সাম্প্রতিক সময়ে দেশের শিক্ষাঙ্গনগুলো নানাভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকার কয়েকটি শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ এবং ক্যাম্পাসে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে বাধ্য হয়ে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিতে হয়েছে। যা একই সঙ্গে দুঃখজনক, অনভিপ্রেত এবং আশঙ্কার। ঢাকার তিন কলেজের সংঘর্ষের জের ধরে কয়েকটি শিক্ষাঙ্গনে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। এমনকি সেন্ট গ্রেগরি কলেজ এতে যুক্ত না থাকলেও বিনা উসকানিতে কলেজটিতে হামলা চালানো হয়।
ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। জরুরি নথিপত্র গায়েব হয়ে গেছে। ফলে অনেক শিক্ষার্থীকে এখন তাদের সার্টিফিকেটসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তুলতে গেলে ভোগান্তি পোহাতে হবে। এর পাশাপাশি প্রত্যেকটা ক্যাম্পাসেই অবকাঠামোগত যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে ওঠা সময় এবং ব্যয়সাপেক্ষ। আদতে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে ক্ষতিটা হয়েছে শিক্ষার্থীদের নিজেদেরই। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যা একাডেমিক ক্যালেন্ডারকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। অনেক শিক্ষার্থীর সেশনজটে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই সংঘর্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শিথিলতা নানা প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্রুত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সে রকম কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। এ বিষয়ে সরকারকে অনতিবিলম্বে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে, না হলে সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে।
ফাহিম হাবিব
২/ডি, গোল্ডেন স্ট্রিট, রিং রোড, শ্যামলী, ঢাকা
[email protected]