাইরাসে বিস্তার প্রতিরোধ করা সম্ভব।

আহাম্মদ উল্লাহ
ঢাকা

আসুন, শীতার্তদের পাশে দাঁড়াই

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫২ এএম
আসুন, শীতার্তদের পাশে দাঁড়াই

শীত মৌসুম মানে নিম্নশ্রেণির অসহায় মানুষের সীমাহীন কষ্ট আর দুর্ভোগের দিনগুলো শুরু। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া, দিনব্যাপী সূর্যের ক্ষীণ তাপ আর প্রকৃতির নানারূপ পরিবর্তনে বয়স্ক ও শিশুসহ সব শ্রেণির মানুষের মধ্যে দেখা দেয় সর্দি-কাশি, জ্বর, হাঁপানির মতো জটিল রোগের। শীতের তীব্রতায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ ও কষ্টের শিকার সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলো। তাদের নিম্নমানের জীবনযাপন আর স্বল্প আয়ের ফলে তীব্র শীতে তাদের পরিবার শীতবস্ত্রসংকটে ভোগে। শুষ্ক আবহাওয়া ও দিনব্যাপী সূর্যের ক্ষীণ তাপের ফলে তাদের দৈনন্দিন আয় ব্যাহত হয়। শীত মৌসুমে প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র ও পর্যাপ্ত তাপমাত্রার অভাবে শিশু, যুবক, বৃদ্ধসহ সবাই বিভিন্ন ধরনের রোগ ও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভোগে।

তাই শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির আগেই আমাদের উচিত শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের সাহায্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা। শীতের শুরুতে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো শুধু একটি মানবিক কর্তব্য নয়, বরং আমাদের সবার নৈতিক দায়িত্ব। আমরা নিজেদের অবস্থান থেকে অসহায় মানুষের জন্য সাধ্যমতো সাহায্যে এগিয়ে এলে আমাদের দেশ একটি সুস্থ, সমৃদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠার দিকে একধাপ এগিয়ে যাবে।

মুজাহিদুল ইসলাম
রাজশাহী কলেজ

যত্রতত্র বাস দাঁড়ানো বন্ধ করুন

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫০ এএম
যত্রতত্র বাস দাঁড়ানো বন্ধ করুন

ঢাকা মহানগরীতে প্রায় ২ কোটি মানুষের বসবাস। এই ২ কোটি মানুষের সিংহভাগই গণপরিবহনে যাতায়াত করে। বিশেষ করে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের কর্মস্থল এবং শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা গণপরিবহন। কিন্তু বিশাল মহানগরীর গণপরিবহনে নেই কোনো শৃঙ্খলা। অতিরিক্ত যাত্রী ওঠানো, যেখানে-সেখানে বাস থামানোর প্রবণতা সর্বত্রই দেখা যায়। 

বাস দাঁড়ানোর জন্য নির্ধারিত স্থান থাকলেও যত্রতত্র রাস্তার মাঝখানে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানো-নামানো যেন সাধারণ নিয়মে পরিণত হয়েছে। এর ফলে রাস্তায় আকস্মিক যানজট লেগে যায়। পেছনে গাড়ির লম্বা লাইন, হেলপার, যাত্রীদের কোলাহল এক বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি করে। এতে করে নগরবাসীর যেমন মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে তেমনি মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তা ছাড়া দীর্ঘক্ষণ জ্যামের কারণে বাসগুলো থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া এবং জ্বালানি নষ্ট হয়ে রাষ্ট্রের ক্ষতি হচ্ছে। তাই কর্তৃপক্ষের তদারকি এবং ট্রাফিক আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে যত্রতত্র গণপরিবহন দাঁড়ানো বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি যাত্রীদেরও স্টপেজের বাইরে বাসে ওঠা-নামা থেকে বিরত থাকা উচিত।


কল্পনা আক্তার 
ছোলমাইদ, ভাটারা, ঢাকা

অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২১ এএম
অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ইটভাটার দৌরাত্ম্যের সঙ্গে পরিবেশের বিপর্যয় অনেকটা সমার্থক। দেশে ইটভাটা গড়ে তোলার নীতিমালা থাকলেও তা যথাযথভাবে মানা হয় না, এর মধ্যে আছে আবার অবৈধ ইটভাটাও। বছরের পর বছর ধরে সেগুলো চলতে থাকে। যেমন ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঠাকুরগাঁও জেলায় গড়ে উঠেছে কয়েকটি অবৈধ ইটভাটা। বিষয়টি খুবই হতাশাজনক। এই ইটভাটার নেই বৈধ কোনো কাগজপত্র। নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও ইট পোড়ানোর সনদ।

 বিগত সরকারের আমলে যেভাবে চলে এসেছে, এখনো সেভাবেই চলছে।পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া কেউ ইট উৎপাদন করতে পারেন না। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে কোনো ইটভাটা চলার সুযোগ নেই। অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধ করতে কোনোভাবেই সময়ক্ষেপণ করা যাবে না। বছরের পর বছর ধরে চলা অবৈধ ইটভাটাগুলো দ্রুত উচ্ছেদ করা হোক। বৈধ ইটভাটাগুলোর ক্ষেত্রেও নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে। নদের জলাশয় ও খাল উদ্ধার করা হোক। আমরা আশা করব, এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেবে পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন।

আশিকুজ্জামান আশিক
আগারগাঁও, ঢাকা