দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে খেজুরগাছ। রস সংগ্রহেও নেই তেমন ব্যস্ততা। শীতের শুরুতে হাতে গোনা কয়েকটি এলাকায় খেজুরগাছের রস সংগ্রহ করতে দেখা যায় গাছিদের। একসময় গ্রামীণ জনপদের ঘরে ঘরে এই রস দিয়ে তৈরি হতো নানা ধরনের পিঠা ও পায়েস। কিন্তু ধীরে ধীরে গ্রামাঞ্চলের এসব সুস্বাদু খাবারের তালিকা থেকে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে খেজুর রস দিয়ে তৈরি খাবার। গাছিরা প্রতিদিন বিকেলে খেজুরগাছের সাদা অংশ পরিষ্কার করে ছোট-বড় কলসি (মাটির পাত্র) রসের জন্য বেঁধে রেখেন, পরদিন সকালে কাঁচা রস সংগ্রহ করে মাটির হাঁড়িতে নিয়ে এসে হাটবাজারে বিক্রি করতেন। গৌরব আর ঐতিহ্যের প্রতীক মধুবৃক্ষ এই খেজুরগাছ।
খেজুরগাছের সুমিষ্ট রসের ম-ম ঘ্রাণে ভরে উঠত গ্রামাঞ্চল। পুরো শীত মৌসুম চলত সুস্বাদু পিঠাপুলি আর পায়েসহ নানান রকমের খাওয়ার আয়োজন। বাড়িতে বাড়িতে জামাই, মেয়ে, নাতি-নাতনিদের নিয়ে চলত শীত উৎসব। গ্রামে গ্রামে খেজুরগাছের মাথায় মাটির হাঁড়ি বেঁধে রাখা দেখে মন জুড়িয়ে যেত। খেজুরের রস দিয়ে নানান আয়োজন যেন এক ঐতিহ্য। খেজুরগাছ দিন দিন হারিয়ে গেলে একসময় খেজুর রসের ঐতিহ্য হারিয়ে যাবে। এ জন্য আমাদের সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বেশি বেশি খেজুরগাছ রোপণ করা প্রয়োজন।
মো. গিয়াস উদ্দিন হৃদয়
অর্থ সম্পাদক
নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন সমন্নয় কমিটি, ঢাকা
[email protected]